
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের Abanindra Rachanabali pdf part 1 অবনীন্দ্র রচনাবলী (প্রথম খন্ড) pdf ডাউনলোড করুন এবং Abanindra Rachanabali pdf part 1 অবনীন্দ্র রচনাবলী (প্রথম খন্ড) pdf পড়ুন।

Abanindra Rachanabali pdf part 1 অবনীন্দ্র রচনাবলী (প্রথম খন্ড) pdf সূচীপত্র
আপন কথা
ঘরোয়া
জোড়াসাঁকোর ধারে
গ্রন্থপরিচয়
ব্যক্তিপরিচয়
Abanindra Rachanabali pdf part 1 অবনীন্দ্র রচনাবলী (প্রথম খন্ড) pdf চিত্রসূচী
প্রতিকৃতি
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘ফাল্গুনী’ অভিনয়ে অবনীন্দ্রনাথ
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর – অগ্নিত
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি
শাজাহানের মৃত্যু
হস্তলিপিডির
‘কথং কুতোঽসি কিন্নামতে
‘আমি বলেছি, তুমি লিখেছে।’
‘যত সুখের স্বতি তত দুঃখের স্বস্তি’
মনের কথা
যে-গাতার সঙ্গে ভাব হল না, তার পাতায় ভালো লেখাও চলল না। এই খাতাটা অনেকদিন কাছে কাছে রয়েছে, ভাব হয়ে গেল এটার সঙ্গে। ভাব হল ধে-মানুষের সঙ্গে কেবল তাকেই বলা চলল নিজের কথা সুখ-দুঃখের। আমার ভাব ছোটোদের সঙ্গে তাদেরই দিলেম এই লেখা খাতা। আর যারা কিনে নিতে চায় পয়সা দিয়ে আমার জীবন-ভরা সুখ-দুঃখের কাহিনী, এবং সেটা ছাপিয়ে নিজেরাও কিছু সংস্থান করে নিতে চায় তাদের আমি দূর থেকে নমস্কার দিচ্ছি। যারা কেবল শুনতে চায় আপন কথা, থেকে থেকে যারা কাছে এসে বলে ‘গল্প বলো’, সেই শিশু-জগতের সত্যিকার রাজা-রানী বাদশা- বেগম তাদেরই জন্যে আমার এই লেগা পাতা ক’খানা। শিশু-সাহিত্য-সম্রাট যারা এসেছেন এবং আসছেন তাদের জন্যে রইল বা হাতে সেলাম।
বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf – ইমদাদুল হক মিলন Bon Paharer Rajputra pdf – Imdadul Haq Milan
আর ডান হাতের কুর্নিশ রইল তাদেরই জন্যে যারা বসে শোনে গল্প রাজা-বাদশার মতো, কিন্তু ছেঁড়া মাছর নয়তো মাটিতে বসে, আর গল্পের মাঝে মাঝে থেকে থেকে যারা বকশিশ দিয়ে চলে একটু হাসি কিম্বা একটু কান্না, মান-পত্রও নয়, সোনার পদকও নয়, হয় একটু দীর্ঘশ্বাস, নয় একটুখানি ঘুমে-ঢোলা চোগের চাহনি! ওই তারা— যারা আমার মনের সিংহাসন আলো করে এসে বসে, তাদেরই আদাব দিয়ে বলি, গরীব পরবর সেলামং অব আগাজ, কিসকো করতা হুঁ, জেরা কান দিয়ে কর শুনো!
ছাপা হবে হয়তো বইখানা। একদিন কোনো বেরসিক অল্প দামে কিনে নেবে আমার সারা জীবন খুঁজে খুঁজে পাওয়া যা কিছু সংগ্রহ। এইটে মনে পড়ে যখন, তখন হাসি পায়। বলি, এ কি হয় কখনো? সব কথা কি কেউ জানতে পারে, না জানাতেই পারে কোনো কালে? অনেক কথা হয়ে অনেক রইবে না, এই হবে, তার বেশি নয়। একটা শোনা কথা বলি। তখন বাড়িতে প্ল্যানচিট্ চালিয়ে ভূত নামানো চলছে। দাদামশায়ের পার্থদ দীননাথ ঘোষাল প্ল্যানডিটে এসে হাজির। বড়ো জ্যাঠামশাস্ত্র তাঁকে জেরা শুরু করলেন পরকালটা এবং পরকালটার বৃত্তান্ত শুনে নিতে চেয়ে। ম্যানচিটে উত্তর বার হল- ‘যে-কথা আমি মরে জেনেছি, সে-কথা বেঁচে থেকে ফাঁকি দিয়ে জেনে নেবে এ হতেই পারে না।’
আমিও ওই কথা বলি। অনেক ভুগে পাওয়া এ-সব কাহিনী, কিনতে গেলে ঠকতে হয়, বেচতে গেলে ঠকতে হয় বলে যাওয়া চলে কেবল তাদেরই কাছে নির্ভয়ে, মনের কথা বেচা-কেনার ধার ধারে না যারা, যাত্রা করে বেরিয়েছে যারা, কেউ হামাগুড়ি দিয়ে, কেউ কাঠের ঘোড়ায় চড়ে, নানা ভাবে নানা দিকে আলিবাবার গুহার সন্ধানে! ছোটো ছোটো হাতে ঠেলা দিয়ে যারা কপাট আগলে বসে আছে, যে-দৈত্য সেটাকে জাগিয়ে বলে, ‘ওপুন ডিস’- অর্থাৎ চশমা খোলো, গল্প বলো। যারা থেকে থেকে ছুটে এসে বলে- ‘এই হুড়ি ছোঁয়াও, দেখবে দাদামশায়, লোহার গায়ে ধরে যাবে সোনা!” কুড়িয়ে পাওয়া পুরোনো পিছম ঘষে ঘষে যারা খইয়ে ফেলে, অথচ ছাড়ে না কিছুতে সাত রাজার ধন মানিকের আশা।
পদ্মদাসী
রাতের অন্ধকারের মাঝে দাড়িয়ে সারি সারি পল-তোলা খাম, এরই ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে আমাদের তেতলার উত্তর-পুর্ব কোণের ছোটো ঘরটা এক কোণে জ্বলছে মিটমিটে একটা তেলের সেজ। হিমের ভয়ে লাল খেরুয়ার পুরু পর্দা দিয়ে সম্পূর্ণ মোড়া ঘরের তিনটে জানলাই, ঘরজোড়া উঁচু একখানা খাট তাতে সবুজ রঙের ছোট। বিশি মশারি ফেলা রয়েছে। ঘরে ঢোকবার দরজাটা এত বড়ো যে, তার উপর দিকটাতে বাতির আলো পৌঁছতে পারে নি! এই ধরজার এক পাশে একটা লোহার সিন্দুক, আর তারই ঠিক সামনে কোথা থেকে একটা কাঠের খোটা হঠাৎ মেঝে কুঁড়ে হাত তিনেক উঠেই থমকে দাড়িয়ে গেছে তো গড়িয়েই আছে। এই গোটা ঘরের মধ্যে যার হাড়িয়ে থাকার কোনো কারণ ছিল না- সেটাতে ভর দিয়ে দাড়িয়ে আছে দেড়হাত প্রমাণ একটা ছেলে।
খোটার মাথার কাছে এতটুকু কুলুঙ্গির মতো একটা চৌকো গর্ত, তারই মধ্যে উকি দিয়ে দেখবার ইচ্ছে হচ্ছে, কিন্তু নাগাল পাচ্ছি নে কুলুঙ্গিটার! আলোর কাছে বসে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি পদ্মাসী মন্ত একটা রুপোর বিছুক আর গরম দুধের বাটি নিয়ে মুখ জুড়োতে বসে গেছে— তুলছে আর ঢালছে সে তপ্ত দুধ। দাসীর কালো হাত দুধ জুড়োবার ছন্দে উঠছে নামছে, নামছে উঠছে! চারদিক সুনসান, কেবলই দুধের ধারা পড়ার শব্দ শুনছি। আর দাসীর কালো হাতের ওঠা-পড়ার দিকে চেয়ে একটা কথা ভাবছি উঁচু খাটে উঠতে পারা যাবে কি না! আস্তাবলের ফটকের কাছে নন্দ ফরাশের ঘর, বেহালাতে গৎ ধরেছে— এক দুই তিন চার, এহেক হুহি তিহিন চার।
এক দুই তিন চার জানিয়ে দিলে রাত কত হয়েছে তা অমনি তাড়াতাড়ি খানিক আধ-ঠাণ্ডা দুধ কোনোরকমে আমাকে গিলিয়ে ঘাটের উপর তিনটে বালিশের মাঝখানটায় কাত করে ফেলে মনে মনে একটা ঘুমপাড়ানো ছড়া আউড়ে চল আমার দাসী। আর তারই তালে তালে অন্ধকারে তার কালো হাতের রহে রহে ছোয়া ঘুমের তলায় আস্তে আস্তে আমাকে নামিয়ে দিতে পর্দার ওপারে অনেক দূরে সেখানে নোটো খোড়া থাকন!
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের Abanindra Rachanabali pdf part 1 অবনীন্দ্র রচনাবলী (প্রথম খন্ড) pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Abanindra Rachanabali pdf part 1 অবনীন্দ্র রচনাবলী (প্রথম খন্ড) pdf পড়ুন এখান থেকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.