অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী সকল পিডিএফ লিংক Abhijnan Raychowdhury pdf download link

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর সকল pdf পড়ুন ও Abhijnan Raychowdhury pdf download link থেকে আপনার পছন্দের অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর pdf ডাউনলোড করুন।

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী pdf লেখকঃ
অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর জন্ম ১৮ এপ্রিল ১৯৭০, কলকাতায়। হিন্দু স্কুল থেকে মাধ্যমিকে, উচ্চমাধ্যমিকে প্রথমদিকে স্থানাধিকার, বিজ্ঞান শাখায় প্রথম। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। পরেও পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন, পেয়েছেন দেশবিদেশের নানান ডিগ্রি। বর্তমানে উচ্চপদে কর্মরত। কর্মসূত্রে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড—নানা দেশে দীর্ঘদিন থেকেছেন।

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী লেখালেখির শুরু ১৯৯৪-এ কিশোর ভারতী ও আনন্দমেলার পাতায়। লেখার বিষয় প্রধানত বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান-রহস্য। পত্র ভারতী প্রকাশিত বই : গ্লোবাল ওয়ার্মিং।

প্রকাশিত গ্রন্থ : কেমন করে কাজ করে যন্ত্র ১ম, ২য়, ৩য়; দেশ বিদেশের সেরা কল্পবিজ্ঞান; সারা বিশ্বের সেরা রূপকথা, ১ম, ২য়; এই পৃথিবী একশো বছর পরে ইত্যাদি।
প্রধান নেশা—কল্পবিজ্ঞান ও রহস্যকাহিনি। লেখালেখি, বিজ্ঞান চর্চা।

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর অনিলিখা সিরিজঃ
অনিলিখার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালের এপ্রিল মাসে কিশোর ভারতীর পাতায়। গল্পের নাম ছিল মিকুমুর গবেষণা। তারপরে দুইদশক পেরিয়ে গেছে। অনেক গল্প, অনেক উপন্যাস লেখা হয়ে গিয়েছে অনিলিখাকে নিয়ে৷ অনিলিখা পৌঁছে গেছে প্রায় সব বাঙালি পাঠকের কাছে। এমন অনেক পাঠকই আছে, যারা সারাবছর অনিলিখাকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের অপেক্ষায় থাকে। অনিলিখাকে ঘিরে এই উৎসাহ অপেক্ষা আমাকে অবাক করে, উৎসাহিত করে প্রত্যেকবার এমন কিছু লেখার চেষ্টা করতে যা বিশ্ব সাহিত্যে এখনও লেখা হয়নি। তাই অজস্র অনুরোধ সত্ত্বেও একটা বা দুটোর বেশি উপন্যাস বছরে লিখে উঠতে পারি না।

এ বইয়ের দুটো উপন্যাসই অনিলিখাকে কেন্দ্র করে। ‘রহস্যের দশ আঙুল’ ও ‘রহস্য যখন সংকেতে’। ব্রিটেনের প্রেক্ষাপটে রহস্য উপন্যাস রহস্যের দশ আঙুল। অনিলিখা এবার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের শিকার। ওয়েলসের কেলটিক ম্যানর রিসোর্টে চারদিন বাদে খুন হবেন তিন দেশের প্রধান নেতা, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হবে অনিলিখাই। কোনও দোষ না করা সত্ত্বেও অনিলিখার নামের সঙ্গে যুক্ত হবে মোস্ট ওয়ান্টেড ইন্টারন্যাশনাল টেররিস্টের কলঙ্কিত শিরোপা। এর বেশি এখনই আর বলছি না। আর হ্যাঁ, অনিলিখার দশ আঙুলকে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাস।

রহস্য যখন সংকেতে’ উপন্যাসে অনিলিখার সঙ্গে মিস্টার পাইও আছেন৷ এর পিছনে আছে মৌলিক সংখ্যার রহস্য, আছে জেনেটিক রিসার্চ, আছে এনক্রিপশন, আছে আরও অনেক কিছু যার কথা এখনই ফাঁস করে দিচ্ছি না। এখানে ঘটনা খোদ কলকাতার বুকে। একটা নয়, দুটো নয়, পর-পর ন-নটা খুন!!! আর খুনের সাক্ষী হিসাবে পড়ে থাকছে শুধু হতভাগ্যের কঙ্কাল। এই খুনের তদন্তে নেমে যখন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন রাজর্ষি সরকারের মতন ফরেনসিক এক্সপার্ট, ঠিক তখনই তিনি পাশে পেয়ে গেলেন অনিলিখাকে ৷ অনিলিখা কি পারবে এই জটিল রহস্য ভেদ করতে যেখানে অপরাধী কয়েকঘণ্টার মধ্যে কলকাতার বুকে খুব বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর কথা আগাম জানিয়ে হুশিয়ারি দিয়েছে?

এই বইটি তোমাদের কাছে পৌঁছে দিতে যিনি মূল ভুমিকা গ্রহণ করেছেন আমার সেই প্রিয় সাহিত্যিক ও দাদা পত্রভারতীর কর্ণধার ত্রিদিবদাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই বউদি চুমকি চট্টোপাধ্যায় ও শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক অনীশ দেবকে যাঁরা আমার উপরে ভরসা না রাখলে আমি এই উপন্যাসগুলো কোনওদিন লিখতে পারতাম না। সবশেষে ধন্যবাদ জানাই তোমাদের, যাদের আগ্রহ উদ্দীপনা আমাকে প্রতি মুহূর্তে স্বপ্ন দেখায়, বাংলা থেকে এত দূরে থাকলেও বাংলাসাহিত্যে নতুন সৃষ্টির তাগাদা নিরন্তর যোগায় ।