আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Adhunik Soviet Galpo pdf – Achintya Kumar Sengupta

আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Adhunik Soviet Galpo pdf - Achintya Kumar Sengupta
আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Adhunik Soviet Galpo pdf - Achintya Kumar Sengupta

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর Adhunik Soviet Galpo pdf আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf ডাউনলোড করুন এবং Adhunik Soviet Galpo pdf আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf পড়ুন।

আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Adhunik Soviet Galpo pdf - Achintya Kumar Sengupta
আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Adhunik Soviet Galpo pdf – Achintya Kumar Sengupta

Adhunik Soviet Galpo pdf আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf ভুমিকা

কেন লিখি—নয়, কেন লিখবো এই প্রশ্ন এক দিন নাড়া দিয়েছিলো কে, তার লেখকসমাজকে। আমি লিখি, কেননা আমি বলতেচাই, জানাতে চাই। আমি যেমন করে দেখি তেমন করে চাই দেখাতে, করে বুঝি তেমন করে চাই বোঝাতে, যেমন করে অনুভব করি করে আমি ছাড়া আর কে অনুভব করলো। আমার হাসি-কান্নায়, মিলনে-বিরহে, আমার আশা-নিরাশায় খুঁজে বেড়াও তোমার ন্নার, তোমার মিলন-বিরহের, তোমার আশা-নিরাশার প্রতি- আমার চোখে দেখ পৃথিবীকে, আমার রক্তে আস্বাদ করো তার নর উত্তাপ, আমার অশ্রুতে জীবনের তিক্ততা।

বাদাবনে আতঙ্ক pdf – শিশির বিশ্বাস Badabone ananka pdf – Shishur Biswas

প্রশ্ন উঠলো, আমি কে? আমি কি সমাজের বাইরেকার কেউ? কি একা? অসম্পক্ত? আমাকে খেতে দিচ্ছে কে? আমার অন্নের চের পূর্ণতার মাঝে কি চাষার ক্ষুধার স্বাদ নেই? আমাকে পরতে দিচ্ছে কে? আমার কাপড়ের সুতোয় স্পর্শ করবো না কি শ্রমিকের রিক্ততা? কে আমাকে জোগাচ্ছে আরাম, অবকাশ, অব্যাহতি? সুদূর শৃংখলে কার সঙ্গে আমি জড়িত, গ্রথিত, আবেষ্টিত? যারা সারা দিন আমার চার পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা কাধে করে ধরে আছে সমাজের পায়া, তাদেরকে রাখবো দূরে ঠেলে, অপাঙক্তেয় করে? জানবো না তাদের, টানবো না তাদের? পালিয়ে বেড়াবো তাদের থেকে? জানি না চিনি না। এই অবমাননাকর ওজুহাত দেখিয়ে সরে পড়বো পাশ কাটিয়ে? উপর তলায় দাড়িয়ে নিচেকার রাস্তায় জীবনের জনস্রোত দেখবো?

শুধু নিজের কথাই বলবো, এক ছেড়ে দশের কথা বলবো না, দেশের কথা? মনে-মনে গর্ব করবো আমার আনন্দটাই বড়ো, আমার দুঃখটাই মহান, আমার ব্যর্থতাটাই দেখবার মতো? আর, আমার ধারে পারে যেসব দমিত-নমিত অবমানিত জীবন ভিড় করে আছে মূক ও মূর্খ, লাঞ্ছিত ও লুণ্ঠিত, তাদের সুখটা স্থূল, দুঃখটা নির্বোধ ও ব্যর্থতাটা অকিঞ্চিৎকর, রোমাঞ্চ-হীন? পিপাসায় জলই যখন খাওয়াতে হবে তখন মাটির খুরিতে না খাইয়ে সোনার গেলাসে খাওয়ালে দোষ কী! এই কি আমার যুক্তি? না। রাশিয়া প্রবল কণ্ঠে প্রতিবাদ করে উঠলো না। খুরি-গেলাসের কথা পরে হবে, দেখ এ সত্যি জল কিনা, সুস্থ সবল জল, না, এ মিষ্টি-মিষ্টি টক-টক নোনতা-নোনতা ঘোল, ফিকে আর ফাঁকি। জলের রূপ বা স্বাদ দেখে দরকার নেই, তা ঘোলা কি কাদাটে, তার পিপাসাহরণের গুণ থাকলেই সে জল, আমার, তোমার, সকলের।

স্পষ্টাস্পষ্টি বললো রাশিয়া, তুমি সমাজের লোক, বলতে হবে তোমাকে সমাজের কথা, সকলের কথা। দেখতে হবে, দেখাতে হবে তোমাকে নিজের চোখ দিয়ে নয়, সকলের চোখ দিয়ে। আগে ছিলো তোমার একটিমাত্র দিক, তোমার নিজের দিক, এখন তোমার দশ দিক, দশের দিক। উকিল যেমন তার মক্কেলের কথাই বলে নিজের ভাষায়, তেমনি তোমার প্রতিভাকে যে প্রতিনিধি করেছে সেই সমাজের কথাই তোমার সওয়ালের কথা। কখনোই তুমি একার জন্যে নও, তেমনি, মনে রেখো, তোমার সাহিত্যও সকলের জন্যে, সকলের নিয়োজনে। তোমাকে জানতে হবে যা-কিছু তুচ্ছ, ত্যক্ত ও তিক্ত, তোমাকে টানতে হবে, টেনে তুলতে হবে যা কিছু ভগ্ন, রুগ্ন ও পঙ্গু। জীবনের যা তুমি ব্যাখ্য! করবে তা সমাজের পক্ষ থেকে। চলবে না আর তোমার নিরপেক্ষতার কৌলীন্য।

অজ্ঞাতবাস pdf – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Oggatbas pdf- Sanjib Chattopadhyay

গায়ে গা লাগাতে হবে, দলে-দঙ্গলে ভিড়তে হবে, বেরুতে হবে জলে-জঙ্গলে। তোমার যা বাণী তা সমাজতন্ত্রের বাণী । তোমার ব্যক্তিত্ববোধের বদলে চাই এখন সামাজিকত্বের চৈতন্য। আরো বললে রাশিয়া। বললে, তোমার কাজের শেষ লেখাতে নয়, শেখাতে। তোমার কলম হচ্ছে অস্ত্র, প্রহরণ। শুধু তোমার কল্পনা চুলকোবার জন্যে নয়, খোঁচা মেরে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙাবার জন্যে। কাটতে হবে তোমাকে খাল, খুঁড়তে হবে তোমাকে খনি। তোমার জীবনে যেমন উদ্দেশ্য আছে, তেমনি সাহিত্যেও থাকবে সেই উদ্দেশ্য সূর্য শুধু অন্ধকারের উচ্ছেদ করে না, আনে প্রাণস্রোত, শ্যামল সমুচ্ছ্বাস। শুধু দগ্ধ করে না, পূর্ণ করে। তাই সাহিত্যকে লাগাতে হবে শোভনের কাজে নয়, গঠনের কাজে, অঘটন-প্রকটনের কাজে, বিকাশে বিলাসে নয়, স্থাপনে বিন্যাসে, একচ্ছত্র সমাজতন্ত্রের প্রচারে-প্রসারে।

সাহিত্যকে হতে হবে সজ্ঞান, সত্যসন্ধ । উদ্দেশ্যপ্রেরিত। রাশিয়ার পঞ্চবর্ষ কল্পনায় সাহিত্যের এই হলো সংজ্ঞানির্ধার। ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে রাশিয়ার সাহিত্যে তুমুল তোলপাড় হয়ে গেলো। তৈরি হলো জনগণের সাহিত্য, শ্রমজীবীর সাহিত্য-সমাজ- তান্ত্রিকতার জয়গান। পঞ্চবর্ষ কল্পনায় বেরুলো বোরিস পিলনিয়াকের “কাস্পিয়ানগামিনী ভলগা”, লেওনফের “সট”, মিকায়েল সোলোখফের “ভাঙামাটি”, ভ্যালেনটিন কাতাইফের “হে সময় অগ্রগামী।” পিলনিয়াকের বই নদীর উপরে বিরাট এক বাঁধ তৈরির ইতিহাস, লেওনফের বইয়ে বিরাট এক কাগজের কলের কাহিনী, সোলোখফের বইয়ে চাষাদের একীভবনের ইতিহাস, হাল কসাক-রাশিয়ার খুঁটিনাটি হুবহু বিবরণ, কাতাইয়েফের বইয়ে কয়লা ও কেমিকেল কারখানার কোলাহল— জেমস জয়সের “ইউলিসিসের” মতো চব্বিশ ঘণ্টার ঘটনা—শুধু তৈরি করার, গেঁথে তোলার, বৃত্ত পূর্ণ করার বৃত্তান্ত।

সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা—এই হলো সোভিয়েট সাহিত্যের সুর। সম্পত্তির পৃথিবীকে ধ্বংস করে নিঃস্বত্ব একত্বের প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত। আর মনোবিকলন নয়, নয় শুধু কলামুশীলন, ছক-কাটা জ্যামিতিক প্লট, চাই এখন জনস্রোত, জীবনস্রোত, বিরাট নির্মাণশালায় অসংখ্যেয় কর্মীর সম্মিলন, প্রাণবান চিন্তার সঙ্গে স্ফূর্তিমান কর্মের সংঘট্ট। তার পরে দেখতে পাই ব্রুনো ইয়াসেনস্কির “চামড়া বদলানো মানুষ” ইয়াসেনস্কি একজন পোল-জার্মান কমিউনিস্ট, রাশিয়া-প্রবাসী। ইঞ্জিনিয়ার ক্লার্ক কি করে বুর্জোয়া থেকে কমিউনিস্ট হলো, নাম দেখেই বোঝা যায়, এ বইয়ে তারই গল্প। আভডেয়ানকো-র “ভালোবাসি” এক শ্রমিকের আনন্দবর্ণনা, তার কাজকে তার জীবনকে সে কী অখণ্ড ভালোবাসে তারই সোভিয়েট উল্লাস।

জোচেনকোর “এক জীবনের গল্প” ও পগোডিনের “অভিজাত-মণ্ডলী” খাঁটি সোভিয়েট। দু’ জনেরই বিষয় হচ্ছে শ্বেতসাগরের উপর খাল কাটার কাহিনী, স্টালিন- খাল, কি করে হেয়তম অপরাধীরাও সেই কাজে লেগে কাজের আনন্দে নবজীবন পাচ্ছে, ফেলে দিচ্ছে তাদের পাপের ভার, অতীতের বোঝা। পগোডিনের নায়ক হচ্ছে এক দুর্দান্ত গুণ্ডা, জোচেনকোর নায়ক এক সামান্য সাধারণ কয়েদী। এই নব জীবনের স্বীকৃতিই হচ্ছে সোভিয়েট সাহিত্যের মূলমন্ত্র। শুধু কল-কারখানা নয়, জীবনায়ন, জন্মান্তরীণতা।

যারা পারেনি সুরে সুর মেলাতে রাশিয়া তাদেরকে ক্ষমা করেনি। তাদের রচনা শুধু ব্যর্থ ভাবেনি, ক্ষতিকর ভেবেছে। যেমন জামিয়াটিনের “আমরা”। এইচ. জি. ওয়েলসের বৈজ্ঞানিক রোমাঞ্চের ধরনে লেখা, এর সঙ্গে মিল আছে বা আলডুস হাক্সলির “ব্রেভ নিউ ওআর্লর্ড” যদিও হাক্সলির বইর দশ বছর আগে বেরিয়েছে “আমরা”। “আমরা”-তে ষড়বিংশ শতাব্দীর কাল্পনিক জগৎ বা একরাষ্ট্রের মহিমা- কীর্তন—কোথাও যেন বা প্রচ্ছন্ন প্রথর বিদ্রূপ। সবাই পরছে এক পোশাক, নীল-ধূসর কুর্তা (তখনো রঙিন শার্ট পরার রেওয়াজ হয়নি) কারুর নাম নেই, নম্বর দিয়ে নিদর্শন — নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম, নির্দিষ্ট সময়ে প্রেম। এ বইয়ের শুধু প্রচার নয়, প্রকাশ পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর Adhunik Soviet Galpo pdf আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Adhunik Soviet Galpo pdf আধুনিক সোভিয়েট গল্প pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply