বিশ্ব চক্র সিরিজের প্রথম বই স্বপন কুমারের Adrishya Sanket pdf অদৃশ্য সংকেত pdf ডাউনলোড করুন ও Adrishya Sanket pdf অদৃশ্য সংকেত pdf পড়ুন।
Adrishya Sanket pdf অদৃশ্য সংকেত pdf নমুনাঃ
নিচে নেমে এসে দীপক সবে খেতে বসেছিল। অন্য অতিথিরা খাওয়া- দাওয়া শেষ করে বসেছিল গিয়ে বাইরের ঘরে। যাদের শীগগির ৰাড়ি ফেরা প্রয়োজন তারা চলে যায় বাড়ি। অন্য সকলে তাস ইত্যাদি খেলা নিয়ে মেতে উঠেছিল।
ঠিক এমনি সময় দোতলার ঘরে শোনা গেল এই আর্ত চীৎকার।
সকলেই ছুটে গেল দোতলার ঘরের দিকে।
ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে সকলে দেখতে পেল মনোরমা দেবী মেঝের ওপর লুটিয়ে পড়েছে। দেহ নিস্পন্দ। কোথাও প্রাণের চিহ্নমাত্রও অবশিষ্ট আছে বলে বোঝা গেল না। হাতে ছিল একখানা বই। বোধ হয় সে কিছুক্ষণ আগেও বইখানা পড়ছিল। সেটা একপাশে খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
কুড়িয়ে ছড়িয়ে pdf – প্রেমেন্দ্র মিত্র Kurie Chharie pdf – Premendra Mitra
দীপক ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেই বলে উঠল—দেখুন, আপনারা কোনও জিনিসপত্রে হাত দেবেন না। কারণ, পুলিস এসে এগুলো দিয়ে তদন্ত করবে এবং প্রত্যেকটি জিনিস বেশ ভাল করেই দেখা হবে।
— পুলিস ? উপস্থিত অতিথিদের মুখে একসঙ্গে প্রশ্ন ফুটে উঠল।
—হ্যাঁ, দীপক বলল, প্রথমে একজন ডাক্তারকে ডাকা প্রয়োজন। আর পুলিসে ফোন করা উচিত। আচ্ছা, সে সব ব্যবস্থা আমিই করছি। এটা একটা খুনের কেস বলেই মনে হচ্ছে।
—খুন ? মানে মার্ডার! আশ্চর্য! সকলের মুখ দিয়ে যেন একটি কথাই ধ্বনিত হলো।
—হ্যাঁ, আমার তাই মনে হচ্ছে।
—সেই কিন্তুর নিরসনের জন্যেই পুলিসে ফোন করতে বাধ্য হলাম।
সকলেই ঘর থেকে একে একে বেরিয়ে গেল।
—আপনারা প্রত্যেকেই নিচের ঘরে বসুন। কেউ চলে যাবার চেষ্টা করবেন না।
দীপকের স্বরটা কঠোর বলে মনে হলো।
সোজা নিচে নেমে এলো দীপক, টেলিফোনের সামনে গিয়ে রিসিভার তুলে নিল—হ্যালো পুট্ মি টু বি বি –
—হ্যালো, কে?
—আমি চ্যাটার্জী কথা বলছি।
—ও, দীপক…
—ঠিকই অনুমান করেছেন, ডাঃ লাহিড়ী।
—তারপর হঠাৎ কি ব্যাপার বলো ত!
—আপনি জানেন ডাঃ লাহিড়ী, যে কিছুদিন হলে। আমি ডিটেকশনকে আমার জীবনের অন্যতম একটি প্রফেশন হিসেবে গ্রহণ করেছি।
—হ্যাঁ হ্যাঁ, মনে পড়ছে বটে।
—সম্প্রতি রায়সাহেব ঈশান মিত্রের বাড়িতে তাঁর বিয়ের নিমন্ত্রণ খেতে এসেছি। কিন্তু ‘ঢেকি স্বর্গে গিয়ে ধান ভানে, জানেন ত? এখানে এসেও দেখছি সেই ব্যাপার! এখন কেসটা পরীক্ষা করবার জন্যে আপনি যদি দয়া করে…
—নিশ্চয়ই ! আমি সবসময়েই তোমাকে সাহায্য করবার জন্যে প্রস্তুত… —ধন্যবাদ।
– এখুনি আসছি।
ফোন ছেড়ে দিয়েই দীপক স্থানীয় থানার সঙ্গে সংযোগ চাইল।
ফোন তুললেন স্থানীয় থানার দারোগা ভজহরিবাবু।
—হ্যালো, কে?
—আমি দীপক চ্যাটার্জী কথা বলছি রায়সাহেব ঈশান মিত্রের বাড়ি থেকে।
আপনি?
— আমি ভজহরি সামন্ত…
—ওহো, ভজহরিবাবু, আপনি!
—হ্যাঁ। তারপর ব্যাপার কি মিঃ চ্যাটার্জী?
—রায়সাহেব ঈশান মিত্রের বিয়েতে আমি এখানে নিমন্ত্রিত হয়েছিলাম। কিন্তু এদিকে একটা মারাত্মক ব্যাপার সংঘটিত হয়েছে।
– কি ধরনের?
—বোধ হয় এটা একটা কেস অব্ মার্ডার।
–ও, আচ্ছা আমি যতো শীঘ্র পারি আসতে চেষ্টা করছি। আপনি ওখানেই থাকবেন ত?
পাব।
-হ্যা হ্যা নিশ্চয়ই।
—ধন্যবাদ। আশা করি আপনার কাছ থেকে উপযুক্ত সাহায্য আমি ফোন ছেড়ে দিয়ে দীপক ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে একটু পরেই শুনতে পেল ডাঃ লাহিড়ীর মোটরকার বাইরে পার্ক করছে।
দীপক ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা করে ভেতরে নিয়ে এলো।
—সর্বপ্রথমে মৃতদেহ কে দেখতে পায় দীপক ?
—সেটা ঠিক জানি না। আচ্ছা দেখছি…
একতলার যে ঘরে সকলে বসেছিল সেখানে প্রবেশ করে দীপক প্রশ্ন করল- আচ্ছা, আপনাদের মধ্যে কে সর্বপ্রথম মুতের ঘরে প্রবেশ করেছিলেন ?
উত্তর দিল রায়সাহেব ঈশান মিত্রের ভাইপো অমল ।
বলল—আমিই সর্বপ্রথম ওঁর চীৎকার শুনে ওঁর ঘরে প্রবেশ করেছিলাম। —আপনাকে ডাক্তারবাবু কয়েকটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চান।
– বেশ, বলুন।
ডাঃ লাহিড়ী অমলের দিকে চেয়ে প্রশ্ন করলেন— আপনি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে প্রথমে কি দেখতে পেলেন?
অমল বলল—মনে হলো মৃত্যুর আগে উনি কিছু বলতে চেয়েছিলেন। ঠোঁটদুটো বারকয়েক কেঁপে কেঁপে উঠেছিল শুধু।
—তারপর ?
—তারপরেই উনি ঢলে পড়েন। আর কোন স্পন্দনই পাওয়া যায়নি। —বেশ, ওতেই চলবে।
ডাক্তার লাহিড়ী যে ঘরে মৃতদেহ ছিল সেই ঘরখানার দিকে পা বাড়ালেন।
দীপকও তাঁর অনুগমন করবার আগে অমলের দিকে ফিরে প্রশ্ন ক কোনও লোক বাড়ি থেকে বের হয়নি ত?
Adrishya Sanket pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.