অগ্নিনিরয় – কৌশিক মজুমদার Agniniroy pdf – Kaushik Majumdar

অগ্নিনিরয় - কৌশিক মজুমদার Agniniroy pdf - Kaushik Majumdar
অগ্নিনিরয় - কৌশিক মজুমদার Agniniroy pdf - Kaushik Majumdar

কৌশিক মজুমদারের ডিটেকটিভ উপন্যাস ম্যাসন সিরিজ এর তৃতীয় বই Agniniroy pdf অগ্নিনিরয় pdf ডাউনলোড করুন এবং Agniniroy pdf অগ্নিনিরয় pdf পড়ুন।

অগ্নিনিরয় - কৌশিক মজুমদার Agniniroy pdf - Kaushik Majumdar
অগ্নিনিরয় – কৌশিক মজুমদার Agniniroy pdf – Kaushik Majumdar

Agniniroy pdf অগ্নিনিরয় pdf রিভিউঃ

Freemasons এই শব্দটির সাথে আমার প্রথম পরিচয় রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের দা ভিঞ্চি কোড এর মাধ্যমে। বলা হয় ফ্রিম্যাসনরা ছড়িয়ে আছে সারা পৃথিবী জুড়ে, বহু বহু সংস্থা আছে তাদের, বহু বড় বড় ব্যক্তিত্ব তাদের সদস্য আর তারা নাকি বিভিন্ন ধরনের গূঢ় গোপন সত্য রক্ষা করে বেড়ায় ঠিক যেমন প্রিওরি অফ সিওনস রক্ষা করে যীশুখ্রিস্টের বংশধরকে… প্রখ্যাত লেখক শ্রী কৌশিক মজুমদারের লেখা “সূর্যতামসী-নিবারসপ্তক-অগ্নিনিরয়” উপন্যাস ত্রয়ী যা ম্যাসন সিরিজ নামেও পরিচিত তার মূল উপজীব্য এই ফ্রিম্যাসনরাই। কাহিনীর মূল কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ মূলত কলকাতা ব্যান্ডেল চুঁচুড়া, তাছাড়াও লন্ডন এবং ইউরোপের আরও কিছু অঞ্চল। একটি ফ্রিম্যাসন সংস্থা যারা রক্ষা করে একটি গোপন ব্লাডলাইন, যার ইতিহাস ১০০ বছরের ও অধিক প্রাচীন।

সূর্যতামসী – কৌশিক মজুমদার Surhatamosi pdf – Kaushik Majumdar

এই সংস্থার কাজকর্ম তার ইতিহাস ও বর্তমান এবং তার সঙ্গে খুনের রহস্য… তিনটি খণ্ডে প্রকাশিত এই বিশালবপু উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে কোথাও কখনো মনে হয়নি যে ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলছি, বরং টানটান উত্তেজনা অনুভব করেছি সবসময়। এই উপন্যাসে এসে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন ঐতিহাসিক চরিত্র ব্যক্তিত্ব যেমন গোয়েন্দা প্রিয়নাথ মুখার্জী, জাদুকর গণপতি চক্রবর্তী, ডাক্তার গোপালচন্দ্র দত্ত, জ্যাক দ্য রিপার এবং মিস্টার সাইগারসন মোহেলস (এনার পরিচয় দেবো না, উপন্যাস পড়লে জানতে পারবেন); এছাড়া উপস্থিত হয়েছেন দুজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ শ্রী তারিণীচরণ রায় এবং তাঁর বংশধর শ্রী তুবর্সু রায়।

শারদীয়া জাদু পিদিম ১৪৩০ (২০২৩) পিডিএফ Sharadiya Jadu Pidim 1430 (2023) pdf

লেখকের কলমের জাদুতে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত এই উপন্যাস আমার চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ইতিহাস ক্রাইম মিশিয়ে লিখিত এই ডিটেকটিভ থ্রিলার আমার মতে সকলের অবশ্যপাঠ্য। লেখক কৌশিক মজুমদারকে আমার নমস্কার ও ধন্যবাদ জানাই এই অপূর্ব লেখাটির জন্য।

Agniniroy pdf অগ্নিনিরয় pdf নমুনাঃ

বহুদুর থেকে একটা অদ্ভুত ঘড়ঘড়ে গলা বারবার ফিসফিস করে কী যেন বলে চলেছে। একবার। দুবার। বারবার জ্ঞান ফিরতেই গলা জ্বালানো একটা টক অনুভূতি টাকরা, জিভ, মাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে। বুঝতে পারছি আর বেশিক্ষণ এইভাবে থাকতে পারব না। চোখ খোলার চেষ্টা করলাম। চারিদিকে ক্লোরোফর্মের বোবা গন্ধ। কিছু বোঝার আগেই বাসু আমাকে কাবু করেছে। একটা কাপড় দিয়ে আমার দুই চোখ চেপে বাঁধা। সেই চাপে চোখের মণি দুটো টনটন করছে। চোখের পাতার কিছু অংশে ঘষা খেয়ে জ্বালা ভাব। চারদিকে নিকষ কালো অন্ধকার। একটু যদি বাঁধনটা হালকা করে দিত……
অনেকক্ষণ বাঁধা থাকায় আমার দুই হাতে, কাঁধে টনটনে ব্যথা। নাড়াতে পারছি না। একটু নড়লেই নাইলনের সরু দড়ি কেটে চামড়ার মধ্যে বসে যাচ্ছে। পা দুটোও একইভাবে গোড়ালির কাছে বাঁধা। বুকের ভিতরটাতে প্রচণ্ড জোরে ধুকপুক করছে। গাড়ির ইঞ্জিনের মতো। যেন এখুনি ফেটে বেরিয়ে যাবে। খেয়াল করলাম আমার গোটা দেহে এক টুকরো সুতো অবধি নেই। বেতের চেয়ারের টুকরোটাকরা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা অংশ সরু সরু ছুঁচের মতো খোঁচা দিচ্ছে থাইয়ের কোনায়, কুঁচকির গোপন ফাঁকে। জোরে নিঃশ্বাস নিতে গেলাম। ভুল করলাম। ও জেনে গেল আমি জেগে গেছি। সঙ্গে সঙ্গে উরুর পাশে গরম লোহা বেঁধার মতো তীব্র যন্ত্রণা। তীক্ষ্ণ ধাতব এক ফলা ঢুকে যাচ্ছে মাংস চিরে। সর্বনাশ! এ যে ক্লাসিক লিং-চি! চোখ বেঁধে একের পর এক আঘাতে শত্রুকে চিরে ফেলা। আমিই শিখিয়েছিলাম ওকে!
প্রবল ব্যথার মধ্যে ডুবে যেতে যেতেও আমার মাথা কাজ করছে। করছে স্বাভাবিকের থেকে অনেক দ্রুত। তবে না করলেই ভালো হত যেন। আমি চিৎকার করে বলতে চাইলাম, “লিবেরা অক্সিলিয়াম অ্যাডিউভেরেট টুবাল- কেন।” মুখ দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরোল না। নিজের অস্পষ্ট গোঙানি শুনে নিজেই চমকে উঠলাম।
একে একে সব ছবির মতো ভেসে উঠছে। আজকের রাতের জন্যই এত আয়োজন। আজকেই এমন হতে হল! আর কয়েক ঘন্টা মাত্র। যদি ঈশ্বর বলে কেউ থেকে থাকেন, তাঁর কাছে ভিক্ষা করছিলাম অনন্ত থেকে কেড়ে নিয়ে আসা ঘড়ির পদচারণা। যদি এভাবেও কাটিয়ে দিতে পারি, তবে বিপদ কেটে যাবে আপাতত। মুছে যাবে গত চব্বিশ ঘণ্টার ইতিহাস। তারপর… তারপর সবকিছু আবার নতুনভাবে ভাবতে হবে। একেবারে শূন্য থেকে। যে লম্বা, প্রায় অভঙ্গুর বিশ্বাসের শিকল তৈরি করেছিলাম গত কয়েক বছরে, তার সবচেয়ে জরুরি জোড় আমার অজান্তেই দুর্বল হয়ে গেছে। আমি বুঝতেও পারিনি। নাকি এটাই ভূতের সবচেয়ে বড়ো শয়তানি! সেই অবস্থাতেই বারবার ভাবার চেষ্টা করলাম, কেন এমন হল? একেবারে অযাচিতভাবে যে অসামান্য সুযোগ ঈশ্বর আমার সামনে এনে দিয়েছিলেন, কীভাবে তিনি নিজেই তা কেড়ে নিতে পারেন!
ঘরে অস্থির নড়াচড়ার শব্দ পাচ্ছি। একের পর এক বই, আলমারি থেকে টেনে নামানো হচ্ছে। ফেলা হচ্ছে মাটিতে। আমি বুঝতে পারছি। আমি জানি ও কী খুঁজছে। আমি জানি এমনিতে ও সেটা পাবে না। অত্যন্ত সংগোপনে আমি জায়গার জিনিস জায়গায় রেখে দিয়েছি। আমি নিশ্চিত, এই একবিংশ শতাব্দীতে আমি ছাড়া আর কারও পক্ষে ভূতের সন্ধান করা সম্ভব ছিল না। সত্যি বলতে আমিও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। আজ থেকে একশো বছর আগে যাঁরা ভূতকে বশ মানিয়েছিলেন, সংগত কারণেই তাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাকে এক কাল্পনিক রূপকথার গল্প, এক আজগুবি ধারণা হিসেবে খাড়া করেছিলেন। আর আমরা বিনা বাক্যব্যয়ে সেটা বিশ্বাস করেও গেছিলাম। বিশ্বাস করে যেতাম।
কৌশিক মজুমদারের ডিটেকটিভ উপন্যাস Agniniroy pdf অগ্নিনিরয় pdf ডাউনলোড করুন এবং Agniniroy pdf অগ্নিনিরয় pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply