অর্জুন সমগ্র pdf - সমরেশ মজুমদার All Arjun Samagra pdf download

From our site you can download all the Pdf of the Arjun Book Series. Arjun Samagra pdf is a renowned Bengali detective novel series authored by Samaresh Majumdar. Arjun samagra pdf download from us free. বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুন সমরেশ মজুমদার এর অনবদ্য সৃষ্টি। খুনখারাপি বইটির ম্যাধ্যমে অর্জুন সমগ্র pdf সূচনা করে। অর্জুনের গুরু প্রাক্তন গোয়েন্দা অমল সোম। এছাড়াও আছেন মজার মজার চরিত্র মেজর এবং বিষ্টুসাহেব যারা প্রায়শই অর্জুনের সংগী হয়েছেন বিভিন্ন অভিযানে। অর্জুন নিজের গোয়েন্দা পরিচয় পছন্দ করেনা, সত্যসন্ধানী বলে থাকে। তবে অর্জুন গোয়েন্দা সিরিজের পাশাপাশি অর্জুন উপন্যাস বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেন। অর্জুন সমগ্র PDF download করুন আমাদের সাইট থেকে।

অর্জুন সমগ্র pdf – সমরেশ মজুমদার All Arjun Samagra pdf download

“সত্যসন্ধানী” অর্জুনের প্রথম আত্মপ্রকাশ “খুনখারাপি” উপন্যাসটিতে। সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ অর্জুন পিতৃহারা হওয়াতে সংসার চালানোর জন্য চাকরীর খোঁজ করতে থাকে। একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রচেষ্টায় সে পায় জঙ্গলে হাতি তাড়ানোর চাকরী। অদ্ভুত ধরণের চাকরী হলেও মনপ্রাণ দিয়ে কাজটি শুরু করে সে। আর সেখানেই জড়িয়ে পড়ে রহস্যের জালে। “পাগলা তিনকড়ির” সাথে আলাপ ঘুরিয়ে দেয় তার জীবনের মোড়। গুরুদেব অমল সোম এবং অর্জুনের বুদ্ধিতে সমাধান হয় রহস্যটির। এই সমগ্রটিতে রয়েছে মোট পাঁচটি উপন্যাস যার মধ্যে তিনটিতেই (“খুনখারাপি”, “সীতাহরণ রহস্য” এবং “দেড়দিন”) অর্জুন তার গুরুদেবের ছত্রছায়ায় থেকে রহস্য সমাধান করে।

“লাইটার” হল প্রথম উপন্যাস যেখানে অর্জুন সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় দেশে এবং বিদেশে গিয়ে রহস্যের সমাধান পেয়ে “ডিটেকটিভ” থুড়ি “সত্যসন্ধানী” হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। “জুতোয় রক্তের দাগ” হল আরেকটি উপন্যাস যার প্রেক্ষাপট হল পুরোপুরি ইংল্যান্ড। এটি পুরোপুরি অ্যাডভেঞ্চারমূলক রহস্য, যেখানে অর্জুনের প্রাণসংশয়ও হয়েছিল। এই উপন্যাসটিকে আরেকটু ছোট করা যেত। প্রথম উপন্যাস “খুনখারাপি”তে অর্জুনের ভূমিকা গোয়েন্দা অমল সোমের সহকারীর এবং সেখানে আরেকটি চরিত্রের সূত্রপাত হয় “বিষ্টুচরণ পত্রনবীশ”। তিনি লেখক না হলেও কোথাও গিয়ে এই তিনজন চরিত্রের মধ্যে ফেলুদার “থ্রি মাস্কেটিয়ার্স” এর ছায়া পেলাম।

সমরেশ মজুমদার পিডিএফ ডাউনলোড করুন Samaresh Majumder pdf online

যার মাধ্যমে পরে “লাইটার” উপন্যাসে অর্জুনের আলাপ হয় মেজরের সাথে, যিনি একজন অভিযাত্রী এবং “জুতোয় রক্তের দাগ” এও তিনি ছিলেন অর্জুনের সহকারী। ইনিও একজন মজার চরিত্র। এককথায় বলতে গেলে অনবদ্য এবং সুখপাঠ্য এই সমগ্রটি। ভাগ্যতাড়িত এবং চাকরীর খোঁজে থাকা একজন সদ্য যুবক কিভাবে “সত্যসন্ধানী” হয়ে ওঠে এবং ধীরে ধীরে দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে লেখক খুব ধীরে ধীরে সেটি ফুটিয়ে তুলেছেন উপন্যাসগুলিতে।

আনন্দমেলা পত্রিকায় তৎকালীন সম্পাদক শ্রদ্ধেয় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী যখন ছোটদের জন্যে রহস্যউপন্যাস লিখতে বলেছিলেন তখন বিপাকে পড়েছিলাম। এই ছোট কারা যাদের জন্যে লিখতে হবে। ধরা যাক দশ-বারো বছরের ছেলেমেয়ে আমার পাঠক । ওই বয়সে আমি পদি পিসির বর্মি বাক্স অথবা যখের ধন, কালো ভ্রমর পড়ে শিহরিত হয়েছি। তখন পৃথিবী সম্পর্কে জানার সুযোগ ছোটদের এত কম ছিল যে অল্পেই সন্তুষ্ট হয়ে থাকতাম। কিন্তু এখন তো অন্য ব্যাপার। একটি দশ-বারো বছরের ছেলে অথবা মেয়ে পৃথিবীর হাঁড়ির খবর রাখে। টিভির দৌলতে অনেক রহস্য তার জানা । রূপকথার জগৎ তার কাছে হাস্যকর হয়ে গেছে।

মাসুদ রানা সিরিজের সকল বই পিডিএফ পার্ট ০৫ (মাসুদরানা ৪০২ থেকে ৪৭০ পর্যন্ত) Masud Rana Series pdf part 5 (Masud Rana 402-470)

এই ছেলেমেয়ের বোধবুদ্ধি আমাদের সময়ে অনেক বড়’র মধ্যেও দেখা যেত না। তাই এদের জন্যে রহস্যকাহিনী লিখতে একটি প্রায়-বাস্তব চরিত্রের শরণাপন্ন হলাম। কলকাতা থেকে অনেক দূরে জলপাইগুড়ি শহরে যে তরুণের বাড়ি সে-ই যদি রহস্যকাহিনীর নায়ক হয় এবং তার কেটে গেলে রক্ত পড়ে, পেটে ব্যথা হয় আবার স্বপ্ন দেখে আর পাঁচজনের মতো তাহলে কেমন হয়? এতগুলো বছরে, দেখা গেল, অর্জুন একটু একটু করে গৃহীত হয়েছে। এইটুকুই আমার আনন্দ। অর্জুনের বিভিন্ন কাহিনী একত্রিত করে বাদলদা ‘সমগ্র’ বের করছেন। এতে অর্জুনকে পুরোপুরি পাওয়া যাবে। পাঠকের একসঙ্গে অর্জুনকে পেয়ে কেমন লাগল জানার কৌতূহল থেকে গেল।