আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf – হুমায়ূন আহমেদ Amar Priyo Voutik Galpo pdf – Humayun Ahmed

আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf - হুমায়ূন আহমেদ Amar Priyo Voutik Galpo pdf - Humayun Ahmed
আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf - হুমায়ূন আহমেদ Amar Priyo Voutik Galpo pdf - Humayun Ahmed

হুমায়ূন আহমেদের Amar Priyo Voutik Galpo pdf আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf ডাউনলোড করুন ও Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf - হুমায়ূন আহমেদ Amar Priyo Voutik Galpo pdf - Humayun Ahmed
আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf – হুমায়ূন আহমেদ Amar Priyo Voutik Galpo pdf – Humayun Ahmed

Amar Priyo Voutik Galpo pdf আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf ভুমিকাঃ

ভৌতিক গল্পের একটি সংকলন বের করার শখ আমার অনেক দিনের। কোনো একটা ভাল গল্প পড়লে আমার তৎক্ষণাৎ ইচ্ছে করে অন্যদের সেই গল্পটা পড়াতে। আমি চাই আমার ব্যক্তিগত ভাললাগাটা ছড়িয়ে পড়ুক – অন্যরাও আমার মতো রোমাঞ্চিত হোক। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

ভরা বর্ষার রাতে প্রায়ই যে ঘটনাটা আমার বাড়িতে ঘটে তা হচ্ছে আমি একটা ভূতের গল্প পড়ে শোনাচ্ছি আমার তিন কন্যা এবং তাদের মা চোখ বড় বড় করে শুনছে। গল্প শেষ হবার পর তিন কন্যা বলল, আমরা আজ আলাদা শোব না। এক সঙ্গে শোব। লম্বা বিছানায় আড়াআড়ি করে সবাই শুয়েছি— এক প্রান্তে আমি, অন্য প্রান্তে কন্যাদের মা। মাঝখানে তিন কন্যা। বাইরে ঝুপঝুপ করে বর্ষার বৃষ্টি। এমন ভয় পাওয়াতেও তো আনন্দ আছে। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

ভৌতিক গল্পের সংকলন করতে গিয়ে দেখি অবাক কাণ্ড! ভাল লাগার মতো গল্প তো তেমন নেই! যে বড় গলায় যত কথাই বলুক – বাংলা সাহিত্যে ভৌতিক গল্পের ধারা খুবই ক্ষীণ। লেখকরা ভূতের গল্প যখনই লিখেছেন তখনই তাঁদের মাথায় চলে এসেছে—গল্পটার পাঠক শিশু-কিশোর। ভৌতিক গল্প তাঁরা লিখেছেন বাচ্চাদের জন্যে। লেখা হয়েছে খানিকটা অযত্নে, খানিকটা হেলাফেলায়। সেই গল্পের বেশীর ভাগই যেখানে শেষ হয় সেখানে দেখা যায় যে ভূত নেই—ভয়ের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অন্য কারণে ঘটেছে। ব্যাখ্যাতীত কোনো কারণে ঘটে নি।

এ জাতীয় গল্প পড়লেই আমার মনে হয়-লেখক পাঠকদের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা করলেন। এই প্রতারণার অধিকার তাঁদের নেই। তবে এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে তাঁরা যদি শেখাতে চান যে ভূত বলে কিছু নেই তা হলে ভিন্ন কথা। আমি নিজে ভূতের গল্প পড়ে এই শিক্ষা নিতে চাই না। ভূতের গল্প আমি ভয় পাবার জন্যেই পড়তে চাই। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

বাংলা সাহিত্যে ভৌতিক গল্পের একটা বিশেষ ফরম্যাট আছে। ফরম্যাটটা হচ্ছে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের সঙ্গে একজনের দেখা হবে। যার সঙ্গে দেখা হবে সে তার পূর্বপরিচিত। তার সঙ্গে অনেক কথাবার্তা হবে গল্পগুজব হবে। তারপর জানা যাবে যার সঙ্গে কথা হয়েছে সে আগেই মারা গেছে। এইসব গল্পে কোনো টেনশান থাকে না। কারণ আমরা জানি না অশরীরীর সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। যখন জানা হয় তখন গল্প শেষ। ভৌতিক গল্পের মানগত শ্রেণীবিন্যাসে আমি এ- জাতীয় গল্পগুলিকে সর্বনিম্নে স্থান দেব। দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে বাংলা সাহিত্যে বেশীর ভাগ গল্পই এই শ্রেণীর।

একশ ভাগ খাঁটি ভূতের গল্পও লেখা হয়েছে—আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে সে- সব গল্প পড়ে কেন জানি ভয় লাগে না, বরং মায়া লাগে। অন্য ভুবনের প্রতি মায়া, অশরীরীর প্রতি মায়া। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প তারানাথ তান্ত্রিকের কথাই ধরা যাক। ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় তাঁর কোনো ত্রুটি ছিল না। তার পরও গল্প শেষ হবার পরপর অদ্ভূত মায়ায় হৃদয় আচ্ছন্ন হয়। মনোজ বসুর বিখ্যাত ভূতের গল্পগুলির ব্যাপারেও একই কথা। তাঁর গল্প পড়ে ভয়ে না, আমরা মায়ায় আচ্ছন্ন হই। মনোজ বসুর দুটি গল্প আমি এই সংকলনে নিয়েছি-লালচুল এবং পাতাল- কন্যা। দুটি গল্পই চমৎকার। তাঁর গল্পে অশরীরীরা এসেছে খুবই স্বাভাবিক ভাবে। যেন এরা বাইরের কেউ না, এরা আমাদের সঙ্গেই আছে— আমাদেরই একজন। আমরা দেহধারী, ওরা নয়- এইটুকুই প্রভেদ।

এক সময় আমাদের অবস্থা কিন্তু এই ছিল। গ্রামবাংলায় ভূতকে ঘরের মানুষ ভাবা হত। ছোটবেলার কথা, নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি। সন্ধ্যাবেলা অন্য পাড়া থেকে এক ভদ্রলোক এলেন। নানাজানের সঙ্গে খানিকক্ষণ গল্পগুজব করে যাবার বেলায় বললেন, “একটা পেততুনি বড় ত্যক্ত করতাছে।” অর্থ হচ্ছে কিছুদিন ধরে এক প্রেত তাদের বড়ই বিরক্ত করছে। বিরক্তের ধরন হচ্ছে, মাছ ভাজা হলে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ভাজা মাছ খেতে চায়। নাকিস্বরে অনুনয়- বিনয় করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভদ্রলোকের গল্পে কেউ বিস্মিত হল না। ধরেই নিল এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, প্রেতরা ভাজা মাছ পছন্দ করে। এরা ত্যক্ত করবেই।

নানার বাড়িতেই আলাউদ্দিন নামের এক কামলা ছিল যে ভূতের সঙ্গে কুস্তি করেছে। কুস্তির ফলে তার সারাগায়ে আঠাজাতীয় কিছুতে (ময়মনসিংহের ভাষায় – বিজল) মাখামাখি হয়ে গিয়েছিল। সেই আঠা দূর করতে তাকে সারারাত নারিকেল ছোবড়া দিয়ে ডলাডলি করতে হয়েছে। এই ভয়াবহ ঘটনাও খুব স্বাভাবিকভাবেই নেয়া হয়েছে। ভাবটা এমন যে ভূতের সঙ্গে কুস্তি করলে গায়ে তো ‘বিজল’ লাগবেই। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

গভীর রাতে মশালের আলো জ্বেলে মাছধরা গ্রামের মানুষদের জন্যে আনন্দময় অভিজ্ঞতা। মাছধরার এই প্রক্রিয়াটির নাম ‘আউল্যা’। গ্রামের ভূতের গল্পের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ‘আউল্যা’র’ অভিজ্ঞতা। পরিচিতজনের গলা নকল করে ভূত এসে ডাকবে মাছ ধরতে যাবার জন্যে। একবার ঘর থেকে বের করতে পারলে আর কথা নেই—ভূতের প্রধান চেষ্টা থাকবে বিলের পানিতে ডুবিয়ে মারা। এই জাতীয় ভূতরা ডাঙ্গায় আসতে পারে না। এদের কর্মকাণ্ড পানিতে। ডাঙ্গায় আছে ‘ভুলো’।

আউল্যাতে গিয়ে ‘ভুলো’র হাতে পড়ে জীবনসংশয়ের ঘটনাও আছে। ভুলো হচ্ছে সেই অশরীরী যে পথ ভুলিয়ে দেয়, দিক ভুলিয়ে দেয়, শুধু ঘুরিয়ে মারে। ‘ভুলো’ নিয়ে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা অসাধারণ গল্প আছে— ভুলোর ছলনা। গল্পটা যদিও শিশু-কিশোরদের প্রতি লক্ষ্য রেখে লেখা হয়েছে, তার পরেও সব বয়সের পাঠকদের জন্যেই এই গল্প। আদি গ্রাম- ‘বাংলার লোকজ বিশ্বাসের গল্প ।

এই সংকলনে তারাশঙ্করের আরেকটি গল্পও আমি নিয়েছি—ডাইনী। স্বণ ডাইনী নামে গ্রামের এক ডাইনীর গল্প। উইচক্রাফটের গল্প পশ্চিমে প্রচুর লেখা হয়েছে – বাংলা সাহিত্যে এজাতীয় গল্প সম্ভবত শুধু তারাশঙ্করই লিখেছেন। এটিও অসাধারণ এক গল্প। গল্পটি অনূদিত হলে উইচক্রাফটের ওপর লেখা সব পশ্চিমা গল্পকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আমার ধারণা। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

পশ্চিমাদের ভূতের গল্প লেখার হাত এবং বিষয়বৈচিত্র্য আমাদের চেয়ে অনেক ভাল বলে আমার মনে হয়। আমাদের ভূতের গল্পে যেমন একটা হেলাফেলা ভাব আছে ওদের তা নেই। সম্ভবত তার একটি কারণ হচ্ছে পশ্চিমা পাঠকরা এ জাতীয় গল্প খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েন। এ-দেশীয় পাঠকরা ভৌতিক গল্প শিশুতোষ বিষয় মনে করেন, সৎ-সাহিত্যের পর্যায়ে ফেলেন না।

হয়ত এ কারণেই বাংলা ভাষার লেখকরা ভৌতিক গল্প লেখার ব্যাপারে অনাগ্রহ বোধ করেন। বাংলা ভাষার অনেক লেখক বিদেশী গল্পের ছায়ায় ভূতের গল্প লিখেছেন এবং খুবই দুঃখের ব্যাপার ঋণ স্বীকার করার প্রয়োজন বোধ করেন নি। তাঁরা কি ধরেই নিয়েছিলেন বাংলা ভাষার পাঠকরা মূল গল্পগুলি কখনো পড়বেন না ! অনেক ভাল ভাল গল্প আমি এই সংকলনে নিতে পারি নি কারণ গল্পগুলির মূল পশ্চিমে প্রোথিত।

পশ্চিমা ভূতের গল্পের সঙ্গে আমাদের ভূতের গল্পের একটা পার্থক্য হচ্ছে—বাংলা সাহিত্যে জীবজন্তুর ভূত নেই বললেই হয়। পশ্চিমে– মানুষ – ভূতের সঙ্গে আছে ঘোড়ার ভূত, কুকুরের ভূত। ঘোড়া আমাদের দেশে নেই, গরু তো আছে! গরুর ভূতের কোনো গল্পও কিন্তু নেই। লীলা মজুমদারের একটা গল্পে ন্যাপা কুকুরের ভূতের ব্যাপারটা আছে। গল্প হিসেবে খুব ভাল না হলেও বিষয়বৈচিত্র্যের জন্যে গল্পটি এ সংকলনে রাখা হল। সত্যজিৎ রায়ের গল্প ‘ভূতো’ও বিষয় বৈচিত্রের দাবিদার। অবশ্যি এই গল্প যে-বিষয় নিয়ে লেখা সে-বিষয়ে পশ্চিমে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। ভুডু ম্যাজিক পশ্চিমা আদিবাসীদের এবং যাযাবরদের নিজস্ব ব্যাপার।

এই সংকলনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি গল্প নেয়া হয়েছে-নিশীথে, মাস্টারমশায়। ভূত ছাড়া ভূতের গল্প কীভাবে লেখা যায় এবং সেই গল্প কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়—নিশীথে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মাস্টারমশায়ে একটি ভৌতিক পরিবেশ তৈরি করে অন্য গল্প বলা হয়েছে যেখানে পরকালের স্থান নেই। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা একটি ভৌতিক কাহিনীর অন্তর্ভুক্তির কারণ—গল্পটা চমৎকার। উপস্থাপনা খুবই বিশ্বাসযোগ্য। ভৌতিক গল্পের প্রাণ হল বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপন। এই গল্পটি আমি পড়েছি আমার কৈশোরে। পরিষ্কার মনে আছে—গল্প শেষ করে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। সংকলন ভুক্ত করার আগে আগে গল্পটা আবার পড়লাম। আরারো ভয় পেলাম।

সতীনাথ ভাদুড়ীর একটা গল্প ‘রহস্য’ সংকলনে নিয়েছি। গল্পটি যতদূর মনে পড়ে এই মহান লেখকের মৃত্যুর পর দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গল্পটা ঠিক ভৌতিক না—অতিপ্রাকৃত গল্প এবং অসাধারণ গল্প। বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প হলুদপোড়া নেয়া হয়েছে। যদিও হলুদপোড়াকে ভূতের গল্প বলা ঠিক হবে না। হলুদপোড়া লোকজ এক বিশ্বাসের গল্প যে-বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক হল প্রাচীন বাংলার বিশ্বাস। মানিকবাবু আধুনিক মানুষ ছিলেন। ভূতপ্রেতে বিশ্বাসী ছিলেন না। লেখালেখির ব্যাপারে তাঁর কিছু শুচিবাইও ছিল-যা বিশ্বাস করি তা-ই লিখব, যা বিশ্বাস করি না তা লিখব না। আমার খুব আফসোস হয় এই মহান লেখক সাহিত্যের এই শাখাটিতে হাত দেন নি। হলুদপোড়া পড়লেই বোঝা যায়- সাহিত্যের এই শাখায় হাত দিলে তিনি সোনার ফসল তুলে আনতে পারতেন।

ভূতের গল্পের মোড়কে মানবিক কিছু গল্প বাংলা সাহিত্যে আছে। ইচ্ছা করেই সেইসব গল্প বাদ দিয়েছি, তবে শৈলজানন্দের ‘কে তুমি’ বাদ দিতে পারি নি। চমৎকার গল্প। সমস্যা একটাই, অশরীরী দিয়ে শুরু হলেও কে তুমি পুরোপুরি শরীরী গল্প।

সংকলনে পরশুরামের (রাজশেখর বসু) মহেশের মহাযাত্রা নেয়া হয়েছে। পরশুরাম তাঁর স্বভাবসিদ্ধ হাসি-তামাশা রসিকতা দিয়ে শুরু করেছেন-তারপর গল্পকে অসাধারণ এক পরিণতির দিকে নিয়ে গেছেন। গল্প যতই এগুতে থাকে পাঠকের মুখের হাসি ততই শুকোতে থাকে। গল্প শেষ করার পর বাতি নিভিয়ে ঘুমুতে যেতে পারে না। বাতি জ্বালিয়ে রেখে বিছানায় যেতে হয়। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

আমার কিছু প্রিয় গল্পকারের গল্প এই সংকলন থেকে বাদ পড়ে গেল। কারণ তাঁরা ভূতের গল্প লিখেছেন ঠিকই কিন্তু সেসব গল্প মজাদার ভূতের গল্প। ভয় নয় হাস্যরস সৃষ্টিই সেইসব গল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। Amar Priyo Voutik Galpo pdf সংকলনে শিশুতোষ ভূতের গল্প পুরোপুরি বাদ দিতে পারিনি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পানিমুড়ার কবলে’ এবং বুদ্ধদেব বসুর ‘দিনে দুপুরে ভূত”- শিশু-কিশোরদের সামনে রেখে হলেও সত্যিকার অর্থেই ভৌতিক গল্প, এবং আমার পছন্দের গল্প।

লেখক বনফুল পরলোক, ভূতপ্রেতে খুব বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর ভাগলপুরের বাড়িতে যে-ই বেড়াতে যেত তাকেই তিনি জোর করে ভূতের গল্প শুনিয়ে দিতেন কিন্তু অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে লেখালেখি তেমন করেন নি। অনেককাল আগে তাঁর একটি অপূর্ব ভৌতিক গল্প পড়েছিলাম। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেই গল্পটি পাই নি। এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত গল্প “অবর্তমান’, অবশ্যই ভাল গল্প। কিন্তু আমার মনে পড়ে আছে যে- গল্পটি পাওয়া যায় নি সেখানে। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।

সংকলনে আমি আমার নিজের দুটি গল্প দিলাম— ভয়, আয়না। আমি খুব বিনয় করে লিখতে পারতাম- বাংলা সাহিত্যের মহান লেখকদের গল্প-তালিকায় নিজের গল্প যুক্ত করতে আমার খুবই লজ্জা লাগছে, এটা এক ধরনের ধৃষ্টতা… ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি তা করলাম না। সংকলনের সম্পাদক হিসেবেই আমি মনে করি পছন্দের ভৌতিক গল্প সংকলনে অবশ্যই এই দু’টি গল্প যেতে পারে এবং যাওয়া উচিত। বাংলাদেশের আরও কিছু লেখকের গল্প সংকলনে যুক্ত করতে পারলে আমার খুব ভাল লাগত। আমি চেষ্টা করেছি। আমার অনুসন্ধানের ত্রুটি ছিল না। আমি পাই নি। বাংলাদেশের লেখকরা ভূত নামক তুচ্ছ ছেলেভুলানো বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন না। অনেক বড় বিষয় এবং অনেক জটিল সমস্যা নিয়ে তাঁরা লিখতে পছন্দ করেন। ‘ভূত’ আবার লেখার বিষয় হতে পারে?

আমার কাছে ‘ভূত’ অতি প্রিয় বিষয়। অতিপ্রাকৃত এক জগৎ। যে- জগতের দেখা পাই না, যা দেখা যায় না তাকেই দেখতে ইচ্ছে করে, যা ছোঁয়া যায় না, তাকেই তো ছুঁতে ইচ্ছে করে। Amar Priyo Voutik Galpo pdf পড়ুন।
সংকলনের গল্পগুলি দিনের আলোয় নয়, রাতে পড়ার জন্যে পাঠকদের অনুরোধ করছি—সবচে ভাল হয় বর্ষণমুখর রাত।
হুমায়ূন আহমেদ

Amar Priyo Voutik Galpo pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply