আমি আর ফেলুদা pdf – সন্দীপ রায় Ami Ar Feluda pdf – Sondhip Roy

আমি আর ফেলুদা pdf - সন্দীপ রায় Ami Ar Feluda pdf - Sondhip Roy
আমি আর ফেলুদা pdf - সন্দীপ রায় Ami Ar Feluda pdf - Sondhip Roy

সন্দীপ রায় এর পশ্চিমবঙ্গের সংগীত, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি ও জীবনী বিষয়ক বই Ami Ar Feluda pdf আমি আর ফেলুদা pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।

আমি আর ফেলুদা pdf - সন্দীপ রায় Ami Ar Feluda pdf - Sondhip Roy
আমি আর ফেলুদা pdf – সন্দীপ রায় Ami Ar Feluda pdf – Sondhip Roy

Ami Ar Feluda pdf আমি আর ফেলুদা pdf  বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা:

সন্দীপ রায় যশস্বী চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, শিল্পী ও সম্পাদক। চলচ্চিত্র শিক্ষার হাতেখড়ি বাবা সত্যজিৎ রায়ের কাছে, তার সহকারী। হিসেবে কাজ করেছেন বহু ছবিতে। স্বাধীন পরিচালক হিসাবে সন্দীপের প্রথম ছবি ফটিকাদই বুঝিয়ে দিয়েছিল, বাংলা চলচ্চিত্র একজন অত্যন্ত দক্ষ ও কুশলী চলচ্চিত্র-স্রষ্টাকে পেতে চলেছে। পরে একের পর এক ছবিতে সন্দ্বীপ নিজের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। ছবি তৈরির পাশাপাশি, সন্দেশ পত্রিকার দ্বিতীয় পুনরুজ্জীবনও তার হাতেই ঘটেছে। শিশু সাহিত্যে এককালের অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই পত্রিকা। এখনও সমান জনপ্রিয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি করলেও, সন্দীপের প্রথম ‘প্যাশন’ কিন্তু এখনও বাবার তৈরি গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা।

গোয়েন্দাকে নিয়ে মাত্র দু’টি ছবি তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ রায়, সন্দীপ কিন্তু একটা সময়ে টেলিভিশনের জন্য ফেলুদাকে নিয়ে পরের পর ছবি করেছেন। সেলুলয়েডেও ফেলুর রেজারেকশন ঘটেছে। তার হাতে। দীর্ঘদিন ধরে ফেলুদার সঙ্গে তার যে এই নিবিড় সম্পর্ক, তারই এক উজ্জ্বল। প্রতিফলন আমি আর ফেলুদা। ফেলুদার কাহিনি সৃষ্টি এবং তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরির নেপথ্যে এমন বহু ঘটনা নিজস্ব ভঙ্গিতে এই বইয়ে শুনিয়েছেন সন্দীপ, যা কেবল তার পক্ষেই সম্ভব।

Ami Ar Feluda pdf আমি আর ফেলুদা pdf গোড়ার কথা

ফেলুদার ছবির শুটিংয়ের নানা মজার কাহিনি নিয়ে বাবা দুটো প্রবন্ধ লিখেছিলেন সন্দেশ পত্রিকার জন্য। ‘উট বনাম ট্রেন’ এবং ‘ফেলুদার সঙ্গে কাশীতে’। পরে ‘একেই বলে শুটিং’বইয়ে ওই দু’টি রচনা সংকলিত হয়। ‘সোনার কেল্লা’ এবং ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবি নিয়ে লেখা এই দুটি প্রবন্ধই কিন্তু সচেতনভাবে পুরোপুরি শুটিংয়ের বিবরণ। অর্থাৎ ফেলুদার গল্প লেখার ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ সেখানে গরহাজির। আমার তাই বহুদিন ধরেই মনে হত, চলচ্চিত্রের পাশাপশি ফেলুদার সৃষ্টি ও তার বিভিন্ন কাহিনি রচনার নেপথ্যকথা যদি কোথাও একসঙ্গে বলা যায়, ফেলুদা’ ফ্যানদের কাছে সেটা একটা অত্যন্ত মূল্যবান সংগ্রহ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে লেখার কাজটা সময়-সুযোগের অভাবেই হয়ে উঠছিল না।

এর পরে আমি নিজেই ফেলুদাকে নিয়ে ছবি তৈরি করতে শুরু করি। প্রথমে টেলিফিল্ম, টিভি সিরিজ এবং তারপর পুরোদস্তুর চলচ্চিত্র। বাবার তৈরি ফেলুদার শেষ ছবি ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ মুক্তি পাওয়ার সিকি শতাব্দীরও বেশি সময় পরে ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’ কাহিনি অবলম্বনে আমার ছবিটা রিলিজ করে। এর আগে ফেলুদাকে নিয়ে টেলিভিশনের জন্য তোলা আমার সমস্ত ছবিই বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল, কিন্তু বোম্বাইয়ের বোম্বেটের দুর্দান্ত সাফল্য আমাকেও স্তম্ভিত করে দেয়। ফেলুকে নিয়ে আরও কয়েকটা ছবি তৈরির কথা এর পরেই আমি ভাবতে বসি।

রক্ষাচক্র pdf – দেবমাল্য কর্মকার Rakkha Chakra pdf by Debmalya Karmakar

প্রায় সেই সঙ্গেই আরও একটা ঘটনা ফেলুদাকে নিয়ে আমার বই লেখার পুরনো পরিকল্পনাটাকে আবার চাঙ্গা করে তোলে। সুখী গৃহকোণ পত্রিকার তরফ থেকে ফেলুদার কাহিনি ও চলচ্চিত্র তৈরির নেপথ্যকথা ধারাবাহিকভাবে লেখার প্রস্তাব আসে। সেই সময়টা সদ্য বোম্বাইয়ের বোম্বেটে রিলিজ করেছে, বেশ ব্যস্ততা ছিল। লিখতে বসার সময় নেই। বললেই চলে। তাই ঠিক হয় ফেলুদা নিয়ে যাবতীয় তথ্য ও ঘটনা আমি যতটা সম্ভব স্মরণ করে কাউকে বলব, ধারাবাহিকটা আমার হয়ে লিখবেন তিনি। বিদেশে এইভাবে ভুরিভুরি বই লেখা হয়। তবে ফেলুদাকে নিয়ে এইভাবে লেখার ক্ষেত্রে আমার মনে বেশ সংশয় ছিল। ভয় একটা কারণেই, লেখার বিষয় ফেলুদা।

আমার কাছ থেকে সব শুনেটুনেও লেখক মশাই যদি তাঁর কাজে ভুল করতে থাকেন, যদি বিষয়টায় তাঁর উৎসাহ না থাকে, তবে ফেলু-ভক্তদের যাবতীয় অভিশাপের শিকার আমাকেই হতে হবে, কারণ লেখাটা বেরোবে আমার নামে। কী করা যায়?

শেষে যা থাক কপালে বলে ঝুঁকিটা নিয়েই নিলাম। কারণ আমার বারবার মনে হচ্ছিল, ফের ‘এই বয়সেও যখন এতটা ‘পুল’ রয়েছে, তখন স্রেফ ফেলু-ভক্তদের মুখ চেয়েই এই লেখাটায় হাত দেওয়া উচিত। অবশ্য অনুলিখনের কাজটা যিনি করতে এলেন, তাঁকে দেখে একটা ব্যাপারে ভরসা হল। কেমন লেখেন তা না জানলেও, তিনি যে একজন উৎসাহী ফেলু-ভক্ত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না।

ওঁকে আমি চিনি সেই বাক্স রহস্য টেলিফিল্ম তৈরির সময় থেকেই। সেই সময়ে একটা বাংলা ওয়েব-ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে উনি আমার কয়েকটা সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। পরে আমাকে টেলিফোন করে জিজ্ঞাসা করেন, লেখাগুলোকে সাক্ষাৎকারের আদলে তৈরি না করে আমার বাইলাইনেই পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধের আকার দিলে কেমন হয়? আমি সম্মতি দিয়েছিলাম। কেন দিয়েছিলাম মনে পড়ে না। সম্ভবত প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য লেখা হলে এতটা স্বাধীনতা চট করে কাউকে দিতাম না। ওয়েব-ম্যাগাজিনের পাঠক সংখ্যা তখন অত্যন্ত কম। পুরোটাই অনাবাসী রিডারশিপ। অনুলেখক ভুলচুক করলেও খুব বেশি লোকের চোখে পড়বে না, ফেলু-ভক্তদের তো নয়ই, সম্ভবত এমনই কোনও যুক্তি মাথায় ছিল। পরে কিন্তু লেখাগুলো পড়ে দেখেছিলাম, উৎরে গেছে।

এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা ছিল না, কারণ ওয়েব ম্যাগাজিনটা হাত খুলে লেখার জায়গা নয়। সেই লেখাগুলো বেরিয়েছিল ‘ফেলুদা আর আমি’ শিরোনামে। অর্থাৎ এই বইয়ের যে নাম, তার ঠিক ‘মিরর ইমেজ’! তখন বোধ হয় মোট চারটে পর্ব প্রকাশিত হয়েছিল।

সেই একই অনুলেখক, অর্থাৎ সেবাব্রতকে এবারেও দেখে কিছুটা নিশ্চিন্ত হই। তবে এবারে কাজটা অনেক বড় ছিল। ফেলুদাকে ঘিরে অনেক বেশি তথ্য ও ঘটনা আমাকে স্মরণ করতে হয়েছে। সময় দিতে হয়েছে প্রচুর। রীতিমতো রিসার্চই করা হয়েছে বলা যায়। লেখার ক্ষেত্রেও উনি আমার নিজের লেখা ও কথা বলার ভঙ্গি রীতিমতো তুলে এনেছেন। ফেলুদার সমস্ত গল্প ও উপন্যাসের সম্পদ যে অলংকারহীন স্মার্ট বাংলা গদ্য, সেই ভাষাকেও যতদূর সম্ভব অনুসরণ করার চেষ্টা করেছেন।

ধারাবাহিকটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। গত বছরই এটি বইয়ের আকারে সংকলিত হতে পারত। কিন্তু এই ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসেই ফেলুদা সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্ণ হচ্ছে। অর্থাৎ এ বছরেই হল ইভেন্ট – ফেলুদা ফটি। এ বছরটা স্মরণীয় করে রাখতে ফেলুদার ‘টিনটোরেটোর যীশু’ উপন্যাসটা নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরিতে হাত দিচ্ছি। ইভেন্টের অঙ্গ হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে এই বইটাও। এখন পাঠকদের ভাল লাগলেই যাবতীয় উদ্যোগ সাৰ্থক হয়।
সন্দীপ রায়

Ami Ar Feluda pdf আমি আর ফেলুদা pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply