আনন্দলোক ২৭ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 27 July 2023 pdf

আনন্দলোক ২৭ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 27 July 2023 pdf
আনন্দলোক ২৭ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 27 July 2023 pdf

চলচ্চিত্র নিয়ে প্রকাশিত একমাত্র ম্যাগাজিন আনন্দলোক ২৭ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 27 July 2023 pdf ডাউনালোড করুন আজই। ম্যাগাজিন আনন্দলোক এপার বাংলার জনপ্রিয় ফিল্ম ম্যাগাজিন। ABP Group কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন ম্যাগাজিনের মধ্যে মধ্যে আনন্দলোক চীনেপ্রেমীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি ম্যাগাজিন Anandalok 27 July 2023 pdf। ম্যাগাজিনটি প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত হয়। সিনেমা জগতের নায়ক নায়িকাদের নানান জানা-অজানা রহস্যময় তথ্য তুলে ধরা হয় আনন্দলোক ম্যাগাজিনটিতে। Anandalok 27 July 2023 pdf সংখ্যাটিতে মহুয়ার মৃত্যু নিয়ে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করা হয়েছে। Anandalok 27 July 2023 pdf পড়ুন।

Anandalok 27 November 2020 pdf আনন্দলোক ২৭ নভেম্বর ২০২০

আনন্দলোক ২৭ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 27 July 2023 pdf
আনন্দলোক ২৭ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 27 July 2023 pdf

আনন্দলোক ২৭ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 27 July 2023 pdf সূচিপত্রঃ

কভার ড্রাইভ
মহুয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন

প্রায় সাড়ে তিন দশক পর ফিরে দেখা হল তাঁর জীবনকে। মহুয়া রায়চৌধুরী-র মৃত্যুরহস্য উষ্কে দিল অনেক অজানা বিতর্কিত প্রশ্ন Anandalok 27 July 2023 pdf

সাক্ষাতে
রফিয়ত রশিদ মিথিলা
চ্যাপ্টার টু

বর মালে, জিম মরিসন, জন লেনন, এলভিস প্রেসলি… একটি নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গীত কিংবদন্তিদের হয়েছে অকালমৃত্যু। কিছু স্বাভাবিক, কিছু অস্বাভাবিক। Anandalok 27 July 2023 pdf

ইনবক্স ৩
রাজপাট ৪
ছবিঘর ২০
BUZZ 20
মে ২৮
সপ্তক ৩৫
টাইম মেশিন ৩৬
স্পোর্টস ৪২
পদবাচ্য ৪৭
নেপথ্য কথা Bb
GITALE টপিটুকি ৫৪
গাল গপ্পো ad
চ্যানেল টু চ্যানেল ৫৬
পিHOOK ৫৮
IT O
সিনেগ্রাফ এ
৩টিটি গ্রাফ ৬১
SH JOHAR
জুম ইন: কলকাতায় গান লঞ্চ করতে এলেন রণবীর সিংহ ও আলিয়া ভট্ট। কেমন হল তাঁদের কলকাতা সফর?

Anandalok 27 July 2023 pdf নমুনাঃ

মহুয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন Anandalok 27 July 2023 pdf

প্রায় সাড়ে তিন দশক পর ফিরে দেখা হল তাঁর জীবনকে। মহুয়া রায়চৌধুরী-র মৃত্যুরহস্য উস্কে দিল অনেক অজানা বিতর্কিত প্রশ্ন। লিখছেন সায়ক বসু Anandalok 27 July 2023 pdf

ধূমাবতীর মন্দির pdf – মনীষ মুখোপাধ্যায় Dhumavatir Mandir Pdf by Manish Mukhopadhyay

৮৫ সালের ২২ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটের সময় মর্গ থেকে বেহালার বাড়িতে আসে মৃতদেহটি। তখন সেটি জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিয়ের বেনারসি দিয়ে। মাথার উপর থেকে পা পর্যন্ত। পায়ের একটু অংশ বাইরে বেরিয়ে আছে, যাতে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু স্বনামধন্য মুখ এবং আশেপাশের প্রতিবেশীরা আলতা পরিয়ে দিচ্ছেন। মৃতদেহটি যাঁর, সেই অভিনেত্রীকে রাখা হয়েছে ড্রইংরুমের কার্পেটের উপর। সেটি দেখে ডুকরে কেঁদে ওঠেন মেয়েটির বাবা নীলাঞ্জন রায়চৌধুরী।

কাঁদতে কাঁদতে দেহের উপর লুটিয়ে পড়ে বলেন, “কেউ আমার টুটুনকে ছোঁবে না। আমি ওকে আমার মনের মতো করে সাজিয়ে দেব। কেউ যেন মুখের উপর থেকে কাপড় না সরায়। ওর যে মুখ আর পাঁচজনের মনে রয়ে গিয়েছে, সেই মুখই যেন থেকে যায়।” সেদিন নীলাঞ্জনের কান্না এমনই তীব্র আকার নেয় যে, নায়িকার ছোট্ট ছেলেকেও মায়ের মুখ দেখতে দেওয়া হয়নি। অবশ্য নীলাঞ্জনের সেই কান্না দেখে এক প্রত্যক্ষদর্শীর মনে হয়েছিল, মেয়ের প্রতি যদি সত্যি একটু মায়া দয়া দেখাতেন ভদ্রলোক, তাহলে হয়তো এরকম বেঘোরে প্রাণ হারাতে হত না বাংলা সিনেমার সেই সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীকে।

উল্কা: বাংলা ছবির নয়ণের মণি Anandalok 27 July 2023 pdf

মহুয়া বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে থাকা এক প্রহেলিকার নাম। তরুণ মজুমদারের ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ দিয়ে যাত্রা শুরু করে যিনি রাতারাতি উঠে গিয়েছিলেন খ্যাতির শীর্ষে এবং পরে ‘দাদার কীর্তি, ‘সাহেব’, ‘সুবর্ণ গোলক’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়ে চলে এসেছিলেন প্রথমসারির নায়িকাদের তালিকায়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ডেবিউ করে পরের ১৩ বছরে মহুয়া করে ফেলেছিলেন। ৫০টিরও বেশি ছবি। এবং যখন চলে যান, তখন ইন্ডাস্ট্রির প্রযোজক- পরিচালকদের মাথায় কার্যত বাজ পড়েছিল।

কারণ ভদ্রমহিলা তখন ১৫টি ছবির শুটিং শুরু করে ফেলেছিলেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, সুচিত্রা সেনের রূপ, মোহময়তা এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের অনবদ্য অভিনয়শৈলীর সঠিক মিশেল ঘটেছিল মহুয়ার মধ্যে। ফলে অত তাড়াতাড়ি ওরকম উচ্ছ্বাসম উত্থান হয়েছিল তাঁর। তরুণ মজুমদারের ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ ছবিতে যে ছোট্ট মেয়েটি বরের হাত ধরে শ্বশুরবাড়ি এল, সে-ই ‘দাদার কীর্তি’-তে হয়ে উঠল বিদূষী ‘সরস্বতী’। তবে মহুয়া প্রহেলিকা এই কারণেই, যে তাঁর উত্থান যত তাড়াতাড়ি হয়েছিল, শেষও হয় ঠিক ততটাই তাড়াতাড়ি।

শারদীয়া নবপত্রিকা ১৪২৯ (২০২২) পিডিএফ Sharadiya Nabapatrika Pujabarshiki 1429 (2022) pdf

মাত্র ২৬ বছর বয়সে আগুনে পুড়ে মারা গেলেন এবং আপামর বাঙালি সিনেমাপ্রেমী মানুষকে রেখে গেলেন এমন এক রহস্যের জালে, যার পাশ থেকে এখনও বেরোনো সম্ভব হল না! এমন সব ঘটনা ঘটে গেল এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে, যা নিয়ে সন্দেহ জাগলেও, সমাধানসূত্র নিয়ে আলোচনাটুকুও করা গেল না। এই প্রতিবেদনে আমরা মহুয়া রায়চৌধুরী নামক প্রহেলিকার চারপাশ থেকেই ধোঁয়াশা কাটানোর চেষ্টা করব খানিকটা। কেমন ছিল তাঁর জীবন? কেন এইভাবে বেসামাল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি এবং সর্বোপরি যেভাবে মারা গেলেন, তাতে কি আদৌ বোঝা যায় যে, সেটা আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?

পাঠক, প্রথমেই জানিয়ে রাখি, মহুয়া রায়চৌধুরীর জীবন বা মৃত্যু নিয়ে ফের কথা বলার জন্য আগ্রহী ছিলেন না কেউই। কিন্তু তা সত্ত্বেও, যাঁরা মুখ খুলেছেন, নাম প্রকাশে দ্বিধা রেখেছেন। ফলে সেইসব মানুষদের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে, খানিক আড়াল রেখেই এই প্রতিবেদনে সেই ঘটনাগুলো প্রকাশ করা হল। পাশাপাশি থাকবে, মহুয়ার মৃত্যুর পরে প্রকাশ পাওয়া কিছু ঘটনা এবং এতদিনের অজানা, শিহরণ জাগানো সব গল্প, যা নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করতে গিয়ে খটকা বেড়েছে বই কমেনি।

এক বেসামাল ভালবাসার মানুষ আসলে মহুয়া মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন, এটা জানলে বোধ হয় পাঠকেরও সুবিধে হবে। খটকা লাগবে যে, একজন মানুষ এমন বোহেমিয়ান জীবন বেছে নিলেন কেন? সারাক্ষণ মুখে হাসি লেগে থাকা মহুয়া সকলকে নিয়ে চলতে ভালবাসতেন। শুটিং থেকে একটু ফাঁক পেলেই রান্না করে খাওয়াতেন সকলকে। শুধু তাই নয়, স্টুডিয়োর কুকুরগুলো পর্যন্ত মহুয়ার ভক্ত ছিল। মহুয়ার গাড়ি স্টুডিয়োর গেট দিয়ে ঢুকলেই সারমেয়র দল সেই গাড়ি লক্ষ্য করে দৌড়ত।

কারণ মহুয়া তাদের প্রত্যেককে বিস্কিট না খাইয়ে শুটিংয়ে ঢুকতেন না। এমনকি, কাজ সেরে হাতে টাকা পেলে, সেটারও অনেকটা অংশ বিলিয়ে দিতেন টেকনিশিয়ানদের মধ্যে। অথচ এই মহুয়াই ছিলেন চরম অ্যালকোহলিক। শুটিং শেষ হলে মদ্যপান না করলে তিনি মাথা ঠিক রাখতে পারতেন না। যাঁরা শুটিংয়ে মহুয়াকে দেখেছেন এবং পরে মদ্যপান করা অবস্থায় দেখেছেন, তাঁদের অনেকেরই মত, এই দু’জন মানুষকে চেনা যেত না। ঠিক ডক্টর জেকিল, মিস্টার হাইডের মতো।

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এমন দ্বৈতসত্তার কারণ কী? তা কি বারবার আবেগে ধাক্কা খেয়ে তৈরি? খোঁজ নিলে জানা যায়, খুব ছোট বয়স থেকেই মহুয়াকে এমন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এবং নেপথ্য কারণ হিসেবে অবশ্যই দায়ী করা যেতে পারে তাঁর পিতা নীলাঞ্জন রায়চৌধুরীকে। এমনিতে ছোট্ট মহুয়াকে সিনেমার জগতে ঢোকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছেন নীলাঞ্জনবাবু। তাই মহুয়াকে ভিন্ন ভিন্ন অস্থায়ী স্টেজের অনুষ্ঠানে বা রেকর্ড ডান্সার হিসেবে নাচাতেন তিনি।

এমনই এক অনুষ্ঠানে, উত্তর কলকাতার চৌধুরীপাড়ায় উপস্থিত ছিলেন সুচিত্রা সেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং শ্যামল মিত্রর মতো শিল্পীরা। সেখানে সাত বছরের মেয়ে শিপ্রার (তখন মহুয়ার নাম) নাচের ব্যবস্থা করা হয়। ছোট্ট শিপ্রার নাচ দেখে সকলের পছন্দ হয়। উপরের বক্তব্যটা শুনতে এবং ভেবে দেখতে খুবই ভাল। হয়তো ভীষণ রোমান্টিকও। কিন্তু বাস্তব কি তেমনই? নীলাঞ্জনকে কাছ থেকে দেখা লোকেদের বক্তব্য, ভদ্রলোক নাকি কখনওই খুব একটা সুবিধের ছিলেন না।

নিজে উদয়শংকরের দলে নাচতেন, অর্থ ও যশের লোভ ছিল প্রচণ্ড। একটা সময় মুম্বই অবধি পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শেষে কন্যা শিপ্রাকে দিয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা করেন। এবং রায়চৌধুরী পরিবারের এক ঘনিষ্ঠর মত, খুব ছোট বয়স থেকে প্রডিউসরদের সঙ্গে পার্টিতে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হত শিপ্রাকে। প্রযোজক, পরিবেশকদের ওই আড্ডায় শিপ্রা যেতে শুরু করে বাবার চাপে। পরে সেখান থেকে মদ্যপানের অভ্যাসটা জন্মায়।

মিতিনমাসি সমগ্র অখণ্ড pdf – সুচিত্রা ভট্টাচার্য Mitinmasi Samagra all pdf – Suchitra Bhattacharya

এবং সেই মদ্যপান শেষ পর্যন্ত ছাড়তে পারেনি শিপ্রা। ভাবুন, একটা বছর দশ-বারোর মেয়েকে যদি বারবার এমন অসৎসঙ্গে পড়তে হয়, তা হলে মাথা ঠিক থাকে কী করে? কিন্তু মহুয়ার তা-ও ছিল। মদ্যপানের নেশা ছাড়া আর অন্য কোনও সমস্যা তখনও তাঁর জীবনে দেখা দেয়নি। এই সময় সুখেন দাসের প্রযোজনায় একটি ছবি ‘নয়া মিছিল’-এ অভিনয় করার সুযোগ আসে ছোট্ট শিপ্রার। কিন্তু সেই মেয়ের তখন খাওয়া-দাওয়া না পেয়ে এতটাই রুগ্‌ণ এবং কাহিল দশা যে, কাজটা আর করা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে শিপ্রার জীবন ঠিক দিকে ঘোরে।

সঙ্গীতশিল্পী বনশ্রী সেনগুপ্তর হাত ধরে তরুণ মজুমদারের ঘরে আসে শিপ্রা। তনুবাবু তখন ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ বানাতে চাইছেন। পার্থসারথী ওরফে অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাস্টিং হয়ে গেলেও, নায়িকা পাওয়া যাচ্ছিল না। পাঁচজন মেয়ের অডিশন হয়ে যাওয়ার পরে ষষ্ঠ কন্যা হিসেবে অডিশন দেয় শিপ্রা এবং সকলের পছন্দ হয়ে যায়। তনুবাবু শিপ্রার নাম পালটে রাখেন মহুয়া। এবং তাকে রীতিমতো নিজেদের মতো করে গড়েপিটে নেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।

অস্থায়ী স্টেজের অখ্যাত রোগা শিশুশিল্পীকে অপত্য স্নেহে লালন করতে থাকেন তাঁরা। অভিনয়ের পাঠ থেকে শরীরের যত্ন, সব করেন এই পরিচালক এবং অভিনেত্রী। তরুণ মজুমদার এই প্রতিবেদককে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “মহুয়ার মধ্যে অপার সম্ভাবনা ছিল। তথাকথিত সুন্দরী হয়তো মহুয়া ছিল না। কিন্তু ক্যামেরার চোখ দিয়ে দেখলে মনে হত স্বর্গের দেবীর মতো নিষ্পাপ। এবং অদ্ভুত একটা ক্ষমতা ছিল ওর। একটু দেখিয়ে দিতে হত, তারপর নিজেই তরতর করে সব শিখে নিতে পারত।”

বলা যায়, তরুণ মজুমদারের সান্নিধ্য মহুয়ার জীবনে সঞ্জীবনী সুধার মতো কাজ করে। ওই সময় তাঁর চেহারায় জেল্লা ফিরে আসে। আসে জনপ্রিয়তাও। সেই জনপ্রিয়তায় ভর করে পরপর ছবি পেতে শুরু করেন তিনি। এমনকি রত্না ঘোষাল, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে ‘নহবত’ নাটকে অভিনয় করতেও শুরু করেন। এবং ক্রমশ বুঝতে পারেন, তাঁর পিতা লোকটি খুব ভাল মনের নন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, মহুয়া শুটিং করলেই, নীলাঞ্জনবাবু সেটে এসে বসে থাকতেন। এবং টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে গল্প করতেন।

শিল্পীরা কেউই নাকি ওঁকে পছন্দ করতেন না। তখন মহুয়ারা সপরিবার থাকতেন দমদমে। মা টেলিফোন অফিসে চাকরি করতেন। তবে এই গোটা সময়টায় নীলাঞ্জন মহুয়ার সঙ্গ ছাড়তেন না। নায়িকার কিছু করার ছিল না, পছন্দ না হলেও। তবে এই সময় মহুয়া একটা কাজ করতে পেরেছিলেন। পার্টিতে যেতে চাইতেন না। বাবাকে মুখের উপর বলে দিয়েছিলেন, এমন জোর যেন তাঁকে কখনও না করা হয়।

অবহেলিত এক কন্যার প্রেম কিন্তু চাইলেই শুনছে কে? নীলাঞ্জন নাকি নিজের মতো করে চাপ দিয়েই যেতেন। একটি তত্ত্ব আছে এই প্রসঙ্গে। পরিবারের খুব কাছের এক বন্ধুর মত, মহুয়া নাকি নীলাঞ্জনের ঔরসজাত কন্যাই ছিলেন না! যাঁরা মহুয়ার মা এবং দিদিকে দেখেছেন, তাঁদের কারও সঙ্গেই নাকি নায়িকার মুখের কোনও মিল ছিল না। এমনকি, টানও ছিল না।

টানের প্রসঙ্গ কেন আনলাম, সে কথায় পরে আসব। তবে মহুয়ার প্রতি যে ব্যবহার করা হত, সেটা খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না বলেই এই তত্ত্ব পরে বেশ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেটা মহুয়াও জানতেন। তাই ‘পিতা’র কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার নানা ফিকির খুঁজতেন। সাতের দশকে এই সময়ই তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গে। মহুয়া যখন রেকর্ড ডান্সার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন, সেই সময় তিলক ওই অস্থায়ী স্টেজে গান গাইতেন। তিনি সত্যিই তিলকের প্রতি আকৃষ্ট হন, নাকি একটা সমঝোতার রাস্তা খোঁজেন, সেটা আজও জানা যায় না।

কারণ মহুয়ার নাকি একটা প্রেম হয়েছিল। সত্যিকারের ভালবাসা। সেটা খানিকটা এক তরফাই বলা যায়। শোনা যায়, নিজের প্রথম ছবির নায়কের প্রতি বিশেষভাবে অনুরক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু অপর পক্ষ থেকে বিশেষ কোনও প্রশ্রয় আসেনি বলে, মহুয়া তড়িঘড়ি নিস্তারের পথ খোঁজেন এবং তিলকের সঙ্গে বেশ কিছুদিনের বন্ধুত্ব তাঁর মনে ‘ভালবাসা’র জন্ম দেয়। Anandalok 27 July 2023 pdf

Anandalok 27 July 2023 pdf download link

download / Read Online

 

Be the first to comment

Leave a Reply