আনন্দমেলা 5 এপ্রিল ২০২৩ পিডিএফ Anandamela 5 April 2023 pdf

আনন্দমেলা ১৪৩০ PDF  আনন্দমেলা 5 এপ্রিল ২০২৩ পিডিএফ স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, উল্লাস মল্লিক, বিপুল দাস, সুস্মিতা নাথ, বিক্রম অধিকারী, সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, বাসুদেব মালাকর, ঋতিকা নাথ, কৌশিক সেনগুপ্ত এর ১০টি ভূতের গল্প Anandamela 5 April 2023 pdf পড়ুন এখনই।

Anandamela 5 April 2023 pdf সুচীপত্রঃ

অম্বিকাদা – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
এ বিধুবাবুর গল্প (এখন)
বুলাইড স্পট কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সে – উল্লাস মল্লিক
সাপের খোলস-বিপুল দাস
মৃত্যুর পরে সুস্মিতা নাথ নিশানের দুঃখ-বিক্রম অধিকারী
বনের খেলা- সর্বাণী বন্দোপাধ্যায়
শীতের রাতের আতঙ্ক-বাসুদেব মালাকর
পেতনিম্যাম ঋতিকা নাথ
সম্বলপুরের আলমারি-কৌশিক সেনগুপত

Anandamela 5 April 2023 pdf নমুনাঃ

ছোটবেলা থেকেই তো প্রচুর মেলা দেখেছি। সার্কাস, নাগরদোলা, মরণকূপ, পুতুলনাচ। বড় হয়েও সে টানটা যায়নি। তো, সে বার একটু অন্য রকম মেলার টানে পৌঁছে গেলাম কেঁদুলিতে। রাতে থাকার জায়গা বুক করিনি। তেমন ব্যবস্থাও নেই শুনেছিলাম। যা হওয়ার হবে। বিভিন্ন আখড়ায় গান শুনে একটা রাত দিব্যি কেটে যাবে। হাজার মানুষের সঙ্গে বসে একটা রাত কাটিয়ে দেওয়া কঠিন কী, ভেবে বেরিয়ে পড়েছিলাম।

রাতে একটা আশ্রমের প্রসাদ খেয়ে, ঘুরে ঘুরে একটা আসর পছন্দ করে বসে পড়লাম। একটি কম বয়সি ছেলে চমৎকার বাউল গান গাইছে। রাত বাড়ছে, অজয়ের চর পেরিয়ে ঠান্ডা হাওয়া আসছে। আসরের সামনে তেমন জমাট ভিড় নেই। ছাড়া ছাড়া হয়ে কিছু লোক বসে তন্ময় হয়ে গান শুনছে। চাদরে কান- মাথা ঢেকে গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমে চোখ জড়িয়ে এসেছে, বুঝতে পারিনি।

ভোর রাতে ঘুম ভাঙতে আবিষ্কার করলাম, গানের আসর শেষ হয়ে গিয়েছে, কাছাকাছি কেউ নেই । এবং আমার কোলের কাছে ব্যাগটিও নেই। ওর ভিতরে আমার মানিব্যাগ, তোয়ালে, এক সেট প্যান্ট- শার্ট আর আধার কার্ড ছিল। পরনের প্যান্টের পকেটে অল্প কয়েকটা খুচরো টাকা, কয়েন ছাড়া কিচ্ছু নেই! কী করে বাড়ি ফিরব, কী খাব, সেই চিন্তাই বড় হয়ে দেখা দিল। ব্যাগ সহ টাকা-পয়সা চুরি হয়ে গেছে বললেও বাসে বা ট্রেনে কেউ বিশ্বাস করবে না। ভাববে, ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার কৌশল। সেটা লজ্জা এবং অপমানেরও।

Anandamela 20 August 2023 Supper pdf আনন্দমেলা ২০ আগস্ট ২০২৩ পিডিএফ

সারাটা সকাল অজয়ের পারে বসে রইলাম। মেলার কোনও কিছুই আর ভাল লাগছে না। একটা চেনা মুখ খুঁজে বেড়াচ্ছি, যার কাছে অন্তত বাড়ি যাওয়ার পথ-খরচাটুকু চাওয়া যায়। নাহ, তেমন কাউকেই পেলাম না, পাওয়া সম্ভব নয়। বিকেল গড়িয়ে গেলে ভাবলাম, যত দূর পারি, হেঁটেই রওনা দিই। যা থাকে কপালে!
মেলা ছাড়িয়ে অনেক দূরে চলে এসেছি। শীতের ছোট দিন, একটু পরেই ফুরিয়ে যাবে। তখন কোথায় আশ্রয় নেব? রাস্তার দু’পাশে হালকা জঙ্গল। এই পথটা নাকি ইলামবাজারের দিকে গিয়েছে। সূর্য ডোবার আর দেরি নেই। জোরে জোরে পা চালিয়ে হাঁটছি, যদি রাত নামার আগেই কোনও বাজারঘাট বা লোকালয় পাই।

পথের পাশে একটা ছোট কালভার্ট পড়ল। দেখলাম, তার পাশের রেলিংয়ে একটা লোক বসে আছে। পরনে মলিন ধুতি-চাদর। মুখে কাঁচা-পাকা, খোঁচা খোঁচা দাড়ি-গোঁফ। গায়ের রং কালো। কিছু জিজ্ঞেস করব বলে মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল, আগে কোথায় যেন একে দেখেছি! কিন্তু কিছুতেই মনে পড়ছে না! অথচ আমি নিশ্চিত, একে অবশ্যই আগে দেখেছি। Anandamela 5 April 2023 pdf

স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে মগজে একটু ঢেউ উঠতেই মনে পড়ে গেল। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কি নিকুঞ্জদা?”
লোকটা নিস্পৃহ ভাবে বলল, “এই অবেলায় একা এ পথে বেরিয়ে ভাল করোনি! বনবাদাড়ে কত বিপদ- আপদ থাকে!” Anandamela 5 April 2023 pdf
অবাক হয়ে গেলাম! কথার উত্তরতো দিলই না, উপরন্তু ভয় দেখানো উপদেশ দিচ্ছে।

তবে নিশ্চিত হলাম, আমার অনুমান সঠিক। এ লোকটা নিকুঞ্জদাই । কত দিন আগেকার কথা, ওকে শেষ যখন দেখেছি, তখন ওর বয়স তিরিশ-পঁয়ত্রিশ বছর, আমার দশ-বারো। ওর মুখের আদলে বয়সের ছাপ পড়া ছাড়া তেমন পরিবর্তন হয়নি। তা ছাড়া নিকুঞ্জদার চোখ দুটোট্যারা ছিল। তাকিয়ে দেখলাম, এ লোকটিরও তা-ই।

অনাথ নিকুঞ্জদা আমাদের বাড়িতে এক রকম আশ্রিতই ছিল বলা চলে। ছোটবেলায় ঠাকুরদা ওকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। আমার ঠাকুরমাকে ‘মা’ বলে ডাকত। ঠাকুরমাও খুব স্নেহ করত। বাড়ির যাবতীয় ফাইফরমাশ খাটত। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত লেখাপড়াও করেছিল। আমি যখন ক্লাস ফাইভে উঠলাম, তখন ঠাকুরদা মারা গেলেন। মাঝারি একটা ব্যবসা ছিল তাঁর। বাবা অল্প বেতনে সরকারি অফিসের কেরানি। দেখাশোনার অভাবে ঠাকুরদার সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল। বাবার ওই সামান্য বেতনে পুরো সময়ের কাজের জন্য এক জনকে রাখা সম্ভব হয়ে উঠল না।

Anandamela 5 April 2023 pdf link

Read Online