নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর Andhakare Agantuk pdf অন্ধকারের আগন্তুক pdf ডাউনলোড করুন ও Andhakare Agantuk pdf পড়ুন। অন্ধকারের আগন্তুক pdf নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্লভ একটি বই।
Andhakare Agantuk pdf অন্ধকারের আগন্তুক pdf কাহিনীঃ
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘অন্ধকারের আগন্তুক’একটি শিশুকিশোর অ্যাডভেঞ্চারস উপন্যাস।যার পরতে পরতে রয়েছে গা শিউরে উঠা কাহিনী। লেখক এক জায়গায় বলেছেন- অদ্ভুত গুমোট রাত। আকাশের তারাগুলোকে নিবিয়ে দিয়ে মেঘ এসে জমেছে—যেন অন্ধকারের একটা বিরাট ডাইনী-মূর্তি চারদিকে তার গুচ্ছ-গুচ্ছ কালো-কালো চুল মেলে দিয়েছে। স্টেশনের পেছনে ফাঁকা মাঠ—তার ভেতর দিয়ে একটা ধুলোভরা মেঠো রাস্তা তারার আলোয় খানকিটা আবছা আভাস দিয়ে মিলিয়ে গেছে। একটু দূরে সেই পথের ওপর ঝাঁকড়া একটা বটগাছ অন্ধকারকে আরও কালো করে ওঁত পেতে বসে আছে—যেন আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ির মতো। একফোঁটা বাতাস নেই কোথাও—গাছের একটা পাতা অবধি নড়ছে না। এর পর যা ঘটে সেটা জানতে হলে পড়ুন ‘অন্ধকারের আগন্তুক’।
Andhakare Agantuk pdf নমুনাঃ
বেঙ্গল-আসাম রেলপথের একটা ছোট স্টেশনের ওপর কৃষ্ণপক্ষের রাত ঘুটঘুট করছিল। স্টেশনটা কিন্তু বাংলা দেশে নয়, আসামেও নয়। তোমরা হয়তো জানো, বাংলাদেশের ঠিক প্রতিবেশী, উত্তর বিহারে একটা জেলা আছে—নাম পূর্ণিয়া। অনেকদিন আগে পূর্ণিয়াকে বাংলার মধ্যে ধরা হত–পরে এটাকে বিহারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আজও এ জেলার একটা অংশের মানুষ পুরোপুরি বাঙালী—হাটে-বাজারে বন্দরে-গঞ্জে অসংখ্য বাঙালীর বসতি।
এই জেলাটার ভিতর দিয়ে বেঙ্গল-আসাম রেলপথের অনেকগুলো শাখা প্রকাও একটা বটগাছের ডালপালার মতো ছড়িয়ে রয়েছে। তারই কোনও একটা শাখা পথের ওপরে ছোট্ট একটি স্টেশন—ধরা যাক তার নাম মানিকপুর।
রাত বারোটা পেরিয়ে গেছে। স্টেশনমাস্টার গণেশবাবু টেবিলে একটা পা তুলে দিয়ে হাঁ করে নক ডাকাচ্ছেন আর মাঝে মাঝে চমকে জেগে উঠেই গালে ও কপালে প্রাণপণে থাবড়া মেরে মশা মারবার চেষ্টা করছেন।
সোজন বাদিয়ার ঘাট pdf – জসীম উদদীন Sojon Badiar Ghat pdf – Jasim Uddin
কিন্তু মাঠের বেপরোয়া মশা চড়চাপড়ে ভয় তো পাচ্ছেই না, চারিদিক থেকে আরও মরিয়া হয়ে ছেকে ধরেছে। কিন্তু ধৈর্যেরও সীমা আছে মানুষের।
শেষ পর্যন্ত চেয়ার থেকে তড়াক করে নেমে পড়লেন গণেশবাবু।
খানিকক্ষণ অভদ্র ভাষায় মশাদের বাপ-বাপান্ত করলেন, তারপর কোণের কুঁজো থেকে ঢকটক করে গেলাস তিনেক জল গড়িয়ে খেয়ে একটা বিড়ি ধরালেন।
ঢং। ঘড়িতে সাড়ে বারোটা।
জল খেয়ে গরম লাগছিল। কোটটা খুলে গণেশবাবু বাইরে বেরিয়ে এলেন।
Unish Kuri 19 March 2016 pdf উনিশ কুড়ি ম্যাগাজিন ১৯ মার্চ 2016 pdf
অদ্ভুত গুমোট রাত। আকাশের তারাগুলোকে নিবিয়ে দিয়ে মেঘ এসে জমেছে যেন অন্ধকারের একটা বিরাট ডাইনী-মূর্তি চারদিকে তার গুচ্ছ গুচ্ছ কালো-কালো চুল মেলে দিয়েছে। স্টেশনের পেছনে ফাঁকা মাঠ -তার ভেতর দিয়ে একটা ধুলোভরা মেঠো রাস্তা তারার আলোয় খানকিটা আবছা আভাস দিয়ে মিলিয়ে গেছে। একটু দূরে সেই পথের ওপর ঝাঁকড়া একটা বটগাছ অন্ধকারকে আরও কালো করে ওঁত পেতে বসে আছে—যেন আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ির মতো। একফোঁটা বাতাস নেই কোথাও—গাছের একটা পাতা অবধি নড়ছে না।
সামনে মিটার গেজের ছোট ছোট তিনটি লাইন। ওপরে একটা অন্ধকার ফাঁকা মালগুদাম — তার পেছনে মাটিটা ঢালু হয়ে নেমে গেছে বিল আর শ্যাওড়াবনের মধ্যে। ওখানে শেয়াল আছে, বুনো শুয়োর আছে, কখনও-কখনও নাকি চিতাবাঘও এসে আস্তানা গাড়ে শীতের সময়। আশেপাশে দু-তিন মাইলের মধ্যে জনমানুষের বসতি নেই—শুধু রেল-কোম্পানির বাবু আর কুলিদের ছোট ছোট তিন-চারটে কোয়ার্টার ছাড়া।
পঞ্চাশটি গল্প pdf – কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় Ponchashti Golpo pdf – Krishnendu Mukhopadhyay pdf
সৃষ্টিছাড়া জয়গা—তার চেয়ে সৃষ্টিছাড়া একটা ইস্টেশন! অত্যন্ত বিবক্ত মনে গণেশবাবু প্ল্যাটফর্মের উপর পায়চারি করতে লাগলেন। তাঁর ডিউটি রাত তিনটে পর্যন্ত —অথচ এখন মোটে সাড়ে বারোটা। অর্থাৎ আরও অন্তত আড়াই ঘণ্টা এখানে নরক-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। আর যা মশা—সন্ধে থেকেই কানের কাছে যেন ক্ল্যারিয়োনেট বাজাচ্ছে।
ভুড়িটার ওপর হাত বুলোতে বুলোতে গণেশবাবু ভাবতে লাগলেন, এখন ম্যালেরিয়া না ধরলেই বাঁচা যায়। বরাবর কলকাতায় মানুষ— কলকাতার ছেলে, সাপ, ব্যাঙ, জোঁক, ম্যালেরিয়ার নামে তাঁর গায়ের রক্ত শুকিয়ে আসবার উপক্রম করে। অথচ সেই গণেশবাবুকেই কিনা
Andhakare Agantuk pdf doiwnload link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.