
সুচিত্রা ভট্টাচার্য এর কিশোর কাহিনি সিরিজ Arakiler Hire pdf আরাকিয়েলের হিরে pdf

Arakiler Hire pdf আরাকিয়েলের হিরে pdf নমুনাঃ
পার্থমেসোর সঙ্গে জমিয়ে দাবা খেলছিল টুপুর। খেলা তো নয়, যুদ্ধ। শুরু হয়েছে সেই দুপুর থেকে, রবিবারের বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধে, এখনও লড়াই থামার কোনও লক্ষণ নেই। টক্কর চলছে সমানে-সমানে। দু’পক্ষেরই স্নায়ু টানটান, একটা কী হয়, কী হয় ভাব! কালো বোড়েটাকে ষষ্ঠ ঘরে ঠেলে দিয়ে টুপুর একবার চোরা চোখে দেখে নিল পার্শ্বমেসোকে। মাথাখানা চৌষট্টি খোপের বোর্ডের উপর ঝুঁকে পড়েছে, ভুরুতে ইয়া মোটা ভাঁজ। হবেই তো। মেসোর হাল এবারও মোটেই সুবিধের নয়। টুপুর খুইয়েছে একটা গজ, একটা ঘোড়া, আর দু’খানা বোড়ে। ওদিকে মেসোর দু’টো হাতিই খতম, তিন-তিনখানা সাদা বোড়ে অক্কা পেয়েছে, সাদা মন্ত্রীরও ল্যাজে-গোবরে দশা।
মেসোকে আরও চাপে ফেলতে টুপুর তাড়া লাগাল, “কী গো, আর কত ভাববে? মুভ করো।”
পার্থ গম্ভীর মুখে বলল, “দাঁড়া, দাঁড়া। সব দিকটা বুঝে নিই।”
আড়ালে রয়েছে সে pdf – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Arale Royache Se pdf by Smaranjit Chakraborty
“কম্পিটিশনে খেললে তুমি কিন্তু টাইম প্রবলেমে পড়ে যাবে। কোথাও তোমায় এত সময় দেবে না।”
“খুব ডেপো হয়েছিস তো! আমাকে নিয়ম শেখাচ্ছিস?” পার্থর দৃষ্টি তেরচা হল, “কবে থেকে দাবায় এত ওস্তাদ বনে গেলি রে ? অবনীদার সঙ্গে রোজ প্র্যাক্টিস করিস বুঝি?”
“বাবা আজকাল থোড়াই দাবা খেলেন।” “তা হলে কি তোর মাসির ট্রেনিং?”
টুপুর মুচকি হাসল। পার্থমেসোকে কেন বলতে যাবে, মিতিনমাসির টিপ্স সে পাচ্ছে বটে, কিন্তু আদতে তার উন্নতি তো ঘটেছে কম্পিউটারের সঙ্গে খেলে খেলে। এই তো, এ বাড়িতে আসার পর, গত সাতদিনে আরও কত নতুন-নতুন চাল যে শিখল। নানান ধরনের ডিফেন্স, নয়া-নয়া কৌশলে আক্রমণ…। কম্পিউটারের শিক্ষা থেকেই তো এবার রক্ষণব্যূহ সাজিয়েছে নিমো-ইন্ডিয়ান কায়দায়, যা ভেদ করতে হিমশিম খাচ্ছে মেসো। এখন একবার যদি ভুল করে মন্ত্রীটাকে পিছিয়ে নেয়…।
হ্যাঁ, তাই হল। মন্ত্রী কোনাকুনি দু’ধাপ হঠে গিয়েছে। ব্যস, টুপুরকে আর পায় কে। লাফিয়ে উঠল কালো ঘোড়া, আড়াই ঘরের মোক্ষম প্যাঁচে একসঙ্গে পাকড়াও করেছে সাদা মন্ত্রী আর নৌকোকে। মেসোর মাথায় হাত। চুল খামচাচ্ছে।
বিরাজ বৌ pdf – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় Birajbou pdf – Sarat Chandra Chattopadhyay pdf
ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে বুমবুমের প্রবেশ। পার্কে ফুটবল পেটাতে গিয়েছিল, বিস্তর আছাড় খেয়েছে, সর্বাঙ্গ ধুলোকাদায় মাখামাখি। সটান টুপুরের পাশে বসে পড়ে বলল, “ও মা, তোমরা এখনও খেলছ?”
পার্থ গোমড়া গলায় বলল, “সোফা নোংরা কোরো না বুমবুম যাও, জামা-প্যান্ট বদলে এসো।”
“বুঝেছি।” বুমবুম ফিচেল হাসল, “তুমি টুপুরদিদির কাছে হারছ।”
“চোপ! যাও এখান থেকে।”..
বুমবুম পলকে ধাঁ। পার্থর ধমক শুনে এবার মিতিন আবির্ভূত হয়েছে। চোখ ঘুরিয়ে বলল, “ব্যাপারটা কী? হঠাৎ চেঁচামেচি কেন? টুপুরের সঙ্গে পারছ না বুঝি?”
পার্থ অপ্রস্তুত হয়েছে এতক্ষণে। কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল, “আরে দুর, টুপুরের সঙ্গে আবার পারাপারির কী আছে! ছোটদের জিতিয়ে
দিলে তবেই তো তারা খেলায় উৎসাহ পাবে।”
“ভুলভাল যুক্তি সাজিয়ো না,” মিতিন ফিক করে হাসল, “দাবাটা ছোটরাই ভাল খেলে স্যার। তারা অনায়াসেই বড়দের পটকে দেয়। কেন বলো তো?”
“ছোটদের মাথায় প্যাঁচপয়জারগুলো ভাল খেলে বোধ হয়।” “আজ্ঞে না স্যার। ছোটদের মেমরি ব্যাঙ্কের স্টক কম, কিন্তু যেটুকু তাদের মেমরিতে থাকে, সেটুকু তারা সঙ্গে-সঙ্গে স্মরণে আনতে পারে। কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক দেখবে, অতিরিক্ত মেমরির ভারে হ্যাং করে যায়। আমাদের, বড়দের হয় সেই দশা। ছোটরা অবলীলায় সম্ভাব্য ষাট-পঁয়ষট্টিটা চাল মাথায় রেখে সেই অনুযায়ী আক্রমণ শানিয়ে যায়। বড়রা কিন্তু তা পারে না। তাই একটা বয়সের পর ফিশার কাসপারভদের মতো প্রতিভাধরদেরও দাবার আসর থেকে সরে যেতে হয়। অথচ ওঁরাই পনেরো-ষোলো বছর বয়সে দুনিয়া কাঁপিয়েছিলেন। তিরিশ পেরোবার আগেই হয়েছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।”
“রাইট, রাইট।” পার্থ উজ্জীবিত হয়েছে, “বিশ্বনাথন আনন্দই তো কম বয়সে…। কিংবা আমাদের ঘরের ছেলে সূর্যশেখর বা দিব্যেন্দু …”
“অতএব বুঝতে পারছ, টুপুরের কাছে হারায় কোনও লজ্জা নেই।”
“যাঃ, লজ্জা পাব কেন!” টুপুরের মাথায় আলগা চাপড় দিল পার্থ, “মন দিয়ে দাবাটা খেল রে টুপুর। তোর হবে। আমাকে যখন দু’-দু’বার হারাতে পেরেছিস…। জানিস তো, আমি খুব একটা হেঁজিপেঁজি প্লেয়ার নই। আন্ডার
চ্যাম্পিয়নশিপে…”
ফিফটিনের স্টেট
“তুমি লাস্ট হয়েছিলে, তাই তো?” মিতিন ফোড়ন কাটল।
Arakiler Hire pdf আরাকিয়েলের হিরে pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.