আরেক ফাল্গুন pdf – জহির রায়হান Areak Falgun pdf – Jahir Raihan

আরেক ফাল্গুন pdf - জহির রায়হান Areak Falgun pdf - Jahir Raihan
আরেক ফাল্গুন pdf - জহির রায়হান Areak Falgun pdf - Jahir Raihan

জহির রায়হান এর Areak Falgun pdf  আরেক ফাল্গুন pdf ডাউনলোড করুন ও Areak Falgun pdf পড়ুন।

আরেক ফাল্গুন pdf - জহির রায়হান Areak Falgun pdf - Jahir Raihan
আরেক ফাল্গুন pdf – জহির রায়হান Areak Falgun pdf – Jahir Raihan

Areak Falgun pdf আরেক ফাল্গুন pdf review

বই- আরেক ফাল্গুন (উপন্যাস)
লেখক- জাহির রায়হান
প্রকাশক- অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা
প্রথম অনুপম সংস্করণ – জানুয়ারি ১৯৯৮

বাংলা ভাষা মাতৃদুগ্ধ, এই ভাষার সাথে বাঙালির প্রাণের যোগ। তাই পশুশক্তির নির্মম শাসনকে উপেক্ষা করে মাতৃভাষা বাংলার বিজয় গৌরব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ভাষা আন্দোলনের সেই বৈপ্লবিক দিনগুলির সাথে; পূর্ব বাংলার শিক্ষিত তরুন -তরুনীর প্রবল স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়ে উঠেছে ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসে।জাহির রায়হানের এই ক্ষুদ্রাকৃতি উপন্যাসে সবথেকে আকর্ষনীয়  হলো নারীদের ভূমিকা। রানু, বেণু, নীলা, সালমা, রোকেয়া, ডলি, শাহানা, মুনিম-এর মা জাহানারার মত চরিত্রগুলি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত। সালমা চরিত্রটি পুরুষের থেকেও অধিক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ বরকত রফিকের প্রতিস্পর্ধী ভূমিকায় সালমা অসাধারণ। অন্যান্য নারী চরিত্রের বুদ্ধিমত্তা সাহস ও তেজস্বিতার অনুপুঙ্খ বর্ণনায় লেখক মর্মস্পর্শী। সামগ্রিকভাবে ভাষা আন্দোলনে নারীদের ভূমিকাকে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংকল্প ও দৃঢ়তাকে অনুধাবন করার জন্য; এই বইটির পাঠ আবশ্যিক।

Areak Falgun pdf নমুনাঃ

একটু পরে হোস্টেলের ভেতরে কয়েকটা কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে মারলো ওরা। মেডিকেলের ছেলেরা বোকা নয়। তাঁরা সব জানে। কাদুনেগুলো ফাটবার আগে সেগুলো তুলে নিয়ে পরক্ষণে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারলো তারা। রাস্তায় ওপাশে কতগুলো ছোট ছোট রেস্তোরাঁ আর হোটেল ছিলো। পুলিশের কর্তারা তার পেছনে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য আশ্রয় নিলো। মেডিকেলের পশ্চিমপাশ দিয়ে যে রাস্তাটা এ্যাসম্বলি হাউস ছুঁয়ে রেসকোর্সের দিকে গেছে—সে রাস্তায় মোড়ে, জিপগাড়িসহ জনৈক এম.এল.এ.-কে তখন ঘিরে দাঁড়িয়েছে একদল ছেলে। বেচারা এম. এল. এ. তাদের হাতে পড়ে জলে ভেজা কাকের মতো ঠকঠক কাঁপছিলো আর অসহায়ভাবে তাকাচ্ছিলো এদিক-সেদিক। আশেপাশে যদি একটা পুলিশও থাকতো।

বিসাশন pdf – পিয়া সরকার Bisashon pdf – Piya Sarker

ছেলেরা জিপ থেকে নামালো তাকে। একটা ছেলে তার আচকানের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে হেঁচকা টানে ছিড়ে ফেললো পকেটটা। আরেকটা ছেলে চিলের মতো ছোঁ মেরে তার মাথা থেকে টুপিটা তুলে রাস্তায় ফেলে দিলো। লোকটা মনের ক্ষোভ মনে রেখে বিড়বিড় করে বললো, আহা করছেন কী? করছেন কী?

আমি আর বরকত মাইকের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ বরকত বললো, দাঁড়াও আমি একটু আসি । বলে গেটের দিকে যেখানে ছেলেরা জটলা বেঁধে তখনো শ্লোগান দিচ্ছিলো, সেদিকে এগিয়ে গেলো সে। সূর্য তখন হেলে পড়েছিলো পশ্চিমে। মেঘহীন আকাশে দাবানল জ্বলছিলো। গাছে গাছে সবুজের সমারোহ। ডালে ডালে ফাল্গুনের প্রাণবন । অকস্মাৎ সকলকে চমকে দিয়ে গুলির শব্দ হলো।
ফিরে তাকিয়ে দেখলাম। একটা ছেলের মাথায় খুলি চরকির মতো ঘুরতে ঘুরতে প্রায় ত্রিশহাত দূরে গিয়ে ছিটকে পড়লো। আরেকটি ছেলে যেখানে দাঁড়িয়েছিলো মুহূর্তে সেখানে লুটিয়ে পড়লো। আরেকপ্রস্থ গুলি ছোড়ার শব্দ হলো একটু পরে।

আরেক প্রস্থ।
একটা ছেলে তার পেটটাকে দু হাতে চেপে ধরে হুমড়ি খেয়ে এনে পড়লো বারো নম্বর ব্যারাকের বারান্দায়। চোখজোড়া তার ফ্যাকাশে হতবিহ্বল। আরো তিনটি ছেলে বুকে হেঁটে সে বারান্দার দিকে এগিয়ে এলো। তাদের কারো হাতে লেগেছে গুলি। কারো হাঁটুতে।
বরকতের গুলি লেগেছিলো উরুর গোড়ায়। রক্তে সাদা পাজামাটা ওর লাল হয়ে গিয়েছিলো। আমরা চারজনে ধরাধরি করে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। পথে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছিলো। বলেছিলো, তোমরা ঘাবড়িয়ো না, ঊরুর গোড়ায় গুলি লেগেছে, ও কিছু না। আমি সেরে যাবো।
সে রাতে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গিয়েছিলো সে।

নকশিকাঁথার মাঠ pdf – জসীম উদ্দীন Nokshi Kathar Math pdf – Jasim Uddin

অনেকক্ষণ পর কবি রসুল ঘামলো। কী গভীর বিষাদে ছেয়ে গেছে তার মুখ। একটু পরে বিষাদ দূর হয়ে সে-মুখ কঠিন হয়ে এলো।
এনাটমির ক্লাশটা শেষ হতে নার্সেস কোয়ার্টারে মালতীর সঙ্গে দেখা করতে গেলো সালমা। মালতী তখন স্নান সেরে মাথায় চিরুনি বুলোচ্ছিলো বসে বসে। তাকে আসতে দেখে মৃদু হেসে একখানা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বললো, বোলো।
সালমা বসলো।

মালতী বললো, ক্লাশ থেকে এলে বুঝি?
সালমা সায় দিলো, হ্যাঁ। তারপর বললো, এ মানের টাকাটা নিতে এলাম।
মালতী বললো, বোসো দিচ্ছি। চিরুনিটা নামিয়ে রেখে সুটকেসটা খুলে একটা পাঁচ টাকার নোট বের করলো মালতী। তারপর নোটটা সালমার হাতে তুলে দিয়ে মালতী চাপা গলার আবার বললো, আজকে তোমরা রোজা রাখোনি?
রেখেছি। সবাই?
হ্যাঁ সবাই। তুমি রেখেছো?
হ্যাঁ। চিরুনিটা আবার তুলে নিয়ে বিছানায় এসে বসলো মালভী। আস্তে করে বললো, তোমরা তো তবু ভোররাতে খেয়েছো। এখানে আমরা যে ক’জনে রোজা রেখেছি, ভোর রাতে খেতে পারিনি। জানো তো ভাই, চাকরি করি। রোজা রেখেছি শুনলে অমনি চাকরি নট হয়ে যাবে। বলতে গিয়ে ম্লান হাসলো সে। রওশনের কোনো চিঠি পেয়েছো? পেয়েছি।

Areak Falgun pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply