আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Ashubabur Telescope pdf – Shirshendu Mukhopadhyay

আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Ashubabur Telescope pdf - Shirshendu Mukhopadhyay
আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Ashubabur Telescope pdf - Shirshendu Mukhopadhyay

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজ pdf এর ৪৮তম বই আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf পড়ুন কিংবা ডাউনলোড করুন banglabookspdf.com থেকে। Free Ashubabur Telescope pdf download or read online Ashubabur Telescope bangla book from banglabookspdf.com. Ashubabur Telescope pdf is a nice rahassay and comedy book pdf. প্রাণপন হাসতে ও রোমাঞ্চ উপভোগ করতে আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf পড়তে ভূলবেন না।

আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Ashubabur Telescope pdf - Shirshendu Mukhopadhyay
আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Ashubabur Telescope pdf – Shirshendu Mukhopadhyay

Ashubabur Telescope pdf কাহিনী সংক্ষেপঃ

ভারী শীতকাতুরে মানুষ আশুবাবু। থাকেন ফকিরগঞ্জে। ভালবাসেন আকাশের তারা নক্ষত্র দেখতে। সেই মানুষকে ভালবেসে বহুদিন আগে একটা টেলিস্কোপ দিয়েছিলেন মন্মথনাথ। সেই টেলিস্কোপের আসল মালিক নাকি ডেভিড বলে একজন। এবার সেই টেলিস্কোপের সূত্রেই আশুবাবুর জীবনের ঘনিয়ে এল বিপদ। কী হল তারপর?

Ashubabur Telescope pdf রিভিউঃ

আশুবাবু একজন নিরেট আকাশপ্রেমী মানুষ। তিনি ভালোবাসেন আকাশের তারকারাজি নিয়ে খেলা করতে। আর আকাশ জানতে প্রয়োজন টেলিস্কোপ। আর তাকে ভালবেসে বহুদিন আগে একটা শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়েছিলেন মন্মথনাথ। সেই টেলিস্কোপের আসল মালিক নাকি মন্মথনাথ বাবু নিজে নন। টেলিস্কোপের আসল মালিক ডেভিড বলে একজন। তিনি নাকি বেঁচে নেই। কিন্তু সেই টেলিস্কোপের মালিকানা নিয়ে ঘটে গেল এক ভয়ংকর কাহিনী। ডেভিট নাকি ফিরে এসেছেন টেলিস্কোপ ফেরত নিতে। আশুবাবু চিন্তায় পড়ে গেল। সেই টেলিস্কোপের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ভিন গ্রহের ভয়ংকর কিছু মানুষ। কিন্তু সাদামাটা আকাশপ্রেমী আশুবাবুর সেই টেলিস্কোপটি খুবই দরকার আবার ভিনগ্রহের দানবদেরও দরকার। অবশেষে কী হবে সেই টেলিস্কোপের? জানতে হলে পড়ুন আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf উপন্যাস।

Ashubabur Telescope pdf নমুনাঃ

আশুবাবু যখন বারো-চোদো বছরের ছেলে, তখন থেকে কোথা এসে এই গাঁয়ে থানা গাড়লেন মন্মথনাথ। পড়তি জমিদার বীরেনবাবুদের পেল্লায় পুরনো বাড়িখানা কিনে নিয়ে ফকিরগঞ্জে শিকড় গেড়ে বসলেন। একা মানুষ, সঙ্গে পরান নামে একজন কাজের লোক ছাড়া আর কেউ নেই। সারাদিন ঘরে বসে নানারকম লেখাপড়া করতেন, আর সন্ধের পর মস্ত ছাদে উঠে একটা জোরালো টেলিস্কোপ নিয়ে স্টারগেজিং বা নক্ষত্রাবলোকন করতেন। ফিসফাস শোনা যেত, তিনি নাকি একজন মহাকাশবিজ্ঞানী। একা থাকতেন বটে তবে গম্ভীর বা অমিশুক ছিলেন না, গাঁয়ের লোকজনের সঙ্গে তাঁর বেশ সম্ভাব ছিল। নানা বিষয়ে কথা কইতেন বটে, তবে তাঁর নিজের সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে চাইলে হেসে এড়িয়ে যেতেন। বলতেন, “আরে আমি অতি তুচ্ছ মানুষ। সংসারধর্ম করিনি, লেখাপড়া নিয়েই থাকতে ভালবাসি।”

অদ্ভুতুড়ে সিরিজ pdf ডাউনলোড লিংক Advuture Series pdf Download Link

মাঝে-মাঝে গাঁয়ের ছোট ছেলেমেয়েদের ডেকে মহাকাশ চেনাতেন। কানটা কোন নক্ষত্র, কোনটা কোন তিথিতে আকাশের কোথায় অবস্থান করবে, এইসব। তা তিনিই আশুবাবুর মহাকাশের নেশাটা ধরিয়েছিলেন। মন্মথবাবুর টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশ দেখতে-দেখতে আশুবাবুর এমন নেশা ধরে গিয়েছিল যে মহাকাশবিজ্ঞানী হওয়া ছাড়া জীবনে আর কিছু হওয়ার কথা তিনি ভাবতেনই না। সেইজন্যই অনেক মেহনত করে খেটেখুটে তিনি অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে এম এসসি অবধি পাশ করে ফেললেন। কিন্তু তেমন ভাল ফল করতে পারলেন না। সংসারের দায়িত্ব নিতে গাঁয়ে ফিরে আসতে হল। কাছে ভায়েকগঞ্জ কলেজে অধ্যাপনা জুটে গিয়েছিল বলে রক্ষে। মন্মথবাবুর যখন বেশ বয়স হয়েছে তখন আশুবাবুকে ডেকে একদিন সস্নেহে বললেন, “বড় অ্যাস্ট্রোনমার হতে পারিসনি বলে দুঃখ করিস না বাবা, আকাশকে ভালবাসলেই হবে। আকাশকে বুঝবার আনন্দটাই আসল। আমার টেলিস্কোপটা তুই নিয়ে যা। তুই এটার মর্ম বুঝবি।”

কাঞ্চনজঙ্ঘা উপন্যাস পিডিএফ Kanchonjonga pdf Series All

মন্মথনাথ টেলিস্কোপের দাম নিলেন না। সেই থেকে টেলিস্কোপটা আশুবাবুর দখলে আছে। তবে মন্মথনাথ তাঁকে এ-ও বলেছিলেন, “শোন, টেলিস্কোপটা কিন্তু আমার নয়। ওর আসল মালিক ছিল ডেভিড, খুব খারাপ লোক। তবে যতদ‚র জানি সে বেঁচে নেই।”
এসব বছর উনিশ কুড়ি আগেকার কথা। আজ আর মন্মথনাথ নেই, পরানও কবেই দেশে চলে গিয়েছে। ফাঁকা বাড়িটা জঙ্গল আর আগাছায় ডুবে আছে, সাপখোপের আড্ডা।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে প্রায় রোজই ছাদে গিয়ে আকাশে মগ্ন হয়ে থাকেন আশুবাবু। পৃথিবীতে যত ধুলোবালির কণা আছে তার চেয়েও ঢের বেশি সংখ্যক নক্ষত্র রয়েছে আকাশে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপের পাল্লার বাইরেও রয়েছে কোটি-কোটি গ্যালাক্সি। আর প্রতি গ্যালাক্সিতে কোটি-কোটি নক্ষত্র। যেহেতু আকাশের কোনও শেষ নেই, সেইজনাই নক্ষত্রমÐলেরও সীমাসংখ্যা নেই। মানুষ এখনও মহাকাশ সম্পর্কে সামান্যই জানে। সীমাহীনতার পাল্লা তো কোনও পরিমাপ বা সংখ্যা বা বোধের মধ্যে আসে না। তাই যারা মহাকাশের রহস্য নিয়ে মগ্ন হয়ে থাকে তারা কেউ-কেউ একটু পাগলাটে গোছের হয়। এই যেমন আমাদের আশুবাবু।

দশগ্রীব pdf – সিদ্দিক আহমেদ Dashgreeb pdf – Siddique Ahmed

প্রায় সময়েই তিনি তুমুল অন্যমনস্ক, মাঝে-মাঝে আপনমনে বিড়বিড় করেন, আঙুল নেড়ে নেড়ে কোনও অদৃশ্য মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, মাথা নাড়তে নাড়তে হাঁটেন। লোকে তাঁকে দেখলে লুকিয়ে হাসে। ভাল অঙ্ক জানা না-থাকলে নাকি মহাকাশ সম্পর্কে জ্ঞানই হয় না। তাই আশুবাবুকে প্রায়ই দেখা যায় একটা ল্যাপটপে ঘণ্টার পর-ঘণ্টা অঙ্ক করেই যাচ্ছেন।
একটা লোক কোথেকে হঠাৎ এসে বড্ড গা ঘেঁষে হটিতে-হাঁটতে বলল, “আচ্ছা, আপনি কি আশুবাবু?”
গায়েপড়া লোকদের আশুবাবু মোটেই পছন্দ করেন না। তিনি গম্ভীর হয়ে বললেন, “আমি আশুবাবু হলে কি আপনার কিছু সুবিধে হয়?”
লোকটা ভারী নির্বিকার গলায় বলে, “তা একটু হয় বই কী।”

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf পড়ুন এখান থেকে বা আশুবাবুর টেলিস্কোপ pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে।

Be the first to comment

Leave a Reply