সুকুমার রায়ের শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ Baburam Sapure pdf বাবুরাম সাপুরে pdf ডাউনলোড করুন ও Baburam Sapure pdf বাবুরাম সাপুরে pdf পড়ুন।
Baburam Sapure pdf বাবুরাম সাপুরে pdf সম্পর্কে
সুকুমার মানে নির্মল শিশু আর রায় মানে রাজা কিন্তু সুকুমার রায় শুধু শিশুর রাজা নন, শিশু সাহিত্যেরও তাই সর্বকালে সর্বযুগে শিশু সাহিত্যের তালিকার সবার উপরে সুকুমার রায়। শিশু সাহিত্যের রাজা সুকুমার রায়ের হাসি খুশির বই পেয়ে আর দিয়ে সমান মজা সুকুমার রায়ের বই হাতে আসা মানে এক জাহাজ সোনা নিয়ে ঘরে ফেরা।
Baburam Sapure pdf বাবুরাম সাপুরে pdf নমুনাঃ
বোম্বাগড়ের রাজা
কেউ কি জান সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা
ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ত ভাজা?
রানীর মাথায় অষ্ট প্রহর কেন বালিশ বাঁধা?
পাউরুটিতে পেরেক ঠোকে কেন রানীর দাদা?
কেন সেথায় সর্দি হ’লে ডিগবাজি খায় লোকে?
জোছনা রাতে সবাই কেন আলতা মাথায় চোখে?
ওস্তাদেরা লেপ মুড়ি দেয় কেন মাথায় ঘাড়ে?
টাকের ‘পরে পণ্ডিতেরা ডাকের টিকিট মারে?
রাত্রে কেন ট্যাক্ ঘড়িটা ডুবিয়ে রাখে দিয়ে?
কেন রাজার বিছনা পাতা শিরীষ কাগজ দিয়ে?
সভায় কেন চেঁচায় রাজা ‘হুক্কা হুয়া’ ব’লে?
মন্ত্রী কেন কদী বাজায় ব’সে রাজার কোলে?
সিংহাসনে ঝোলায় কেন ভাঙা বোতল শিশি?
কুমড়ো নিয়ে ক্রিকেট খেলে কেন রাজার পিশি?
রাজার খুড়ো নাচেন কেন হুঁকোর মালা প’রে?
এমন কেন ঘটছে তা কেউ বলতে পার মোরে?
দিনের পরে দিন pdf – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় Diner Pore Din pdf – Bibhutibhushan Bandhopadhyay
আহলাদী
হাসছি মোরা হাসছি দেখ, হাসছি মোরা আহ্লাদী,
তিনজনেতে জল৷ ক’রে ফোকলা হাসির পাল্লা দি।
হাসতে হাসতে আসছে দাদা, আসছি আমি আসছে ভাই,
হাসছি কেন কেউ জানে না, পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই।
ভাবছি মনে, হাসছি কেন? থাকব হাসি ত্যাগ ক’রে,
ভাবতে গিয়ে ফিকফিকিয়ে ফেলছি হেসে ফ্যাক ক’রে।
পাচ্ছে হাসি চাইতে গিয়ে, পাচ্ছে হাসি চোখ বুজে,
পাচ্ছে হাসি চিটি কেটে নাকের ভিতর নখ গুঁজে।
হাসছি দেখে চাঁদের কলা জোলার মাকু জেলের দাঁড়
নৌকা ফানুস পিঁপড়ে মানুষ রেলের গাড়ী তেলের ভাঁড়।
পড়তে গিয়ে ফেলছি হেসে ‘ক খ গ’ আর প্লেট দেখে
উঠছে হাসি ভসভসিয়ে সোডার মতন পেট থেকে।
ভূতুড়ে খেলা
পরশু রাতে পষ্ট চোখে দেখলু বিনা চশমাতে,
পাস্তভুতের জ্যান্ত ছানা করছে খেলা জোছনাতে।
কচ্ছে খেলা মায়ের কোলে হাত পা নেড়ে উল্লাসে,
আহ্লাদেতে ধুপধুপিয়ে কচ্ছে কেমন হল্লা সে।
শুনতে পেলাম ভূতের মায়ের মুচকি হাসি কট্কটে —
দেখছে নেড়ে ঝুনটি ধ’রে বাচ্চা কেমন চট্পটে।
উঠছে তাদের হাসির হানা কাষ্ঠ সুরে ডাক ছেড়ে,
খ্যাঁশ খ্যাশানি শব্দে যেন করাত দিয়ে কাঠ চেরে!
যেমন খুশি মারছে ঘুষি, দিচ্ছে কষে কানমলা,
আদর করে আছাড় মেরে শূন্যে ঝোলে চ্যাং দোলা।
বলছে আবার, “আয়রে আমার নোংরামুখো সুটকো রে,
দেখনা ফিরে প্যাখনা ধরে হুতোম-হাসি মুখ করে!
ওরে আমার বাদর নাচন আদর-গেল। কোত্কারে,
অন্ধ বনের গন্ধ-গোকুল, ওরে আমার হোঁকারে!
ওরে আমার বাদলা রোদে জষ্টি মাসের বিষ্টিরে,
ওরে আমার ছামান-ছেঁচা যষ্টিমধুর মিষ্টিরে।
ওরে আমার রান্না হাঁড়ির কান্না হাসির ফোড়নদার,
ওরে আমার জোছনা হাওয়ার স্বপ্নঘোড়ার চড়নদার।
ওরে আমার গোবরা গণেশ ময়দা ঠাসা নাহুদূরে,
ছিঁচকাহনে ফোকূল। মানিক, ফের যদি তুই কাঁদিসরে—”
এই না ব’লে যেই নেরেছে কাদার চাপটি ফট্ ক’রে,
কোথায় বা কি, ভূতের ফাঁকি – মিলিয়ে গেল চট্ ক’রে!
দাড়ের কবিতা
চুপ কর, শোন্ শোন্, বেয়াকুল হোসনে,
ঠেকে গেছি বাপরে কি ভয়ানক প্রশ্নে!
ভেবে ভেবে লিখে লিখে বসে বসে দাঁড়েতে,
ঝিঝিম, টনটন্ ব্যথা করে হাড়েতে।
এক ছিল দাঁড়ি মাৰি ছাড়ি তার মস্ত,
দাড়ি দিয়ে দাঁড়ি তার দাঁড়ে খালি ঘত।
সেই দাঁড়ে একদিন দাঁড়কাক দাঁড়াল,
কাঁকড়ার দাঁড়া দিয়ে দাঁড়ি তারে তাড়াল।
কাক বলে রেগেমেগে, ‘বাড়াবাড়ি ঐ তো!
না দাঁড়াই দাঁড়ে তবু দাঁড়কাক হই তো?
তারি তোর দাঁড়িগিরি, শোন বলি তবে রে—
দাঁড় বিনা তুই ব্যাটা দাঁড়ি হোস্ কবে রে?
পাখা হলে ‘পাখি’ হয় ব্যাকরণ বিশেষে,
কাঁকড়ার ‘দাঁড়া’ আছে, দাঁড়ি নয় কিসে সে?
দ্বারে বসে দারোয়ান, তারে যদি ‘দ্বারী’ কয়,
দাঁড়ে-বসা যত পাখি সব তবে দাঁড়ি হয়!
দূর দূর! ছাই দাঁড়ি! দাড়ি নিয়ে পাড়ি দে?’
দাঁড়ি বলে, ‘বাস বাস্! ঐখেনে দাঁড়ি দে।’
Baburam Sapure pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.