সত্যজিৎ রাসত্যজিৎ রায়ের Baro Bhooter Gappo pdf বারো ভূতের গপ্পো pdf ডাউনলোড করে পড়ে নিন আজই।
Baro Bhooter Gappo pdf সূচিপত্র
বারো ভূতের গপপো
অনাথবাবুর ভূয়
নীল আতকে
ব্রাউন সাহেবের বাড়ি
বিভনবাবু আর সেই লোকটা
মিঃ শাসমলের শেষ রাত্রি
ভূতো
গগন চৌধুরীর স্টুডিও
আমি ভূত
কাগতাড়ুয়া
অভিরাম
তারিণীখুড়ো ও লখনৌর ডুয়েল
Baro Bhooter Gappo pdf নিবেদন
ভূত থাকুক বা নাই থাকুক, ভূতের গল্প ছিল, আছে, থাকবে। অন্ধকার ঘরে একা থাকতে হলে ভূতের ভয় লাগতেই পারে। নির্জন সিড়ি ভেঙ্গে ছাদে যাবার সময় মনে হতেই পারে ঘাড়ের কাছে অদৃশ্য কেউ যেন বরফ শীতল নিঃশ্বাস ফেলছে। ফাঁকা মাঠের মধ্যে দিয়ে রাতের বেলা আসতে গিয়ে মনে হতেই পারে দূরের অন্ধকারে খানিকটা জায়গা যেন একটু বেশি জমাট বেধে রয়েছে। এতসব ভয়ভীতি থাকলেও ভূতের গল্প পড়ার নেশা কি কমবে? কখনো না। আমার নিজেরও ছেলেবেলায় বেজায় ভূতের ভয় ছিল।
বাবা ব্যাপারটা জানতে পেরে রাতের বেলা নির্জন আলো-আধারে ঘেরা বাগানের মধ্যে দিয়ে ফিট-তিরিশেক দূরের গেটটা ঠিকভাবে বন্ধ করা আছে-কিনা দেখে আসতে বলেছিলেন। দুরু- দুরু বক্ষে আধবোজা চোখে গেট অবধি পৌঁছে নিরাপদে ফিরে আসার পরেই ভূতের ভয় কেটে গেয়েছিল (শেষ কথাটা অবশ্য বুক ফুলিয়ে বলছিনা), কিন্তু ভূতের গল্প পড়ার নেশা তখনো ছিল, এখনো আছে। Baro Bhooter Gappo pdf
সেই মান্ধাতার আমল থেকেই ভূতের গল্প জনপ্রিয়। কিন্তু সত্যজিৎ রায় বাংলা ভূতের গল্পে একটা নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন। আরো আগে লীলা মজুমদার অবশ্য ভূতেদের একদম অন্য চেহারায় হাজির করেছিলেন। ওঁদের আগে (উপেন্দ্রকিশোরকে হিসেবে ধরছি না) ভূত মানেই ছিল ভয়ংকর, ভূত মানেই বিভৎস ইত্যাদি। কিন্তু সত্যজিৎ ভূতেদের অন্য চেহারা দিলেন। গা ছমছমানি, শরীর শিরশিরানি পুরো মাত্রায় বহাল, কিন্তু বিভৎস রস বেমালুম উধাও। ‘অনাথবাবুর ভয়’ সত্যজিৎ রায়ের লেখা প্রথম ভূতের গল্প। আর ‘অভিরাম’ তাঁর জীবনের শেষ ভূতের গল্প। এই দুটি গল্প এবং আরোও দশটি জমজমাট ভূতের গল্প নিয়েই আমাদের এই সংকলন – “বারো ভূতের গপপো।” Baro Bhooter Gappo pdf
বিভিন্ন চেহারায় ভূতেরা এসেছে এই সংকলনের বিভিন্ন গল্পে। মানুষ, জন্তু জানোয়ারের ভূত-তো আছেই, বেশ কিছু জড় পদার্থও অশরীরীরূপে হাজির হয়েছে এখানে। প্রচুর ভূতের গল্প লিখেছেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর লেখা অসাধারণ ভৌতিক সাহিত্যের সামান্য ইশারা দেবার জন্য বর্তমান এই সংকলন। সবকটি গল্পই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সন্দেশের পাতায়। সন্দেশে প্রকাশের সময় লেখক গল্পগুলির (গগন চৌধুরীর স্টুডিও এবং অভিরাম বাদে) অলংকরণের সঙ্গে হেডপিসও এঁকেছিলেন। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় সেই হেডপিসগুলি সংযোজিত হয়নি। বর্তমান সংকলনের অন্যতম আকর্ষণ ঐ হেডপিসগুলি । শ্রী সন্দীপ রায়ের সহযোগিতা বিনা এই সংকলনের কাজে হাত দেওয়া যেতো না। তাঁর এবং শ্রীমতী বিজয়া রায়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সৌজন্য- স্বীকৃতি জ্ঞাপন করছি আনন্দ পাবলিশার্স-এর প্রতি।
Baro Bhooter Gappo pdf নমুনাঃ
টেবিলের উপর ভূতোকে রেখে নবীন দক্ষিণের জানালাটা খুলে দিল। হাওয়া বিশেষ নেই, তবে যেটুকু আসে, কারণ আজ শনিবার, রাত বারোটার আগে পাখা চলবে না।
নবীন মোমবাতিটা জ্বেলে টেবিলে রাখতেই একটা জিনিস দেখে তার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গেল।
ভূতোর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
শুধু তাই না। ভূতোর গালে চকচকে ভাবটা আর নেই। ভূতো শুকিয়ে গেছে। আর ভূতোর চোখ লাল।
এই অবস্থাতেও নবীন তার পুতুলের দিকে আরও দু’পা এগিয়ে না গিয়ে পারল না। কত বিস্ময়, কত বিভীষিকা তার কপালে আছে সেটা দেখবার জন্য যেন তার জেদ চেপে গেছে।
দু’ পা-র বেশি এগোনো সম্ভব হল না নবীনের। একটি জিনিস চোখে পড়ায় তার চলা আপনিই বন্ধ হয়ে গেছে।’
ভূতোর গলাবন্ধ কোটের বুকের কাছটায় একটা মৃদু উত্থান-পতন। ভূতো শ্বাস নিচ্ছে।
শ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে কি?
হ্যাঁ, যাচ্ছে বইকী। ট্র্যাফিক-বিহীন নিস্তব্ধ রাত্রে নবীনের ঘরে এখন একটির বদলে দু’টি মানুষের শ্বাসের শব্দ।
হয়তো চরম আতঙ্ক আর প্রচণ্ড বিস্ময় থেকেই নবীনের গলা দিয়ে একটা অস্ফুট শব্দ বেরিয়ে পড়ল- ‘ভূতো!”
আর সেই সঙ্গে এক অশরীরী চিৎকার নবীনকে ছিটকে পিছিয়ে দিল তার তক্তপোষের দিকে—
‘ভূতো নয়! আমি অক্রূর চৌধুরী ! ‘
নবীন জানে যে সে নিজে এই কথাগুলো উচ্চারণ করেনি। কণ্ঠস্বর ওই পুতুলের। অক্রূর চৌধুরী কোনও এক আশ্চর্য জাদুবলে ওই পুতুলকে সরব করে তুলেছেন। নবীন চেয়েছিল অক্রূর চৌধুরীকে তার হাতের পুতুল বানাতে। এ জিনিস নবীন চায়নি। এই জ্যান্ত পুতুলের সঙ্গে এক ঘরে থাকা নবীনের পক্ষে অসম্ভব। সে এখনই — কী যেন একটা হল।
একটা শ্বাসের শব্দ কমে গেল কি?
হ্যাঁ, ঠিক তাই।
ভূতো আর নিশ্বাস নিচ্ছে না। তার কপালে আর ঘাম নেই। তার চোখের লাল ভাবটা আর নেই, চোখের তলায় আর কালি নেই।
Baro Bhooter Gappo pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.