ভৌতিক অলৌকিক pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoutik Aloukik pdf – Abhijnan Roychowdhury

ভৌতিক অলৌকিক pdf - অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoutik Aloukik pdf - Abhijnan Roychowdhury
ভৌতিক অলৌকিক pdf - অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoutik Aloukik pdf - Abhijnan Roychowdhury

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর হরর থ্রিলার সংকলন Bhoutik Aloukik pdf ভৌতিক অলৌকিক pdf ডাউনলোড করুন ও Bhoutik Aloukik pdf ভৌতিক অলৌকিক pdf পড়ুন। Bhoutik Aloukik pdf এর কিছু গল্প ভূতের আর কিছু গল্প অলৌকিক।

ভৌতিক অলৌকিক pdf - অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoutik Aloukik pdf - Abhijnan Roychowdhury
ভৌতিক অলৌকিক pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoutik Aloukik pdf – Abhijnan Roychowdhury

Bhoutik Aloukik pdf নিয়ে সতর্কবাণী

১৮ খানা বিচিত্র ভৌতিক-অলৌকিক’ গল্প। সাহসীরা রাতে বইটি পড়ার সাহস দেখালেও আমাদের অনুরোধ ভূত-বিশ্বাসীরা খবর্দার রাতে এ বই পড়বেন না ।

Bhoutik Aloukik pdf Review ভৌতিক অলৌকিক রিভিউঃ

রহস্য-রোমাঞ্চ আর অলৌকিকের মধ্যে কতটুকুই বা তফাত। যেসব রহস্য বুদ্ধিতে ব্যাখ্যা মেলে না, যেখানে ‘কালো ছায়া নেমে আসে—তখনই সেটা পৌঁছে যায়। অলৌকিকের পর্যায়ে। অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী এ সময়ের অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিমান ও জনপ্রিয় লেখক। তার ১৮ খানা বিচিত্র ‘ভৌতিক অলৌকিক’ গল্প একদিকে যেমন গা-ছমছমে, তেমনই কখনও বা তার অ-শরীরে একটু মজার ছোঁয়া। এমনকী কম্পিউটারও হাজির। যুক্তিবাদী বা ভূতবাদী যে-কোনওরকমের পাঠকই একনিঃশ্বাসে পড়ে ফেলবেন। বলা ভালো, তাঁদের পড়তেই হবে। তবে হ্যাঁ, সাহসীরা রাতে বইটি পড়ার সাহস দেখালেও আমাদের অনুরোধ, ভূত-বিশ্বাসীরা খবর্দার রাতে এই বই কখনই পড়বেন না । প্রকাশক এ বিষয়ে দায়ী থাকবেন না!

Bhoutik Aloukik pdf ভৌতিক অলৌকিক pdf ভূমিকাঃ

ভৌতিক ও অলৌকিক দুটোই একই সূত্রে গাঁথা। দুটোকেই সাধারণ বুদ্ধিতে বোঝা যায় না। বোঝানো যায় না। একইসঙ্গে এরা হল আমাদের বড় কৌতূহল-এর জায়গা। ভূত নিয়ে লেখার একটা মজা হল— ভূত নিয়ে কোনও বিতর্ক হয় না। পাঠকরাও চুলচেরা বিচার করে গল্পে ভুল খোঁজে না।

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী সকল পিডিএফ লিংক Abhijnan Raychowdhury pdf download link

কেউ ভূতে বিশ্বাস করে, কেউ বা করে না। এই দুই শ্রেণির লোকই কিন্তু ভূতের গল্প পেলে অন্য কোনও গল্প পড়ে না। নিজে দ্বিতীয় শ্রেণির লোক হওয়া সত্ত্বেও লিখে গেছি। তেনাদের নিয়ে খেয়ালখুশিমতো গল্প লিখেছি। উপযুক্ত সম্মান না দিয়ে হাস্য-কৌতুক করেছি। তাই আমার ভৌতিক গল্পের সামান্য জনপ্রিয়তা যে আমাকে ভূতেদের কাছে আদৌ জনপ্রিয় করে তোলেনি, সেটা দু-মাস আগেও টের পাইনি। আমার দুই প্রিয় লেখক অনীশদা ও ত্রিদিবদার পরে আমিও আমার ভৌতিক ও অলৌকিক গল্পের সংকলন করার কথা ভেবেছিলাম। আর তখনই ঘটনার শুরু।

আমার ইংল্যান্ডের ওয়েল্স-এর বাড়ির বাগানে রোজ যেন কার যাতায়াত শুরু হল। ঠিক রাত ন’টায়। কার যেন পায়ে হাঁটার শব্দ। অথচ বাগানের দরজা খুললেই ভেতরে শুধু ঢুকে আসে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। বাইরে কারুর দেখা পাই না। কিন্তু উপস্থিতি টের পাই। কিন্তু সংকলন তো আর বন্ধ করা যায় না। তবু তেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষের ঘটনাকে গল্পাকারে রাখলাম। গল্পের নাম ‘৩৮ বিচউড স্ট্রিট’।

সকল ইন্দ্রজাল কমিক্স পিডিএফ ডাউনলোড লিংক Bengali Indrajal comics pdf all pdf download

এসবের পরেও যে পত্র ভারতী এই বইটি প্রকাশ করছে, তার জন্যে ধন্যবাদ জানাই ত্রিদিবদাকে তাঁর সাহসের জন্য। ধন্যবাদ জানাই পত্র ভারতীর সকল কর্মীদের এই প্রচেষ্টায় সঙ্গে থাকার জন্য। আর বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই ‘তেনাদের’, যারা অযাচিত উপস্থিতির মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন।

আর তোমাদের অপরাধী বলব, চিরকাল আমার লেখা এধরনের গল্প অবিশ্বাস করে এসেছো। আর কোরো না। ভুল করে বইটা কিনে ফেললেও, রাতে পড়ো না। ভালো থেকো।

Bhoutik Aloukik pdf সূচিপত্র

প্রতিশোধ ১১ নিছক একটু ভয় দেখানো ২১ ভূত মানেই চান্স ২৭ দিনটা খুব ইন্টারেস্টিং ৩৫ শুধু কুড়ি মিনিট ৪৭ নীলকুঠিতে কিছুক্ষণ ৫৭ তাজমহল ৬৯ প্রতিবেশী ৮৭ চশমা এবং অপ্রস্তুতবাবু ৯৭ প্রফেসার ইয়াকোয়ার মৃত্যুরহস্য ১১১ নিধিরামে অপদস্থ ১২১ আধঘণ্টার অভিনয় ১৪৩ ঠিক বিচার ১৫৩ সুবীর, কথা রাখবে তো? ১৬৫ রাজাবাবু ১৭৭ কম্পিউটারের অদ্ভুত তিন ভবিষ্যদ্বাণী ১৮৭ পিছনে হাঁটা ১৯৭ ৩৮ বিচউড স্ট্রিট ২০৭

Bhoutik Aloukik pdf লেখকঃ

জন্ম ১৮ এপ্রিল ১৯৭০, কলকাতায়। হিন্দুস্কুলের কৃতী ছাত্র। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আইআইএম কলকাতা থেকে অপারেশন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা। বর্তমানে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত এবং
সেই সূত্রে ব্রিটেনের ওয়েল্স-এ প্রবাসী। লেখালেখির শুরু ১৯৯৪-এ কিশোর ভারতী ও আনন্দমেলার পাতায়। লেখার বিষয় প্রধানত বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান, রহস্য হলেও কিশোরসাহিত্যের অন্য ধারাকেও সমান স্বচ্ছন্দ এবং জনপ্রিয়। বাংলায় প্রকাশিত গ্রন্থ—মাঝে মাত্র চব্বিশ দিন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, সংকেত রহস্য, রহস্য যখন ডারউইন ও অন্যান্য। লেখালেখি, বিজ্ঞানচর্চা ছাড়াও অভিজ্ঞানের আরও এক নেশা—ব্যাডমিন্টন খেলা।

Bhoutik Aloukik pdf নমুনাঃ

পারমাদান দেখেই বাড়ি ফেরার ইচ্ছে ছিল সুজিতের। পারমাদান রিজার্ভ ফরেস্ট। শীতের আমুদে রোদে বেশ ভালোই লাগছিল। ঘুরতে। নানান ধরনের গাছ। অনেক গাছই অজানা। নাম হয়তো শুনেছে। কিন্তু দেখার সুযোগ কখনও হয়নি। গাছের উপর নাম লেখা আছে বলে চিনতে পারছিল। এ ছাড়া হরিণও আছে বেশ কয়েকশো । খানিক আগে হরিণদের খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল। তখন একসঙ্গে প্রায় সবকটাকে দেখাও গেল।

মানুষের মানচিত্র pdf – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Manusher Manchittro pdf – Rudra Mohammad Shahidullah

ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ ঘড়ির দিকে চোখ পড়ল সুজিতের। চারটে বাজে। এখান থেকে কলকাতা গাড়িতে প্রায় আড়াই ঘণ্টার পথ। এখনই না বেরোলে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে। শীতের বেলা। এর মধ্যেই ঠান্ডা হাওয়ায় ভর করে গাছের ছায়াগুলো লম্বা লম্বা হাত বাড়িয়েছে। কোণঠাসা রোদ্দুর গাছের কয়েকটা পাতার উপরে দাঁড়িয়ে কাঁপছে। ফেরার জন্য গাড়ির দিকে এগোচ্ছে হঠাৎ একটা রোগামতো বুড়ো লোক ওর দিকে এগিয়ে এল। লোকটার সঙ্গে আগেও দুবার চোখাচোখি হয়েছে, কিন্তু কোনও কথা হয়নি। —নীল কুঠিতে যাবেন কত্তা?
সে আবার কোথায় ?
—এই মিনিট দশেক লাগবে। সামনেই ডিঙি আছে। নদী পেরিয়ে উলটোদিকে।
—আজ থাক। পরের বার এসে যাব। এখনই তো সন্ধে হয়ে এল। গিয়ে ফিরে আসতে আসতে অনেকক্ষণ লেগে যাবে। বলে আবার গাড়ির দিকে এগোল সুজিত। যেতে যে একেবারে নীলকুঠিতে কিছুক্ষণ

ইচ্ছে করছিল না, তা নয়। নীলকুঠি এখন আর কটাই বা আছে! বেশিরভাগই ভেঙে গেছে। দুশো বছর আগের যে কটা আছে— তা হাতে গোনা যায়। তা ছাড়া অনেক প্রজন্ম আগে সুজিতের, পরিবার নাকি এসব দিকে থাকত। বড় জমিদারি ছিল এদিকে। তা সে অনেকদিনের কথা।
সুজিতের ইতস্তত ভাবটা বোধহয় টের পেয়েছিল লোকটা। বলে উঠল—চলেন কত্তা। আসা-যাওয়া আধঘণ্টা সময়। এখানে এসে ওটা না দেখলে বড় ফাঁক রয়ে যাবে। ক’দিনেরই বা জীবন—না দেখলে পরে ওই কী যেন বলেন-মেস করে যাবেন।
—ঠিক আছে, চলো। তা তোমার নৌকো ঠিকঠাক আছে তো? জলে ডুবে-টুবে যাবে না তো?
—কী যে বলেন! এ নিয়ে কোনও চিত্তে করবেন না। এই তিরিশ বছর ধরে ইছামতীতে নাও চালাচ্ছি। কখনো মানবমাঝির নাওতে কিছু হয়নি।

লোকটা ঘাটের দিকে এগোল। সুজিতও ওর পিছু নিল। মিনিট দুয়েক হেঁটে ঘাট। ঘাটের সামনেই মানবমাঝির ডিঙিনৌকো ছিল। সরু ডিঙি, মাঝে একটা কাঠ ফেলা। তার ওপর বসতে হবে। সাবধানে উঠে তাতে বসে পড়ল সুজিত। ভালো সাঁতার জানে সুজিত। অবশ্য ইছামতীর জলের যা গভীরতা, তাতে সাঁতার না জানলেও ডোবা শক্ত। নদী বেয়ে মানবমাঝি নিপুণ হাতে নৌকো চালাতে লাগল। কিছু কিছু জায়গায় কচুরিপানায় প্রায় পুরো নদীটাই ঢেকে গেছে। তবু তারই ফাঁক দিয়ে দিয়ে ডিঙি এগিয়ে চলল।
মানবমাঝি অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে। ওর ছেলে দুবাইতে কাজ করে। সেখানকার চওড়া ঝকঝকে রাস্তা—আকাশছোঁয়া বাড়িঘর। তারপর দুবাই ছেড়ে এখানকার গল্প। টারিস্ট আসে শনি-রবিবার। কিন্তু সপ্তাহের দিনে প্রায় কেউই আসে না।

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর Bhoutik Aloukik pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও ভৌতিক অলৌকিক pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply