ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf – Abhijnan Roychowdhury

ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf - অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf - Abhijnan Roychowdhury
ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf - অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf - Abhijnan Roychowdhury

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf ডাউনলোড করুন এবং Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf পড়ুন।

ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf - অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf - Abhijnan Roychowdhury
ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf – Abhijnan Roychowdhury

Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf প্রকাশকের কথা

মূলত শিশু-কিশোরদের জন্য লেখালেখির মাধ্যমেই সাহিত্যজগতে তার আগমন। তবে বর্তমানে ছোট বড় সকলের কাছেই তিনি সমান জনপ্রিয়। রহস্য, ভৌতিক, কল্পবিজ্ঞান, সামাজিক, মানবিক, প্রেম—এত বিচিত্র বিষয় নিয়ে গল্প ও উপন্যাস লিখে চলেছেন। শুকতারার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এই বছর থেকে দেব সাহিত্য কুটীর-এর গ্রন্থ বিভাগের সঙ্গেও তাঁর নাম সসম্মানে সংযুক্ত
হল।
রূপা মজুমদার

Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf ভূমিকা
এই নামটা লেখার সঙ্গে-সঙ্গে আমার মনে উঁকিঝুঁকি মেরে গেল কয়েকটা শব্দ, যেমন—কল্পবিজ্ঞান, অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য, অলৌকিক, অনিলিখা আপনাদেরও কি তাই হল? যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বলুন তো, আমরা কি মানুষটির প্রতি সুবিচার করলাম? আমার মনে হয়, শুধুমাত্র উপরোক্ত ওই ক’টা শব্দ বা তার সঙ্গে জড়িয়ে রাখা অনুভব দিয়ে মানুষটির লেখার প্রকৃত মূল্যায়ন করা যায় না। অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী এমন একজন লেখক, যিনি শিশু-কিশোর সাহিত্যের অঙ্গনে তাঁর ফিকশন-কে যথাযথ গুরুত্বই শুধু দেননি, বরং, যে শাশ্বত মানবিক মূল্যবোধকে প্রায়ই অবজ্ঞাভরে পেছনের সারিতে ঠেলে দিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ-অলৌকিক-কে সামনে এগিয়ে এনে নজর কাড়তে চান অনেকে, সেই মূল্যবোধকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন তিনি তাঁর প্রতিটি লেখায়।

তাঁর কল্পবিজ্ঞান কাহিনির কেন্দ্রে থাকে কোনো অসহায়ের চোখের জল মুছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। তাঁর রহস্য কাহিনির লক্ষ্য হয় কোনো শূন্য বুকে হারিয়ে যাওয়া পাখিদের ফিরিয়ে দেওয়া। আর তাঁর অলৌকিক কাহিনি বলে, রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে। ঠিক সেই জন্যেই, যে বইটা এখন আপনারা হাতে তুলে নিয়েছেন, সেটা খুব-খুব স্পেশাল। এই বইয়ে যে লেখাগুলো আছে সেগুলোর প্রত্যেকটা, তাদের গায়ে যে রঙের পোশাকই থাকুক না কেন, আসলে বিশুদ্ধ মানবিক মূল্যবোধের।

এদের কোনোটা আপনাকে ভয় পাওয়াৰে, কোনোটা ভাবাবে, কোনোটা চোখের কোণাকে নরম আর ভেজা ভেজা করে দেবে, কোনোটা নিজের অজান্তেই আপনার নজর সরিয়ে দেবে জানলা দিয়ে দেখতে পাওয়া এক-ফালি আকাশের দিকে, কোনোটা বুকের একেবারে ভেতর থেকে তুলে আনবে একটা মস্ত বড়ো শ্বাস কিন্তু, এদের প্রত্যেকটাই আপনাকে, এক মুহূর্তের জন্যে হলেও, নিয়ে যাবে ঠিক সেই বিন্দুতে, যেখানে সামনে মাথা তোলা সংকট বা দ্বিধার মোকাবিলা করতে হবে আপনাকেই। তাহলে আর দেরি করা কেন? আসুন, লেখকের বাড়ানো হাত ধরে ঢুকে পড়া যাক তাঁর, এবং আপনার অন্তরমহলে। পাঠ শুভ হোক।
ঋজু গাঙ্গুলী

Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf সূচীপত্র

ভয়নিচের অজানা ভাষা
আলো-ছায়া
বাটারফ্লাই এফেক্ট
অ্যাকিনেটপসিয়া
পরজীবী
চড়াই-এর গল্প
মারগাম ক্যাসলে খানিকক্ষণ
পাথরের রাস্তায়
আগে কোথায় দেখেছি
উলুপী
বিশ্বাস
একটু অন্যরকম
ছেলেটা এখনও বন্ধু খোঁজে

Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf রিভিউঃ

অভিজ্ঞান খুব ভালো গল্প-বলিয়ে। ওর হাতে রয়েছে চমক দেওয়ার মতো অজস্র প্লট—একটার সঙ্গে আরেকটার কোনো মিল নেই। পড়তে বসলে বঁড়শি-গাঁথা মাছের মতো অবস্থা হয়। প্লটই অভিজ্ঞানের গল্পের আসল ‘অভিজ্ঞান’।—অনীশ দেব।
সতীনাথ মুখোপাধ্যায় রেডিওতে ‘আসছে সে আসছে’তে গল্প পড়ার সময় বলেন—‘অভিজ্ঞানের গল্পে মানবিকতার ছোঁয়া, আর বিচিত্র বিষয়কে অসম্ভব বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরা আমাকে ভীষণভাবে স্পর্শ করে। পটভূমিকা যাই হোক না কেন রহস্যের বুনোট ভারী চমৎকার। আর বিশ্লেষণ সবই নিখুঁত। চরিত্রগুলো এতো জীবন্ত মনে হয় এই বুঝি ছুঁয়ে ফেলবে আমাকে। অভিজ্ঞানে আমি অভিভূত।’

রাজর্ষি। আমি ওকে রাজু বলে ডাকতাম। ও ছিল অনেকটাই আমার মতো। আমার মতো একা। চুপচাপ। আমার স্কুলের সবথেকে প্রিয় বন্ধু। স্কুলের বেশিরভাগ সময়টাই আমার কাটত ওর সঙ্গে।

অবশ্য আমরা যে শুধু স্কুলেই একসঙ্গে থাকতাম, তা নয়। স্কুলের পরে রোজই আমরা হাঁটতে হাঁটতে হয় পুকুরধারে গিয়ে, না হয় আমবাগানে, না হয় বটতলার মাঠে গিয়ে বসতাম। মাঝে-মধ্যে ও যেন অন্য একটা জগতে হারিয়ে যেত। পুকুরের ধারে বসে জলের মধ্যে ব্যাঙাচিগুলোর লাফালাফি দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিত। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে যখন রোদ্দুর গড়িয়ে আসত, ও তখন অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকত। মনে হত যেন কারুর ম্যাজিক শো দেখছে। আমি কিছু কথা বলতে গেলে ঠোটে আঙুল তুলে আমাকে কথা বলতে বারণ করত। আর উপরে গাছের দিকে দেখাত। আর সত্যি করেই তখন যেন ওর মতোই মুহূর্তের মধ্যে ওর চোখে অন্য জগৎটাকে দেখতে পেতাম । ধরা দিত সেই চোখের সামনের অজানা জগৎ।

গাছের পাতায় বিছিয়ে রাখা মাকড়সার জালে আটকে থাকা জলের ফোঁটা মুহূর্তে যেন মুক্তো হয়ে উঠত। পাতার উপরে হাত-পা তুলে নাচতে থাকা ছোট কালো পোকাকে দেখতে পেতাম। খানিক দূরে সবুজ পাতার উপরে ঝিমিয়ে পড়ে থাকা ফড়িংটার মনের ভাব বুঝতে পারতাম। তিরতির করে হাওয়ায় কাঁপতে থাকা পাতাগুলোর মধ্যের কথাও যেন শুনতে পেতাম। সেই সুরেলা শব্দের আড়ালে চড়ুই, দোয়েল, ঘুঘুর ডাকও যেন হারিয়ে যেত। ওদের সুরের সঙ্গে তাল মেলানো হলুদ ঘাসফুলের মাথা নাড়া চোখে পড়ত। উপর থেকে ফুলের পাপড়ি নেমে আসত । আমাদেরকেও যেন ওদের উৎসবে কিছুক্ষণের জন্য সামিল করে নিত।

কখনো বা আমরা বটতলার মাঠের পাশে বসে একসঙ্গে খেলা দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতাম। আমি নিজে খেলতে পারতাম না। আর ওর নিজের খেলার আগ্রহ ছিল না। গোল হলে সে যে দলেরই হোক না কেন আমরা দুজনেই একসঙ্গে চেঁচিয়ে উঠতাম। আমাদের মতো একনিষ্ঠ দর্শক পেয়ে যে কোনো দলই খুশি হত তা বলাই বাহুল্য। খেলা শেষ হলে ওরা যখন মাঠ থেকে বেরোত, আমি ওদের কাছ থেকে বলটা কয়েক মিনিটের জন্য চেয়ে নিতাম। বলটা হাতে ছুঁয়ে কি যে ভালো লাগতো বলে বোঝাতে পারব না। মাঝে-মধ্যে স্বপ্ন দেখতাম আমিও ওদের মতোই বল নিয়ে ছুটে যাচ্ছি। একের পর একজনকে কাটিয়ে গোলে শট। গোল! ঘুম ভেঙে রোজ মন খারাপ হয়ে যেত। জানি আমি ওদের মতো কোনোদিন ভালো খেলতে পারব না।

আরেকটা দিকেও আমাদের মিল ছিল। দুজনেরই স্কুল বিশেষ ভালো লাগত না। নিয়মমাফিক কিছুই ভালো লাগত না। তবে আমি পরীক্ষায় শেষের দিকে থাকলেও ও কিন্তু বেশ ভালো রেজাল্ট করত। বরাবর ফার্স্ট হত। কী করে করত, সেটা বুঝতে পারতাম না। মাঝে-মধ্যে মনে হত আগে থেকেই ও যেন সব কিছু জানে।

ওর বাবা-মা ছিল না। মাইল পাঁচেক দূরের একটা অনাথ আশ্রমে থাকত। ওখানে কাছাকাছি স্কুল না থাকায় আমাদের এই স্কুলে ও অনেকটা হেঁটে পড়তে আসত। অন্যদের মুখে শুনেছিলাম ওর যখন দিন দশেক বয়স কে যেন ওকে গ্রামের চার্চের বাইরে কাপড়ে মুড়ে রেখে গিয়েছিল। ওখানকার ফাদার মোজেস ওকে কুড়িয়ে অনাথ আশ্রমে দিয়ে দেন। ওখানে ও অনাথ আশ্রমের অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মানুষ হলেও ও কিন্তু ছিল একদম অন্যরকম। সবসময় একটা অজানা আনন্দে যেন বিভোর থাকত। আর মাঝে-মধ্যে নিজের মনে বিড়বিড় করে হেসে বলে উঠত, ভারী মজা।

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf ভয়নিচের অজানা ভাষা ও আরো বারো pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Bhoynicher Ojana Bhasa O Aro Baro pdf পড়ুন এখান থেকে।

Be the first to comment

Leave a Reply