বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf – অভিজিৎ রায় Bibartaniya Monobiggan pdf by Avijit Roy

বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf - অভিজিৎ রায় Bibartaniya Monobiggan pdf by Avijit Roy
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf - অভিজিৎ রায় Bibartaniya Monobiggan pdf by Avijit Roy

অভিজিৎ রায়​ এর প্রকাশিত Bibartaniya Monobiggan pdf বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf ডাউনলোড করুন ও Bibartaniya Monobiggan pdf  পড়ুন এখান থেকে।

বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf - অভিজিৎ রায় Bibartaniya Monobiggan pdf by Avijit Roy
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf – অভিজিৎ রায় Bibartaniya Monobiggan pdf by Avijit Roy

Bibartaniya Monobiggan pdf বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf নমুনাঃ

লেখাটা শুরু করতে গিয়ে ছোট বেলায় শোনা একটা বড়দের জোক্’ মানে প্রাপ্তবয়স্ক কৌতুক মনে পড়ল। কৌতুকটা এইরকম।
এক আধ- পাগলা ব্যাটা (ধরা যাক তার নাম মন্টু মিয়া) সারাদিন পাড়ায় ঘুরে ঘুরে গুলতি দিয়ে জানালার কাঁচ ভাঙ্গত। এইটাই তার নেশা। কিন্তু বাপ, তুই নেশা করবি কর তোর নেশার চোটে তো পাড়া পড়শীর ঘুম হারাম। আর তা হবে নাই বা কেন! কাশেম সাহেব হয়তো ভরপেট খেয়ে দেয়ে টিভির সামনে বসেছেন, কিংবা হয়ত বিছানায় যাওয়ার পায়তারা করছেন, ওমনি দেখা গেল হরাম করে বেডরুমের কাঁচ ভেঙ্গে পড়লো। শান্ত কখনো বা সকালে উঠে প্রাতঃকৃত্য সারার নাম করে বাবা-মার কাছ থেকে লুকিয়ে চাপিয়ে বাথরুমে গিয়ে কমোডে উপবেশনপূর্বক একটা বিড়ি ধরিয়ে একখান সুখটান দেবার উপক্রম করেছে ওমনি গুলতির চোটে বাথরুমের কাঁচ ছত্রখান।

সিদ্ধ কামিনী pdf – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় Siddhokamini pdf – Shyamal Gangopadhyay best pdf

নরেন্দ্রবাবু সকালে উঠে এক রৌদ্রস্নাত দিন দেখে ‘আজি এ প্রভাতে রবির কর… কবিতার চরণ আবৃত্তি করতে করতে জানালা দিয়ে চাঁদমুখখানি বাড়িয়ে দিয়েছেন, ওমনি এক ক্ষুদ্র ইস্টকখন্ড আসিয়া জানালা তো ভাঙিলোই, তদুপরি কপালখানিও বেঢপ আকৃতিতে ফুলিয়া উঠিলো।
কাহাতক আর পারা যায়। পাড়া পড়শীরা একদিন জোট বেঁধে শলাপরামর্শ করে মন্টু মিয়াকে বগলদাবা করে শহরের পাশের পাগলা গারদে দিয়ে আসলো। Bibartaniya Monobiggan pdf ডাউনলোড করুন।

সে এক হিসেবে ভালই হল। এখন আর বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করে কারো জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়ে না। কাশেম সাহেব ভরপেট খেয়ে টিভির সামনে বসতে পারেন, শান্ত বাবাজি হাগনকুঠিতে গিয়ে নিবিষ্ট মনে গিয়ে বিড়ি টানতে পারে, আর নরেন্দ্রবাবুও রবিঠাকুরের কবিতা শেষ করে জীবনানন্দ দাসেও সেঁদিয়ে যেতে পারেন, কোন রকমের বাধা বিপত্তি ছাড়াই। জীবন জীবনের মত চলতে থাকে নিরপদ্রুপে। Bibartaniya Monobiggan pdf ডাউনলোড করুন।

আর অন্য দিকে মন্টু মিয়ার চিকিৎসাও ভালই চলছে। প্রতিদিন নিয়ম করে তাকে ঔষধ পথ্য খাওয়ানো হচ্ছে, রেগুলার সাইকো থেরাপি দেওয়া হচ্ছে, সমাজ জীবন নিয়ে এন্তার জ্ঞানও দেয়া হচ্ছে। মানুষ সম্পর্কে আর সমাজ সম্পর্কে দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। আর মন্টু মিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ ডঃ আজিম। তো এই উন্নত চিকিৎসা আর পরিবেশ পেয়ে মন্টু মিয়ার মনও ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে উঠলো। এখন আর জানালার কাঁচ দেখলেই মন্টু মিয়ার হাত আগের মত নিশপিশ করে না। জব্দ করা গুলতির জন্য মন কেমন কেমন করে উঠে না। নিয়ম করে খায় দায়, বই পড়ে, ব্যায়াম করে আর সমাজ আর জীবন নিয়ে উচ্চমার্গীয় চিন্তা করে। অসুস্থতার কোন লক্ষণই আর মন্টু মিয়ার মধ্যে নেই।

দিন, যায়, মাস যায়, বছর যায় বহুদিন ধরে চিকিৎসার পর একদিন সুবে সাদিকে ডাক্তার সাহেব মন্টুমিয়ার কেবিনে এসে বললেন, ‘মন্টু মিয়া, তুমি সম্পূর্ণ সুস্থ’।
– ‘তাই ? এইটা তো খুবই ভাল সংবাদ দিলেন স্যার। আমি তো ভাবতেছিলাম এই পাগলা গারদ থেকে কোনদিন ছাড়াই পামু না আর’। মন্টু মিয়ার চোখে বিস্ময়। Bibartaniya Monobiggan pdf ডাউনলোড করুন।
‘কি যে বলো। আমাদের চিকিৎসার একটা ফল থাকবে না।’
ডাক্তার সাহেবের ভরাট গলায় একধরনের আত্মপ্রসাদের ছাপ।
‘তা তো বটেই। আপনাগো অনেক ধন্যবাদ ডাক্তার সাহেব। আপনারা সবাই মিল্লা আমার জন্য যা করলেন….

সুখী গৃহকোণ ১ আগস্ট ২০২২ পিডিএফ Sukhi Grihakon 1 August 2022 pdf

‘না না কি যে বলেন। আপনার নিজের প্রচেষ্টা ছাড়া কি আর এ অসাধ্য সম্ভব হত নাকি!’ বিনয়ের অবতার সেজে গেলেন ডাক্তার সাহেব। তারপর হাতের স্টেটসকোপ দিয়ে নাড়ী দেখলেন, রক্তের চাপ পেলেন স্বাভাবিক মাত্রায়। জিব বের করিয়ে চোখের পাতা টেনে ধরে নীচে উপর করলেন কোন অস্বাভাবিকতাই পেলেন না। আরো কিছু ছোট খাট পরীক্ষা সেরে নিলেন। একজন স্বাভাবিক মানুষের যা যা লক্ষণ পাওয়া উচিৎ তাই পেলেন ডাক্তার সাহেব। ডাক্তার আজীম বুঝলেন তার চিকিৎসায় মন্টু এখন পুরোপুরি সুস্থ। অযথা আর হাসপাতালে আটকে রাখার কোন মানে হয় না। তাকে রিলিজ করে দেওয়ার যাবাতীয় কাগজ পত্র হাতে নিলেন সই করবেন বলে। এই কাজটা একদমই ভাল লাগে না ডঃ আজিমের। সামান্য একটা রিলিজ, অথচ হাজারটা কগজপত্র, হাজার জায়গায় সই।

কাগজগুলোতে চোখ বুলিয়ে একটা একটা করে সই- এর দায়িত্ব সেড়ে নিচ্ছেন ডাক্তার সাহেব। ফাঁকে ফাঁকে মন্টু মিয়ার সাথে কথোপকথন চালাচ্ছেন, যাতে যতদূর সম্ভব বিরক্তি থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।
তা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কি করবে মন্টু মিয়া? সোজা বাসায় চলে যাবে?
না ডাক্তার সাব। ভাবতেছি সামনের ওই নিষাদ হোটেলটায় আগে যামু।
হোটেলে? কেন? ভাল করে খাওয়া দাওয়া করবে বুঝি? তা করতেই পার। হাসপাতালের ঘাষ পাতা খেতে খেতে অরুচি ধরে গেছে নিশ্চয়। Bibartaniya Monobiggan pdf ডাউনলোড করুন।
হোটেলটায় নাকি মদ টদ আর সাথে আরো কিছু জিনিস পাওয়া যায় সস্তায়। ভাবতেছি অনেকদিন …

হ্যা হ্যা তা তো বটেই। আরে এত লজ্জা পাচ্ছ কেন। ফুর্তি করার এটাই তো বয়স। হ্যা, ওখানে শুধু মদই পাওয়া যায় না, সাথে নাকি সুন্দর সুন্দর মেয়েও পাওয়া যায়… মানে এই আমি শুনেছি আর কি
(ডঃ আজীম যে সে সব উদ্ভিন্নযৌবনা মধুমক্ষিকার লোভে প্রায়শঃই বাসার নাম করে নিষাদে সেঁদিয়ে যান, আর দীর্ঘ সময় পরে মাঝ রাতে বাসায় গিয়ে বউকে আলিঙ্গন করে বলেন … আজকেও ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেল, বুঝলে এত কাজ থাকে… এই ব্যাপারটা এক্ষণে মন্টু মিয়ার কাছ হইতে চাপিয়া যাওয়াই শ্রেয় মনে করিলেন ডঃ আজীম)। Bibartaniya Monobiggan pdf ডাউনলোড করুন।

‘হ স্যার ওগো জিনিস ভালা। আমি জানি’।
‘তো এতদিন পর এরকম একটা চান্স… নিশ্চয় অনেক আমোদ ফুর্তি করবে’।
‘হ স্যার। লটের সব থেইক্যা সুন্দর মাইয়াডারে ভাড়া করুম। লগে এক বোতল কেরু’।
‘বাহ তারপর?’ ডাক্তার সই করার কথা ভুলে মন্টু মিয়ের দিকে চাইলেন। কেরুর প্রতি ডঃ আজীমের বিন্দুমাত্র আকর্ষণ না থাকলেও (তিনি আবার বিদেশি মদ ছাড়া কিছু মুখে দেন না), নারীদেহের প্রতি তার অন্তহীন আকর্ষণ। মন্টু মিয়া হোটেলে গিয়ে কি করবেন, তা ভেবেই তিনি রোমাঞ্চিত হয়ে উঠতে লাগলেন।
‘তারপর আর কি। একটা রুম বুক দিমু। টেকা পয়সা যা আছে তাতে চইলা যাইব’।

অভিজিৎ রায়​ এর প্রকাশিত Bibartaniya Monobiggan pdf বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানঃ মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply