বিকেলের আলো pdf – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Bikeler Alo pdf – Sukanta Gangopadhyay

বিকেলের আলো pdf - সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Bikeler Alo pdf - Sukanta Gangopadhyay
বিকেলের আলো pdf - সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Bikeler Alo pdf - Sukanta Gangopadhyay

সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় এর ২৩টি গল্পের সংকলন Bikeler Alo pdf বিকেলের আলো pdf ডাউনলোড করুন ও Bikeler Alo pdf পড়ুন।

বিকেলের আলো pdf - সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Bikeler Alo pdf - Sukanta Gangopadhyay
বিকেলের আলো pdf – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Bikeler Alo pdf – Sukanta Gangopadhyay

Bikeler Alo pdf বিকেলের আলো pdf সূচিপত্রঃ

ক্যামেরা ৯ মোহনগঞ্জ ২০
বাস্তু কথা ২৯
ছোটবাবু ৩৭
ব্রতকথা ৪৫
মাটির রাজা ৫১
দেশের মাটি ৫৭
শীত ৬৮
মুর্দা মাঠের পাখি ৭৭
পরিপুজো ৮৭
শরণার্থী ১৭
পাখি পালক ১০৬
বিকেলের আলো ১১৭
শিলালিপি ১৩০
কাজল হেমব্রমের বাবা ১৩৮
বিমানের ডামি ১৪৬
আত্মীয়তা ১৫৪
ভাঙন ১৬২
রত্নাকরের বাড়ি ১৭0
গ্রিল ১৭৮
গ্লানিপুর ১৮৩
কাঠের গৌরাঙ্গ ১৯৩
ওরফে ১৯৯

Bikeler Alo pdf ভূমিকাঃ

এক অসার সময়। সমাজে, পরিবারে, ব্যক্তিমানুষের গভীরে অমোঘ অবক্ষয় নিঃসাড়ে ঘটে চলেছে। ভয়ঙ্কর কোনও গণহত্যার খবরে মানুষ দু’-একদিনের বেশি বিচলিত হয় না। রাজনৈতিক আন্দোলনও এখন রুটিন মাফিক। এই সময়েরই লেখক সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়।
আজও অজস্র ঘটনা, কাহিনী স্রোতের মতো আমাদের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, কখনও বা ধাক্কা মারছে। স্রোতের মধ্যেই মিশে আছে আমাদের ইতিহাস, নিয়তি। প্রকৃত সময়-শিকারির মতন এইসব ঘটনা, দুর্ঘটনা মাটি থেকে তুলে এনে শিল্পে উন্নীত করেছেন সুকান্ত।

দেশ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ক্যামেরা’ (১৯৯৪) গল্প দিয়ে বৃহৎ পাঠক সমাজের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর স্বাতন্ত্র্য, আঙ্গিক ও ভাষা পাঠক আপন করে নেন। বিগত ছ’বছরের সমস্ত মান্য পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প থেকে বাছাই করা একগুচ্ছ গল্প নিয়ে লেখকের এই প্রথম গল্প সংকলন।

সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ২১ জানুয়ারি ১৯৬১, হুগলি জেলার উত্তরপাড়ায়। অদ্যাবধি উত্তরপাড়ার পৈতৃক বাড়িতে বসবাস। পিতা সাহিত্যসেবী। লেখা শুরু আঠারো-উনিশ বছর বয়সে। সে সময় দু-তিনটি গল্প স্থানীয় লিটল ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ বিরতি। বারো বছর পর (১৯৯৪) আবার একটি গল্প লিখে সরাসরি দেশ পত্রিকায় পাঠিয়ে দেন। একসারি নবীন গল্পকারদের সঙ্গে গল্পটি ছাপা হয়। পরিচয় হয় বিরাট পাঠককুলের সঙ্গে। বিগত চার বছর ধরে নামী-অনামী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখে যাচ্ছেন। প্রথাগত শিক্ষা স্নাতক পর্যন্ত। এ ছাড়া ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা। অল্পবয়স থেকে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থেকেছেন। এখন একটি ফটোপ্রিন্টিং সংস্থায় কর্মরত।

প্রথম উপন্যাস ‘প্রত্নকন্যা’। ‘মল্লারপুর’ ১৯৯৯ সালের স্নোসেম-আনন্দ দুর্গোৎসব অর্ঘ্য-এ শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে পুরস্কৃত হয়। এ ছাড়াও ১৯৯৭ সালে পেয়েছেন গল্পমেলা পুরস্কার।

Bikeler Alo pdf নমুনাঃ

সকাল ছ’টায় উঠতে হয়। অফিস সাতটা থেকে। হাঁটা পথে পঁচিশ মিনিট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, উত্তরপাড়া, ডিউটি আওয়ার্স সকাল সাতটা থেকে ন’টা আবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত দশটা।
সুখেন্দু ক্লার্ক। ৭৪৯৯ থেকে ১০,৮৯৯ লেখা কাউন্টারে ওর সিট। চেক ও উইথড়য়াল ফর্ম রিসিভ করে। এখন সকাল সাড়ে সাতটা, সুখেন্দু নিজের চেয়ারে। এই সময় ক্লায়েন্টদের ভিড় থাকে না।

নীলকান্তপুরের হত্যাকান্ড pdf – মনোজ সেন Nilkantapurer Hatykanda pdf by Monaj Sen

খুব ভোরে ঘুম ভাঙার দরুন, কিছুটা ঘুম চোখের পাতায় থেকেই যায়। সেই ঘুমটাকে নিয়ে সুখেন্দু এখন চেয়ারে বসে। ইদানীং স্বপ্ন-টপ্নগুলো এই ছোট্ট ঘুমের মধ্যেই দেখে। শর্ট ফিল্মের মতো। পাতলা ঘুমের স্বপ্নগুলোকে নিজেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এখন যে স্বপ্নটা সুখেন্দু দেখছে সেটা হল, সে বেশ কিছু টাকা লটারি, শেয়ার অথবা যে কোনওভাবে পেয়েছে। সেই টাকায় ও ভারতভ্রমণে বেরিয়েছে। কোনও এক দূরগামী ট্রেন। জানলার পাশে সিট। এক মুখ দাড়ি-গোঁফ, পরনে জিনসের প্যান্ট আর সুতির জামা। ট্রেনের হাওয়ায় চুলগুলো এলোমেলো উড়ছে. এই স্বপ্নের মধ্যেই সুখেন্দু সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ওর চোখে একটা চশমা থাকবে কি না। এই সময় কেউ যেন ওপাশের বাঘ থেকে বলল, শুনছেন।

কে বলল? সুখেন্দু ভাল করে ট্রেনে ওর উলটো দিকের দুটো স্লিপারে চোখ বোলায়। না, ওপরের বাঙ্কে মাঝবয়সি এক পুরুষ প্যাসেঞ্জার। এখনই ঘুম লাগিয়েছে। দেখে মনে হয় প্রায়ই যাতায়াত করতে হয়। নীচে এক বুড়ি ও তার পোড়খাওয়া ছেলে। বোঝা যাচ্ছে না ছেলেটা মাকে তীর্থ করতে নিয়ে যাচ্ছে নাকি কোনও হোমে দিয়ে আসতে যাচ্ছে। তারা পরস্পরের সঙ্গে এখন অবধি কোনও কথা বলেনি। সুখেন্দুর ঠিক মাথার ওপরের বাক্ষে কে আছে ও জানে না। সুখেন্দুর পাশে কেউ বসে নেই। কিন্তু আবার নারী কণ্ঠে, ‘শুনছেন?’ সুখেন্দু ঠাহর করতে পারে না। পাশের সিটে রজতের খোঁচায় সুখেন্দুর ঘুম ও স্বপ্ন একসঙ্গে ভাঙে। ঘাড় সোজা করে চোখ চেয়ে দেখে, কাউন্টারের ওপাশে এক নারী, নাকি কিশোরী, ভুল ধরে ফেলা হাসি হাসছে।

আনন্দলোক ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পিডিএফ Anandalok 12 February 2015 pdf

সুখেন্দু অপ্রস্তুত হয়। মেয়েটি তার বাড়িয়ে দেওয়া পাস-বুক সমেত চেকটা চোখ দিয়ে দেখিয়ে দেয়। সুখেন্দু তৎপর হয়ে পাস বই থেকে চেকটা নিয়ে চেকের পেছনে কোনও সই আছে কি না দেখে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থাকে না। পার্টিকে ফেরত দিয়ে, একটা সই করতে বলতে হয়। এক্ষেত্রে আছে। অ্যাকাউন্টটা সম্ভবত ওর মায়ের। চেকের পেছনে সইটা করল ‘টি. সেন’ আর অ্যাকাউন্টটা মীনা সেনের, ৭৮১০। মীনা সেন যেন মনে পড়েও পড়ছে না। Bikeler Alo pdf পড়ুন।

সুখেন্দু টোকেন বাড়িয়ে দিতে দিতে বলে, মায়ের অ্যাকাউন্ট তো।
মেয়েটি মিষ্টি করে ঘাড় হেলায়।
—উনি আসেননি? তোমাকে আজ প্রথম দেখছি। সুখেন্দু বোঝে একটু বেশি পাত্তা দেওয়া হচ্ছে, সেটা ওর ঘুম ধরে ফেলার জন্যে নাকি মেয়েটি পাত্তা নিতে জানে। মেয়েটি বলে, কাল আমার হায়ার সেকেন্ডারি শেষ হয়েছে, তাই মা স্বাবলম্বী হতে আজ থেকে আমাকে পাঠানো শুরু করল।

এক সন্তান নাকি?
—হ্যাঁ। বলে মেয়েটি কাউন্টার ছেড়ে ক্লায়েন্টদের নির্দিষ্ট লাল-নীল মাস্টিকের চেয়ারে গিয়ে বসে।
পাশ থেকে রজত বলে, এর মাকে তুই চিনতে পারলি?
সুখেন্দু ঘাড় নাড়ে। Bikeler Alo pdf পড়ুন।

-সে কীরে স্মিতা বউদিকে চিনতে পারলি না। বউদি তো ব্যাঙ্কে তোকে ছাড়া কাউকে চেনেই না। আর বউদিকে দেখলেই তোর সেই বিখ্যাত বিগলিত হাসি। মা-মেয়ের মুখে এত মিল তবু চিনতে পারলি না?
সুখেন্দু এবার চিনতে পারে। আসলে ভদ্রমহিলার নাম স্মিতা নয়, মীনা। একটু আগেই ঢেকে সেটা দেখেছে। সুখেন্দুরা মহিলা ক্লায়েন্টদের নানারকম কোড নাম রেখেছে। এই মীনা বউদিকে দেখতে অনেকটা স্মিতা পাতিলের মতন। মায়ের সঙ্গে মেঘের কতটা মিল আছে দেখতে সুখেন্দু মেয়েটির দিকে আবার তাকায়। নীল চেয়ারে বসে আছে, মুখটা সাইড করা। এক পাশের দেয়ালে ব্যাঙ্কের দিঘার হলিডে হোমের বিজ্ঞাপন, মেয়েটি সেইদিকে তাকিয়ে। জানলা দিয়ে রোদ্দুর ওই সময় ব্যাঙ্কের মেঝেতে এসে পড়ে। কিছুটা রোদ্দুর মেয়েটির পিঠে এসে পড়েছে। ব্যাকলাইট এফেক্টে মাথার পেছনের চুলগুলো সাদা লাগছে।

মেয়েটির কাঁধ অবধি ছাঁটা চুল। চোখে স্টাইলিস্ট চশমা। শ্যামলা রং। সুখেন্দু মনে মনে ক্যামেরাটা তুলে ধরে। কত অ্যাপারচার হওয়া উচিত। ফাইভ পয়েন্ট সিঙ্গ, না, চার। চারই। সাটার স্পিড থার্টি।
মাস ছয়েক হল, সুখেন্দুর ক্যামেরার মিটারটা খারাপ হয়ে গেছে। সারাতে গেলে বশির মিঞা বলেছে, “ইতনা দিন ফোটো উঠাচ্ছেন, ফিরভি কনসেপশান নেই আয়া, মিটারকা জরুরত নয়া আদমি লোককো পড়তা হ্যায়, অর আভি মিটার পড়নেসে তো আপকো দোশো রুপেয়া পড় যায়গা।’ সেটা মাসের আঠেরো তারিখ ছিল। তখন দু’শো টাকা। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কেরানি সুখেন্দু ক্যামেরা না সারিয়ে ফিরে আসে। শুধু যখন কোনও দৃশ্য ভাল লাগে, মনে মনে ক্যামেরা তুলে ধরে, সাটার স্পিড-অ্যাপারচার ঠিক করে ক্লিক করে দেয়। ছবিটা মনে গেঁথে যায়।

কাউন্টারে অন্য ক্লায়েট এসে দাঁড়িয়েছে। —দাদা আপ টু ডেট।
সুখেন্দুর মেজাজটা চিড়ে গেল। উপায় নেই, করতেই হবে। মৃত আরশোলা ধরার ভঙ্গিতে কাউন্টার থেকে পাস-বই তুলে নেয়। পাস বইটা আপ টু ডেট করতে করতে শুনতে পায় ক্যাশ কাউন্টার থেকে শচী ডাকছে, টোকেন নম্বর চার। অর্থাৎ মেয়েটির নাম্বার এসে গেল। সুখেন্দু চোখ তুলে মেয়েটিকে খুঁজল, যদি বেচারি শচীর গলা না পেয়ে থাকে, আজই প্রথম ব্যাঙ্কে এসেছে। আপ টু ডেটের পার্টি এমনভাবে কাউন্টার আগলে দাঁড়িয়েছে, কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আবার শচীর গলা, টোকেন নম্বর পাঁচ। অর্থাৎ মেয়েটির টাকা নেওয়া হয়ে গেল, এবার চলে যাবে। সুখেন্দুরও পাস-বই হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি পার্টিকে দিয়ে দিল। পার্টি সরে যেতেই দেখল মেয়েটি গেটের কাছে পৌঁছে গেছে। বাইরে তখন বেশ রোদ্দুর।

Bikeler Alo pdf
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply