বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf – ইমদাদুল হক মিলন Bon Paharer Rajputra pdf – Imdadul Haq Milan

বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf – ইমদাদুল হক মিলন Bon Paharer Rajputra pdf – Imdadul Haq Milan
বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf – ইমদাদুল হক মিলন Bon Paharer Rajputra pdf – Imdadul Haq Milan

ইমদাদুল হক মিলনের বন পাহাড়ের নায়িকা উপন্যাসটি ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ার পরই বন পাহাড়ের রাজপুত্র লেখারর কাজে হাত দেন। আনন্দমেলা শারদীয়া সংখ্যা ২০২৪ এ বন পাহাড়ের রাজপুত্র উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। পাঠকদের জন্য Bon Paharer Rajputra pdf টি নিয়ে আজকে হাজির হলাম। বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf পড়ে একদিকে কিশোর উপন্যাসের যেমন স্বাদ পারে, তেমনি হরর, থ্রিলার উপন্যাসের রসও পাবেন বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf এ। থাকে থাকবে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের পাহাড়ি অঞ্চলের অপরুপ বর্ণনা ও রূপকথা আর আধুনিকতার এক অপূর্ব মিশ্রণ। Bon Paharer Rajputra pdf টি যে কোন পাঠক একবার পড়তে বসলে শেষ না করে উঠতে পারবেন কিনা তা বলা মুশকিল। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র দিপুর সাথে বন পাহাড়ের রাজপুত্রের অলৌকিকভাবে দেখা হওয়া ও তাদের একই রকম চেহারার  মারপ্যাঁচ পাঠককে ধাঁধাঁয় ফেলবে।

বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf – ইমদাদুল হক মিলন Bon Paharer Rajputra pdf – Imdadul Haq Milan
বন পাহাড়ের রাজপুত্র pdf – ইমদাদুল হক মিলন Bon Paharer Rajputra pdf – Imdadul Haq Milan

Bon Paharer Rajputra pdf কাহিনীঃ

ছোটমামা দিপুকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। রাতের বাস। রাত তিনটের দিকে বাসটা হঠাৎ থেমে গেল। যাত্রীরা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছে। বাসের ভিতরটা হিমশীতল। ঘুম ভাঙতে দেখা গেল, তাদের সামনে রিভলভার তাক করে আছে মুখোশ পরা দীর্ঘদেহী মানুষরা। মুখোশধারীরা কারও কোনও ক্ষতি করল না। শুধু দিপু নামের কিশোরটিকে তাদের সঙ্গে নামিয়ে নিয়ে গেল। কেন? কী হল এর পর? জানতে পড়ুন Bon Paharer Rajputra pdf উপন্যাসটি।

বন পাহাড়ের রাজপুত্র রিভিউঃ

দিপুর ছোট মামা অপফসের কাজে কক্সবাজার যাবেন। তিনি যেহেতেু বিয়ে করেন নি এবং একা থাকেন তাই তার বাসার চাবি দিপুর মায়ের কাছে এসেছেন জমা রেখে যেতে। এদিকে দিপু তার মামার কক্সবাজার যাওয়ার কথা শুনে তার একবার সেখানে যাওয়ার লোভ হলো। তাই সে তার মামাকে বলল তাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার মামা্ও অবশ্য রাজি আছে। তবে তার মা বাবা যেতে দিবে কিনা তা নিয়ে সংশয় হল।

ছোট মামার মুখোমুখি সোফায় বসল দিপু। কিছু না ভেবে হঠাৎই বলল, “ছোট মামা, আমাকে তোমার সঙ্গে নেবে?”

অবশেষে দিপুর পুলিশ বাবা রানা সাহেব ও তার মা রাজি হলেন। রাতের বাসে করে তার রওয়ানা দিলেন। শীতের রাত। সবাই কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এর মধ্যেই হঠাৎ করে রাস্তার মাঝ পথে বাস থেমে গেল। একদল লম্বাচূড়া লোক হাতে পিস্তল নিয়ে বাসে উঠল। বাসেও ছিল তাদের দোসর। তারা দিপুকে কিপন্যাপ করতে চায়। আর কারো ক্ষতি করবে না। তবে কেউ বাধা দিলে সর্বনাশ হবে। Bon Paharer Rajputra pdf পড়ুন।

বাসের মাঝামাঝি জায়গায় দাঁড়ানো মুখোশধারী এমন সময় বলল, আমরা আপনাদের ব্যাগ-সুটকেস বা টাকা পয়সা লুটপাট করার জন্য বাসে চড়িনি। আমাদের উদ্দেশ্য অন্য। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এই দু’সিটের এক জনকে আমরা তুলে নিয়ে যাব। সাবধান, কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তা হলে লাশ পড়ে যাবে। যে ভাবে আছেন, সে ভাবেই থাকুন। নড়াচড়া করবেন না। বাইরেও আমাদের লোক আছে।”

অবশেষে কিডন্যাপাররা দিপুকে নিয়ে চলে যায় গভীর এক জঙ্গলে।  লেখক সাধারণ লেখনী শৈলী দ্বারা সব গণ জঙ্গলের বর্ণনা দিচ্ছিলেন। দিপুর হাত পা বেঁধে ফেলা ছিল। ফলে সে বুঝতে পারছিল না তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এটুকু বুঝতে পারছিল বেশ গণ জঙ্গল এবং পদও বেশ কঠিন ও উচু নিচু। তবে সে খুবই চালাক চতুর ছেলে। তাই মনে মনে বুদ্ধি আটতে শুরু করল। দিপু বললো যে তো সে পালিয়ে যাবে না আর পথ অনেক পিচ্ছিল তাই যাতে তার হাত ও চোখ যাতে খুলে ফেলা হয়। কিডন্যাপারদের সরদার রাজি হল এবং দিপুকে হাত ও চোখ খুলে দেওয়া হল। দিপু তাদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল বিশাল উঁচু এক পাহাড়ের চূড়ায়। Bon Paharer Rajputra pdf পড়ুন

হাঁটতে শুরু করার পর থেকেই দিপু টের পাচ্ছিল, চার দিক একেবারেই নিঝুম। শুধু ঝিঁঝিঁ পোকা আর কীটপতঙ্গের ডাক। ‘কট কট’ শব্দে এক প্রকারের পোকা ডাকছে। ব্যাঙের ডাকও শোনা যাচ্ছে মাঝে মাঝে। মাথার উপর দিয়ে বোধ হয় বাদুড় উড়ে গেল কয়েক বার। কয়েকটা রাতপাখির ডাকও শুনতে পেয়েছে। চোখ বাঁধা থাকার ফলে তার কাছে সবই অন্ধকার। তার পরও সে বুঝতে পারল, যে-পথে তারা হাঁটছে তার চার পাশ গভীর অন্ধকারে ডুবে আছে। নিশ্চয়ই ঝোপ-জঙ্গল বা বনের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। ঝোপ-জঙ্গলের স্পর্শ সে পেয়েছে।

Bon Paharer Rajputra pdf এ সেখানে এক মন্দিরে দিপুকে আটকে রাখা হয়। তার বাবাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া হয় যে পুলিশের কাছে বন্দী মৃদঙ্গ বাবুকে যদি ছেড়ে না দেওয়া হয় তবে দিপুকে মেরে ফেলা হবে। এদিকে ফোন পেয়ে রানা সাহেব চিন্তায় পড়ে যান। দ্রুত তিনি থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে ৭০-৮০ বছরের এক পূজারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ঠিক বলা যায় না, তিনি নিজেই এসে পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন।

তার কাছে পাওয়া গেছে ৪০০ বছরের পুরনো এক ছুরি ও গাছের ছাল থেকে তৈরি করা এক ভয়ংকর বিষ যা ওই ছুরির মাথায় লাগিয়ে যেকোনো ব্যক্তিকে সামান্য পোচ দিলেই মুহূর্তের মধ্যেই লোকটি মারা যাবে। কিন্তু কিছুতেই লোকটির মুখ থেকে কথা বের করা যাচ্ছে না। তিনি কেন স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন তাও তিনি বলছেন না।

অবশেষে মৃধাঙ্কবাবু রানা সাহেবের সামনে মুখ খুললেন। তিনি জানালেন তিনি গভীর জঙ্গলে এক মন্দিরের পূজারী হিসেবে ছিলেন। সেই জঙ্গলেই আছে ৪ শত বছরের আগের এক রাজপুত্র যে এখনও কিশোর। তার রয়েছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের হীরা মানিক জহরত ও মূল্যবান পাথর। এইসব মূল্যবান পাথর হস্তগত করার জন্য ডাকাত দল তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাদের ধারণা পূজারী এসব মূল্যবান সম্পদের খবর জানেন। Bon Paharer Rajputra pdf পড়ুন।

রানা সাহেব পূজারীকে দিপু কিডন্যাপ হওয়ার ঘটনা খুলে বললেন। তিনি পূজারীকে জানালেন যদি তাকে ফেরত দেওয়া হয় তবেই দিপুকে কিডন্যাপার দল ফেরত দিবে। নতুবা দীপুকে মেরে ফেলা হবে। মৃগাঙ্কবাবু যদি ডাকাত দলকে ধরতে সাহায্য করে তাহলে দিপুকে উদ্ধার করা সম্ভব। মৃগাঙ্ক বাবু তখন দিপুর ছবি দেখতে চাইলেন। রানা সাহেব তার মোবাইল থেকে দিপুর কয়েকটি ছবি দেখালেন। ছবি দেখে ভৃকাঙ্ক বাবু অবাক হয়ে গেলেন এবং বললেন তিনি যে বন পাহাড়ের রাজপুত্রকে দেখেছেন এই সেই রাজপুত্র। Bon Paharer Rajputra pdf

রানা সাহেব ফোন ঘেঁটে দিপুর ছবি বের করলেন। কোনওটা তাঁর আর সুমির মাঝখানে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে দিপু। কোনওটা শুধু সুমির সঙ্গে, কোনওটা তাঁর সঙ্গে। দিপুর একক ছবিও আছে অনেক। সেই ছবিগুলো দেখতে দেখতে মৃগাঙ্কবাবু একেবারেই বদলে গেলেন। মন্ত্র পড়ার মতো বিড় বিড় করে বলতে লাগলেন, “রাজপুত্র, রাজপুত্র।” তার পর টেবিলে মাথা রেখে অজ্ঞান হয়ে গেলেন।

এদিকে কিডন্যাপার দল যখন দিপুকে নিয়ে পাহাড়ি রাস্তা পার হচ্ছিল তখনই হঠাৎ করে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। দিপু বা পিছলে পড়ে যায় গভীর খাদে যেখান থেকে কেউ কখনো বেঁচে ফিরেনা এবং কেউ কখনো বেঁচে ফিরেও নেই। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে দিপু বেঁচে যায় এবং যখন জ্ঞান ফিরে তখন সে দেখে তার মতই হুবহু আরেকজন লোক তার সামনে দাঁড়িয়ে। Bon Paharer Rajputra pdf পড়ুন।

এখন মনে হল, না, সে মরেনি! সে দিব্যি বেঁচে আছে। তার মতো আর-এক জন এত ক্ষণ ঝুঁকে ছিল তার মুখের উপর। এখন সে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকিয়ে আছে তার মুখের দিকে।

দিপু অবাক হয়ে যায়। এটা কিভাবে সম্ভব? এই গভীর জঙ্গলে তার মতই একটি লোক বসবাস করে আসছে। বন পাহাড়ের রাজপুত্র তখন তাকে সব খুলে বলে। কিভাবে সে বছরের পর বছর এখানে বসবাস করতেছে। Bon Paharer Rajputra pdf  এ রয়েছে এমনই রোমাঞ্চকর কাহিনী।

রাজপুত্র হাসল, “দু’জন মানুষ আমরা হুবহু এক রকম দেখতে। এ নিশ্চয়ই প্রকৃতির কোনও রহস্য। প্রকৃতি ভরা হাজারও রহস্য। মানুষ তার অনেক রহস্যেরই কূল কিনারা করতে পারে না। আমার সঙ্গে থেকে তুমি আরও অনেক রহস্যের সন্ধান পাবে, সব রহস্যের মীমাংসা পাবে না। এখন উঠে বসো। আমি বলেছিলাম আজ সকালে তোমার শরীরের ব্যাথা অর্ধেকটা কমে যাবে। আমার ওষুধে ও রকমই হয়। দেখো তো যা বলেছি তা ঠিক কি না?”

এদিকে পুলিশের তৎপরতায় ও মৃধাঙ্কবাবুর সাহায্যে কিডনাপার পুরো দলের ২১ জনকে গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু দিপুকে আর পাওয়া যায় না। কিডন্যাপাররা জানায় দিপু আরো আগেই উঁচু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে পড়ে গেছে যেখান থেকে জীবিত ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

অসহায় ভঙ্গিতে নিজের মুখে হাত বোলাল হাসনাত, “চক্রপ্রধানটির নাম আমির হামজা। সেই লোকটি অক্ষত আছে। তার কাছ থেকে জানা গেছে, পর দিন সকালে দিপুকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার চোখের সামনেই দিপু ভয়ঙ্কর খাদে পড়ে গেছে। ও রকম খাদে পড়লে বেঁচে থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না, লাশও খুঁজে পাওয়া যায় না। তার পরও মৃগাঙ্কলালকে পাওয়ার আশায় টেলিফোনে এ ক’দিন সে কথা তারা জানায়নি। আজ ধরা পড়ার পর সব ফাঁস করেছে। সে দিন আমির হামজার দলে মোট বারো জন ছিল। তার মধ্যে দু’জন আজ মারা গেছে। দলের সর্ব মোট সদস্য একুশ জন।

দিপুকে পাওয়া যায়নি এমনকি হিন্দি বললা সব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে ছেলের চিন্তায় চিন্তায় দিপুর মা হার্ট অ্যাটাক করতে বসেছেন। অসুস্থ অবস্থায় থাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো হার্ট অ্যাটাক করেছে কিনা জানার জন্য এনজিওগ্রাম করলেন ডাক্তার। Bon Paharer Rajputra pdf

ইমার্জেন্সির ডাক্তার পরীক্ষা করেও একই কথা বললেন, “হার্ট অ্যাটাক। এখনই রোগীকে আমরা সিসিইউতে নিয়ে যাব। জ্ঞান ফেরার পর কালই অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হবে।”

এদিকে দিপু আর বন পাহাড়ের রাজপুত্র এর মধ্যে খুব ভাব হয়ে গেল। বনের প্রতিটি পশু পাখি গাছপালা সবকিছুই বন পাহাড়ে রাজপুত্রের আদেশে চলে, এরাই তার প্রজা। পশুপাখিদের সাথে দিপুরও একটা ভাব হয়ে গেল। যদিও প্রথম প্রথম সব পশু পাখি দীপুকে বন পাহাড়ে রাজপুত্রের সাথে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিল ও তারা চিল্লাপাল্লা শুরু করে দিয়েছিল। এমনকি ভয়ংকর হাতির দলও রাজপুত্রের সাথে প্রজাদের মতো আচরণ করে। Bon Paharer Rajputra pdf এ আরো জানুন।

এক ছুটে হাতির দলটার কাছে চলে গেল রাজপুত্র। তাকে দেখে স্থির হল দলপতি। দিপু দেখতে পাচ্ছে, একেবারে বন্ধুর মতো করে দলপতিটির শুঁড়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে রাজপুত্র, মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর কথা বলছে হাতিটির সঙ্গে। এই ফাঁকে দিপু গুনে দেখল, একুশটা হাতি। হাতির দল চলে যাওয়ার পর হাসতে হাসতে দিপুর কাছে ফিরে এল রাজপুত্র।

অবশেষে রাজপুত্র তার লুকানো সেই ধন সম্পদের কাছে নিয়ে যায় দিপুকে। পাহাড়ের তলদেশে এক সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে তারা চলে যায় গভীর থেকে গভীরতরে। অনেক সিঁড়ি পেরিয়ে অবশেষে তা পৌঁছে সেখানে যেখানে সারি সারি সোনার বাক্সের মধ্যে রাখা আছে দামি দামি হীরা জহর পান্নাসহ আরো অনেক মূল্যবান পাথর। দিপুর কাছে যেন মনে হয় এসবই কেবল স্বপ্ন।

রাজপুত্র বলল, “এ রকম এগারোটা সিন্দুক আছে এই কামরায়। বুঝতেই পারছ, সিন্দুকগুলো সোনার তৈরি। আর প্রত্যেকটাই ভরা আছে হিরে-পান্না-চুনি-জহরতে। কোনও কোনওটা আছে সোনার মোহরে ভরা। টাকার হিসেবে দু’-তিন লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। এই সম্পদের লোভেই বহু বহু বছর ধরে লেগে আছে দস্যুরা। কিন্তু আমি জানি, যত চেষ্টাই তারা করুক, কখনওই কেউ এই সম্পদের সন্ধান পাবে না। এসে তোমাকে প্রতিটি সিন্দুক খুলে খুলে দেখাই।”

অবশেষে বন পাহাড়ের রাজপুত্রের সহায়তায় দিপু বাড়ি ফিরে সবাইকে অবাক করে দেয়। দিপু বাড়ি ফেরা নিয়ে সবার মনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। কারণ দিপু যেই পাহাড় থেকে পড়ে গেছে সাধারণত সেখান থেকে কেউ জীবিত ফেরে না। দিপু তার মামার কাছে এ নিয়ে বিনি য়ে নানান গল্প ফাঁদে। তবে তার বাবা মার কাছে অবশ্য পুরো ঘটনা খুলে বলে। Bon Paharer Rajputra pdf পড়ুন।

অনেকটা সময় ধরে পুরো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ বলে গেল দিপু। শুনে এ ওঁর মুখের দিকে তাকাতে লাগলেন সবাই। অবিশ্বাস্য ঘটনা! রূপকথার গল্প! এমন কি হতে পারে?

সব শুনে রানা সাহেব বললেন মাটির নিচে যে বিশাল ধন ভান্ডার রয়েছে তা দেশের সম্পদ। তাই সেগুলো কিভাবে উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করা দরকার। দীপু অবশ্য জানায় এগুলো উদ্ধার করা সম্ভব নয়। কারণ কেউ এসব সম্পদ খুঁজে পাবে না। তবু রানা সাহেব পুলিশের দলবল নিয়ে খুঁজতে বেড়োয় সেসব রাজ সম্পদের।

এক সময় বললেন, “কিন্তু দিপু যে রত্ন ভান্ডারের কথা বলল, মাটির তলার রাজপ্রাসাদে যদি সত্যি তা থেকে থাকে তা হলে তো ও আমাদের দেশের সম্পত্তি। উদ্ধারের ব্যবস্থা করা উচিত।

রানা সাহেব ও পুলিশের লোকজনকে আদর্শেই ধনভান্ডারের সন্ধান করতে পারবে? নাকি সবার অলক্ষেই বছরের পর বছর এমনকি হাজার হাজার বছর মাটির নিচে লুকিয়ে থাকবে সেই সব মহা মূল্যবান সম্পদ? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়তে হবে কাজী ইমদাদুল হক মিলনের Bon Paharer Rajputra pdf উপন্যাসটি।


ইমদাদুল হক মিলনের কিশোর থ্রিলার উপন্যাস Bon Paharer Rajputra pdf অনলাইনে পড়ুন এখান থেকে।

Be the first to comment

Leave a Reply