ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf – সৌরভ মুখোপাধ্যায় Captain Tomsoner Guptadhan pdf – Sourav Mukhopadhyay

ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf - সৌরভ মুখোপাধ্যায় Captain Tomsoner Guptadhan pdf - Sourav Mukhopadhyay
ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf - সৌরভ মুখোপাধ্যায় Captain Tomsoner Guptadhan pdf - Sourav Mukhopadhyay

সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গের উপন্যাস Captain Tomsoner Guptadhan pdfক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf ডাউনলোড করুন ও Captain Tomsoner Guptadhan pdfক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf পড়ুন।

ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf - সৌরভ মুখোপাধ্যায় Captain Tomsoner Guptadhan pdf - Sourav Mukhopadhyay
ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf – সৌরভ মুখোপাধ্যায় Captain Tomsoner Guptadhan pdf – Sourav Mukhopadhyay

Captain Tomsoner Guptadhan pdf ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf

সৌরভ মুখোপাধ্যায় যখন ছোটদের জন্য কলম ধরেন, তখন ছোটদের সঙ্গে তাদের বাবা-কাকা-ঠাম্মা-জেঠিমারাও হামলে পড়েন। হাসি-মজা-রহস্য-কল্পবিজ্ঞান-ভূত-অ্যাডভেঞ্চার কিংবা অশ্রুসজল অনুভূতির গল্প—সর্বত্র তাঁর অবাধ ও মসৃণ বিচরণ। মধ্য-উনিশ শতকের পেরু ও কোকোস দ্বীপকে কেন্দ্র করে সৌরভ লিখেছেন এক হাড় হিম করা দীর্ঘ কাহিনি— ‘ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন’। ইতিহাস, কিংবদন্তী ও কল্পনার সীমা একাকার হয়ে গেছে এই গল্পে। পাঠকের শিরদাঁড়া টানটান রাখার যাবতীয় উপাদান এখানে মজুত সমুদ্র অভিযান, ষড়যন্ত্র, খুন, জলদস্যু, গুপ্তধন….. !

জনাইগড়ের জঙ্গল রহস্য pdf – শিশির বিশ্বাস Janaigarer Jungle Rahasso pdf – Sisir Biswas

তবু, আর পাঁচটা গড়পড়তা রোমাঞ্চ কাহিনির সঙ্গে এ আখ্যানের অনেক ফারাক। এ গল্প শেষ করার পর স্তব্ধ হয়ে যেতে হয় করুণায়, আবেগে। সৌরভের তুরুপের তাস তাঁর বেগবান ঝলমলে ভাষার চৌম্বক শক্তি। তাঁর কলমের জাদু পাঠককে হাসাতে ও কাঁদাতে পারে লহমার মধ্যে। এই সংকলনে রয়েছে আরও নয়টি গল্প—লেখক ঘটিরাম, আবিষ্কারক ভেলকুনমামা, তান্ত্রিক করালী, পাখি-বিদ্বেষী খগেশচন্দ্র ও আরও নানান স্বাদের চরিত্র, বিচিত্র সব ঘটনার ঘনঘটা। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব মায়াবি ক্যালাইডোস্কোপ।

Captain Tomsoner Guptadhan pdf ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf নমুনাঃ

নিয়তি ব্যাপারটা ঠিক কী? নিয়তি কি এক অদৃশ্য শক্তি, যা মানুষের ইচ্ছে-অনিচ্ছের তোয়াক্কা না রেখে তাকে পুতুল নাচায়? নাকি, মানুষের নিজেরই নানান সুবুদ্ধি-দুর্বুদ্ধি, সুকৰ্ম- দুষ্কর্মের এক জটপাকানো যোগফল?

জ্ঞানীরা যে বলেন, মানুষ নিজের ভাগ্য নিজে বানায়, সেটাই কি আসল কথা নয়?

গ্রিন অলিভ জাহাজের নির্জন ডেকে দাঁড়িয়ে এইসব ভাবনাগুলো নিয়েই নাড়াচাড়া করছিলেন ক্যাপ্টেন টমসন।

বহু ক্রোশ দূরে পশ্চিম দিগন্তে সমুদ্রের জলরাশি লাল হয়ে উঠছে। টকটকে রক্তের রঙের একটা গোলার মতো সূর্য ধীরে- ধীরে তলিয়ে গেল ঝাপসা জলের রেখার আড়ালে। মহাসমুদ্রে সন্ধে নামবে এখনই। কয়েক দণ্ড পরে চারদিকে শুধু নিকৃষ থমথমে অন্ধকার। ঢেউয়ের মাথায় আবছা ফসফরাসের আভা আর মাথার উপর ঘনকৃষ্ণ আকাশে লাখো লাখো হলুদ ফুটকি ছাড়া বিশ্বসংসারে কোথাও কোনও আলোর হদিশ থাকবে না। ক্যাপ্টেন টমসনের মনের গভীরেও নিঝুম অন্ধকার এখন।

একটু আগেকার দেখা ওই রক্তবর্ণ সূর্যটা তাঁকে কেমন যেন একটা ইঙ্গিত ছুড়ে দিয়ে গিয়েছে। অদ্ভুত একটা শিরশিরে ভাব খেলা করছে তাঁর স্নায়ুর তন্ত্রীগুলোতে! এই যে অবিশ্বাস্য সম্পদরাশি থরে থরে সাজানো রয়েছে তাঁরই নিজস্ব জাহাজের পেটের মধ্যে-এ কি নিয়তির এক অদৃশ্য পরিহাস নয়? ভাগ্য যেন একটা পাশার দান ফেলে দিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছে, চোখে কৌতুক ছটা। যেন ফিসফিসিয়ে বলছে, “নাউ, ক্যাপ্টেন, ইট্স ইয়োর গেম!”

ঠিক কত পরিমাণ সোনাদানা ঠেসে দেওয়া হয়েছে গ্রিন অলিভের শক্তপোক্ত খোলের মধ্যে, ক্যাপ্টেন হওয়া সত্ত্বেও টমসনকে তার পুরো ধারণা দেওয়া হয়নি। গোটা হিসেবটা জানে শুধু পেরুর রাজপ্রতিনিধি ওই দুই লোক, যারা সব গুনে- গেঁথে লিস্ট মিলিয়ে তালা লাগিয়েছে ডালায়। ওদের নাম করটিস আর ব্যালভার্ডি। আর রয়েছে রাজপ্রহরীরা। বলতে গেলে এ সম্পদের ওরাই মালিক। গন্তব্যে পৌঁছে ওরাই ফের হিসেব বুঝে নিয়ে জিনিসপত্তর নামিয়ে নেবে ডাঙায়, নিয়ে টা-টা করে দেবে ক্যাপ্টেন টমসন আর তাঁর জাহাজকে। এই পুরো ছবিটাতে তাঁর ভূমিকা শুধু চিনির বলদের, ভারবাহী কিন্তু নিষ্ক্রিয়, নির্বোধ। শুধু ম্যাপ দেখে জাহাজ চালিয়ে যাওয়া, এইটুকু তাঁর কাজ।

ক্যাপ্টেনের চিবুক কঠিন হয়ে উঠল। শক্ত করে রেলিংয়ের হাতল চেপে ধরে দূরের ঘনিয়ে আসা রক্তিম অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে রইলেন অনেকক্ষণ। মনের মধ্যেও ওইরকম একটা কালো ছায়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে।

রাত গভীর হল। ক্যাপ্টেন টমসন ডেক থেকে নেমে জাহাজের একটা কেবিনের দরজায় টোকা দিলেন। রাজপ্রতিনিধিরা এই কেবিনেই রয়েছেন। রক্ষীদের থাকার জায়গা বেশ কিছুটা দূরে।

দরজা খুললেন ব্যালভার্ডি “কী ব্যাপার ক্যাপ্টেন?”

দরাজ হেসে টমসন বললেন, “আরে, আপনারা কি এর মধ্যেই ঘুমোতে শুরু করলেন নাকি? আমার তো বেদম একঘেয়ে লাগছিল, ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে দু’ পাত্তর খেয়ে একটু চাঙ্গা হওয়া যাক।”

রাজপ্রতিনিধিরা সানন্দে অভ্যর্থনা জানালেন ক্যাপ্টেনকে। উষ্ণ পানীয়ের পাত্র ভর্তি এবং খালি হতে লাগল বারবার। টমসন দারুণ ফূর্তিবাজ লোক, হা-হা করে হাসেন, অন্যদেরও হাসান। আসর জমে গেল শিগগিরই।

Captain Tomsoner Guptadhan pdf ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf রিভিউঃ

গল্পটা মূলত এল ডোরাডো তৈরীর পূর্বের ঘটনা বলতে পারেন যদিও গল্পে কোথাও এল ডোরাডো -এর উল্লেখ নেই, সমুদ্রের মাঝে বা ধারে একটা দ্বীপ সেখানে প্রচুর সোনা রয়েছে, সেখানে আক্রমণ হবে এই আশঙ্কায় সেখানকার রাজা এবং পুরোহিতরা একটি সদ্য বাড়ি ফেরা নাবিককে দায়িত্ব দেন সমস্ত সোনা তার নৌকাতে করে বাইরে অন্য একটি বন্ধু রাজ্যে রেখে আসার জন্য।

সমুদ্রের মাঝপথে সেই নাবিক সমস্ত রক্ষীবাহিনীদের মেরে সমুদ্রে ফেলে দেয় তারপর সমস্ত সোনা একটি জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে ফিরে আসার সময় সমুদ্রদস্যু দের কবলে পড়ে, তারপর নিজের প্রানের বদলে সে তাদেরকে সেই জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং তাদের চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে পড়ে, পড়ে সেখান থেকে বেরোনোর সময় পায়ে পাথর পরে একটা পা অকেজো হয়ে পড়ে, তারপর কোনোমতে সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে দুরে চলে আসে এবং একটি যাত্রীবাহী নৌকা তাকে দেখতে পায়……..

সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের হরর থ্রিলার Captain Tomsoner Guptadhan pdf ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন pdf পড়ুন এখান থেকে।

Be the first to comment

Leave a Reply