ছাতিম pdf – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Chatim pdf by Smaranjit Chakraborty

ছাতিম pdf - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Chatim pdf by Smaranjit Chakraborty
ছাতিম pdf - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Chatim pdf by Smaranjit Chakraborty

স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর Chatim pdf বর্তমান বাংলা সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী তরুণ তরুণীদের মধ্যে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কবিতা দিয়ে তার লেখালিখির শুরু। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় ‘উনিশ কুড়ি’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যায়। প্রথম উপন্যাস ‘পাতাঝরার মরশুমে’। তার সৃষ্ট এক অনবদ্য চরিত্র অদম্য সেন। তার শখ বলতে কবিতা, বই, মুভিজ আর ফুটবল।

ছাতিম pdf - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Chatim pdf by Smaranjit Chakraborty
ছাতিম pdf – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Chatim pdf by Smaranjit Chakraborty

Chatim pdf ছাতিম pdf review

ছাতিম মূলত প্রেমের একটি উপন্যাস তবে এইখানে ধরা রয়েছে ভিন্ন সময়ের কথাও। স্বাধীনতার পূর্বে সতু নামের এক কিশোর ও তার পাড়ার কুসুমদির কথা যেমন রয়েছে একধারে তেমনই বর্তমানে দেখা যায় হাট্টিম ও ইগনাকে। চলতে থাকে দুই সময়ের কথা সমান্তরালভাবেই এই উপন্যাসে। লেখক এই উপন্যাসে খুব সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন বর্তমান ও সাবেকী উত্তর কলকাতার কিছু খন্ডচিত্র, দুর্গাপূজার আবহ, পাড়ার ফুটবল প্রতিযোগিতা। তাছাড়াও এখানে এসেছে উত্তাল সময়ের কিছু সুন্দর বর্ণনা, জীবন ও প্রেম ভালোবাসা। সর্বোপরি বলা যেতেই পারে দুই সময়কে লেখক ভারী সুন্দর ভঙ্গিমায় কোথাও মিলিয়ে দিয়েছেন।

আপন খেয়ালে চলেন রাজা pdf – চিত্রা দেব Aapon Kheyale Cholen Raja pdf – Chittra Deb

এই উপন্যাসটির যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এর শেষাংশ যা এই লেখাটিকে লেখকের অন্যান্য উপন্যাসগুলির থেকে আলাদা করে দেয়। এর শেষভাগ এককথায় অসাধারণ যা ভীষনভাবে রেশ রেখে যায় পাঠকমানসে…

Chatim pdf ছাতিম pdf রিভিউঃ

🍀বছরটা শুরু করলাম ছাতিম ফুলের গন্ধ দিয়ে এবং শেষে এক মিষ্টি অনুভূতি পেলাম। মূলত গল্পটি দুটি ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে আমরা পাই সতুর কাহিনী আর আরেকদিকে হাট্টিমের কাহিনী।

🍀কুসুমদি দের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতে আসে সতুরা।  বয়সে সতুর থেকে পাঁচ বছরের বড়ো কুসুমদিকে যখন প্রথম সতু দেখেছিল মুগ্ধ হয়েছিল। প্রথম দেখাতে অমর কুসুমদি কে পরি বলে সম্বোধন করেছিল। সতুর চোখেও কুসুমদি কী পরি ছিলেন?

🍀দুবছর আগে করা একটা ভুলের ফল ভোগ করতে হচ্ছে হাট্টিমকে এখনও। তার সবচেয়ে কাছের মানুষটি যাকে হাট্টিম নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসে সেই ইজনার সাথে তার এত দিনের সম্পর্ক ভেঙে গেছে একটি ভুলের কারনে। ভাঙনের দুবছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আজও ইজনা তার সামনে এলে বুকের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, একটা চাপা কষ্ট হয়। কী করেছিল হাট্টিম যে ইজনা তাকে সহ্য করতে পারেনা?

🍀অনেকদিন পর স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর উপন্যাসটি মন ছুয়ে গেল। বিশেষ করে সতুর ভালোবাসার কথা। সত্যিই কী ভালোবাসা কোনো বারন মানে?

🍀এছাড়াও পাড়ায় প্রথম পূজোর উচ্ছ্বাস, ফুটবল ম্যাচের টানটান উত্তেজনা, বন্ধুত্ব আর দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন সব রয়েছে উপন্যাসে।

🍀কিছু পূর্ণতা কিছু অপূর্ণতা নিয়ে ছাতিম।

🍀”ভালবাসা যত দিন থাকবে, তত দিন মানুষ হারবে না। তত দিন মানুষ ফিরে ফিরে আসবে! না পেলেও, প্রিয় মানুষকে লালন করবে মনে। তাঁকে যত্নে বাঁচিয়ে রাখবে আজীবনের ভালবাসায়।”

Chatim pdf নমুনাঃ

হাট্টিমের ঘরের পাশেই একটা বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। উত্তর কলকাতায় গাছের সংখ্যা দক্ষিণের চেয়ে সামান্য কম, তাও ওদের পাড়ায় বেশ কয়েকটা গাছ আছে এখনও। এই যেমন হাট্টিমের ঘরের পাশের কৃষ্ণচূড়া, মাদুলির কম্পিউটার আর জেরক্সের দোকানের পাশে কদম, ভারতী সঙ্ঘের পাশের মাঠে, বুড়োদাদুর বাড়ি ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ছাতিম। পিন্টুদার বাড়ির পাশের অশোক গাছ। এমনই বেশ কিছু গাছ আছে এখনও।

হাট্টিমের ঘরের পাশের গাছটায় রোজ সকালে এক জোড়া ঝুটিওলা পাখি এসে বসে। কিচমিচ করে নিজেদের মধ্যে কী সব কথাবার্তা বলে। না, এ সব পাখি-টাখি চেনে না হাট্টিম। কিন্তু ভাল লাগে ওদের দেখে। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ঝঞ্ঝাট প্রাণী বোধহয় এরাই! মানুষের থেকে দুরে থাকে। আকাশ থেকে অন্য একটা পারস্পেক্টিভ নিয়ে সব কিছু দেখে। বেশ মজাই লাগে ভাবতে। তাও কিছু মানুষ কী করে যে এদের খাঁচায় ভরে রাখে কে জানে!

মানুষ এমনই। সব কিছুতেই তার একটা ওনারশিপের ব্যাপার আছে। যা ভাল লাগবে তাই যেন তাকে পেতে হবে। নিজের কাছে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে হাট্টিমের মনে হয়, পারলে মানুষ আকাশের রামধনুকেও বোতলে ভরে বসার ঘরে সাজিয়ে রাখত।

রোজ ওই পাখিগুলোর কিচিরমিচিরেই ঘুম ভাঙে হাট্টিমের। কিন্তু আজ আর তা ভাঙেনি। আজ ওর ঘুম ভাঙিয়েছে বুজু।
বুজু কলেজে পড়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং। থার্ড ইয়ার। এক মাথা ঝাঁকড়া চুল। লম্বা জুলপি। ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। বুজু কবিতা লেখে। গিটার বাজিয়ে গানও গায়। তার সঙ্গে নানারকম অ্যাক্টিভিজমেও যুক্ত। বাড়িতে শুয়ে- বসে, মুখের কাছে খাবার-ধরা সোশ্যাল নেটওয়র্কের সেলফ প্রোপাগান্ডা নয়, রিয়েল অন ফিল্ড অ্যাক্টিভিজম।

সেই বুজুই আজ ঘুম ভাঙিয়েছে ওর। এখন হাট্টিম ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে বুজুর দিকে। কিছু বলছে ছেলেটা। কিন্তু ঘুমের কুয়াশায় মাথা আবছা হয়ে আছে হাট্টিমের। স্পষ্ট বুঝতে পারছে না।
“দাদা ওঠ! দেখ পাড়ায় কী হয়েছে।” বুজু আবার হাট্টিমকে ধরে ঝাঁকাল।
“কী বল তো!” হাট্টিম উঠে বসে হাত বাড়িয়ে বিছানার পাশে রাখা প্লাস্টিকের বোতলটা নিল এবার। সকালে উঠে অনেকটা জল খায় ও বুজু পাশ বালিশটা সরিয়ে বসল পাশে। বলল, “বুড়োদাদুদের পাশে সমীরদারা থাকে না? ওদের বাড়িতে চোর এসেছিল। দুটো। বুড়োদাদু ধরেছে একটাকে।”

বুজু এমন করে কথাটা বলল যে, অবাক হল হাট্টিম। বুড়োদাদু চোর ধরেছে। ও বলল, “কী বলছিস তুই?”
“আর বলছি কী! চোরটা একটা কোপ মেরেছে দাদুর হাতে।

Chatim pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply