চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf – সিদ্দিক আহমেদ Chaturanger Asharohi pdf – Siddique Ahmed

চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf - সিদ্দিক আহমেদ Chaturanger Asharohi pdf - Siddique Ahmed
চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf - সিদ্দিক আহমেদ Chaturanger Asharohi pdf - Siddique Ahmed

সিদ্দিক আহমেদ এর সমকালীন উপন্যাস Chaturanger Asharohi pdf চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf ডাউনলোড করুন ও Chaturanger Asharohi pdf পড়ুন।

চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf - সিদ্দিক আহমেদ Chaturanger Asharohi pdf - Siddique Ahmed
চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf – সিদ্দিক আহমেদ Chaturanger Asharohi pdf – Siddique Ahmed

Chaturanger Asharohi pdf চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf এ ভূমিকা

“খুলনা’ আমার প্রাণের শহর। আমার ভবঘুরে জীবনের সূত্রপাত হয়েছে এই শহর দিয়েই। এ শহরের অলিতে-গলিতেও আমার পায়ের ছাপ আছে। আছে শরীরের গন্ধ। খুব খেয়ালে আপাত নীরব-নিথর এই শহরের বুকে কান পাতলে সমুদ্রের গর্জনও শুনতে পাওয়া যায়। এ উপন্যাস মূলত সেই সমুদ্রের গর্জন ধরার প্রচেষ্টা। এই মায়া শহরের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

এই উপন্যাস প্রথম ভাবা হয়েছিল সিনেমা হিসেবে, চিত্রনাট্যও শেষ হয়েছিল। আমার বন্ধু ইমরান হোসেন সে সময় আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছিল। এই উপন্যাসের ‘দাদা’ চরিত্রের আবহ তার কাছ থেকেই ধার করা। আর কিছুটা ইচ্ছেকৃতভাবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘কালো বেড়াল, সাদা বেড়াল’ উপন্যাসের ‘দাতা’ চরিত্রকে ট্রিবিউট দেওয়া। আপেক্ষিকভাবে উপন্যাস বা চরিত্রের কোনো মিল না থাকলেও আমি দুজনকে এই কৃতজ্ঞতাটুকু সচেতনভাবেই জানাতে চাই। আমি আমার স্ত্রী ‘নিশাত’-কে ধন্যবাদ জানাই একদম মোক্ষম সময়ে শীর্ষেন্দুর বইখানা উপহার দেওয়ার জন্য এবং সম্পাদনার গুরু দায়িত্ব নিজ মাথায় তুলে নেওয়ার জন্য।

অনেক প্রিয় মানুষ অদ্ভুতভাবে এই বইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে/আছেন। আমি নিজেও চিরাচরিত ইতিহাস-আশ্রিত উপন্যাসের ধারা থেকে বের হওয়ার যাত্রা শুরু করেছি এ বই দিয়ে। তাই সবদিক থেকেই এ উপন্যাসখানি কিছুটা হলেও ভিন্ন এবং অপরাপর বই থেকে কিছুটা হলেও আপন। উপন্যাস কেমন হল, সে ভার পাঠকের হাতে। আমি শুধু পাঠকদের বই পড়ার আমন্ত্রণ জানানোর লোভটুকু সংবরণ করতে পারলাম না।

আপনাদের পঠন হোক আনন্দময়।

Chaturanger Asharohi pdf চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf এ প্রকাশকের কথা

বুক লুকের পথচলা শুরু হয় ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে অনলাইন বুকসেলার হিসেবে। তারপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর, মাস, দিন। আজ থেকে বুক লুকের আর একটি নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠা হল। বুক লুক অনলাইনের পাশাপাশি বুক লুক পাবলিশিং শুরু করার এই শুভ দিনটি সেই সকল শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন যাঁরা বুক লুককে হাতে ধরে শিখিয়েছে কাগজ, ফন্ট, ফর্মার হিসাব।

ধন্যবাদ চিরঞ্জিৎ দাস, বিকাশ কল্প, কথাব্য শুভজিৎ, অভিষেক আইচ, নীলাদ্রি মুখার্জি, সুখরঞ্জন তালুকদার, শেখর হাজরা, অতনু সোম, দীপাঞ্জন দাস, সৌরভ মজুমদার, তন্ময় কোলে, অন্তরা ভট্টাচার্য, সুলগ্না ব্যানার্জী এবং সুমন সরকার-কে স্বার্থহীনভাবে বুক লুকের পাশে থাকার জন্য। পরিশেষে, যদি কারো নাম অনিচ্ছাকৃতভাবে বাদ পড়ে যায় তার জন্য বুক লুক পাবলিশিং ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি আমাদের প্রথম বই সকল পাঠকের ভালো লাগবে। পাঠ শুভ হোক।

Chaturanger Asharohi pdf নমুনাঃ

কামাল দাঁড়িয়ে আছে যশোর এয়ারপোর্টের বাইরে। আজ বেশ বৃষ্টি। প্রবল বর্ষন না, তবে খারাপও বলা যায় না। এই বৃষ্টির কারণেই আজকের ঢাকা-খুলনার ফ্লাইট এক ঘণ্টা ডিলে হয়েছে। কামালকে বসেই কাটাতে হয়েছে এই এক ঘণ্টা। আজ এমনিতেই ভাড়া কম। এখন মনে হচ্ছে সিলেটের ট্রিপটা নিয়ে নেওয়াই তার জন্য ভালো ছিল। অন্তত খালি বসে থাকতে হত না পুরো একটা দিন। পকেটে ভালোই মালকড়ির আমদানি হত।

আশার কথা একটু আগেই নভোএয়ারের প্লেনটা ছুঁয়েছে যশোরের মাটি। একজন, দুজন করে যাত্রী তাদের লাগেজ টেনে বের হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। বৃষ্টির কারণে ছাউনি ছেড়ে বের হচ্ছে না তারা। আর এই সুযোগে তার মতো ‘রেন্ট এ কার’ চালানো ড্রাইভাররা তাদের ছেঁকে ধরছে মাছির মতো। কামাল নিজেও ছাতা মাথায় চলে এসেছে যাত্রীর খোঁজে। যাত্রীদের কেউ কেউ গাড়ি ভাড়া করছে অথবা নিজেদের গাড়ি আছে বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। যারা নিজের গাড়ির কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে কামাল নিশ্চিত জানে এই শালারা গিয়ে উঠবে নভোএয়ারের খুলনা যাওয়ার বাসে। কামাল এইসব চাপাবাজ যাত্রীদের উপর ঘেন্নায় পিচিক করে এক দলা থুতু ফেলে মাটিতে। ঠিক তখনই তার নজর আটকায় একজন সম্পূর্ণ কালো স্যুটেড- বুটেড লোকের উপর।

লোকটার সাথে লাগেজ বলতে, হাতে একটা অ্যাটাচি শুধু দীর্ঘ শরীরের শীর্ণ মানুষ সে। মুখে দাড়ি-গোঁফের ঘনত্ব প্রবল। যার অধিকাংশতেই লেগেছে রূপালি ছোঁয়া। চোখে পাইলট সানগ্লাস অটা। কামাল এয়ারপোর্ট থেকে প্রায়ই ট্রিপ দেয়। গাড়ি চালকদের ভাষায় ‘ভাড়া মারো। সে এখন এমন ভাড়া মারতে মারতে বেশ অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে। কে কোন ধরনের কাজে আসে, তা যাত্রীর লাগেজ দেখলেই বুঝে ফেলে। এই লোক শুধু একটা অ্যাটাচি নিয়ে এসেছে। মানে আজকের ভেতরেই কাজ শেষ করে ফিরে যাবে। কয়েক দিন থাকার হলে অবশ্যই জামা-কাপড়ের একটা ছোট্ট ব্যাগ অন্তত থাকত। गाরা আজকের ভেতরেই ফিরে যাবে বলে আসে তারা অবশ্যি গাড়ি ভাড়া করে। সময় এদের কাছে মহামূল্যবান।

কামাল দ্রুত এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় লোকটার সামনে, “স্যার, কই যাইবেন?” লোকটা ঘুরে তাকান তার দিকে। সানগ্লাসের জন্য চোখের অভিব্যক্তি বুঝতে পারে না কামাল। সে অবশ্য হাল ছাড়ে না। আবার জিজ্ঞাসা করে, ভাড়ার গাড়ি লাগব, স্যার?”

লোকটা বেশ ভারী কিন্তু কিছুটা ফ্যাঁসফেঁসে গলায় জিজ্ঞাসা করলেন, “খুলনা, কত?”

কামাল মনে মনে নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিল। খুলনার যাত্রী মানে ভালো ভাড়া পাওয়া যাবে। কামাল তাই বেশ ভালোই ভাড়া হাঁকাল । যাত্রী তাকে অবাক করে দিয়ে বললেন, “কোন গাড়ি?”

কামাল উত্তরে ছাতার ছাউনি বাড়িয়ে দিল। গাড়িতে ওঠার পর ভদ্রলোক একটা একহাজার টাকার নোট বাড়িয়ে দিয়ে মুখ ফুটে শুধু বললেন, “সিগারেট।”

“স্যার, হাইওয়েতে উইঠা কিনলে হবে না?

ভদ্রলোক কোনো কথা না বলে শুধু ঘাড় কাত করেন একবার। কালাম ভ্রূ কুঁচকে পাড়ির এক্সিলারেটরে চাপ দেয়। বৃষ্টির ফোঁটা উপেক্ষা করে গাড়ি ছুটে চলে তীব্র গতিতে।

“আজকে খুলনা আর সিলেটের ম্যাচ না?” আগন্তুক আগের সেই ভারী ফ্যাঁসফেঁসে স্বরেই প্রশ্নটা করলেন।

জ্বে স্যার। সিলেট ব্যাট করতিছে, রেডিয়োডা ছাড়ব?”

মাথাটাকে উপর-নীচে মৃদু দোলা দিয়ে সম্মতি দিলেন আগন্তুক। কামাল হাত বাড়িয়ে রেডিয়োটা অন করে দেয়। রেডিয়োতে গর্জে ওঠে কমেন্টেটরের কণ্ঠস্বর।

Chaturanger Asharohi pdf  চতুরঙ্গের অশ্বারোহী pdf link

 Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply