দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf

দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf
দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf

দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf।

দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf
দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf

দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf সূচিপত্র

সম্পাদকীয় ৪৩
মন্তব্য ৪৮
স্মরণ
উস্তাদ রাশিদ খান (১৯৬৮-২০২৪)
পায়েল সেনগুপ্ত.88

তিন শো ত ম জ ন্ম বর্ষ
ইমানুয়েল কান্ট
যুক্তি ও নৈতিকতা: কান্টের দর্শনবিশ্ব
শুভ রঞ্জন দাশ গুপ্ত ৫৫
সার্ধশত জন্ম বর্ষ
রবার্ট ফ্রস্ট
কবিতার অর্থের ধ্বনি
তীর্থঙ্কর দাশ পুরকায়স্থ ৬৫

সার্ধশত জন্ম বর্ষ
সমারসেট মম
জীবনের অসমতল অনুবাদ
সুমন গুণ.৭১

এক শো পঁচিশ তম জন্ম বর্ষ
মিগেল আনহেল আস্তুরিয়াস অন্তরের যন্ত্রণার ঔপন্যাসিক
তরুণ কুমার ঘটক. ৭৭

এক শো পঁচিশ ত ম জ ন্ম বর্ষ
ভ্লাদিমির নবোকভ বিস্মৃত বিভিন্নতার স্পর্শ
অর্ক চট্টোপাধ্যায় – ৮৫
এক শো পঁচিশতম জন্ম বর্ষ
ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা সৌন্দর্য ও বিষাদ
অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় – ৯৩

এ ক শো পঁ চি শ ত ম জন্ম বর্ষ
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে হিমশৈলের গভীরে
চৈতালী মৈত্ৰ • ৯৯
একশো পঁচিশ ত ম জন্ম ব র্য
হোর্হে লুইস বোর্হেস
আত্ম আর অপরের সংলাপ
সুমিত চক্রবর্তী – ১০৩

জন্ম শত বর্ষ
সমরেশ বসু অমৃতের উত্তরাধিকার
অনিতা অগ্নিহোত্রী ১০৯
জন্ম শ ত ব র্ষ
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বহুমুখী লিখনপ্রতিভা
সে বস্তী ঘোষ- ১১৩

বই ভাব না
ইউটোপিয়ার বিপর্যাস ও অবিনাশ গৌতম ভদ্ৰ • ১১৯
বই ভাব না
একদিন প্রতিদিন: ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন দীপেশ চক্রবর্তী – 129
ব ই ভাব না
একটি ভালবাসার পরিসর অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় ১৩৫
ব ই ভাব না
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনেই প্রয়োজনীয় শোভন লাল দত্তগুপ্ত – ১৪১
ব ই ভাব না
যুক্তিসর্বস্বতার বিষক্রিয়া
বিমান নাথ ১৪৫
বোধের বন্ধুতা
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত – ১৫৫
ব ই ভাব না
‘সীতা’য়নের গুপ্তকথা অংশুমান ভৌমিক – ১৬১
ধা রা বা হি ক র চ না
তিমির অবগুণ্ঠনে রজতকান্ত রায় ১৭৭

ধারাবাহিক উপন্যাস
শূন্য পথের মল্লিকা স্মরণজিৎ চক্রবর্তী ১৮৩ চিঠিপত্র ১৮৯ সুদোকু ১৯২ শেষকথা ১৯৩

দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf সম্পাদকীয়

লোকহিতের মন্ত্র নিহিত আছে যেখানে
সেই রামও নেই আর সে অযোধ্যাও নেই, এরকম একটা প্রবাদের কথা শোনা যেত। ইদানীংকালের ঘটনাবলির দিকে তাকালে অবশ্য এ প্রবাদ খানিকটা ফিকে হয়ে আসছে। কারণ, অযোধ্যার পুনর্জন্ম এবং সেই সঙ্গে রামলালা তাঁর তথাকথিত জন্মস্থানে ফিরে যাচ্ছেন— চারদিকে এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সে এক পৃথক আলোচনার পরিসর। প্রারম্ভে প্রবাদবাক্যের অবতারণা— কবিবর্ণিত রামের সুশাসনের সময়ের কথা চিন্তা করে। সুশাসন এক আদর্শ ব্যবস্থা। প্রাচীনকালে যা ছিল রাজধর্ম, তা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি।

ঈশ্বর যখন বন্দি pdf – দেবারতি মুখোপাধ্যায় Ishwor Jhokhon Bondi pdf – Debarati Mukhopadhyay

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রজাগণের হিতসাধনই রাজার প্রধান এবং প্রাথমিক কর্তব্য। ক্রমে রাজতন্ত্র ভেঙে পড়েছে, প্রজাতন্ত্র তার ধ্বজা মেলে সে জায়গায় নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করেছে। সাধারণতন্ত্রে প্রজাদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে শাসক শাসনক্ষমতা লাভ করে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রজার কাছে ফিরতে হয় নির্বাচনের তাগিদে। পৃথিবীর সকল প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মোটামুটি ভাবে এই ব্যবস্থাকে এখন মেনে নেওয়া হয়েছে। ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম নয়। এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্গত হওয়ায় এর প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেও এই ব্যবস্থা অনুসৃত হয়। এমনকি, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে যেমন, ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েতেও একই ভাবে শাসনক্ষমতার বণ্টন হয়ে থাকে। এ তো গেল তাত্ত্বিক পরিসরের কথা। প্রকৃত অবস্থায় শাসক এবং শাসিতের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গেছে বহু দিন আগে।

পশ্চিমবঙ্গ নামক আমাদের এই অঙ্গরাজ্যের কথাই ধরা যাক। বিগত বামফ্রন্ট আমলের শেষ কয়েকটি বছর ছিল নৈরাজ্যের এক চরম দৃষ্টান্তস্বরূপ। শাসক দলের অন্তর্কলহ, নিচুতলার বিদ্রোহ, নেতাদের জনবিচ্ছিন্ন হওয়া প্রভৃতি ঘটনার অবশ্যম্ভাবী ফল হিসাবে প্রশাসনে এর প্রভাব পড়ে। কার্যত প্রশাসন-যন্ত্র বলেই সে সময়ে কিছু অবশিষ্ট ছিল না। পুলিশের একাংশ শাসক দলের বিরুদ্ধে যায় আর যারা যায় না, তারা শাসকের বশংবদ হয়ে শাসক দলের আশ্রিত সমাজবিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যায় ভাবে গুলি চালানো— প্রভৃতি কাজে জড়িয়ে পড়ে। সে সময়ে সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে অবতীর্ণ হয় রাজ্যের বিচারব্যবস্থা। একের পর এক জনস্বার্থ মামলার রায় তদানীন্তন সরকারের বিরুদ্ধে যেতে শুরু করে।

কার্যত একাধারে মানুষের ত্রাতা রক্ষাকর্তা এবং শাসকের বিবেক রূপে আদালতের সে ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সে সময়েও বিচারব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতে ছাড়েননি শাসকদলের নেতারা। এক বিচারপতির পদবির সঙ্গে ছন্দের মিল তৈরি করে তাঁকে বাংলা ছেড়ে পলায়নের পরামর্শও দেওয়া হয়! কিন্তু তাতে বিচারব্যবস্থার শৌর্যের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধকে টলিয়ে দেওয়া যায়নি। বর্তমানে সে অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। শাসকের বিরুদ্ধে কোনও বিচারপতি রায় দিলে প্রথমে আইনগত ভাবে তাকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া সেটা স্বাভাবিক, যে-কোনও নাগরিকের সে অধিকার আছে। কিন্তু সমস্যা হল তাঁরা কেউ এখানে থেমে থাকছেন না।

সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের নামে কখনও নানা বিরূপ মন্তব্য, কখনও তাঁর নামে কুৎসা করা, এমনকি তাঁদের কারও বাসভবন চত্বরে পোস্টার লাগানোর ঘটনাও ঘটছে। কখনও-বা সরাসরি বিচারপতিকে নয়, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নানা ভাবে উৎপীড়ন করা হচ্ছে। এবং এ সবই করা হচ্ছে এমন একটা সময়ে, যখন প্রায় প্রতিদিনই হাই কোর্টে দায়ের হওয়া নানা মামলায় রাজ্য সরকারকে কোর্ট কঠোর ভাষায় তিরস্কার করছে অথবা সরকার সেখানে ভৎসিত হচ্ছে।

মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষ আদালতের সোপানে গিয়ে তখনই দাঁড়ায়, যখন প্রত্যাশিত অর্থাৎ প্রশাসনিক স্তর থেকে সে যখন প্রত্যাখ্যাত হয়। অথবা এমন কোনও ঘটনা, যেখানে সরাসরি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে শাসকের প্রত্যক্ষ যোগের প্রমাণ মেলে। শাসক, ভেবে দেখবেন একবার- আদালতকে তার কাজ করতে না-দেওয়ার নেপথ্যে কোনও গৌরব নেই। শাসনব্যবস্থা এবং বিচারব্যবস্থা একে অপরের পরিপূরক, প্রতিযোগী নয়। এতেই নিহিত আছে লোকহিতের মূল মন্ত্র।

দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও দেশ ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ পিডিএফ Desh 17 January 2024 pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply