সিদ্দিক আহমেদ এর হারানো কালের থ্রিলার উপাখ্যান Dhonurdhor pdf ধনুর্ধর pdf ডাউনলোড করুন ও Dhonurdhor pdf পড়ুন।
Dhonurdhor pdf ধনুর্ধর pdf কাহিনীঃ
ধনুর্ধর এক হারানো কালের উপাখ্যান। পরাভূত রাজ্য, উন্নাসিক রাজা, বিগ্রহের দামামা, মানসিক দ্বন্দ্ব কিংবা আমূলে বিশ্বাসভঙ্গের এক বৈচিত্র্যময় কাহিনী। অথবা এটিকে জাতহীন, গোত্রহীন অতি সাধারণ একজন মানুষের ভালবাসার প্রগাঢ়তায় মোড়ানো, শত সহস্র দুঃখের এক আখ্যানও বলা যেতে পারে। অনভিলাষে যাকে বারবার রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হতে হয় নিজ বৈশিষ্ট্যের স্বতন্ত্রতা আর দুঃসাহসিকতা নিয়ে। কিন্তু নির্বাণলাভের ঋদ্ধি ক’জনের অদৃষ্টেই বা জোটে!
Dhonurdhor pdf ভূমিকাঃ
ধনুর্ধর বলতেই আমরা মহাকাব্যের অর্জুনকে চিনি। কিন্তু এ গল্প অর্জুনের নয়-পরিচিত কোনো চরিত্র সেই অর্থে এখানে নেই। যারা আছেন, তারা এসেছেন বাস্তব হয়ে। ইতিহাসের অংশ হয়ে। আমি যখন ধনুর্ধরের গল্প ভাবা শুরু করি তখন আমার বয়স অল্প, ভার্সিটির প্রথম বর্ষে পড়ি-সিনেমা বানাবার স্বপ্নে বিভোর একজন। সিনেমার স্ক্রিপ্ট হিসেবেই লেখা শুরু হয়েছিল গল্পটি। লেখা শেষও হয়েছিল, স্ক্রিপ্ট নিয়ে দৌড়েছিলাম। সবাই বলেছিলেন এত বাজেটের কাজ এদেশে সম্ভব না। হঠাৎ স্ক্রিপ্ট, খাতাপত্র হারিয়ে যাওয়ায় সব জলাঞ্জলি গেল। আমিও হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিলাম।
স্বর্ণবাজ pdf – সিদ্দিক আহমেদ Swarnabaj pdf – Siddique Ahmed
কিন্তু গল্পটা রয়ে গেছিল মাথার কোণে, ঘুণপোকা হয়ে। এতবছর পর সেই পোকামুক্তি ঘটল। তবে সেই স্ক্রিপ্টের চেয়ে এই গল্প অনেক আলাদা। এতদিনে পরিণত হওয়ার ছাপ পড়েছে গল্পে। কলেবরেও বেড়েছে অনেকখানি। তবুও শান্তি, শেষ তো হল অন্তত। আমার নিজের কাছে বন্দি থাকা গল্পটা মুক্তি পেয়ে ছড়িয়ে পড়ছে চারিধারে, এর চেয়ে পবিত্র অনুভূতি সম্ভবত আর নেই। এই অনুভূতিটুকু লেখকের একান্তই নিজস্ব। পাঠক আপনাকে বইয়ের মোড়কে জমে থাকা অদ্ভুত এক সময়ে স্বাগতম।
সিদ্দিক আহমেদ
Dhonurdhor pdf লেখকঃ
সিদ্দিক আহমেদের জন্ম খুলনা শহরে। শৈশব-কৈশোর কেটেছে কুষ্টিয়া শহরে। মাধ্যমিকের পর সেখান থেকে জন্মস্থান খুলনায় ফেরা এবং স্নাতক ডিগ্রি লাভ করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স করলেও তাঁর মূল আগ্রহ চলচ্চিত্র নির্মাণে সিনেমা বানানোর স্বপ্ন নিয়েই তার লেখালেখির শুরু। ‘উন্মাদ’ পত্রিকায় লিখতে লিখতেই লেখালেখির প্রেমে পড়া। গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি লিখেছেন ‘মুজিব’ এবং ‘ন ডরাই’ গ্রাফিক নভেলের কাহিনি বিন্যাস এবং সংলাপ। তার রচিত মঞ্চনাটক ‘লটারি’ হয়েছে সমাদৃত। ‘ইচ্ছে ডানা’ নামে ইউনিসেফের জন্য লেখা টিভি নাটকটি পেয়েছে নিউইয়র্কের ফর্টিন টেলি অ্যাওয়ার্ড। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন প্রথম টিভি ফিকশন ‘কিছু বিস্মরণের নদী।
Dhonurdhor pdf নমুনাঃ
কোশলের রাজ্যের রাজসভাটা দেখবার মতোন। লম্বা বিশাল ঘরটার ছাদ পর্যন্ত উঠে যাওয়া থামগুলো খাঁটি স্বর্ণের। থামগুলোর চারপাশের প্রতিটি কুলুঙ্গিতে অজস্র ঘিয়ের প্রদীপ জ্বলছে। আমপাতা এবং রঙিন ফুলের মালা দিয়ে ছেয়ে ফেলা হয়েছে সমস্ত ঘরটা। ঘরের মাঝে একটা ছোট্ট লম্বা জলাশয় চলে গেছে রাজ সিংহাসনের সিঁড়ির আগ পর্যন্ত, সেখানে অসংখ্য পদ্ম ফুটে আছে। পদ্মপাতার নিচে, স্বচ্ছ জলের তলে ব্যস্তসমস্ত হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে অসংখ্য মাছের দল। সহস্র প্রদীপের আলো সেই জলাশয়ে প্রতিফলিত হয়ে রাতের বেলাতেও যেন দিনের অনুভূতি দিচ্ছে।
গমগম করছে সমস্ত রাজদরবার, এই রাতেও অসংখ্য মানুষের ভিড়। সবার পরনে উৎসবের উজ্জ্বল পোশাক। সভাসদ থেকে মন্ত্রী-সান্ত্রীরা সবাই হাজির হয়েছেন। মহারাজ হাজির আছেন নিজেও। তিনি বসেছেন সভাকক্ষের শেষ মাথায়। ধাপে ধাপে উপরে উঠে যাওয়া সিড়ির চূড়ায় বসানো স্বর্ণের সিংহাসনে। দুজন সেবক তাকে ময়ূরপুচ্ছ দিয়ে সমানে বাতাস করে। চলেছে। তিনি আছেনও বেশ ফূর্তির মেজাজে। পাঞ্চাল থেকে বিশেষ এসেছে বলেই এমন উৎসবের আমেজ। তাকে কোশলের ঔজ্জ্বল্য দেখানোর জন্য এই বিশাল আয়োজন। প্রতিদিন তো আর বিশেষ কেউ আসে না, নিজেদের মহত্বও দেখানো যায় না।
একদিন জ্যোৎস্নাভাঙ্গা রাতে pdf – সুমন্ত আসলাম Ekdin Jostnabhanga Rate pdf – Shumonto Aslam
মহারাজ হাতের কাছে রাখা ডঙ্কাতে বাড়ি দিলেন। সমস্ত রাজ সভা যেন থমকে গেল। নিশ্ছিদ্র নৈঃশব্দের চাদর নেমে এল রাজসভায়। মহারাজের পেছনে বাতাস করতে থাকা দুজনও যেন থেমে গেল কিছুক্ষণের জন্য। স্থবির হয়ে গেছে সভার প্রতিটি জীব। তাদের কান খরগোশের মতোন সতর্ক হয়ে উঠেছে। ডঙ্কাতে বাড়ি দেওয়া মানে মহারাজ কিছু বলতে চান। মহারাজও ধারণাকে সত্য প্রমাণ দিতে স্বর্ণের চষকে ছোট্ট একটা চুমুক দিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “অদ্য শ্রাবস্তীতে উত্তরের হাওয়ার সাথে সাথে এসেছে আনন্দের হাওয়া।
Download Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.