ধূমাবতীর মন্দির pdf – মনীষ মুখোপাধ্যায় Dhumabotir Mandir pdf – Manish Mukhopadhya

ধূমাবতীর মন্দির pdf - মনীষ মুখোপাধ্যায় Dhumabotir Mandir pdf - Manish Mukhopadhya
ধূমাবতীর মন্দির pdf - মনীষ মুখোপাধ্যায় Dhumabotir Mandir pdf - Manish Mukhopadhya

মনীষ মুখোপাধ্যায় এর Dhumabotir Mandir pdf ধূমাবতীর মন্দির pdf ডাউনলোড করুন ও Dhumabotir Mandir pdf ধূমাবতীর মন্দির pdf পড়ুন।

ধূমাবতীর মন্দির pdf - মনীষ মুখোপাধ্যায় Dhumabotir Mandir pdf - Manish Mukhopadhya
ধূমাবতীর মন্দির pdf – মনীষ মুখোপাধ্যায় Dhumabotir Mandir pdf – Manish Mukhopadhya

Dhumabotir Mandir pdf ধূমাবতীর মন্দির pdf ভূমিকা

আমাদের এই বঙ্গে চারিদিকে ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস। তার অনেকটাই আমাদের জানা, পাশাপাশি বেশ কিছুটা অংশ অজানাও বটে। এই উপন্যাস নেহাতই একটা কল্পকাহিনী। কোনও সত্য ঘটনার সঙ্গে এই উপন্যাসের তেমন ভাবে কোনও যোগাযোগই নেই। তবুও ইতিহাস কে উপজীব্য করে সাজিয়ে তোলা গিয়েছে শব্দদের, আর সেই শব্দরা একসময় হয়ে উঠেছে উপন্যাস। এই উপন্যাসে আছে তন্ত্র-মন্ত্র, অদ্ভুত নানা শক্তির কথা এবং তার সাথে কিছু অন্ধকারের অতলে জমে থাকা ইতিহাস।

শব্দ পড়ে টাপুর টুপুর pdf – নবনীতা দেবসেন Sobdo Pore Tapur Tupur pdf – Nabanita Debsen

তন্ত্রের বিভিন্ন বিষয়কে যখনই জানার চেষ্টা করেছি, সবথেকে বেশী যে ঘরানাটা আমাকে ভাবিয়েছে— তা হল, দশমহাবিদ্যা কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী, বগলামুখী, মাতঙ্গী, কমলা— এই হল মহাশক্তির দশরূপ। আশ্চর্যের বিষয় হল, এদের স্বভাব, পূজাপদ্ধতি সবকিছুতেই কেমন যেন বৈচিত্র রয়েছে। কেউ মায়ের মত কোমল স্বভাবের আবার কেউবা ভীষণ ভয়াবহ। তন্ত্রের নানা ক্রিয়ায় আবার আলাদা আলাদা দেবীর আরাধনার কথা বলা হয়েছে আলাদা আলাদা পথে। এই দশ দেবীর বিষয়ে প্রবল আকর্ষণ থেকেই এঁদের জানার চেষ্টা করেছি আর সেই চেষ্টারই একটা ফল হল এই উপন্যাস। এখানে আমি সপ্তম মহাবিদ্যা ধূমাবতীকে নিয়ে একটি কাহিনীর অবতারণা করেছি।

যার মূলে রয়েছে এক পরিচিতের অবদান। একদিন এক নেমন্তন্ন বাড়িতে এক দাদা বলেছিলেন— ‘তন্ত্রের বিভিন্ন দেব-দেবী কে নিয়ে গল্প লেখা হচ্ছে, কিন্তু ধূমাবতী কে নিয়ে কিছুই লেখা হয় না।’ কথাটা বেশ গেঁথে গিয়েছিল মনে, তারপরেই লিখতে বসা এই উপন্যাস।
এই উপন্যাসে এসেছে গঙ্গারাম ডাকাত কে নিয়ে একটি পৌরাণিক কথা। চাকদহের প্রাচীন ইতিহাস ঘাঁটলে, এই গঙ্গারাম ডাকাতকে অনেকেই খুঁজে পাবেন। এই উপন্যাসে রয়েছে সেন রাজাদের সময়কালের কিছু ইতিহাস। যার সত্যতা কতটা আমার নিজেরও জানা নেই, কিন্তু বল্লাস সেনের তন্ত্র বিষয় আগ্রহ ছিল প্রগাঢ়। সেই আগ্রহ কে মাথায় রেখেই একটা গল্পকথা লিখেছি। এতে যদি কোনো অপরাধ হয় গুণীজনেরা আশা করি ক্ষমা করবেন।

ডঃ দীনেশচন্দ্র সরকার মহাশয়ের “পাল-সেন যুগের বংশানুচরিত গ্রন্থটি এবং শ্রী রজনীকান্ত চক্রবর্তী মহাশয়ের “গৌড়ের ইতিহাস” গ্রন্থটি, এই উপন্যাস লেখার জন্য প্রভূত সাহায্য করেছে।
এই উপন্যাস লেখার পেছনে কিছু মানুষের অবদানও প্রচুর। মাননীয় সাহিত্যিক অভীক সরকার, লেখক নীলাদ্রি মুখোপাধ্যায় এবং লেখক তমোঘ্ন নস্করের অবদানও অনস্বিকার্য। বেঙ্গল ট্রয়কা পাবলিকেশনের ঋণও প্রচুর, যাঁরা না থাকলে এই উপন্যাস পাঠকের হাতে পৌঁছতো না।

পাঠকই লেখকের অনুপ্রেরণা, পাঠকই লেখকের শক্তি তাই সেই পাঠকের প্রতি অনেক
শ্রদ্ধা জানিয়েই শুরু হোক এই উপন্যাস।
মনীষ মুখোপাধ্যায়
কলকাতা, ২০১৯

Dhumabotir Mandir pdf ধূমাবতীর মন্দির pdf

নদীয়া জেলার মফস্বলগুলোর মধ্যে চাকদহ অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। এমনিতে জেলার আর পাঁচটা মফস্বলের সঙ্গে এই এলাকার খুব একটা পার্থক্য না থাকলেও, জায়গাটির ইতিহাস অঞ্চলটির নামকরণ সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু মানুষের কৌতুহলের উদ্রেক করে বৈকি।

পুণ্যতোয়া গঙ্গা বয়ে চলেছে এই শহরের পাশ দিয়ে। বহুকাল পূর্বে সাহেবি আমলে, এই চাকদহের নদীর পাড়ে ছিল এক বৃহৎ মহাশ্মশান। বহু দূর দূর থেকে সেখানে আনা হত মৃতদেহ, তৎকালীন বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস ছিল যে ওই শ্মশানে মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ। চাকদহের এই মহাশ্মশানে পূজিত হতেন ভয়ানক দর্শন জাগ্রত শ্মশানকালী। শ্মশানকালীর পায়ে মৃতদেহ সঁপে দিয়ে মৃতের বাড়ির লোকজনেরা অনুভব করতেন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি।

পুরাণমতেও এই চাকদহকে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল বলে গণ্য করা হয়। পুরাণে লেখা আছে, ভগীরথ যখন তাঁর কঠোর তপস্যায় গঙ্গানদীকে মর্তে আনতে সক্ষম হন, তখন সেই আগমনকালে এই চাকদহের পুণ্য ভূমিতেই আটকে গিয়েছিল তাঁর রথের ঢাকা অর্থাৎ চক্র, সেই থেকে সৃষ্টি হয় দহের। সেই ‘চক্রদহ’ থেকেই নাম হল চাকদহ, তারপর লোকমুখে চাকদা।

এই চাকদহের সাড়ে পনেরো বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে প্রচুর গ্রাম। এরই মধ্যে একটি হল, ডুমুরদহ। ডুমুরদহের ইতিউতি বাস করে নানা সম্ভ্রান্ত পরিবার। ডুমুরদহ চাকদহ থেকে বেশ কিছুটা দূরে হলেও তা চাকদহেরই তফসিলভুক্ত। হিন্দু, মুসলিম সব জাতেরই মিলেমিশে সহাবস্থান এই স্থানে। গ্রাম না বলে মফস্বল গঞ্জ বলাই যেতে পারে জায়গাটাকে, কেননা দিন দিন উন্নয়নের জোয়ার লাগছে এখানেও। এই ডুমুরদহের সামনাসামনি সরাটি গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনে ডুমুরদহচরেই ঘটল ঘটনাটা।

গ্রীষ্মকালের সন্ধ্যার আলো ফুরোতে সেদিন আর খুব বেশি সময় বাকি নেই, দিনান্তে পাখির দল ফিরে যাচ্ছে যে যার বাসায়। নদীর দিক থেকে বইছে মিঠে হাওয়া, তাই প্রখর দাবদাহের পরেও সে হাওয়ার জন্য কষ্ট মালুম পড়ছে না। দিনমণি অস্তাচলে যাওয়ার এই সময়টায় শঙ্খে ফুঁ পড়ে ঘরে ঘরে।

Dhumabotir Mandir pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply