দৃষ্টিপাত pdf – যাযাবর Dristipat pdf : Zazabor

দৃষ্টিপাত pdf - যাযাবর Dristipat pdf : Zazabor
দৃষ্টিপাত pdf - যাযাবর Dristipat pdf : Zazabor

যাযাবর এর রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ব্রিটিশ স্বাধিকার নিয়ে ভারতীয়দের প্রত্যাশা ও দুশ্চিন্তা, কূটনীতি ও সমসাময়িক ঘটনা-পরম্পরা নিয়ে রচিত উপন্যাস Dristipat pdf দৃষ্টিপাত pdf পড়ুন ডাউনলোড করুন।

দৃষ্টিপাত pdf - যাযাবর Dristipat pdf : Zazabor
দৃষ্টিপাত pdf – যাযাবর Dristipat pdf : Zazabor

Dristipat pdf  ভূমিকা

দৃষ্টিপাত এমন একটি বিরল বই যা একই সাথে শিল্পোত্তীর্ণ ও জনপ্রিয়। যাযাবর তাঁর এই প্রথম বইটিতেই বাঙালি পাঠককে একটি অনাস্বাদিত জগৎ ও ভিন্নমাত্রিক গদ্যশৈলী উপহার দিয়েছেন। দৃষ্টিপাত একটি পত্রাবলি সংকলন কিন্তু এটি একটি সার্থক উপন্যাসের মতো মনোরম, চৌকশ রিপোর্টিং-এর মতো আকর্ষক এবং রোমাঞ্চকর, ডিটেকটিভ গল্পের মতো দ্রুত ও সুখপাঠ্য। তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণলব্ধ সুচিন্তিত সরস মন্তব্য এই বইটির প্রাণ। বইটির গদ্য মার্জিত ও ধারালো।

এবং কালরাত্রি pdf – মনোজ সেন Ebong Kaloratri pdf – Monoj Sen

দৃষ্টিপাত (১৯৪৭, জানুয়ারি) বইটির সূচনায় যে সংকলয়িতার নিবেদন আছে— তা নাটকীয় এবং অভিনব। এটি কেবল বিক্রয়কৌশলই ছিল না বরং আত্মরক্ষাকৌশলও ছিল। ধারাবাহিকভাবে এই লেখাটি বের হয়েছিল মাসিক বসুমতীতে ১৯৪৬ সাল থেকে। পরাধীন দেশে স্বাধীন মন্তব্যে ভরপুর একটি বইকে রাজরোষ থেকে বাঁচাতে এই কৌশলের প্রয়োজন ছিল। পরে যখন দৃষ্টিপাত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমকালীন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে ১৯৫০ সালে সম্মানজনক ‘নরসিংহ দাশ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়— তখন ছদ্মনাম ও মৃতব্যক্তির ছদ্মবেশের আড়ালে থাকা লেখক বিনয় মুখোপাধ্যায়-এর আসল পরিচয় প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
বিনয় মুখোপাধ্যায় ১৯৪৬-১৯৮৩– এই ৩৮ বছরে লিখেছিলেন ছয়টি বই। সেগুলো হচ্ছে যথাক্রমে দৃষ্টিপাত (পত্রাবলির সংকলন), জনান্তিক (উপন্যাস, ১৯৫২), ঝিলম নদীর তীরে (কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ১৯৫৪), লঘুকরণ (নিবন্ধ সংগ্রহ, ১৯৬৪), হ্রস্ব ও দীর্ঘ (গল্পগ্রন্থ, ১৯৭৩), যখন বৃষ্টি নামল (গল্পগ্রন্থ, ১৯৮৩)।

বইগুলোর বিষয়বৈচিত্র্য ও প্রত্যেকটি বইয়ের প্রকাশকালের ব্যবধান লক্ষ করলে বোঝা যায় বিনয় মুখোপাধ্যায় অত্যন্ত পাঠকপ্রিয় লেখক হলেও পাঠকের চাহিদা ও বাজার বিবেচনা করে কখনও লেখেননি। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রচলিত জনপ্রিয় লেখকদের ধারার বাইরের।
১৯৪২-৪৩ সালের দিল্লি জীবন্তভাবে উঠে এসেছে লেখকের বর্ণনায়। দিল্লির রাজনীতি, সমাজ, অবকাঠামো প্রায় সবকিছুইর যথার্থ বিবরণ আছে :

“সাড়ে ন’টা থেকে শুরু হয় আপিস অভিযান। প্রথম চাপরাশি দল। গায়ে খাকি রঙের উর্দি, মাথায় পাগড়ি ও কটিতে লাল সর্পাকৃতি তিন-চার ফেরতা কোমরবন্ধ। চাপরাশিদের পরে যায় কেরানি, এ্যাসিস্ট্যান্ট ও সুপারিন্টেন্ডেন্টরা। সাইকেল, সাইকেল, সাইকেলের পর সাইকেল। ঠিক যেন একটা সাইকেলের প্রসেশন। … সাড়ে দশটার মধ্যে গোটা শহরটার সমস্ত পুরুষ নিষ্ক্রান্ত হল পথে। সব পথেরই একই লক্ষ্য— সেক্রেটারিয়েট। বাবু পালাল, পাড়া জুড়াল, গিন্নি এল পাটে।”
“নয়াদিল্লি শহরটা সৃষ্টি হয়েছে সরকারি প্রয়োজনে, কপালে তার জয়পত্র আঁটা, *অন হিজ ম্যাজেস্টিস সার্ভিস’।

“আতিশয্যের দ্বারা অত্যন্ত ভালো জিনিসকেও যে কতখানি হাস্যকর করে তোলা যায় তার দৃষ্টান্ত আছে নয়াদিল্লির নগরপরিকল্পনায়। ইউনিফর্মিটির বাতিকে পাওয়া স্থপতিরা শহরটাকে শ্রী দিতে গিয়ে ছাঁচ দিয়েছেন, বাড়ি দিতে গিয়ে ব্যারাক। বৈচিত্র্যের মধ্যে মূলগত ঐক্য প্রকাশ করার নাম সৃষ্টি। গজ, ফুট, বা ইঞ্চি মিলিয়ে সামঞ্জস্য বিধানের নাম নকলনবিশি। প্রথমটা যিনি করেন তাঁকে বলি ব্ৰহ্মা, দ্বিতীয়টা যিনি করেন তাঁর নাম বিশ্বকর্মা। প্রথমটার মধ্যে আছে আর্ট, পরেরটার মধ্যে আছে ক্র্যাফট।”

দৃষ্টিপাত বইটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। ইতিহাসের এক যুগসন্ধিক্ষণের আভাস পাওয়া যায় এই বইয়ে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যখন ব্রিটেনের একের পর এক সামরিক পরাজয় ঘটছিল ও কলোনিগুলো হস্তচ্যুত হচ্ছিল ক্রমান্বয়ে, সে-সময় ভারতবর্ষের স্বাধিকার আন্দোলন আন্তর্জাতিক নেতৃবর্গের সহানুভূতি ও সমর্থন লাভ করে। একপর্যায়ে প্রায় বাধ্য হয়ে স্বাধীনতাকামী ভারতবর্ষের প্রতি কঠোর প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ব্রিটেন ও ভারতবর্ষের বিরোধ নিরসন এবং ভারতবর্ষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সমস্যা সম্পর্কে একটি ন্যায়সঙ্গত ও চূড়ান্ত মীমাংসা করার লক্ষ্যে ভারতীয় নেতাদের সম্মতি সংগ্রহের জন্য মন্ত্রিসভার একটি প্রস্তাব ভারতে পাঠান। আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিটি ছিলেন ওয়ার ক্যাবিনেটের সদস্য, ভারতবর্ষের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস। দৃষ্টিপাত-এর ‘সংকলয়িতার নিবেদন’ থেকে আমরা জানতে পারি এ বই-এর লেখক বিলেতে ব্যারিস্টারিতে অধ্যয়নরত একজন বাঙালি ছাত্র।

মুক্ত বাতাসের খোঁজে pdf – আসিফ আদনান Mukto Batasher Khoje pdf by Asif Adnan

ক্রিপসের আলোচনার প্রাক্কালে বিলেতের একটি প্রাদেশিক পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে তিনি দিল্লিতে আসেন। কাজেই দৃষ্টিপাত বইটির প্রধান পটভূমি হচ্ছে এই ক্রিপস-এর মিশন। এর পাশাপাশি অন্যান্য শাখা-কাহিনী, মন্তব্য, বিশ্লেষণ, ভ্রমণবৃত্তান্ত নিয়েই পুরো বইটি লিখিত হয়েছে।
যে কুশলতার সাথে তিনি তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ব্রিটিশ স্বাধিকার নিয়ে ভারতীয়দের প্রত্যাশা ও দুশ্চিন্তা, কূটনীতি ও সমসাময়িক ঘটনা-পরম্পরা বর্ণনা প্রকোষ্ঠটি রহস্যময়। এটি এমন অবচেতন দোষ কিংবা গুণ ধারণ করে— যার সম্বন্ধে ওই ব্যক্তি বা অন্যদের ন্যূনতম ধারণা নেই।

হয়তো আধারকারের চরিত্রে এমন কোনো ব্যর্থতা ছিল— যা সুনন্দাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল কিন্তু যা ছিল স্বয়ং আধারকারের বুদ্ধির অগম্য। সুনন্দা প্রসঙ্গে এসে আমাদের সংযত লেখক স্বয়ং ক্ষিপ্ত হয়ে নারীজাতির হৃদয়হীনতা সম্পর্কে চোখাচোখা মন্তব্য করেছেন, যা বেশ পাঠকপ্রিয়তা বা পুরুষপ্রিয়তা লাভ করেছিল। কিন্তু এ আসলে ব্যক্তির হৃদয়হীনতা কিংবা দুজনের সম্পর্কের রহস্যময়তা— যার জন্য কোনো জাতিকে দায়ী করা ঠিক নয়।

হাঁদা ভোঁদা সমগ্র pdf – নারায়ণ দেবনাথ Hada Vhoder Somogro pdf – Narayan Debnath

একটি ইউরোপীয় রূপকথাতে বর্ণিত হয়েছিল এক অত্যাশ্চর্য রূপক কাহিনী । এক রাজা মৃগয়াতে বের হবার পর পথে খুব সাধারণ এক তরুণীর দেখা পান এবং রাজা তার প্রেমে পড়েন। তিনি তাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন রাজপ্রাসাদে, বিয়ে করবেন বলে। তরুণী রাজপ্রাসাদে এসে সম্ভবত ভয়ে ও মানসিক আতঙ্কে মারা যায় । কিন্তু কী আশ্চর্য, রাজা সংকল্পচ্যুত হন না। বিয়ে করে বসেন ওই মৃত মেয়েটিকেই। সারা রাজ্য ঘৃণা ও ধিক্কারধ্বনিতে ভরে ওঠে। শবদেহের হাতে ছিল একটি আংটি। সেই আংটি হস্তগত করেন রাজার এক সভাসদ। এর পরপরই হঠাৎ করেই রাজা ঘৃণাভরে মৃতদেহের কাছ থেকে দূরে সরে আসেন এবং সেটি সৎকার করার নির্দেশ দেন । তারপর অনুসরণ করেন আংটি -পরিহিত ওই সভাসদকে।

সভাসদটি মান ও প্রাণভয়ে রাজপ্রাসাদ থেকে পালায়। পালিয়ে এসে পৌঁছয় এক দিঘির কাছে। রাজাও তার পিছু নিয়ে পৌঁছান দিঘির পারে। সভাসদের আংটিটি অসাবধানে দিঘির পানিতে পড়ে যায়। রাজা সভাসদকে উপেক্ষা করে ওই দিঘির পানিতে নেমে পড়েন— পদ্মফুলের অনিন্দ্য ঝাড় ছিল সেখানে। কলুষিত রাজা শেষপর্যন্ত সৌন্দর্যের পায়ের কাছে এসে সুন্দরের প্রেমে শুদ্ধ হয়ে আত্মাহুতি দেন।
এখন প্রেম যদি হয় সেই আংটি, তার ধারক বা বাহক এখানে হতে পারে অতি তুচ্ছ, বা অতি উচ্চ— এতে সেই আংটির মূল্যে হেরফের হয় না।

কিন্তু আধারকার শুধু আংটির ধারককে নয়, আংটিটিকেও ঘৃণা করতে শুরু করেন— যার পরিণতিতে তিনি চির-একাকিত্ব বেছে নেন।
যার বর্তমান আছে, অতীত বা ভবিষ্যৎ নাই— তিনি সাম্প্রতিক। যার অতীত আছে, কিন্তু বর্তমানকে যিনি ধারণ করতে পারেন না, তিনি সেকেলে। যিনি অতীত বর্তমান দুটোকেই মূল্য দেন তিনি আধুনিক। যিনি ভবিষ্যৎকালেও আধুনিক তিনি চিরায়ত। দৃষ্টিপাতে চিরায়ত কালের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

নাহিদ আহসান

Dristipat pdf দৃষ্টিপাত pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply