দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Duhkhini Barnamala Maa Amar pdf – Atin Bandyopadhyay

দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Duhkhini Barnamala Maa Amar pdf - Atin Bandyopadhyay
দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Duhkhini Barnamala Maa Amar pdf - Atin Bandyopadhyay

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় সমকালীন উপন্যাস Duhkhini Barnamala Maa Amar pdf দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার pdf ডাউনলোড করুন ও দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার pdf পড়ুন।

দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Duhkhini Barnamala Maa Amar pdf - Atin Bandyopadhyay
দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়

Duhkhini Barnamala Maa Amar pdf দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার pdf নমুনাঃ

সে দাড়িয়েছিল। ওর ছায়াটা লম্বা হয়ে জলে ভাসছে। ছায়াটা আরও লম্বা হবে। যতক্ষণ না রেল-স্টেশনের পেছনে হাজিদের বড় পাটগুদামের ওপাশে সূর্য অস্ত যাবে ততক্ষণ এই ছায়া ক্রমশঃ লম্বা হবে। ওর মনে হয়, একসময় ছায়াটা এত লম্বা হয়ে যাবে যে সে চার পাশের সব গাছপালার সঙ্গে, ছায়ার সঙ্গে, সাঁতরে নদীর ওপারে চলে যেতে পারবে। পিছনে সেই পাটগুদাম। এবং কিছু কলের চিমনি। আর আশে পাশে সব ছোট-বড় নৌকা। গাদাবোট। কিছু ভাঙা নৌকা কিনারে জলে নৌকা ডুবিয়ে রেখেছিল, তাদের উঠেছে। বোদ্দুরে কাঠ ফাটছে।

কোষা নৌকা, গয়না নৌকা,
জল নেমে গেছে বলে যারা
নৌকা জলের উপর ভেসে

সে ঠিক জেটির উপর দাঁড়িয়ে নেই। কিছুটা আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। চারপাশে অজস্র খুঁটি। নদীর পাড় ভাঙার জন্য এখানে এই খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে। নদীর ওপারে বন্দর। ওপার থেকেই তিনজন লোক আসবে, চিঠিতে এমন লিখেছে কামাল। নৌকাটা ঘাসি নৌকার মতো দেখতে হবে। ছোট আকারের নৌকার পাটাতনে একটা সবুজ রঙের বাদাম থাকবে।

নৌকায় ছই থাকবে। দরমার ছই।

হাঁদা ভোঁদা সমগ্র pdf – নারায়ণ দেবনাথ Hada Vhoder Somogro pdf – Narayan Debnath

কাঁচা বাঁশের চাঁচড়ায় তৈরি। নৌকার তিন নম্বর গুড়াতে পাল পুঁতে দেবার ব্যবস্থা থাকবে। দুটো বৈঠা, একটা লগি, গুণ টানার জন্য লাল রঙের দড়ি।

শহর থেকে সব মানুষেরা গ্রামের দিক সরে পড়ছে বলে, হুড়মুড করে নৌকা ভিড়ছে, লটবহর তুলে নিচ্ছে এবং মেয়েরা শিশুরা সব উঠে গেলে সব নৌকা ওপারে চলে যাচ্ছে। সে একা একটা কাঠের সিঁড়িতে নদীর চরে দাড়িয়ে সব মিলিয়ে নেবার চেষ্টা করছে। দুটো একটা মিলে গেলেও সবটা মিলে যাচ্ছে না। ওর ছায়াটা সেজন্য লম্বা হয়ে যাচ্ছে; এবং পাটগুদামের ওপাশে সূর্য হেলে পড়তেই নদীর ওপরে আর রোদ থাকল না। সব ছায়া—গাছের অথবা পাখির, সব ছায়া—মানুষের অথবা খুঁটির, নিমেষে নদীর জলে হারিয়ে গেল।

সমসের চশমাটা খুলে একবার কমালে কাঁচ মুছে নিল। ওর যেমন অভ্যাস, চশমাটা নাকে দেবার সময় একটু ঠেলে দেয় এবং কানের দুপাশ থেকে চুল সরিয়ে আলগা ভাবে রেখে দেয়, এখনও তেমনি রাখল। এতটুকু সে উদ্বিগ্ন নয়। দেখলে মনে হয় ওর আত্মীয়-স্বজন আসার কথা স্টীমারে, সেজন্য সে এখানে একা বসে দাঁতে ঘাস-বিচালি চিবুচ্ছে।

এভাবে বসে থাকলে শত্রুপক্ষ তাকে সন্দেহ করতে পারে। পিছনে বড় রাস্তা। ট্রাক-বাসগুলো সে চলে যেতে দেখল। বড় বড় বাড়ি। সব খান সাহেবদের। সে হেলমেটধারী কিছু সৈনিককে বাড়িগুলো পাহারা দিতে দেখে এসেছে। চারপাশে এর তাকালেই মনে হয়, এবার ওপারের গাছপালার দিকে তাকালেই মনে হয় সে এবং অন্যসব মানুষের ডাক এসেছে— আমাদের বড় মাঠে যেতে হবে। আর দেরি করলে চলবে না। সময় হয়ে গেছে। সে উঠে দাঁড়াল৷
ওরা কোথায় যেন যাচ্ছে।

সে যতটা ভাবছিল মুখের রেখাতে কোন দুশ্চিন্তার ছাপ রাখবে না, যেন তার মেমান আসার কথা, মেমান আসবে বলে বসে আছে এমন মুখ করে, কিন্তু করে রাখতে পারছে না। ঘাসি নৌকা না এলে সে যে কি করে! এই সময়ে কাঠের বাক্সটা তুলে না দিতে পারলে ওরা রাতারাতি শহর ছেড়ে শীতলক্ষ্যার জলে ভাসতে পারবে না। রাতে রাতে ওদের এটা পঞ্চমীঘাটে পৌঁছে দেবার কথা। সে যে কি করে!
সে একটু জলের কাছে নেমে গেল।

একদিন জ্যোৎস্নাভাঙ্গা রাতে pdf – সুমন্ত আসলাম Ekdin Jostnabhanga Rate pdf – Shumonto Aslam

একটা বালির চর। সেখানে কিছু জলজ কাদামাটি। ডানদিকে শুধু ঘাসের শুকনো জমি। সে ভাঙা নৌকা, শ্যাওলা ধরা খুঁটি, রোদে পড়া মাঠ-ঘাট ভেঙে চরের কাছে এসে দাড়াল। তারপর একটা উপুড় করা কোষা নৌকার পেটে পা দিয়ে দাঁড়াল। এখান থেকে সে ওপারের মানুষজন এবং তাদের চলাফেরা দেখার চেষ্টা করছে। জায়গাটাতে পুরনো গাব পচানো জলের গন্ধ। এখানে সারি সারি নৌকা সব উল্টে রাখা হয়েছে। নৌকাগুলোতে বর্ষার আগে গাবের কষ নাওয়াতে হবে। কষ খেলে কাঠ শক্ত থাকে। জলে পচে যায় না জলে পচে যায় না।

গেলে আলকাতরার পলাস্তারা দিতে হয়। নৌকাগুলোর বয়েস হয়ে অথবা এও হতে পারে, মানুষেরা টের পেয়ে গেছে, এবারে বর্ষায় সরু নৌকা ওদের কাছে যুদ্ধ জাহাজ হয়ে যাবে।

দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply