ইহজন্ম pdf এমন একটি উপাখ্যান যেখানে আমেরিকান এক মধ্য বয়সী নারীর জীবন সংগ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের পটভূমি আমেরকিা হলেও এদেশের অনেক সংগ্রামী নারী তার জীবন আলেখ্য খুঁজে পাবে এ উপন্যাসে। নবনীতা দেব সেন ইহজন্ম pdf উপন্যাসে সংগ্রামী জীবনের এক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন।
ইহজন্ম pdf নমুনাঃ
আজ আমার বান্ধবী হান্না অরেনস্টাইনের উপনয়ন হচ্ছে—সেপুলভেডা আর মন্টানার মোড়ে ওই ছোট লুথারাম চার্চটাতে। ওটাকে ওরা ইহুদি মন্দির হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়—ইহুদিদের প্রার্থনা সভা বসে শনিবারে শনিবারে। শনিবার দিনে অবশ্য ওখানে আরও একটা সভা বসে — অন্য এক প্রার্থনার সভা—সেটাতে অনেকদিন যোগ দিয়েছি আমরা। ইন্দ্রর জন্য। অ্যালকোহলিক অ্যাননিমাস সভ্যদের প্রার্থনা সভা—নেশা থেকে মুক্তির উপায় প্রার্থনা। ইহজন্ম pdf
এই প্রার্থনাতে যে হাতে হাতে ফল মেলে, ইন্দ্র তার প্রমাণ। ওর নতুন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স মিলেছে—গতবার ওটা কেড়ে নেবার পরে তিন বছর গাড়ি স্পর্শ করেনি। আমিই ছিলুম একমাত্র চালক। এখন ইন্দ্র একদম অন্য মানুষ। গাড়ি চালাচ্ছে, ছবিও আঁকছে। ছবির ধরনটা অবশ্য একেবারেই পালটে গিয়েছে—আগের মতো প্রচণ্ড জীবনীশক্তি এখনকার এই রং ব্যবহারে দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু শিল্পীদের তো স্টাইল হামেশাই পালটে যায়। ইন্দ্ররই তো কতবার আঁকার ধরন বদল হল এদেশে আসার পরে।
নেশা ছাড়বার পরে ইন্দ্র প্রথম প্রথম একটু ভগ্নহৃদয়, ভগ্নদশাগ্রস্ত হয়েছিল, তুলি ধরত না। বইও পড়তে চাইত না। কেবলই টিভি দেখত বসে বসে। আর সিগারেটটা বেড়ে গিয়েছিল খুব। ইহজন্ম pdf
এখন বলতে নেই, বেশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে ইন্দ্র। ছবি আঁকছে, সিগারেট খাওয়া অনেক কমেছে—আঁকার সময়ে তো কক্ষনো সিগারেট খেত না ও। এখন আবার সেই অভ্যেসটা ফিরে এসেছে। যখন কাজ করে তখন সিগারেট ছোঁয় না। ইন্দ্র আবার তুলি ধরেছে এবং স্টিয়ারিংও —এতে আমার যে কত আনন্দ হচ্ছে, আমি বলে বোঝাতে পারব না কাউকে। যেমন, ও যখন মদে ডুবে গিয়েছিল, তখন কত কষ্ট হত আমার, সেটাও অন্য কোনও মানুষের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব ছিল না। ইন্দ্রর মা-ই শুধু বুঝতেন। কিন্তু তিনি নিজে তো সে-যন্ত্রণা সহ্য করতে পারলেন না। চলে গেলেন সব কিছুর বাইরে।
আমার ধারণা ওদের পরিবারে এই মানসিক ভারসাম্যের অভাব ব্যাপারটা খানিকটা জন্মগত, রক্তে চারিয়ে-যাওয়া রোগ। মায়ের যেটা হল আটাত্তর পেরিয়ে, ইন্দ্রেরও সেটাই দেখা দিয়েছিল, মত্ততার বেশে। এবং আমার ননদকে ওঁরা যে বলতেন প্রসূতি-পাগল, আমি এখন মনে করি সেটাও এই পুরুষানুক্রমিক একটা অসুখেরই লক্ষণ। সে বেচারি তো সুস্থ হলই না, সুস্থ করে তোলার সুযোগও দিল না কাউকে। তা মৃত্যুটা সবাই মানসিক বিষাদ-জনিত আত্মহত্যা বলে ধরে নিলেও, আমার বিশ্বাস সময়মতো বিষাদের চিকিৎসা করলেই ওকে বাঁচানো যেত। ওর বিষাদ আসলে অসুখ ছিল। কখনও চিকিৎসা হয়নি। যে চিকিৎসা ইন্দ্রর মা উনসত্তর বছর বয়েসে পেলেন, কেন না আমি তখন মতামত দেবার অধিকারী হয়েছি। মা বলেন, ললিতা সেটা পেল না—কেন না কেউ ছিল না ওর জন্যে করবার।
নবনীতা দেব সেন এর pdf book ইহজন্ম pdf download করুন এখান থেকে।
ডাউনলোড লিংকে কোন সমস্যা হলে বা ডাউনলোড লিংক ডেড হলে ফেসবুক পেজে (https://facebook.com/boierpathshala.official) মেসেজ করুন। লিংক আপডেট করে দেব।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.