একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Ekti Jaler Rekha O Ora Tinjan pdf – Atin Bandyopadhyay

একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Ekti Jaler Rekha O Ora Tinjan pdf - Atin Bandyopadhyay
একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Ekti Jaler Rekha O Ora Tinjan pdf - Atin Bandyopadhyay

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় এর পশ্চিমবঙ্গের রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার বই Ekti Jaler Rekha O Ora Tinjan pdf একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf ডাউনলোড করুন।

একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Ekti Jaler Rekha O Ora Tinjan pdf - Atin Bandyopadhyay
একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়

Ekti Jaler Rekha O Ora Tinjan pdf একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf কাহিনিঃ

তিন কিশোরের দুঃসাহসিক শিকার অভিযানকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস রচিত। এতে আছে এক অন্যভুবনের কথা, অথবা বলা যায় লেখকের কালজয়ী উপন্যাস ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’ রচনার প্রস্তুতিপর্ব। সেই এক অত্যাশ্চর্য পৃথিবী যেখানে গাছপালা নদী আবহমানকালের। ভরা বর্ষায় নদীর প্লাবনে মাঠ ঘাট খাল বিল জলে জলময়। জ্যোৎস্নারাতে মাহু শিকারীরা বের হয়ে পড়ে অতিকায় মীনের খোঁজে।

হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf – দীপঙ্কর বিশ্বাস Hasir Barota pdf – Dipankar Biswas

কিংবদন্তির মতো শোনা সেই সব শিকার কাহিনীতে প্রলুব্ধ হয় তিন কিশোর। ভরা কোটালে নদী উত্তাল – জলের গভীরে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ঢাইন মাছ উঠে সেই আসে মোহনা থেকে। নদীর অতলে মাছেররাজা পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় – মাছের রাজার খোঁজে তিন কিশোরের বিস্ময়কর শিকার অভিযানের এই কাহিনীতে আছে মাছের সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর লড়াই, আছে দিগন্তবেলায় সেই আহত মীনের দুয়ে দাপাদাপি। সৃষ্টি স্থিতির কিছু সূক্ষ্ম অনুভূতিমালাসহ আছে প্রাণীজগতের সঙ্গে মানুষের নিগূঢ় সম্পর্কের কথা। সবশেষে আছে সম্পূর্ণ নতুন স্বাদের নতুন ভুবনের রহস্যময় উপস্থিতি।

একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf নমুনাঃ

শালিখের গায়ের রং দেখে ওরা বুঝতে পারল ক্ষেতের আলে ধানগাছের ছায়া এবার হেলে পড়বে। সুতরাং রওনা হতে হয়। চুপি চুপি ওরা তিনজনই ঘাটের মুখে এসে দাড়িয়েছে। কোষা নৌকাটা গাবগাছের গুড়িতে বাঁধা। লম্বা দড়ি দিয়ে ভুলুই ভোরে বেঁধে রেখেছিল নৌকাটা। গাবগাছের অন্য ডালটায় দু-তিনটে বেতের আকশি। ওরা সন্তর্পণে মাথা নীচু করে আকশিগুলো অতিক্রম করল। তখন গাঁয়ের পালক- ওঠা কাকটা গাবগাছ থেকে উড়ে দক্ষিণের বাড়ির ডালিমগাছটায় গিয়ে বসল। তিনজনের একজন ভাবল দক্ষিণের বাড়ির ডালিমগাছটায় নিশ্চয়ই ডালিম পেকেছে।

অন্তর্গত খেলা pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Antargata Khela pdf – Atin Bandyopadhyay

এখন বর্ষাকাল। বাড়ির ঘাটে জল, উঠোনে জল। সামনে পিছনে যেদিকে চাওয়া যায় সবদিকে জল। ঘাটের দুপাশে দুটো বেঙের ঝোপ। ঘাট পার হলে খাল। খালটা দক্ষিণের বাড়ির ঘাট ছুঁয়ে সেনেদের বাড়ি বাঁয়ে রেখে মাঠে গিয়ে পড়েছে। আমগাছ, গাবগাছ, সজনেগাছের ছায়ায় ছায়ায় খাল । খালের জল কালো। মতো জলের রঙ। ঘাটের জল কিন্তু টলটলে পরিষ্কার। অগভীর। সেজন্যই ওরা তিনজন জলের নীচে মাটি দেখতে পাচ্ছে। ট্যাংরা মাছ, পুঁটি মাছ দেখতে পেল জলে। ওদের পায়ের শব্দে মাছগুলো শ্যাওলার নীচে অদৃশ্য হয়ে গেল।

জামফলের জল এখানে কোষা নৌকার গলুই-পিছু কিছু নেই। কিন্তু ওদের কাছে নৌকাটা খুবই আদরের, সোহাগের। গলুই, পাছা ওরা নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছে। ভুলু গলুইয়ের ওপর জল ঢেলে বলল, বিশকরম। তিনবার গলুইতে হাত ঠেকিয়ে কপালে হাত ঠেকাল ভুলু। হারাণের কাছ থেকে এক এক করে তিনটে বৈঠা নিয়ে কোষার পাটাতনে রাখল । বলল, বালিশ এনেছিস হারাণ ? দুটো বালিশ হলে ভালো হত রে । কোনরকমে তিনজনে ভাগাভাগি করে শোওয়া যেত ।

– বালিশ। হারাণ নাক ভোষক, জাজিম, বদরীছ কো।
কুঁচকাল। চোখ উল্টাল। – বল না পিছনের দিকে ঘাড় ফেরাল হারাণ।
নারাণকে অন্যমনস্ক হতে দেখে সে হাসল। ভুলুর খুড়তুতো বোন জানালায় বসে। দাদারা সকাল না হতেই নৌকা নিয়ে কোথায় পালাচ্ছে। সে যেতে পারছে না। দাদাদের সঙ্গে যেতে পারলে দারুণ মজা হত। মুখ গোমড়া করে জানালায় বসে আছে।

হেনা খুব রোগা আর পাণ্ডুর । চোখ দুটো মাকড়সার জালের মতো ঘোলা। অনেকদিন ধরে অসুখে ভুগছে। শরীর ভালো থাকলে হেনা এই ঘাটে এসে দাঁড়াত। ফ্রকের নীচ থেকে ছুটে। লটকনের থোকা চুপি চুপি ভুলুর হাতে তুলে দিত আর বলত অনেক কথা। মা.. মাসির মতো সাবধান করে দিত তাদের।

ভুলু নৌকায় উঠতেই জলে ঢেউ উঠল। ঢেউগুলো দক্ষিণের বাড়ির ঘাটে গিয়ে একটার পর একটা মিশে যাচ্ছে। গলুইয়ে হাত বাড়িয়ে নারাণের কাছ থেকে দুটো বড় কৌটা নিল। দুটো থালা নিল । আরশোলার কৌটাটা কানের কাছে ঝাঁকিয়ে বলল, তিনদিন চলবে তো? – চলবে না! ওর বাবা চলবে।
—গতবার যাব বলে ছ-কৌটা আরশোলা ধরেছিলাম। কিন্তু শেষে আর যাওয়া হল না । কাকার কাছে ধরা পড়ে গেলাম। হেনা গতবার সারাদিন তক্তপোষের নীচে বসেছিল আরশোলা ধরবার জন্য । এবার ত ওর অসুখ, কিছুই করতে পারল না। ভুলু নারাণের হাত থেকে দা নেবার সময় কথাগুলো বলে আফসোস করছিল।

শ্রেষ্ঠ গল্প pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Shreshtha Galpo pdf – Achintya Kumar Sengupta

নারাণ নৌকায় ওঠার সময় বলল, তোর ঠাকুমা, কাকীমা কেউ ভাল নয়। গতবার ভোর ঠাকুমা, কাকীমাই তো আমাদের যেতে দিলে না।
ভুলু চুপ করে থাকল। গাবগাছের গুঁড়ি থেকে সে এখন দড়ির গি খুলছে। সে যেন কিছু ভাবছে। নারাণের কথাবার্তার মাথামুণ্ড নেই। যা মুখে আসে তাই বলে । আমার ঠাকুমা খারাপ ভাল তোর কি রে! কিন্তু কাকীমা সম্বন্ধে সে কিছু ভাবতে পারল না।

Ekti Jaler Rekha O Ora Tinjan pdf একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন pdf ডাউনলোড লিংক

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply