
বাণী বসুর Ekushe Pa pdf একুশে পা pdf ডাউনলোড করুন ও Ekushe Pa pdf একুশে পা pdf পড়ুন।

Ekushe Pa pdf একুশে পা pdf কাহিনিঃ
কাহিনী উজ্জয়িনীর, এ- কাহিনী ইমনের। এ – কাহিনী মিঠু চৌধুরীর, – কাহিনী রাজেশ্বরীর। এ – কাহিনী ঋতুর, এ – কাহিনী। বিষ্ণুপ্রিয়ার। এ – কাহিনী তন্ময়ের, এ – কাহিনী ভেঙ্কটেশের। এ – কাহিনী গৌতমের, এ – কাহিনী অণুকার। এ – কাহিনী এদের প্রত্যেকের, এবং এদের মতো আরও অনেকের। একটি বিশেষ কলেজের নয়, যে- কোনও কলেজের। স্নাতক স্তরে তিন বছরের পাঠক্রমে পড়তে- আসা একঝাঁক ছেলেমেয়ের, যারা আঠারোতে আসে, একুশে পা পড়তে না পড়তে ছড়িয়ে যায় মহাজীবনের মুক্তপথে। এ-উপন্যাস সেইরকমই কিছু ছেলেমেয়ের কলেজীবনের কাহিনী।
শুধুই কলেজজীবনের নয়। কলেজজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক যে- জীবন, একইসঙ্গে সেই জীবনের নানা কাহিনীকেও টুকরো-টুকরো ফ্রেমে সাজিয়ে দিয়েছেন সম্পন্ন লেখিকা। যেমন বিচিত্র, তেমন কৌতূহলকর সেই কাহিনীগুচ্ছ। সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন ধরনের ছাত্রছাত্রী ভিড় করে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। প্রত্যেকের মানসিকতা আলাদা, আশা- আকাঙক্ষা, দুঃখ-সুখ, স্বপ্ন-প্রত্যাশা, রুচি- পরিবেশ ভিন্ন। তবু সেই। সম্মিলিত জীবনের যে- ঐকতান, তাকেই অসাধারণ দক্ষতায় এ- উপন্যাসে ধরেছেন বাণী বসু।
Ekushe Pa pdf একুশে পা pdf রিভিউঃ
সুন্দর একটি উপন্যাস পড়ে শেষ করলাম। উপন্যাস খানা বেশ ভালো লাগলো।সদ্য কলেজে পা দেয়া একঝাঁক তরুণ তরুণীর গল্প। তাদের জীবনের ভালো মন্দ নিয়ে উপন্যাস টা লেখা।কিছু কিছু জায়গায় তাদের পরিবার কেও তুলে ধরা হয়েছে। আমার বেশ ভালো লেগেছে উপন্যাস টা।
Ekushe Pa pdf একুশে পা pdf নমুনাঃ
মেয়েটি নেপালি নয়। খাসিয়া। শিলং থেকে ও পড়তে এসেছে এখানে। কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ছে। জলি দেবী, এই ভাবে ও নিজের নাম বলে । থার্ড ইয়ার সবে আরম্ভ হয়েছে। এসে যোগ দিয়েছে। এখনও পরীক্ষার ফলাফল বেরোয়নি৷
জলি দেবী এততা চুপচাপ যে ইমনকেই কথা বলতে হয়, বি. এসসির পর কী করবে? “টীচার্স ট্রেনিং নেবো। এম. এসসি পড়বে না? না পড়তে বালো লাগে না। আই’ল বী অ টীচার ইন দ্য লোক্যাল স্কুল। ‘বাস? ‘নো। বাস ননা। আই’ল ম্যারি, গাল দুটো লাল করে খুব খুশির হাসি হেসে জলি দেবী বলল, ‘অ্যান্ড য়ু?
‘আমার অনেক কিছু করার আছে।’ ইমন আস্তে আস্তে বলল। ‘জানে। তুমি ক্যালো। ইমন হাসল। যদি খেলা দিয়েই তার অনেক কিছুর ব্যাখ্যা হয়ে যায় তো ভালোই। সে নিজেই কি জানে এই অনেক কিছু ঠিক কী কী? জানে না। কিন্তু জলির মতো অত সহজে তার পথ শেষ হবে না, এটুকু সে জানে। এবং পথে অনেক চড়াই- উত্রাই থাকবে। এবং তাকে খুব মন দিয়ে পথ চলতে হবে। এবং একা। সে একা। জলি চলে গেলে সে একটা ইনল্যান্ড লেটার নিয়ে বসল।
মাকে একটা চিঠি লেখা যাক। এক দিনেই অবশ্য সে চিঠিটা শেষ করতে চায় না। দু-তিন দিন ধরে লিখবে। বেশ হপ্তাখানেকের অভিজ্ঞতা থাকবে চিঠির পাতায়। মায়ের সঙ্গে কথা বলবে। মুখেও যেমন সে বেশি কথা বলতে পারে না, চিঠিতেও তেমনি। আজকের পুরো দিনটা সম্পর্কে তাই সে শুধু লিখতে পারল “কলেজটাতে বিরাট বিরাট রাজবাড়ির মতো দরজা। ক্লাস একটা ঘরে হয় না । হোস্টেল ভালো। কারো কারো সঙ্গে আলাপ হয়েছে।’
অভি ধানাই-পানাই pdf – হিমানীশ গোস্বামী Ovi Dhanai-Panai pdf by Himanish Goshwami
এইটুকু লিখে সে তার ডট কলমটা খটাস করে বন্ধ করে দিল। তার কি এই প্রথম চিঠি লেখা ? বোধ হয়। বাইরের কথা কিছু লেখা হল। ভেতরের কথা নয়। চারদিক ছেয়ে থাকা এই একাকিত্বর কথা লিখলে মা মুষড়ে পড়বে। অথচ চিঠিটা পড়ে মায়ের সহজাত বোধে বুঝতে পারবে যে ইমন সব কথা লেখেনি। মায়ের মাথায় ভেতরে অত কাজের মধ্যে একটা ছোট্ট দুশ্চিন্তা-চক্র পাক খাবে। কিন্তু তার মায়ের কিছু করার ঘরে। ওরাও বোধ হয় মাথা ধরেছে।
মা মেয়ে দুজনেরই মাথা ধরেছে? ধরতে যে পারে না, তা নয়। কিন্তু একই সঙ্গে দুজনেরই ধরল? এ তো ফুড পয়জনিং নয় যে বাড়িসুদ্ধ সবার একসঙ্গে হবে, কাজেই দাশসাহেবের অস্বস্তি লাগতে থাকে। মাথা ধরা একটা এমন রোগ, যেটা সত্যিই হতে পারে, আবার মিথ্যে হতেও কোনও বাধা নেই। রাগ-অভিমান- ক্ষোভ- অসন্তোষ এসব জানাবার জন্যে মাথা ধরা আখছার ব্যবহৃত হয়। সত্যিকারের মাথা ধরা হলে তার বিহিত আছে। চটজলদি ওষুধ। মাথা টেপা। এসবে উপকার হয়। কিন্তু মিথ্যেকারের মাথা ধরার প্রতিকার করা খুব শক্ত। মিঃ দাশ সেটা তাঁর দীর্ঘদিনের গার্হস্থ্য জীবনে হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন।
মেয়েকে তিনি বুঝতে পারেন না, তাই ভয়ও করেন বেশি। অতএব আগে ঢুকলেন স্ত্রীর ঘরে। সোজা বলগুলো তো আগে খেলে নেওয়া যাক। মীনাক্ষী মিডিয়াম পেস, ভালো সুইং করতে পারে না। বেশি রাগ হলে ছুঁড়ে ছুঁড়ে বল দেবে। তিনি চট করে মাথা নিচু করে সেগুলোকে উইকেটের অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেবেন। ‘মীনাক্ষী। আলতো করে ডেকে, বিছানার ওপর ঝুঁকে তিনি দেখলেন মীনাক্ষী এত টান-টান হয়ে শুয়ে আছে, চোখ দুটো এমন শক্ত করে বন্ধ যে এটা আসল ঘুম হতেই পারে না। অর্থাৎ মীনাক্ষী ইচ্ছে না করলে সাড়া পাওয়া যাবেনা। ‘ওহ, আজ যা গরম! অফিস থেকে বেরিয়ে পর্যন্ত সেদ্ধ হচ্ছি। চানটা সেরে আসি। বুঝলে? তারপর… তারপর কী দাশসাহেব জানেন না। কিছু না-কিছু একটা ঘটবেই। নিয়ত পরিবর্তনশীল এ জগতে কোনও কিছুই থেমে থাকতে পারেনা।
মাথা ধরা অবস্থাটাও কেটে যেতে বাধ্য। চানটা বড় আরামের। দুশ্চিন্তা যত বেশি থাকে চানের সময়টাও ততই বেশি হয়ে যায়। শীগগিরই হয়ত ফ্রান্সে যেতে হবে একটা টিম নিয়ে। ম্যানেজমেন্ট থেকে একজন, টেকনিক্যাল তিন জন। খুব কম করে হলেও দশ এগারো সপ্তাহের প্রোগ্রাম। মীনাক্ষীকে নিয়ে যাওয়া যায়। মীনাক্ষী যদি ছুটি মানেজ করতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে মেয়ে একটা সমস্যা হয়ে দাড়াবে। তার কলেজ আছে, নাচ আছে। দিদির বাড়ি সে অনায়াসেই থাকতে পারে, কিন্তু সে থাকবে কি না এবং তার দিদি তাকে আদৌ আগলাতে চাইবে কি না সে কথা এই মুহূর্তে জানা নেই তার। এতগুলো এক্স- ফ্যাক্টর থাকলে লম্বা সময় ধরে চান না করে উপায়?
Ekushe Pa pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.