সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের Falguner Gondho pdf ৩৬ টি অসাধারণ ও সেরা গল্পের সংকলন pdf বই। ফাল্গুনের গন্ধ pdf লেখকের পছন্দের গল্প সংকলনের সেরা একটি। সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় PDF যারা পড়তে চান তাদের জন্য এক অপূর্ব সুযোগ ফাল্গুনের গন্ধ pdf বই। সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় বই পাঠক সমাজে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। লেখকের প্রায় সব বই-ই বাজারে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
ফাল্গুনের গন্ধ pdf সংক্ষেপ
বিশ্বায়নের প্রভাবে বাঙালির সমাজ জীবন বদলে যাচ্ছে। তার ঐতিহ্য সংস্কৃতির অহঙ্কার আজ অনেকটাই দ্রবীভূত। পাশাপাশি ‘বাংলা ছোটগল্প বিশ্বমানের’বাঙালির এই সাগ্রহ ঘোষণা এখন কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত, নিস্তেজ। এমন সংকট কাটাতে, গল্পের আঙ্গিকে যাঁরা রচনা করে চলেছেন বদলে যাওয়া সময়ের সামাজিক ও ব্যক্তি মানুষের সংকটের দলিল, তাঁদের মধ্যে তরুণ গল্পকার সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় অন্যতম। এই গ্রন্থের গল্পগুলি বাংলার গ্রাম, নগর, শহরতলির এক বিশ্বস্ত চিত্ররূপ। অতিপরিচিত মানুষ, চেনা ঘটনা, অন্তরঙ্গ পরিপার্শ্বর মধ্যে লেখক আবিষ্কার করেছেন চিরন্তন মানবজীবনের অভিব্যঞ্জনা। প্রতিটি গল্পের রচনাশৈলী স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত। লেখা তাঁর নানা বৈচিত্র্যময়। বিগত নয় বছর ধরে সৃজনসম্ভার থেকে বাছাই করে প্রকাশিত হল এই গল্প সংকলন। Falguner Gondho pdf ডাউনলোড করে গল্পগুলো পড়ে ফেলুন।
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় এর বইয়ের পিডিএফ লিংক Sukanta Gangopadhyay pdf Books
বাংলার গ্রাম, শহরতলি ও নগরের এক বিশ্বস্ত চিত্ররূপ এই গ্রন্থের গল্পগুলি। অতিপরিচিত মানুষ, চেনা ঘটনা ও অন্তরঙ্গ পরিপার্শ্বর মধ্যে লেখক আবিষ্কার করেছেন চিরন্তন মানবজীবনের অভিব্যঞ্জনা। প্রতিটি গল্পের রচনাশৈলী স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত।
Falguner Gondho pdf গল্প বিন্যাসঃ
ফাল্গুনের গন্ধ pdf ৩৬ টি গল্প সংকলিত হয়েছে। প্রতিটি গল্পই স্বতন্ত্র ও নাটক প্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। অজ্ঞাতবাস গল্প দিয়ে বইটির সূচনা হয়েছে। এরপর প্রস্তুতি, পবিত্র বাগান, জলকাদার দেশে, ভূগোলের স্যার, ভাসান, দৃষ্টিপাত, পরিজন, আরশি মানুষ, বিরল বর্ষণ, পাখিটা ডাকছে, খরা মাটির গাঁ, গুহাবাসী, হলুদ রঙের পৃথিবী, ঘড়িবাড়ি, পিতৃলোক, বর্ষা অমঙ্গল, সৌরশোক, পরজীবী, বৃক্ষরোপণ, জার্মানি যাচ্ছি না, গঙ্গার পশ্চিম কূল, কায়রোর যুবরাজ, চাতক, সন্তাপ, রূপকথা, নির্বাসন, প্রিয় পাঠশালা, রিং মাস্টারের মেয়ে, কুশীলব, ডাইনি, ছায়ার বাইরে, কাটাকুটি, প্রিয় শ্রাবণ, দ্বিতীয় ভুবন, ছোট্ট সেই মেয়ে এবং সর্বশেষে রয়েছে এই সংকলনের নামানুসারে গল্প ফাল্গুনের গন্ধ।
ফাল্গুনের গন্ধ বই রিভিউঃ
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প মানেই যেন পাঠক মনের আয়না। লেখকের প্রতিটি গল্পে জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত ফুটে ওঠে। সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প যেন জীবনের প্রতিচ্ছবি। সাহিত্য অঙ্গনে লেখকের সাহিত্যের একটা বিশাল অংশ পাঠক মনে দাগ কেটে দিতে সক্ষম হয়েছে।
কিশোর ভারতী ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ পিডিএফ Kishor Bharati 5 December 2023 pdf
Falguner Gondho pdf এর প্রথম গল্প অজ্ঞাতবাস। বয়স্ক মানুষদের বৃদ্ধাশ্রমের যে অজ্ঞাতবাস সেই সব কষ্ট ও দুর্দশা গ্রস্থ মানুষদের জীবন নিয়েই গল্পের পরিক্রমা। অসাধারণ শব্দ শৈলীতে বৃদ্ধাশ্রমের মানুষদের জীবন কাহিনী ফুটে উঠে এখানে।
খোলা সদর পেরিয়ে অনুরাধা ঢুকে গেলেন। আর একটু এগোতেই সৌমিকের পা যেন মাটিতে গিঁথে গেল। বাড়িটার গেটের মাথায় একটা পুরনো টিনের বোর্ড। তাতে লেখা, ‘বানপ্রস্থ’। লেখাটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটার মতো সৌমিকের বুকটাও অসহ্য নির্জন হয়ে উঠল। নিশ্চয়ই কোনও বৃদ্ধাবাস। ওখানে আরও যাঁরা আছেন, তাঁদের সম্বল বলতে শুধুই প্রতীক্ষা। অনুরাধা দেবীর জন্যে নয়, তাঁর থেকে বড় কারও জন্যে।
Falguner Gondho pdf সংকলনে এরপর প্রস্তুতি গল্প দিয়েই লেখকের গল্প যাত্রার আরো গভীরে প্রবেশ শুরু। জীবনের নানা কাজে আমাদের প্রস্তুতিটা নিতেই হয়। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে বেঁচে থাকা যেন প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে। খেলাধুলা থেকে শুরু করে জীবন প্রয়াসে প্রস্তুতি ভূমিকা নিয়েই লেখকের এই গল্পের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
কথাটা শুনে প্রবালের চেতনার গভীর থেকে একটা বিড়বিড়ে হাসি উঠে আসে। এই প্রথম কেউ তাকে বীর বলছে! হাসিটা ছোট্ট করে ঠোঁট কাঁপিয়ে কলকাতার রোদ্দুরে উড়ে যায়। কারা যেন একসঙ্গে বলে ওঠে, ওই তো স্যার সেন্স আছে, ঠোঁট কাঁপছে। বেঁচে আছে স্যার। বেঁচে… প্রবাল! এই প্রবাল! ওঠ স্টাফেরা প্রবালকে ডাকছে। প্রবাল উঠবে না। এতদিন অসুস্থতার ভান করত, এখন নিজেকে শক্ত করে নিয়ে মড়াকাঠের মতন পড়ে আছে। বডিটা ওরা মর্গে চালান করে দিক, প্রবাল জানে রাত পোহালেই ফুলমণির হাজার হাজার নেড়ামাথার ছেলে-মেয়েরা তাকে ডাকতে আসবে। আসবেই।
পবিত্র বাগান গল্পটিতে লেখক মানুষের বিশ্বাস অবিশ্বাস আর তার বেঁচে থাকার অবলম্বন বাড়িকে ঘিরে গল্পের কাহিনীর প্লট তৈরি করেছেন। যেখানে একজন বাবার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কাহিনী এগিয়ে যায়। Falguner Gondho pdf করে জানুন বিস্তারিত।
ভগবানের অস্তিত্বে আমি কোনওদিনই বিশ্বাস করিনি, আজও করি না। পুরাকালে যাঁরা আসতেন তাঁরা ভগবান নয়, ভিন গ্রহের জীব। এই মহাকাশে অন্য গ্যালাক্সিতে অজানা কোনও গ্রহে মানুষের থেকেও উন্নত প্রাণী আছে। তারা সভ্যতার বিকাশে এত ভুল করেনি। প্রকৃত পরিবেশ পেলে আবার তারা নেমে আসবে পৃথিবীর মানুষদের উন্নতির জন্য। আমার নার্সারি হবে তাদের স্পেস স্টেশন।
Falguner Gondho pdf গল্প সংকলনের পরের গল্প জলকাদার দেশে এই দেশ এই মাটি এই জল কাদার রাস্তা ছেড়ে যেসব লোক বিদেশে পাড়ি জমাতে চায় না তেমনি কিছু আবেগ অনুভূতি নিয়ে লেখা গল্পটি পাঠক মনে দাগ কেটে যাবে।
হাঁটতে হাঁটতে প্রভাত পৌঁছে গেছে হাউসিংয়ের গেটে। ফুটপাথ থেকে প্রভাত প্রথমেই লতার ঝুলবারান্দা দেখে নেয়। কেন দেখল প্রভাত? ও-ও কি লতার স্বপ্নে আক্রান্ত হয়েছে? অ্যাপার্টমেন্টের নির্জন সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে প্রতিবারের মতো এবারও প্রভাতের মনে হল, সত্যিই বড় একা একা থাকে মেয়েটা। লতার ফ্ল্যাটের সামনে এসে দাঁড়ায় প্রভাত। ডোরবেল বাজায়। দরজা খোলে না। আবার বাজায়। কী ব্যাপার লতা দরজা খুলছে না কেন! প্রভাত জানে ম্যাজিক আই দিয়ে এপার থেকে কিছুই দেখা যায় না, তবুও দরজার ম্যাজিক হোলে চোখ রাখে, শুধুই কুয়াশা। বারংবার বাজায় কলিংবেল। না তো! ঘুমিয়ে পড়েছে নাকি? এ কী ঘুম ঘুমোচ্ছে লতা! দরজায় হাত রাখে প্রভাত। দরজা সরে যায়। অবাক হয়, দরজা খোলাই ছিল! ঘরে ঢুকে আসে প্রভাত। ডাইনিং স্পেস।
Falguner Gondho pdf এর আরো একটি গল্প আরশি মানুষ। নির্বাচনী নেতারা কিভাবে সাধারণ মানুষের মাথা বিক্রি করে টুপাই কামিয়ে নিচ্ছেন তারই ধারণা দেওয়া হয়েছে এই গল্পটিতে। পাড়ার একবারই প্রত্যেকটি জিনিসপত্রেরই আলাদা আলাদা নাম আছে গল্পে সেটাও একটি বিশেষ আকর্ষণ। যেমন বাড়ি টিভির নাম বখতিয়ার খিলজী, আয়নার নাম চারুলতা ইত্যাদি।
একটা নতুন আয়না কিনলাম। ছোট, গোল। থাবার মধ্যে এসে যায়। নাম দিলাম তুঘলক। কেন এরকম নাম দিলাম জানি না। বাড়ির দুটো আয়নার নাম কিন্তু বেশ ঘরোয়া। দাড়ি কাটার আয়নার নাম নবীন। বউদির নতুন ড্রেসিং টেবিলের আয়নার নাম চারুলতা। নামটা শুনে বউদির সে কী হাসি! বলেছে, এটাই সব থেকে ভাল নাম হয়েছে, বখতিয়ার খলজির থেকেও ভাল। বখতিয়ার খলজি আমাদের বাড়ির টিভির নাম বাড়ির সমস্ত আসবাব, গাছ, দোলনা, হোস্টেলে মানুষ হতে যাওয়া ভাইপোর পড়ে থাকা সাইকেলের নাম দিয়েছি আমি। দাদা, বাবা মনে রাখতে পারে না। নতুন কিছু এলেই একটা নাম দিই। জিনিসটার সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি একটা আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। বাবা বলে, কেন পাগলামি করিস, ওগুলোর কি প্রাণ আছে, যে নাম দিচ্ছিস? ডাকলে সাড়া দেবে ওরা?
পিতৃপক্ষ – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Pitropokkho pdf : Sukanta Gongpadhay
Falguner Gondho pdf গল্প সংকলনটি সর্বশেষ গল্প ফাল্গুনের গন্ধ। নাম ভূমিকার এই গল্পটি দিয়েই গল্প সংকলন টির নামকরণ করা হয়েছে। রোগী ডাক্তার ও হাসপাতাল এসবের মধ্যে জীবনের নানান টানাপোড়ন এভাবেই গল্পের কাহিনী এগিয়ে যায়।
এত বড় চেম্বার আগে কখনও দেখেনি মুকুল। রীতিমতো কনফারেন্স হল। ঘরের শেষ প্রান্তে পর্দা টাঙানো, রোগী দেখার ব্যবস্থা। দেওয়াল-ঘেঁষা বেঞ্চিতে যারা বসে আছে, বেশির ভাগই আদিবাসী শ্রেণীর। এরা ডাক্তারদের বেশি সময় নেয় না। ডাক্তারও এদের সঙ্গ বেশিক্ষণ পছন্দ করে না। অর্থাৎ মুকুলের ডাক পড়তে খুব একটা সময় লাগার কথা নয়।
এভাবে প্রতিটি গল্পে ফুটে উঠেছে আমাদের জীবনের ঘটে যাওয়া নানান দিক। এসব দিকগুলো আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় মনে ভেসে ওঠে আমাদের আশেপাশে কিংবা নিজের সাথে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার স্বরূপ। তাহলে আর দেরি না করেই পড়তে থাকুন Falguner Gondho pdf গল্প সংকলনটি।
ফাল্গুনের গন্ধ লেখক
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ২১ জানুয়ারি ১৯৬১, হুগলির উত্তরপাড়ায়। পিতা সাহিত্যসেবী। প্রথাগত শিক্ষা স্নাতক পর্যন্ত। এ ছাড়া ফোটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অল্প বয়স থেকে যুক্ত থেকেছেন নানা পেশায়। এখন একটি ফোটো প্রিন্টিং সংস্থার কারিগরি বিভাগের প্রধান। আঠেরো বছর বয়স থেকে লেখালেখির শুরু। দীর্ঘ বিরতির পর ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর একটি গল্প বৃহত্তর পাঠকমহলের সমাদর লাভ করে। শ্রেষ্ঠ উপন্যাস রচনার জন্য ১৯৯৯, ২০০২ সালে আনন্দ-স্নোসেম শারদ অর্ঘ্য এবং ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এবং ছোটগল্প রচনার জন্য আনন্দ-ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স শারদ অর্ঘ্য পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৯৭-এ পেয়েছেন গল্পমেলা পুরস্কার।
ফাল্গুনের গন্ধ pdf ডাউনলোড করবেন কোথা থেকে
Falguner Gondho pdf টি যারা পড়তে চান তারা banglabookspdf.com থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। চাইলে বইটি অনলাইনে পড়ে নিতে পারেন। ঝকঝকে ও কম সাইজের ফাল্গুনের গন্ধ pdf সংগ্রহ করুন এখানই। ফাল্গুনের গন্ধ pdf হতে পারে আপনার অবসর সময়ের এক চমৎকার সঙ্গী।
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প সংকলন pdf বই Falguner Gondho pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে কোন ঝামেলা ছাড়াই।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.