ফোরটি এইট আওয়ারস pdf – রবিন জামান খান Fourty Eight Hours pdf – Robin Jaman Khan

ফোরটি এইট আওয়ারস pdf - রবিন জামান খান Fourty Eight Hours pdf - Robin Jaman Khan
ফোরটি এইট আওয়ারস pdf - রবিন জামান খান Fourty Eight Hours pdf - Robin Jaman Khan

রবিন জামান খানের Fourty Eight Hours pdf ফোরটি এইট আওয়ারস pdf ডাউনলোড করুন ও Fourty Eight Hours pdf ফোরটি এইট আওয়ারস pdf পড়ুন।

ফোরটি এইট আওয়ারস pdf - রবিন জামান খান Fourty Eight Hours pdf - Robin Jaman Khan
ফোরটি এইট আওয়ারস pdf – রবিন জামান খান Fourty Eight Hours pdf – Robin Jaman Khan

Fourty Eight Hours pdf ফোরটি এইট আওয়ারস pdf কাহিনিঃ

পুলিশের সিনিয়র এএসপি মারুফের সাথে তুচ্ছ কারণে ঝগড়া হবার কিছুক্ষণ পরই খুন হয়ে যায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনান। সমস্ত দোষ গিয়ে পড়ে মারুফের ওপর। ডিপার্টমেন্ট, মিডিয়া থেকে শুরু করে খোদ হোমমিনিস্টারও উঠে পড়ে লাগে তাকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। এমন পরিস্থিতিতে বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড না করে আটচল্লিশ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয় খুনিকে খুঁজে বের করার জন্যে। তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ডিপার্টমেন্টের এক জুনিয়র এবং একজন আইটি এক্সপার্ট। এ কাজ করার জন্য তাদের হাতে সময় আছে মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা। অসম্ভব এই কাজটি করতে গিয়ে নতুন এক সত্যের মুখোমুখি হতে হলো তাদেরকে। কি সেই সত্য জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ফোরটিএইট আওয়ার্স শেষ হবার আগপর্যন্ত।

২৫শে মার্চখ্যাত রবিন জামান খানের ফোরটিএইট আওয়ার্স টান টান উত্তেজনার একটি মার্ডার মিস্ট্রি পাঠককে আরেকবার বিমোহিত করবে।

Fourty Eight Hours pdf ফোরটি এইট আওয়ারস pdf লেখকের কথা:

প্রথমেই সকল পাঠক এবং শুভাকাক্ষিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই উপন্যাসটি একটি মার্ডার মিস্ট্রি গৃলার। আমি পুরাে ঘটনাটি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাজানাের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের তদন্ত প্রক্রিয়ার অনেক উপাদান মেশানাের চেষ্টা করেছি কাহিনীতে। সে-কারণে পুলিশের ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে কার্যকলাপ এবং তদন্তপ্রক্রিয়াতে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আনতে হয়েছে এবং নিতে হয়েছে কল্পনার আশ্রয়।

দার্জিলিং সঙ্গী pdf – হিমানীশ গোস্বামী Darjeeling Songi pdf – Himanish Goswami

একটা সময় ছিলাে তদন্তপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যে তদন্তকারীদের একমাত্র হাতিয়ার ছিলাে তার মেধা। বর্তমান সময়ে মেধার পাশাপাশি যােগ হয়েছে নানা ধরণের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তির ব্যবহার। এখনকার দিনে যেকোনাে তদন্তে জিপিএস, সিসি-ক্যামের ফুটেজের ব্যবহার থেকে শুরু করে ট্র্যাকার, স্যাটেলাইট ম্যাপিং ইত্যাদির ব্যবহার এতােটাই প্রচলিত যে চাইলেও এগুলােকে বাদ দেয়া বা উপেক্ষা করা সম্ভব না। উন্নত বিশ্বে এসব প্রযুক্তিগত ব্যবহার বর্তমান সময়ে অনেক দূর চলে গেছে এবং আমাদের দেশেও এগুলাের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তাই আমি এই উপন্যাসে বিশ্বব্যাপী তদন্ত কার্যে প্রচলিত এবং এক্সপেরিমেন্টাল কিছু প্রযুক্তির ব্যবহার দেখানাের চেষ্টা করেছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ডিএনএ বেইজড ডেটা প্রােফাইল এবং ডেটা মাইনিঙের কাজ।

এই দুটো বিষয়ের সার্বিক প্রয়ােগ এখন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের জন্যে চ্যালেঞ্জ। এগুলােকে আমি ছােট পরিসরে উপন্যাসে আনার চেষ্টা করেছি। আমার প্রচেষ্টা কতােটুক সফল হয়েছে সেটা পাঠকই বিবেচনা করবেন।
সবশেষে কিছু মানুষকে কৃতজ্ঞতা না জানলেই নয়। প্রথমত শ্রদ্ধেয় নাজিম ভাইকে, সার্বিক সহায়তা এবং উৎসাহের জন্যে। সেইসাথে আমার বন্ধু নওশের ডন এবং শ্রদ্ধেয় বড় ভাই জুলফিকার হায়দারকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে উপন্যাসটির নামকরণের ক্ষেত্রে জুলফিকার ভাইয়ের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

সবশেষে আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বাংলাদেশ পুলিশ এবং পুলিশের কিছু অফিসারদের। এই উপন্যাস লেখার ব্যাপারে অনেকেই আমাকে বিশেষ সহযােগিতা করেছেন। আরাে ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশ পুলিশের সেইসব সৎ অফিসারদের, সকল অন্যায়ের ভিড়ে আজো যারা নিজেদের সততা বজায় রেখে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
রবিন জামান খান

Fourty Eight Hours pdf নমুনাঃ

সূর্য সবেমাত্র পশ্চিম আকাশে হেলতে শুরু করেছে। আরেকটু পরেই পুরো পশ্চিম আকাশ জুড়ে হালকা লালীমা ছড়িয়ে টুপ করে দিগন্তে ডুবে যাবে সূর্যটা। ঢাকা শহরের বুকে ইট পাথর আর সিমেন্টের এই জঙ্গলে অবশ্য এতোকিছু দেখা যায় না, শুধু বোঝা যায় দিনের আলোটা কমে গিয়ে রাতের অন্ধকার নেমে আসছে।

আর ঢাকার মানুষের এতোকিছু খেয়াল করার কিংবা অনুভব করার মতো সময়ও নেই। সে-ও কখনো এসব বিষয় খেয়াল করে না। প্রতিদিন গার্মেন্টস থেকে বেরিয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীরটাকে টেনে নিয়ে যায় বাড়িতে। কোনোমতে রাতের রান্না-বান্না শেষ করে করে খেয়ে ঘুম দেয়। তবে আজ তার প্রাত্যহিক নিয়মের পুরোপুরি ব্যতিক্রম ঘটেছে। অন্যরকম লাগছে সবকিছু। কারণ এই মুহূর্তে মনটা অনেক ভালো। অনেক ভালো বললে ভুল হবে আসলে অনেক অনেক অনেক ভালো। অন্যান্য দিন এই সময়ের অনেক পরে ছুটি হয়। তবে আজ ম্যানেজারকে বলে গার্মেন্টস থেকে আগেই বেরিয়ে এসেছে। যে ম্যানেজার সবসময় চোখ মুখ খিঁচিয়ে ধমকাতে থাকে সে-ও হাসিমুখেই তাকে ছুটি দিয়েছে। কারণ দুপুর বেলা ম্যানেজারের মোবাইলেই খুশির খবরটা এসেছিলো।

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তার ইচ্ছে করছে চিৎকার করে সবাইকে বলে, ‘আজ আমি অনেক খুশি…অনেক অনেক খুশি।’ কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। তাই মৃদু স্বরে একটা গানের কলি ভাজতে ভাজতে দ্রুত গতিতে পা চালালো। এই রাস্তায় একটা রিকশাও নেই, না হলে আজ রিকশা নিয়ে নিতো। তার প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করার জন্যে আর তর সইছে না।

তবে দিনের শুরুটা হয়েছিলো অনেক দুশ্চিন্তা নিয়ে। সকালে কাজ করতে আসার পর কাজেও মন বসছিলো না। বার বার ম্যানেজারের দিকে তাকাচ্ছিলো। কারণ তার মোবাইলেই খবরটা আসার কথা। অবশেষে বেলা দুইটার দিকে যখন খবরটা এলো, খবরটা শুনে সে প্রথমে কী করবে বুঝতে পারছিলো না। প্রথমে হেসে ওঠে তারপর সবার সামনেই কেঁদে ফেলে। মা-বাবা মারা যাবার পর গত কয়টা বছর ধরে যে কষ্টটা করে আসছে তার ফল এটা।

Fourty Eight Hours pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply