হারানো কাকাতুয়া pdf – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Harano Kakatua pdf – Shirshendu Mukhopadhyay

হারানো কাকাতুয়া pdf - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Harano Kakatua pdf - Shirshendu Mukhopadhyay
হারানো কাকাতুয়া pdf - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Harano Kakatua pdf - Shirshendu Mukhopadhyay

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজ Harano Kakatua pdf হারানো কাকাতুয়া pdf ডাউনলোড করুন ও অদ্ভুতুড়ে সিরিজ Harano Kakatua pdf পড়ুন।

হারানো কাকাতুয়া pdf - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Harano Kakatua pdf - Shirshendu Mukhopadhyay
হারানো কাকাতুয়া pdf – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Harano Kakatua pdf – Shirshendu Mukhopadhyay

Harano Kakatua pdf হারানো কাকাতুয়া pdf রিভিউঃ

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজের সেরা ও সুপার ডুপার একটি বই। হাস্যরসে পরিপূর্ণ একটি কিশোর উপন্যাস। কিশোর উপন্যাস হলে কি হবে হারানো কাকাতুয়া পড়ে সবাই মজা পাবে। উদ্ধববাবুর ছোট ছেলেকে নিয়ে আছেন মহা বিপদে। যেখানে তার সব ছেলেমেয়েদের সবাই পড়ালেখায় সেরা সেখানে ছোট ছেলে যেন মাথায় গোবর নিয়ে ঘুরছেন। কোন কথা শুনতে চান না। তবে ব্য উদ্ধববাবুর পক্ষে সব সময় তার খোজ নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ছোট ছেলেকে চাপে রাখতে তিনি কিনলেন কাকাতুয়া। কাকাতুয়াকে তিনি কথা শিখাবেন আর সেই কথাই কাকাতুয়া বলবে তার ছেলেকে। কিন্তু কাকাতুয়া কিছুতেই নতুন কোন কথা শিখতে চাইছে না সে তার আগের মালিকের শেখানো কথা বলতে থাকে। তবে তার কথার কোন অর্থ পাওয়া যায় না।

মানুষের মানচিত্র pdf – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Manusher Manchittro pdf – Rudra Mohammad Shahidullah

কাকাতুয়াকে খুব সাধারণ কাকাতুয়া মনে হলেও তার পিছনে লেগে যায় এক চক্র। তাকে চুরি করার নান কায়দা আটতে থাকে। কি লাভ সাধারণ এক কাকাতুয়া চরি করে? কেন, কোথায় নিয়ে যাবে কাকাতুয়াকে। কাকাতুয়াটি কি আসলেই কোন বিশেষ কোন প্রাণি। নাকি এর  কোন রহস্য আছে? হাসতে হাসতে পড়তে থাকা অবস্থায় কখনো কখনো মনে হবে হরর আর কমেডির এক মহা সমন্বয় ঘটেছে বইটিতে। হারানো কাকাতুয়া pdf আশা করি আপনাদের ঠকাবে না।

Harano Kakatua pdf হারানো কাকাতুয়া pdf লেখকঃ

জন্ম : ২ নভেম্বর, ১৯৩৫। দেশ—ঢাকা জেলার বিক্রমপুর। শৈশব কেটেছে নানা জায়গায়। পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম। শৈশবের স্মৃতি ঘুরেফিরে নানা রচনায় উঁকি মেরেছে। পঞ্চাশ দশকের গোড়ায় কুচবিহার। মিশনারি স্কুল ও বোর্ডিং-এর জীবন। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ। কলকাতার কলেজ থেকে বি এ। স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। এখন বৃত্তি— সাংবাদিকতা। আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম গল্প— দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস— ‘ঘুণপোকা’। প্ৰথম কিশোর উপন্যাস— ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি। কিশোর সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।

Harano Kakatua pdf হারানো কাকাতুয়া pdf নমুনাঃ

সকালবেলায় সার্কাসের খেলোয়াড়রা ট্রেনারের নির্দেশে কসরত করছিল। আসল যে-সব খেলা তারা দেখায়, তার চেয়েও এই কসরত বেশি কঠিন।
কসরতের সময় ট্রাপিজের জন্য নীচে জাল টাঙানো হয়েছে। জালের ওপর অনেক উঁচুতে, শূন্যে ট্রাপিজ-শিল্পীরা দোল খাচ্ছে। জালের নীচে চলছে সাইকেল, বীম ব্যালানস ইত্যাদি। এক ধারে শক্ত করে দুটো খুটিতে বাঁধা তারের ওপর চলছে শীর্ষাসন, এক-চাকার সাইকেলে একজনকে কাধে নিয়ে আর-একজন এপার-ওপার হচ্ছে আগু-পিছু করে। জোকাররা নানারকম ডিগবাজীর ভেলকি লাগাচ্ছে এরেনার অন্য ধারে। দামি সীটের একটা চেয়ারে বিমর্ষ মুখে বসে দেখছে সামন্ত। পুলিশ পিছনে লেগেছে, এখানকার ডেরাডাণ্ডা শিগগিরই ভুলতে হবে। কিন্তু ভুললেই যে রেহাই মিলবে এমন নয়। কাশিমের চরে হরিহর পাড়ুই খুন হওয়ার পর কিছুদিন পুলিসের জ্বালায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল।

প্রেতবাড়ি pdf – দেবমাল্য কর্মকার Preet Bari pdf – Demalya Karmoker

গোবিন্দকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ঝামেলা মিটেছিল বটে, কিন্তু গোবিন্দের শোকে সামস্তর আহার-নিদ্রা ঘুচে গিয়েছিল। গোবিন্দ ফিরেছে, সেই সঙ্গে ঝামেলাও। মেরে ফেললেও অবশ্য সার্কাসের কেউই পুলিসের কাছে স্বীকার করবে না যে, গোবিন্দ এখানে লুকিয়ে আছে। কিন্তু তাতে আর কতটুকু কী লাভ হবে? ভেবে ভেবে সামস্তর মাথা গরম, মন উচাটন।
একটা উটকো লোক হঠাৎ তাবুতে ঢুকে পড়ায় একটা শোরগোল পড়ে গেল। সামন্ত চোখ তুলে দেখে, একটা পাগল। গায়ে আল-পাকার কোট, গালে দাড়ি, ময়লা পাতলুন। লম্বা-লম্বা চুলে জট পড়েছে। বেঁটে জোকার বক্রেশ্বর রে-রে করে তেড়ে গেল তার দিকে। লোকটা বক্রেশ্বরকে লক্ষই করল না। চারদিকে চেয়ে তাচ্ছিল্যের গলায় বলল, “ছোঃ, এইসব খেলা দেখিয়ে লোক ঠকাও নাকি তোমরা?”

বক্রেশ্বর যখন খেলা দেখায় তখন তার হাতে একটা চুষিকাঠি থাকে। সেইটেই সে লাঠির মতো ব্যবহার করে। এখনো সেইটে বাগিয়ে ধরে বলল, “দেব নাকি কয়েক ঘা?”
লোকটা বক্রেশ্বরকে ভাল করে দেখার জন্য কোর্টের পকেট থেকে একটা দূরবীন বের করে চোখে লাগায়। ভাল করে দেখে নিয়ে বলে, “তোমার চেয়ে ঢের বেঁটে লোক দেখেছি। অত কায়দা দেখিও না।”
বক্রেশ্বর বুক ফুলিয়ে বলে, “আমি ভারতবর্ষের সবচেয়ে বেঁটে মানুষ। নইলে আমাকে ঠাহর করতে তোমার দুরবীন লাগল কেন হে?”
লোকটা হেসে বলে, “অ্যায়সা বেঁটে মানুষও আছে, যাকে দেখতে মাইক্রোস্কোপ লাগে। যাও, যাও মেলা বোকো না।”
বক্রেশ্বর চুষিকাঠিটা ভুলে মারতে গেল। কিন্তু হঠাৎ কী ভেবে থমকে গিয়ে খানিকক্ষণ লোকটার দিকে চেয়ে থেকে বলে, “আরে ! চেনা-চেনা লাগছে যে।”

“আমাকে সবাই চেনে। আমি হচ্ছি গবা পাগলা।”
“”সাজা পাগল? না হওয়া পাগল?”
“আসলে পাগল হে, আসল পাগল?”
“বেশি বোকো না, তোমার চেয়ে ঢের বেশি পাগল লোক আমি দেখেছি।”
“দেখেছ? সত্যি?”
“সেই-সব পাগলকে দেখলেও বোঝা যায়, এই হচ্ছে খাঁটি পাগল। তাকে বলতে হয় না, আমি অমুক পাগলা।”

গবা মুখ বিকৃত করে বলল, “এমন পাগলামি দেখাতে পারি যা দেখলে তোমরা পিণ্ডি চটকে যাবে। কিন্তু এখন কাজে আসা, পাগলামির সময় নেই। সামন্তমশাইকে দুটো কাজের কথা জিজ্ঞেস করে যাব। তিনি কোথায়?” বক্রেশ্বর চোখ পিটপিট করে লোকটাকে দেখে হঠাৎ ফিক করে হেসে বলল, “বলি ও ভাই পাগলা গবা! আর কতকাল পাগলা রবা? গোল ছেড়ে কও আসলকথা। পা নেই তার পায়ে ব্যথা।”

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজ Harano Kakatua pdf হারানো কাকাতুয়া pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও অদ্ভুতুড়ে সিরিজ Harano Kakatua pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply