হাসি কান্না pdf – সুনির্মল বসু Hasi Kanna pdf – Sunirmal Basu

হাসি কান্না pdf - সুনির্মল বসু Hasi Kanna pdf - Sunirmal Basu
হাসি কান্না pdf - সুনির্মল বসু Hasi Kanna pdf - Sunirmal Basu

সুনির্মল বসুর রম্য রচনা Hasi Kanna pdf হাসি কান্না pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে। Hasi Kanna pdf download is free and easy.

হাসি কান্না pdf - সুনির্মল বসু Hasi Kanna pdf - Sunirmal Basu
হাসি কান্না pdf – সুনির্মল বসু Hasi Kanna pdf – Sunirmal Basu

Hasi Kanna pdf হাসি কান্না pdf সূচিপত্রঃ

সত্যব্রতের মিথ্যাব্রত অজানা কুটুম

গোবিন্দ-দার গোয়েন্দাগিরিঠ

কাব্যরোগের টোকা

জন্মদিন

ফাঁকি

ভিখারিণীর ছেলে চোখের জল

Hasi Kanna pdf হাসি কান্না pdf নমুনাঃ

সত্যব্রতের একটা প্রধান গুণ ছিল সে কখনো সত্য কথা বলত না। নাম তার সত্যব্রত হলেও মিথ্যাকেই সে যেন জীবনের ব্রত করেছিল!

এমন অনায়াসে স্বচ্ছন্দে, অনর্গল মিথ্যা কথা বলতে কেউ পারে কি না সন্দেহ। অনর্গল চাল মারাই ছিল তার স্বভাব। ধরা পড়ে’ যেত সে কথায় কথায়, তবু ঘাবড়াতো না একরত্তিও ৷

বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের যত বড় বড় লোক, সবাই সত্যব্রতের আত্মীয়। সত্যব্রত বয়সে আমাদের চেয়ে কিছু বড় ছিল। আমরা স্কুলে এক ক্লাশেই পড়তাম।

আমাদের বাংলার মাষ্টার হেমাঙ্গ বাবু ছিলেন একটু কবি প্রকৃতির। কবিতা পড়তে আর পড়াতে তিনি খুব ভালোবাসতেন।

একদিন তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ কবিতা লিখতে পার?”

সত্যব্রত ধাঁ করে উঠে বরে, “স্যার, আমার জ্যাঠামশাই পারেন।”

হেমাঙ্গ বাবু বল্লেন, “ফ কথাই জিজ্ঞাসা করছি; খুড়ো-জ্যাঠামশাইয়ের কথা আমি তুলছি না। তোমরা কে পার —তাই বল।”

আমরা সবাই চুপ করে রইলাম; কারণ, বাস্তবিকই কবিতা আমাদের মধ্যে কেউ-ই লিখতে পারত না।

হেমাঙ্গ বাবু তখন সত্যব্রতকে বল্লেন – “তোমার জ্যাঠামশাই বুঝি কবিতা-টবিতা লিখতে পারেন ? কাগজ-পত্রে ছাপান্ কি? ”

সত্যব্রত হেমাঙ্গ বাবুর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলে, “হ্যাঁ স্যার, তাঁর বিস্তর কবিতা কাগজ-পত্রে বের হয়; তাঁর অনেক বইও আছে।”
হেমাঙ্গ বাবু বল্লেন, “বটে! কি তাঁর নাম?”
সত্যব্রত বুক টান করে বলে— “শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । সম্পর্কে তিনি আমার জ্যাঠামশাই।”
হেমাঙ্গ বাবু যেন বোকা বনে গেলেন। তিনি ভড়কে গিয়ে বল্লেন- “তাই নাকি! রবীন্দ্রনাথের ভাইপো তুমি? তা তো জানতাম না !”
পরদিনই সত্যব্রতের মিথ্যা কথা ধরা পড়ে গেল। হেমাঙ্গ বাবু ক্লাশে এসেই সত্যব্রতের খোঁজ করলেন,—কিন্তু সত্যব্রতর আর কয়েকদিন দেখা নাই।

কয়েকদিন স্কুল কামাই করে যেদিন সে ক্লাশে এলো, হেমাঙ্গ বাবু জিজ্ঞাসা করলেন, “কি হয়েছিল তোমার, জ্যাঠা- মশাইয়ের বাড়ী বেড়াতে গিয়েছিলে বোধ হয়?”
মাথা চুলকে সত্যব্রত বল্লে, – “না স্যার, পেটের অসুখ হয়েছিল!”

-“বাজারের তেলেভাজা ফুলুরি খেয়েছিলে বুঝি ? -“না স্যার, চীন দেশ থেকে আমার বড় মামা দেড়শো বছরের পুরাণো হাসের ডিম পাঠিয়েছিলেন। সেই ডিমের কালিয়া খেয়ে পেট খারাপ হয়েছিল।”
হেমাঙ্গ বাবু সত্যব্রতকে ভালো করেই চিনতে পেরেছেন। গম্ভীর হয়ে তিনি বল্লেন, “হু”, দেড়শো বছরের পুরাণো হাঁসের ডিম না ঘোড়ার ডিম! তোমার মাথা আর মুণ্ডু। ফাজিল ফক্কড় কোথাকার! তোমার নাম ‘সত্যব্রত’ কে রেখেছিলেন ?” সত্যব্রত মুখ কাচুমাচু করে বল্লে— “স্যার, –পিসীমা।” হেমাঙ্গ বাবু—“তিনি কে? ”
সত্যব্রত বল্লে—“সরোজিনী নাইডু।”

আমরা হো হো করে হেসে উঠলাম। হেমাঙ্গ বার বল্লেন— “দাড়াও, তোমার বাবার সঙ্গে আজই দেখা করতে হচ্ছে। তোমার ডেপোমী ভাঙ্গতে হবে। তিনি কখন বাড়ী থাকেন?”
সত্যব্রত বল্লে— “স্যার, তিনি এখানে নেই, – বৰ্দ্ধমান গেছেন তাঁর ফ্রেণ্ডের সঙ্গে দেখা করতে।”

হেমাঙ্গ বাবু এতক্ষণে দস্তুর মত চটে গেছেন। তিনি তেড়ে বল্লেন—“কে তাঁর ‘ফ্রেণ্ড?”
সত্যব্রত বেশ কৃতিত্বের ঢোঁক গিলে বল্লে— “বর্দ্ধমানের মহারাজা। ”
একদিন সত্যব্রতর পকেটে একটা রং-চঙে রুমাল দেখা গেল। আমাদের ক্লাশের জনাৰ্দ্দন বল্লে— “বাঃ, বেশ রুমালটা তো!” Hasi Kanna pdf পড়ুন।

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রহস্য উপন্যাস ও গল্প পিডিএফ (সকল খন্ড) Bishwer Shreshtha Upanyas O Chhoto Galpo Pdf All part

ব্যস আর যায় কোথায়। সত্যব্রত বল্লে—“যাঃ, যাঃ, এ রুমালের মর্ম্ম তোরা কি বুঝবি! বিষ্ণু দিগম্বরের নাম শুনেছিস্? সেই যে যার জোড়া গায়ক সারা ভারতে আর ছিল না। সেই বিষ্ণু দিগম্বর ছিলেন আমার কাকার সাগরেদ। আফগানিস্তানের রাজা আমানুল্লা যখন বোম্বাইয়ে এসেছিলেন, তখন সেই বিষ্ণু দিগম্বরের মুখে দরবারী কানাড়া শুনে খুসী হয়ে তিনি তাঁর মাথার পাগড়ী হলে তাকে উপহার দেন। সেই পাগড়ীর আধখানা দিগম্বর মশাই কাকার কাছে পাঠিয়েছিলেন। কাকা তাই নিয়ে বালাপোষ বানিয়েছেন।

একটুকরো বেঁচেছিল, তাই দিয়ে আমি রুমাল তৈরী করেছি।”
আর একদিন সত্যব্রত কোথা থেকে একটা ভোঁতা ভাঙ্গা- চোৱা Fountain pen এনে হাজির করলো। আমরা ঠাট্টা করে বল্লাম, “এটা বুঝি তোর ঠাকুদাকে জার্মানীর কাইশার উপহার দিয়েছিলেন সত্যব্রত মুখ গম্ভীর করে বল্লে, “এর অর্থ তোরা কি বুঝবি? তোৱা তো শিখেছিস্ খালি জ্যাঠামি আর ফক্কুড়ি করতে— আর কথায় কথায় দাত বের করে হাতে। এই Fountain pen দিয়ে বিদ্যাসাগর মশাই ‘আখ্যান-মঞ্জরী’ লিখেছিলেন। তারপর, তাঁর কাছ থেকে পান মাইকেল মধুসূদন দত্ত। “মেঘ- নাদ বধ কাব্য’ লিখতে লিখতে এই কলমটি চুরি যায়। আমার ঠাকুৰ্দ্দা পুলিশে বড় কাজ করতেন। তিনি চোৱা-বাজার থেকে এটিকে যখন উদ্ধার করলেন তখন বিদ্যাসাগর মশাইও নেই—মাইকেলেরও মৃত্যু হয়েছে। কাজেই সেই থেকে ওটা আমাদের বাড়ীতেই আছে।”

Hasi Kanna pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply