কৃষ্ণ— একজন ভারতীয় দেবতা। মহাভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চরিত্র। মহাভারতের অন্যতম অংশ- হরিবংশ যাঁকে ঘিরে রচিত হয়েছে। অনেক পণ্ডিত বলেন- হরিবংশ নাকি মহাভারতে প্রক্ষিপ্ত। সে হোকগে যাক। বর্তমান সময়ে কৃষ্ণকে সামনে রেখে পৃথিবী জুড়ে চলছে এক উন্মাদনা। কৃষ্ণকে মূল উপজীব্য করে আমেরিকা ও ইয়োরোপের দেশগুলিতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা হিন্দুত্বে পরিবর্তিত হচ্ছেন। Hate Panji pdf
তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্র। সেখানে হরে কৃষ্ণ নামগানের জোয়ার বইছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে বিভিন্ন ভারতীয় বক্তা জীবনের মানে বোঝাচ্ছেন, রাজনৈতিক নেতা, আন্তর্জাতিক সংগীতশিল্পী, চিত্রতারকা, কর্পোরেট জগতের কর্তাব্যক্তিরা ছুটে যাচ্ছেন। তাঁরা বক্তাদের বক্তব্য শুনে জীবনের ওপর নেমে আসা চাপ সরাচ্ছেন। তাঁদের ভাষণ শোনার জন্য স্লট বুকিং করতে হচ্ছে। প্রচুর অর্থ দিয়ে স্লট বুকিং করে জীবনের মানে বুঝতে আসছেন হুজ হু-এর দল।
কৃষ্ণভজন— তার সঙ্গে মন্দির, নিরামিষ খাওয়া, পরিমিত জীবন, সব মিলিয়ে একটা প্যাকেজ — আর সেই প্যাকেজের বিপনন করে পৃথিবীব্যাপী একের পর এক কেন্দ্র তৈরি করছে একটি সংগঠন – আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবধারা প্রচার সমিতি বা ইনক্রিপ। যত কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে ততই ইনক্রিপের কোষাগার ফুলেফেঁপে উঠছে। Hate Panji pdf
যাঁরা একদা লন্ডনে মার্গারেট ফ্লেচার বা অস্ট্রিয়ায় ডেভিড হোল্ডার নামে পরিচিত ছিলেন— তাঁরাই এখন মৃণালিনী দাসী বা দীনেশ দাস হয়ে কপালে রসকলি এঁকেছেন, গেরুয়া বস্ত্র পরেছেন, প্রচার করছেন কৃষ্ণনাম। Hate Panji pdf
২৫টি সেরা ভূত pdf – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় 25ti Sera Bhoot pdf – Shirshendu Mukhopadhyay
ডলার হোক বা ইউরো- ক্রমাগত নিউ ইয়র্কের ইনক্রিপের হেডকোয়ার্টারে জমা হচ্ছে। ইনক্রিপ ক্রমশ তৈরি করছে এক সাম্রাজ্য। কৃষ্ণনামের দোহাই দিয়ে সারা পৃথিবীর অর্থ আমেরিকার একটি সংগঠনে চলে যাচ্ছে— এটা খেয়াল করেছেন গ্রেট ব্রিটেনের সরকার।
একদা বলা হত ব্রিটিশ রাজত্বে সূর্যাস্ত হয় না, আজ হয়তো সেই দিন আর নেই। কিন্তু ইউরোপের পাউন্ড বা ইউরো আমেরিকার ভাণ্ডারে জমা হচ্ছে এটা মেনে নিতে আজও ব্রিটিশ রক্তে ঈর্ষা জন্ম দেয় বই-কি। এই অসূয়া থেকেই হোক বা পাউন্ডের বাইরে চলে যাওয়া আটকাতে ব্রিটিশ সরকারের মদতে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণনাম প্রচার সংঘ বা ক্রিপি। Hate Panji pdf
ক্রিপি সারা পৃথিবীব্যাপী কেন্দ্র তৈরি করবে না, তাদের কার্যক্রম ইউরোপেই সীমাবদ্ধ। একটা সুবিধে হয়েছে— ইনক্রিপ ইতিমধ্যে কৃষ্ণনামই মুক্তির উপায় এই চিন্তাধারা প্রচার করে ফেলেছে। সুতরাং এই চিন্তাধারায় ক্রমশ মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে। ক্রিপি তাদের নিজেদের দিকে আকর্ষিত করে নিয়ে আসবে। এর জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। লন্ডনে তাদের হেড কোয়ার্টারে তৈরি হবে একটি মিউজিয়াম। সেখানে কৃষ্ণ বিষয়ক বিভিন্ন জিনিস প্রদর্শিত হবে। ইনক্রিপের বিভিন্ন কেন্দ্রেও এমন মিউজিয়াম আছে বটে— কিন্তু সেসবই বিষ্ণু বা কৃষ্ণ বিষয়ক মূর্তি বা ছবির প্রদর্শনী।
ক্রিপির মিউজিয়াম হবে মাত্র একটাই— আর সে মিউজিয়াম হবে একমোবদ্বিতীয়ম। সেখানে যা-ই প্রদর্শিত হবে সব হবে আসল – ভারত থেকে আনা এক্সক্লুসিভ জিনিস। এতে সুবিধে হবে দুটি। প্রথমত — এই ধরনের মিউজিয়াম আর কোথাও না থাকাতে দর্শক বিপুল খরচ করে দেখতে আসবেন এবং ক্রিপির কোষাগারে অর্থ প্রদান করবেন। দ্বিতীয়ত— এই বিষয়ে যদি কেউ গবেষণা করতে চায়, তাকে এই মিউজিয়ামের বদান্যতায় সেই সুযোগ করে দেবে ক্রিপি। সেই সব গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলে ক্রিপির নাম উল্কার বেগে প্রচারিত হবে।
একটাই অসুবিধা— এই এক্সক্লুসিভ প্রদর্শিত বস্তুগুলি কী হবে সেই সম্বন্ধে সম্যক ধারণা তৈরি হয়নি, তবে যা-ই হোক— সেগুলি আনতে হবে ভারতের মাটি থেকে। প্রদর্শিত বস্তুগুলি কী হবে সে ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য লন্ডনে অবস্থিত স্কুল অফ ইন্ডোলজিক্যাল স্টাডিজ আছে। আর সেগুলি আনার জন্য? অতীতে বহু জিনিস ভারত থেকে ব্রিটেনে এসেছে। সেগুলি রয়ে গেছে ব্রিটেনেই। এই সময়েও সেইভাবে ব্রিটেনে আসবে ও থেকে যাবে। ভারতে লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেই বা কোন কাজে লাগছে সেগুলো? Hate Panji pdf
তাঁদের পারিবারিক বাসভবন সংলগ্ন রাধামাধব মন্দিরে নিয়মিত কৃষ্ণসংকীর্তন হয়। তিনি স্বয়ং নিয়মিত পাঠ করেন কবি জয়দেবের গীতগোবিন্দম। তাঁর লাইব্রেরিতে তিনি বহু বাংলা ও সংস্কৃত পুঁথির নকল সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে অনেক দুষ্প্রাপ্য পুঁথিও আছে। Hate Panji pdf
বিলেত থেকে বছর কুড়ি আগে চার্লস উইলকিন্স বলে একজন সাহেব এসে প্রথম বাংলা হরফ তৈরি করে ছাপানোর চেষ্টা করেছিলেন। চন্দননগরের স্যাকরা পঞ্চানন কর্মকার উইলকিন্সের কাছে সেই হরফ দেখে সিসে দিয়ে আরো ভালো বাংলা হরফ তৈরি করেছেন। গুটেনবার্গের প্রেস মেশিন বসেছে কলকাতার গরাণহাটা, ডিহি আহিরিটোলা ও হুগলীর চন্দননগরে। সেখানেই ইদানীং শুরু হয়েছে পুস্তক মুদ্রণ। ছাপা হচ্ছে নতুন নতুন লেখকের লেখা নাটক, নভেল। তার সঙ্গে ছাপা হচ্ছে- বিভিন্ন মঙ্গলকাব্য, গীতিকাব্য।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.