হিপোক্রেট pdf – রুমানা বৈশাখী Hipocret pdf Rumana Baishakhi

হিপোক্রেট pdf - রুমানা বৈশাখী Hipocret pdf Rumana Baishakhi
হিপোক্রেট pdf - রুমানা বৈশাখী Hipocret pdf Rumana Baishakhi

রুমানা বৈশাখীর সমকালীন গল্প Hipocret pdf হিপোক্রেট pdf ডাউনলোড করুন ও Hipocret pdf হিপোক্রেট pdf পড়ুন।

হিপোক্রেট pdf - রুমানা বৈশাখী Hipocret pdf Rumana Baishakhi
হিপোক্রেট pdf – রুমানা বৈশাখী Hipocret pdf Rumana Baishakhi

Hipocret pdf হিপোক্রেট pdf কাহিনিঃ

প্রথম গল্পটি শুরু হয় ভালোবাসা পেতে ব্যাকুল এক নারী হৃদয়কে নিয়ে। যে সুখের স্পর্শ পেতে বেছে নেয় পরকীয়ার আবরণ। অথচ দিন শেষে নিজের অস্তিত্বই অপবাদ দেয় তাকে – হিপোক্রেট। বইয়ের প্রতিটি গল্পেরই কোথাও না কোথাও উঠে এসেছে জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা রূঢ় সত্য। অর্থ-বিত্তের ঝলকানি যে আড়াল করে দিতে পারে অতীতের জঘন্যতম অপরাধকেও সেই কাহিনী বর্ণিত হয় একজন রাজাকার মারা গেছে। ইসকুল বলে আমাদের চরম আধুনিক জীবন-যাপনের কথা, গ্রামে ফেলে আসা শেকড়ের কথা। জনৈক জিলু হোসেন গল্পটি একজন নিঃসঙ্গ মানুষের সত্য কাহিনী। যে অপেক্ষা করে পরিবার এবং ভালোবাসার।

দাফনের প্রত্যাশায় অপেক্ষা করেন পাঁচ সন্তানের জননী মমতা বেগমও মমতা বেগমের বাক্স গল্পে এবং সবশেষে পিঞ্জিরা-তে উঠে আসে সোনার খাঁচায় বন্দী জীবনের একমাত্র সত্য অনুভব… ভালোবাসা! দৈনন্দিন দিন যাপনের অত্যন্ত সাধারণ কিছু গল্প নিয়ে এ বই হিপোক্রেট।

Hipocret pdf হিপোক্রেট pdf নমুনাঃ

“আহ্হা, তা কেন হতে যাবে?’ নাসরিনের কথাগুলোর জোর প্রতিবাদ করেন মিসেস রহমান। জেসমিন রহমান।
শরীরে জড়ানো দামী শাড়িতে ঝিলিক তুলে বেশ একটা গর্বিত ভঙ্গি করে বলেন, ‘আমার স্বামী তো ভাই এখনও আমাকে ছাড়া কিছু বোঝেন না। রাতের বেলা আমি বিছানায় শুতে না এলে তার তো ঘুমই হয় না!’
বাক্যগুলোর আদি রসাত্মক গন্ধটুকুর জন্যে হেসে ওঠে প্রায় সবাই। বেচারী নাসরিনও তাল মেলাতে ঠোঁটের কোন বাঁকা করে একটু। প্রায় পঁচিশ/ত্রিশজন নারী আছে এখানে। সকলেই বিবাহিতা এবং বাচ্চার মা। আর দেখা করবার উপলক্ষ্যটা তৈরি হয়েছে বাচ্চাদের স্কুল ফাংশনের মাধ্যমে। অবশ্য সবার সাথেই সবার কমবেশি দেখা তো প্রতিদিনই হচ্ছে।

অন্য সময় হলে হয়তো ভালোই লাগতো ইয়াসমিনের, কিন্তু আজ লাগে না। বেশ একটা রসালো বিষয় নিয়ে আলাপ হচ্ছে “স্বামী”। সকলেই এমন সব গল্প বলছে যেন তাদের স্বামী সুখের কোনো অন্ত নেই। অথচ সকলেই জানে যে এসব কথার ৯৯ ভাগ হচ্ছে নিরেট চাপা। এত বছর ঘর করার পর, ছেলে পুলের বাবা-মা হবার পর যদি এরা দাবি করে যে স্বামী তার প্রেমে পাগল কলেজের ছেলেদের মতো- তাহলে সেটা চাপা ছাড়া আর কি?
এই যে মিসেস রহমান এত গর্ব করলেন, উপস্থিত প্রতিটি মহিলাই বোধ হয় জানে যে ২২/২৩ বছরের এক তরুণীর সাথে প্রেম আছে তার স্বামীর। ভদ্রলোক চালাকও বটে। কারণ ঘরের বউকেও কেমন সুন্দর ম্যানেজ করে রেখেছেন। সব জেনে শুনেও মিসেস রহমান….

হলদে গোলাপ pdf – স্বপ্নময় চক্রবর্তী Holde Golap pdf – Swapnamoy Chakraborty

‘আসলে কি জানেন, নিজের বউয়ের কাছ থেকে ভালোবাসা পেলে পুরুষ মানুষ আর অন্যদিকে মন ফেরায় না।’ বলে মিসেস নবনীতা রায়। ‘আমি তো সর্বক্ষণ আমার সাহেবকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টাই করি।’
‘ঠিকই, ভাবী! আমরা মেয়েরা যদি নিজের চেহারা আর শরীরটা একটু মেইনটেইন করে রাখি, তাহলেই হয়। আমাকে দেখুন না; উনি বলেন আমি নাকি এখনও বিয়ের দিনের মতোই সুন্দর।’

মিসেস রায়হানের কথা শুনে হাসি যে কিভাবে লুকাবে, সেটাই বুঝতে পারে না ইয়াসমিন। চাপা যে কত প্রকার হতে পারে! নবনীতা স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টাটা বকাঝকা আর ধমকের মাধ্যমে করে, সেটা তো ইয়াসমিনের নিজের চোখেই দেখা । আর মিসেস রায়হান? সে কি জানে যে তার স্বামীর পরকীয়া চলছে নবনীতার সাথে? এত না নিজেকে স্লিম আর সুন্দর রাখেন। তাহলে অমন কালো আর ভারী শরীরের নবনীতাকে ওনার স্বামীর এত মনে ধরে কেন?

বেচারী নাসরিন! স্বামীকে নিয়ে ছোট্ট একটা আফসোস করতে গিয়ে এতগুলো মহিলার গাল-গল্পের মাঝে ফেঁসে গেছে। অবশ্য এদেরকে খুব একটা দোষও দিতে পারে না ইয়াসমিন। সাংসারিক জীবনের ব্যক্তিগত অসুখটাকে সকলের সামনে এনে কেউ-ই নিজেকে ছোট করতে চায় না। কারণ সেটাই তখন হয়ে দাঁড়াবে অন্য মহিলাদের গসিপের মসলাদার বিষয়বস্তু। এইসব আটপৌরে গৃহিনীরা যাদের পরিচয় শুধু স্বামীর পরিচয়ে; আর সোসাইটিতে সম্মান নির্ভরশীল স্বামীর দেয়া শাড়ি গয়না নামক ভালোবাস্যার (!!) ওপর তারা কেন অযথা চাইবে সম্মান হারাতে? পরকীয়া আছে বেশির ভাগেরই। তবে সাহসী পরকীয়া নয়, অধিকাংশই হচ্ছে টেলিফোন প্রেম।

চার দেয়ালের ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেও টেলিফোনের মাধ্যমে এইসব নারীরা খুঁজে নেয় কিশোরী-তরুণী বয়সের সেই প্রেমে পড়ার আনন্দ; একটু খানি সিনেম্যাটিক ভালোবাসা; এক ধরনের কষ্ট কষ্ট সুখের মাঝে দৈনন্দিন একঘেয়ে জীবনটাতে বেঁচে থাকার অবলম্বন। যারা একটু সাহসী। তারা খুঁজে নেয় শারীরিক ভালোবাস্যার। নিজের মত করে জীবনের অর্থ খুঁজে নেয়া যেন।
ধূর!
নিজের ওপরই বিরক্ত লাগে। কি দরকার অযথা এতসব চিন্তা করে? যা চলছে; তা কি বদলে যাবে? তার চাইতে চলুক না!
… আমার সাহেবকে নিয়ে আমি তো আপা ভীষণ সুখী। উনি এখনও বিছানাতে যা করেন না…’

আর শুনতে ইচ্ছা হয় না। স্কুলের হল ছেড়ে বের হয়ে যায় ইয়াসমিন। আরে, স্বামী শারীরিকভাবে খুশি করতে পারে তো বয়ফ্রেন্ডের কি দরকার? প্রায়ই তো এখানে- সেখানে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখা যায় এক নয়, একাধিক পুরুষের সাথে!
নাম!
কি যেন নাম মেয়েটার? মিসেস আশফাক চৌধুরী। আসল নামটা কি?
কি যেন
মনে আসে না। “মিসেস” পরিচয়ের আড়ালে হারিয়ে গেছে মেয়েটার বাবা মায়ের দেয় নাম পর্যন্ত।
বাইরে উজ্জ্বল রোদ গ্রীষ্মের। পুরো শরীর চিড়বিড় করে ওঠে। কেন যেন মনটাও। কতদিন দেখা হয় না রবিনের সাথে? কতদিন কাটানো হয় না চমৎকার কিছু ভালোবাস্যার মুহূর্ত?

Hipocret pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply