অভিজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত Je Alo Chariya Gelo Sobkhane pdf যে আলো ছড়িয়ে গেল সবখানে pdf ইবুকটি প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। Je Alo Chariya Gelo Sobkhane pdf এ অভিজিৎ রায়ের কাছের মানুষগুলো স্মৃতিচারণ করেছেন তাকে নিয়ে। অভিজিৎ রায়ের স্ত্রীসহ তার বন্ধু ও শুভকামনাকারীরা তাকে নিয়ে লিখেছন নানা অজানা বিষয়ে।
Je Alo Chariya Gelo Sobkhane pdf যে আলো ছড়িয়ে গেল সবখানে pdf সম্পাদকীয়
প্রকাশিত হলো ই-বই ‘যে আলো ছড়িয়ে গেলো সবখানে’। মুক্তমনার আহবানে সাড়া দিয়ে ২০১৫ সনে অভিজিৎ রায়ের ৪৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় যারা লিখেছিলেন অভিজিৎ রায় ও মুক্তচিন্তা চর্চার পথে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে, তাদের লেখাগুলোর সংকলন আকারে প্রকাশিত হলো ই-বইটি।
আততায়ী ১ pdf – শেখ আবদুল হাকিম Atotayi 1 pdf – Sheikh Abdul Hakim
২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ‘একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ইসলামি জঙ্গিদের চাপাতির আঘাতে নিহত হবার পূর্ব পর্যন্ত মুক্তমনা প্রতিষ্ঠাতা অভিজিতের সম্পৃক্ততা ছিল বিজ্ঞান, মুক্তচিন্তা, মানবতাবাদ, সাহিত্যসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। তিনি অনলাইনেই শুধু লেখালেখি করেন নি, একইসাথে বাংলাদেশের মুক্তচিন্তার আন্দোলনকে দেশে-বিদেশে নিয়ে গিয়েছেন এক অন্যন্য উচ্চতায়। অভিজিৎ রায় বাংলায় লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন দশটি বই। তিনি ছিলেন, আছেন ও থাকবেন সারা বিশ্বের মুক্তচিন্তক, স্বাধীনচেতা, উদারমতাবলম্বীদের বন্ধু হয়ে।
ই-বইটি প্রকাশনায় যারা বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, লেখা পাঠিয়েছেন মুক্তমনার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ‘যে আলো ছড়িয়ে গেলো সবখানে’ ই-বইটি বিনামূল্যে বিতরণের জন্য উন্মুক্ত।
মুক্তমনা
Je Alo Chariya Gelo Sobkhane pdf যে আলো ছড়িয়ে গেল সবখানে pdf সূচিপত্র
অভিজিৎ রায়ের ৪৪তম জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে লেখা
৩ শুভ জন্মদিন অভি: বন্যা আহমেদ
১২ আলো হাতে অভিজিৎ রায়: প্রদীপ দেব
১৬ নৈঋতের মাঝে মানবের গান শুনিয়ে গেলেন যিনি: অংকুর অদ্ভুত
২৩ সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে: তানভীর
একজন স্পষ্টভাষী, সোচ্চার যুবকের কথা: অনুজিৎ রায়
৩২ ভাল থাকিস গুল্লু: আদিল মাহমুদ
৩৭ তুমিতো নও কেবলই ছবি: ইরতিশাদ আহমদ
৪০ তোমার আলোর মশাল হাতে আজ আমরা সবাই অভিজিৎ: রায়হান আবীর
৬৪ অভিদা’র জন্মদিন: হিল্লোল দত্ত
অভিজিৎ রায়কে ধারণ করার মত বাঙলাদেশ এখনও গড়ে তুলতে পারিনি: অনন্য আজাদ আমার জীবনে অভিজিৎ রায় ও মুক্তমনা: নীলাঞ্জনা
৬৮ অভিজিৎ রায়: আঁধারে আলো জ্বালানো এক প্রকৃত বিজ্ঞানমনস্ক অভিযাত্রীর নাম : হোরাস
৭১ অভিজিৎ রায়: যার সাথে আরো অনেক দূর হেটে যাওয়ার কথা ছিল: সৈকত চৌধুরী
৭৩ মুক্তমনা ব্লগ ও আমার নাস্তিকতার হাতেখড়ি: সজীব মোহন্ত
৭৬ জন্মদিনের পুষ্পাঞ্জলি: নীল অরিন্দম
৭৮ আমি যেভাবে বখে গেলাম: নিকসন কান্তি
৮২ অভিজিৎ রায়’২০১৫: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৮৬ স্মৃতিতে অভিজিৎদা: আরিফুর রহমান রনী
৮৭ মুক্তমনার মুক্তো পড়ে মুক্ত বিহঙ্গ: আলোকিত হওয়ার গল্প: ঔপপত্তিক ঐকপত,
৯৭ অভিজিৎ রায়: অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে এক আলোকবর্তিকার প্রতিচ্ছবি: রুশো আলম
১০১ যে আলো ছড়িয়ে গেলো সবখানে: ডারউইনের বিপজ্জনক ধারণ
১০৫ আমার মুক্তি আলোয় আলোয়: মারজিয়া প্রভ
১০৭ ভেবেছিলাম লিখবো না… : অদিতি কবির খেয়,
১০৮ সে আগুন ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে: অর্ণব পাল
১১০ অভিজিত্রা হারলে হারবে বাংলাদেশ: ধীমান রায় ১১৩ অপরাজিত অভিজিৎ: চঞ্চল কুমার
১১৪ মুক্তমনার সাথে আমার দিনগুলো: তানবীরা
১১৭ উত্তরণকাল: একুশ তাপাদার
১২৩ কোপার্নিকাস, ব্রুনো, গ্যালিলিও এবং অভিজিৎ: নৃপেন্দ্র সরকার
১২৮ একটি প্রতিবাদ: একটি শোকগাথা: অমল রায়
১৩৪. ক্রাইম সিন, ডোন্ট ক্রস: বিকাশ মজুমদার
১৩৫ আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী”: নাস্তিকের ধর্মকথা
১৪৬ বরং দ্বিমত হও… :
Je Alo Chariya Gelo Sobkhane pdf নমুনাঃ
তোমাকে চিঠি লিখি না অনেক দিন। আজকের দিনে চিঠি না লিখলে তুমি অভিমানী হাসি হেসে বলতে, “ইই, তুমি কতদিন ধরে আমাকে চিঠি লেখ না সেটার হিসাব কিন্তু আছে আমার কাছে।” যে কম চিঠি লিখত সেই যেন হেরে যেত। এটা বোধ হয় তোমার করা নিয়মগুলোর একটা, তাই না? এভাবে নিষ্ঠা ভরে হাতে চিঠি লেখাটা কিভাবে শুরু হয়েছিল আমাদের মধ্যে? এক বাসায় থেকেও বছরের পর বছর চিঠি লিখেছি আমরা একজন আরেক জনকে। অদ্ভুত সব নিয়ম ছিল তোমার। তোমার সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর অবাক হয়ে দেখলাম ঝগড়ার পর যে প্রথম আত্ম সমর্পণ করে সেই নাকি জেতে! খুব অদ্ভুত লেগেছিল এই পুরো ধারণাটা প্রথমে শুনে।
গোঁ ধরে, শক্ত হয়ে বসে থেকে জেতাটাই নাকি জেতা নয়, বরং মহত্ত্ব দেখিয়ে আগে এসে ভাব করে সেই নাকি জেতে। সেদিন আমার তোমার হাতে লেখা কয়েকশো চিঠি নিয়ে বসেছিলাম মাটিতে পা ছড়িয়ে বসে। আমি তোমার লেখা চিঠিগুলো সযতনে তুলে রেখেছিলাম। হাসপাতাল থেকে বাসায় এসে তোমার ড্রয়ারগুলো খুলে দেখলাম তার একটাতে তুমিও একইভাবে আমার চিঠিগুলো সব একসাথে করে জমিয়ে রেখেছ। আর তো কোনদিন তুমি চিঠি লিখবেনা, তাই আমার তোমার সব চিঠিগুলো মিলিয়ে দিয়েছি এক সাথে। তোমার সেই সিঙ্গাপুর থেকে পাঠানো ফেডএক্সের বড় বড় প্যাকেটগুলোতে।
২০০৩ সালে লেখা একটা চিঠিতে দেখলাম তোমাকে এই রবীন্দ্রসংগীতটা পাঠিয়েছিলাম,
অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া–
দেখি নাই কন্তু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়াঃ
কোন্ সাগরের পার হতে আনে কোন্ সুদূরের ধন–
ভেসে যেতে চায় মন,
ফেলে যেতে চায় এই কিনারায় সব চাওয়া সব পাওয়া পিছনে ঝরিছে ঝরো ঝরো জল, গুরু গুরু দেয়া ডাকে—
মুখে এসে পড়ে অরুণকিরণ ছিন্ন মেঘের ফাঁকে।
ভেবে দেখলাম, সবই আসলে এখনো একইরকম আছে, শুধু গানটার সবগুলো ক্রিয়াপদ আজ অতীত কালে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আমরা শেষ চিঠি আদান প্রদান করেছিলাম। ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে, সেই জাপানিজ রেস্টুরেন্ট এ বসে, দেশে রওনা দেওয়ার একদিন আগে। তোমাকে সেদিন যে চিঠিটা লিখেছিলাম সেটা আবারো পড়লাম, পড়তে পড়তে মনে হলো, আচ্ছা, এটাই কেন তোমাকে লেখা শেষ চিঠি হতে হবে? তুমি না হয় আর লিখতে পারবে না, কিন্তু আমি তো পারি। উত্তর না হয় না’ই বা পেলাম, পার্থিব তিথিডোরে বাঁধা আর নাইবা থাকলাম। উত্তর’ই বা কেন পেতে হবে তোমাকে লিখতে হলে? দেখেছ, আমার কত ধৈর্য বেড়েছে, কতই না খারাপ কথা বলেছ জীবনে আমার ধৈর্যের অভাব নিয়ে।
তুমি হাসছ নিশ্চয়ই রবীন্দ্রসংগীত দেখে। রবীন্দ্রনাথের সাথে আমার ভালোলাগা খারাপ লাগার সেই অস্তি-নাস্তির বিরোধটা কোনদিনও আর মিটলোনা কিন্তু। রবীন্দ্রসংগীত না থাকলে আমি এই দেড় বছরে বারবার যেন মারা যেতাম।
অভিজিৎ রায়ের Je Alo Chariya Gelo Sobkhane pdf যে আলো ছড়িয়ে গেল সবখানে pdf পড়ুন এখান থেকে এবং ডাউনলোড করুন এখান থেকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.