
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এর উপন্যাস Jibon Rohosso pdf জীবন রহস্য pdf ডাউনলোড করুন ও Jibon Rohosso pdf জীবন রহস্য pdf পড়ুন।

Jibon Rohosso pdf জীবন রহস্য pdf সম্পর্কেঃ
আত্মজীবনীর প্রেক্ষাপটে উপন্যাস রচনা সাহিত্যে নতুন নয়। কিন্তু উপন্যাসের সঙ্গে স্বনামে নিজের জীবনকে জড়িয়ে দেওয়া, নিজের দোষগুণ সাফল্য-দুর্বলতাকে প্রকট করার এক দুঃসাহসিক ব্যতিক্রম। উপন্যাসের কাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে অন্বিত হয়ে গেছে দুই প্রজন্মকালের বা তারও ব্যাপকতর সময়ের বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতির পালাবদলের কাহিনী। অন্বিত হয়ে গেছে ছিন্নমূল মানুষের নিরন্তর সংগ্রাম ও ব্যথা-বেদনার জয়- পরাজয়ের মর্মস্পর্শী বিবরণ। আঁকা হয়েছে সমাজের বহু চেনা-জানা খ্যাত-অখ্যাত নরনারী, যাঁদের কেউ উঠে গেছেন সাফল্যের চূড়ায়, কেউ বা হারিয়ে গেছেন বিস্মৃতির গুহায়।
Jibon Rohosso pdf জীবন রহস্য pdf বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
আত্মজীবনীর প্রেক্ষাপটে উপন্যাস রচনা সাহিত্যে নতুন নয়। কিন্তু উপন্যাসের সঙ্গে স্বনামে নিজের জীবনকে জড়িয়ে দেওয়া, নিজের দোষগুণ সাফল্য-দুর্বলতাকে প্রকট করার এক দুঃসাহসিক ব্যতিক্রম। উপন্যাসের কাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে অন্বিত হয়ে গেছে দুই প্রজন্মকালের বা তারও ব্যাপকতর সময়ের বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতির পালাবদলের কাহিনী। অন্বিত হয়ে গেছে ছিন্নমূল মানুষের নিরন্তর সংগ্রাম ও ব্যথা-বেদনার জয় পরাজয়ের মর্মস্পর্শী বিবরণ। আঁকা হয়েছে সমাজের বহু চেনা-জানা খ্যাত-অখ্যাত নরনারী, যাঁদের কেউ উঠে গেছেন সাফল্যের চূড়ায়, কেউ বা হারিয়ে গেছেন বিস্মৃতির গুহায়।
Jibon Rohosso pdf জীবন রহস্য pdf নমুনাঃ
সময়ের দূরত্বে সাধারণ কথাই রূপকথা হয়ে যায়। জীবনে কেউ তো আর বিশিষ্ট হবার জন্য গাছিয়ে ঘটনা ঘটায় না। বহতা নদীর মতই জীবনটা নাচতে নাচতে ঢেউ তুলে কালের তাঁর ধরে কথা কাহিনী ছড়াতে ছড়াতে বয়ে যায়। তারপর একদিন সবজীবনই মৃত্যুর মত এক অনন্ত নিদ্রা বা মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। সেই নিদ্রাসাগরই আমাদের জীবনের মোহানা। কিংবা এই মোহানা থেকেই অনন্ত জন্মের মহাজীবন।
আমি এমন কেউ নই যে, আমার কথা বলতে গিয়ে এত গম্ভীর হয়ে যাব। বরং বিদায়, মৃত্যু, পতন—এসব তো চিরকালই হাসতে হাসতে বলেছি। দঃখের ভেতরেও হাসির ঝিলিক আমার আগে চোখে পড়ে। গরে গম্ভীরের অসঙ্গতি আমায় হাসায়।
উত্তরের বারান্দা pdf – অভিরূপ সরকার Uttarer Baranda pdf by Abhirup Bandyopadhyay
আমার বাবা আগের শতাব্দীর একেবারে শেষ দিককার বালক। এই শতাব্দীটাও পরো বাঁচতে ইচ্ছে ছিল তাঁর। মরবার বছর আমার বউকে লাউশাক রাঁধতে বলে রান্নাঘরের সামনে মোড়ায় বসে একদিন বললেন, এই শীতটা বাঁচলে ঠিক নব্বই করে দেব।
তখন তাঁর তিরাশি। আমার বউ কয়লার আঁচে দুধ, কাঁচালঙ্কা, নৈনিতাল আলরে ফালি দিয়ে অতি উপাদেয় লাউশাক রাঁধছিল বশরের জন্য। বাবা বললেন, আমি জীবনে দু’বার বিয়ে করেছি। দু’বারই ফর্সা, লম্বা আর বড়- লোকের মেয়ে বিয়ে করেছি। তোদের মত না। ছেলেগুলো যে কি বিয়েই করলো!
কথাটার মানে ছেলের বউয়েরা কেউই তেমন ফর্সা বা বড়লোকের মেয়ে নয়। অথচ সেরকমই এক পত্রোধ, বেলা দশটার সময় তাঁর জন্যে লাউশাক রাঁধছে। এসব ছিল স্নেহের সম্ভাষণ, কিংবা ভালবেসে আলাপ আলোচনা। যে ছেলের বউকে যখন পছন্দ হত তখন তাকে তিনি এইসব প্রিয় সম্ভাষণ করতেন।
বাবার আশি বছরের জন্মদিনে তাঁর পাশে বসে ভাত খেয়েছি। শুকনো লঙ্কায় লাল রংয়ের মাছের ঝোল। ভাত মাখলে হাত যেন হলদে হয়। প্রচুর তেল মশলা। সেই সঙ্গে বেশ উঁচু করে ভাত। যার কাছাকাছিও আমরা খাই না। জীবনকে তিনি সবসময় রসনায় দাঁড় করিয়ে রাখতেন।
বাবার বাবা আমার জন্মের আগে মারা যান। নট্টকোম্পানীর যাত্রাপালায় আয়ান ঘোষ সাজতেন নাকি। ঠাকুমা ছিলেন তেজী মহিলা। গলায় গলগণ্ড। মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। ঠাকুর্দা যাত্রা করতে গেলে, ফাঁকা বাড়িতে রাতে ডাকাত পড়লে ঘরের ভেতর ঠাকুরমা স্বামীর হ” কোটা হাতে নিয়ে ঘড় ঘড় ক শব্দ তুলে হাঁকতেন—ফারাক যা। তার মানে বাড়ির কতা, আমি এখন বাড়ি আছি।
এসব কথা মায়ের মাখে শানেছি। বড় ভাল কথক ছিলেন মা। বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপকের মেয়ে। বড় সদর শহরে জন্ম। বিয়ে হয়েছিল দোজবরে আমার বাবার সঙ্গে। অবশ্যি আমাদের প্রথমা মা বিয়ের ক’বছর পরেই এশিয়াটিক কলেরায় মারা যান। তাঁর কোন সন্তান ছিল না। স্মৃতি বলতে- একটা তেলের বাটি। তাতে খাদে লেখা ছিল—সৌরভিনী। প্রথমার নাম তাই ছিল কিনা জানি না। দেশবিভাগ অব্দি বাবা টানা চল্লিশ বছর ওই বাটি থেকেই সর্ষের তেল নিয়ে জমপেশ করে সারাগায়ে মাখতেন। পার্টিশনের পরে এপারে আসার সময় সেই বাটিটা একটা ক্যারম বোর্ড’ আব বড়দার শরীরচর্চার বারবেলটা হারিয়ে যায়। অন্যের তুলনায় পার্টিশনে আমরা কমই হারিয়েছি বলতে হবে। তবে হারিয়েছি—কৈশোর, রূপকথা আর জলজ্যান্ত একজোড়া নদী—রপেসা আল ভৈরব।
Jibon Rohosso pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.