মানসাঙ্ক pdf – ডা. শামসুল আরেফীন Manoshangko pdf – Dr. Shamsul Arafin

ডা. শামসুল আরেফীনের কষ্টিপাথর বই Manoshangko pdf মানসাঙ্ক pdf ডাউনলোড করুন। মানসাঙ্ক ডা. শামসুল আরেফীন pdf বর্তমান সময়ের সেরা গণিত বিষয়ক বই।

Manoshangko pdf সংক্ষেপঃ

১৯০ বছরের পশ্চিমা ওয়াশের পর আমাদের মগজটাই হয়ে গেছে ফিরিঙ্গী- চামড়া কালো, কিন্তু মনটা ককেশীয়। ওদের পিছে পিছে হেঁটে যখন সমস্যায় পড়ি, তখন সমাধানের জন্যও ওদের দিকেই তাকিয়ে থাকি। ওরা চলে গেছে ৭৪ বছর আগে, কিন্তু রেখে যাওয়া ফিরিঙ্গী শিক্ষাব্যবস্থা ৭০ বছর ধরে তৈরি করে চলেছে শ্যামলা চামড়ার ফিরিঙ্গী— আমি, আপনি, আমরা সবাই। সব সমস্যার সমাধান এসেছে যে ১৪০০ বছর আগেই, কালো চামড়ায় মোড়া সেই সাদা মগজের জন্য এটা মেনে নেয়া কষ্টকর। আমাদের এ আলোচনাগুলো ইলম না । এগুলো ইলমের গুরুত্ব বুঝতে সহায়তা করবে আমাদের। ইলমে ওহীর মধ্যেই যে সমাধানের উপায় দেয়া আছে— এই কথাটা বুঝার জন্য এই বই। ইলম আলিমদের কাছে, সালাফগণ তা রেখে গেছেন আমানত, সমাধান সব সেখানেই। Manoshangko pdf

Manoshangko pdf সূচিপাতা
অনুপ্রেরণা
সম্পাদকের কথা
ভূমিকা ..
মানসাঙ্ক
■ শুরু
■ ধর্ষণ কী?
■ একেকটা ধর্ষণের পর
■ ও মন রে
■ প্রস্তাবনা
■ ফ্যাক্টর ১ : মেন্টাল সেট-আপ –
১.১ ইনজিন ও বগি
১.২ কন্ট্রোলরুম
১.৩ অলিগলি
১.৪ প্যারাফিলিয়া
• ফ্যাক্টর ২ : নির্জনতা
■ ফ্যাক্টর ৩ : উদ্দীপক
■ ধর্ষক কারা?

টাইপ ১ – স্যাডিস্ট রুচি (৮%)
টাইপ ২ – রেপ মিথে বিশ্বাস (২৫%)
টাইপ ৩ – নারীর প্রতি রাগ (৩২%)
টাইপ ৪ – স্বভাবগত রাগী বা অপরাধী (১১%) ..
টাইপ ৫ – সুযোগসন্ধানী (২৩%)
■ রিস্ক ফ্যাক্টর
মানসাঙ্কের সমাধান
” যেসব সমাধানের কথা বলা হয়
ক) সহশিক্ষা :
খ) ফ্রী-সেক্স :
নেদারল্যান্ড
যুক্তরাষ্ট্র
জার্মানি
ল্যাটিন আমেরিকা
কানাডা
বিবিধ
পশু ধর্ষণ

Manoshangko pdf
আমাদের সমাধান :
১. ‘স্থান’-সমস্যার সমাধান
১.১ কর্মস্থল ..
১.২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
১.৩ রাস্তা/বাহন
১.৪ বাসা
১.৪.৩ অজাচার (Incest)
১.৪.৪ অন্যান্য আত্মীয়-
১.৪.৫ ম্যারিটাল রেপ
২. ‘উদ্দীপক’-সমস্যার সমাধান
নয়নের আলো
২.১ মোড়ক নয়তো মড়ক
২.২ রূপ লাগি আঁখি ঝুরে
২.৩ চৈত্রমাসে সর্বনাশ
২.৪ সোনার হাতে সোনার কাঁকন
২.৫ ঘ্রাণে অর্ধভোজন
২.৬ নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক
২.৭ বিড়াল-চলন
২.৮ হ্যাঙ আউট
২.৯ রহস্য ভাসে কিন্নরী ভাষে
৩. ‘মেন্টাল সেট-আপ’ সমস্যার সমাধান
৩.১ মেন্টাল সেট-আপ নিয়ন্ত্রণ
চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল
৩.২ মেন্টাল সেট-আপ পরিবর্তন
৩.২.১ নীল সাগরে সমাধি
৩.২.২ পূর্ণদৈর্ঘ্য বিনোদন ৩.২.৩ শয়তানের তির
৩.২.৪ মনের জানালায় উঁকি
৩.২.৫ অলস মস্তিষ্ক
৩.২.৬ চিয়ার্স…
৩.২.৭ আর্লি ম্যারেজ
৩.২.৮ স্ৰষ্টানুভূতি
সামাজিক সমস্যার সামাজিক সমাধান
শেষকথা : ইসলাম

Manoshangko pdf সম্পাদকের কথা
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

নিশ্চয় সকল প্রশংসা আল্লাহর, সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবি মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সাহাবিগণের ওপর। স্ট্যানফোর্ড প্রিজন অ্যাক্সপেরিমেন্ট। ১৯৭১ এ অ্যামেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে চালানো এ অ্যাক্সপেরিমেন্টের উদ্দেশ্য ছিল—জেলখানায় বন্দি ও রক্ষীদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের মূল কারণ সম্পর্কে জানা। গবেষকদের ধারণা ছিল—বন্দি ও রক্ষীদের মধ্যকার তিক্ত সম্পর্কের কারণ হলো কিছু কিছু রক্ষীর সহজাত নিষ্ঠুরতা এবং নিষ্ঠুরতাকে উপভোগ করার প্রবণতা। অ্যাক্সপেরিমেন্টের জন্য বেছে নেওয়া হয় ২৪ জন ছাত্রকে। ১২ জন ছাত্র থাকবে বন্দির ভূমিকায় আর ১২ জন হবে রক্ষী। ১৫ দিনের জন্য ওরা থাকবে গবেষকদের বানানো একটা জেলে। পুরো সময়টা ওদের ভিডিও করা হবে। কিন্তু ছয় দিনের মাথায় অ্যাক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। রক্ষীর ভূমিকায় থাকা সাধারণ ছাত্ররা অবাক করা মাত্রার নিষ্ঠুরতা এবং অমানবিক আচরণ দেখাতে শুরু করে।

একদল মানুষের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবার পর সাধারণ, নিরামিষ ছাত্রগুলো রাতারাতি যেন একেকটা নিষ্ঠুর ও বিকৃত দানবে পরিণত হয়। বন্দি ও রক্ষীদের সম্পর্কের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে গিয়ে গবেষকরা অসহায় ও শক্তিশালীর মধ্যকার সম্পর্কের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে অপ্রত্যাশিত কিছু ফলাফল আবিষ্কার করেন। সহজাতভাবে মানুষ ভালো— আমরা ভাবতে পছন্দ করি। কিন্তু বাস্তবতা সব সময় আমাদের পছন্দের এ ধারণাকে সমর্থন করে না। অশউইংয়ের মতো নাৎসি ক্যাম্প, সোভিয়েত রাশিয়ার গুলাগ, গুয়ান্তানামো কিংবা অ্যামেরিকার অসংখ্য ব্ল্যাক সাইটগুলোতে কাজ করা প্রতিটি মানুষ, দশ লক্ষ মুসলিমকে বন্দি করে রাখা চাইনিজ ‘রি-অ্যাডুকেইশান ক্যাম্পগুলোর প্রতিটি কর্মী রক্তপিপাসু, সাইকোপ্যাথিক দানব না। এদের অনেকেই আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষ। গৃহী মানুষ। জীবনের ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে মান-অভিমান করা আর তুচ্ছ জিনিসে খুশি হওয়া মানুষ।

শান্তি কমিটির সাথে যারা যুক্ত ছিল, তারাও সাধারণ মানুষ। মাটির নিচ থেকে উঠে-আসা কোনো নিশাচর, অর্ধেক মানুষ অর্ধেক দানব হাইব্রিড না। এদের অনেকেই ছিল এলাকা কিংবা গ্রামের সুপরিচিত মুখ। শাহবাগে যারা ‘একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ স্লোগান দিয়েছে, তারাও সাধারণ মানুষ। উপমহাদেশের ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন সময়ে হওয়া দাঙ্গায় যারা খুন, ধর্ষণ আর লুট করেছে তারাও সাধারণ মানুষ। গণপিটুনির সময় একটা জীবন্ত মানুষকে পেটাতে পেটাতে মেরে ফেলা লোকগুলোও বাসায় গিয়ে মেয়েকে অঙ্ক বুঝিয়ে দিতে বসা, স্ত্রীর সাথে খুনশুটি কিংবা ঝগড়ায় ব্যস্ত হওয়া সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড ভিড়ে আটকে পড়া মেয়েটার শরীরে সুযোগ বুঝে হাত রাখা ছেলেগুলোও সাধারণ মানুষ। মা-র আদরের ছেলে, বোনের ছোটোবেলার দুষ্টুমির সাথি।

মানুষ মৌলিকভাবে ভালোও না, খারাপও না। মানুষ হলো মানুষ। স্বর্গীয় ও পাশবিক, সাদা ও কালোয় মেশানো। যে মানুষ অবিশ্বাস্য কল্যাণের ক্ষমতা রাখে, সে-ই ক্ষমতা রাখে অচিন্তনীয় নিষ্ঠুরতার। মানুষ নিজের মধ্যে ভালো-মন্দ দুটোকেই ধারণ করে। দুটোর ক্ষমতা নিয়েই ঘুরে বেড়ায়। তবে যদি মানুষকে কোনো রকম জবাবদিহি ছাড়া ছেড়ে দেওয়া হয়, তা হলে অধিকাংশ সময় অধিকাংশ মানুষ খারাপকেই বেছে নেবে। সাধারণ মানুষ প্রায়ই অসাধারণ নিষ্ঠুরতার কাজ করে। এটাই স্বাভাবিক। ‘সামষ্টিক বিবেক’ বলে একটা কথা আছে, সত্য। তবে সামষ্টিক নিষ্ঠুরতা আর গণউন্মাদনাও সত্য। Manoshangko pdf

Manoshangko pdf download link
Download / Read Online