বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক কালিকানন্দ অবদূত এর Marutirtha Hinglaj pdf মরুতীর্থ হিংলাজ pdf ডাউনলোড করুন এবং Marutirtha Hinglaj pdf মরুতীর্থ হিংলাজ pdf পড়ুন।
Marutirtha Hinglaj pdf মরুতীর্থ হিংলাজ pdf কৈফিয়ৎ
একটা হিংলাজ দর্শনে গিয়েছিলাম। বই লেখার কথা তখন… মনের কোণেও উদয় হয় নি। আমার বন্ধু চুণী ঘোষের মামা প্রয়ে কবি সুবোধ রায় মহাশয়ের সঙ্গে পরিচয় না ঘটলে কোনও দিন কিছু লিখতেও বলতাম না। এঁর সংস্পর্শে এসে এই অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য হলাম।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সহজ লোক নন। তাঁর হুকুম অমান্ত করবার শক্তি আমার ছিল না। তিনি যখন হুকুম করলেন *শেষ করে ফেলুন লেখাটা” তখন মরীয়া হয়ে শেষ করে ফেললাম।
এঁরা দুজনে বইখানি লেখার জন্যে দায়ী। আজ যদি এদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে যাই সেটা স্রেফ বাচালতা করা হবে। আমার কৃতজ্ঞতা এঁদের নাগাল পাবে না।
“নতুন পাথেয়” পত্রিকার তাঁরা এবং “তরুণের স্বপ্ন” পত্রিকার এঁরা আমাকে ভালবাসা দিয়ে কিনে রেখেছেন।
নেপথ্যে বসে যিনি নিরলস পাহারা দিয়েছেন বানানভূলের ওপর তাঁর নাম প্রকৃষ্ণদয়াল বহু। এই ভয়াবহ কাজটি আমাকে করতে হলে কোনও কালে এ বই ছাপা হত না। এই নীরস দায়িত্ব তিনি স্বেচ্ছায় বহন করেছেন। তাকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
ভৈরবীর স্মৃতিশক্তির সহায়তা না পেলে এ কাহিনী লেখা ‘সম্ভব হত না। অতদিন আগেকার ঘটনার খুঁটিনাটি সবই তাঁর মনে গাছে, কাজেই তাঁর স্বতিশক্তির কথা উল্লেখ না করা অন্তায় হবে । ইতি
Marutirtha Hinglaj pdf মরুতীর্থ হিংলাজ pdf নমুনাঃ
১৩৫৩, আষাঢ় মাস । ছিটে-ফোটা বৃষ্টিরও দেখা নেই। ধূলার সমুদ্রের মাঝে সর্বপ্রকার আভিজাত্যের ছোঁয়া এড়িয়ে করাচী শহরের শেষ প্রান্তে একটি বস্তি, সেইখানে নাগনাথের আখড়ার অতি প্রাচীন দালানটার এক কোণে আশ্রয় নিয়েছি হিংলাজ-যাত্রী আমরা কয়জন।
এই স্থানটি করাচী শহরের অনেকগুলি ফালতু মানব-মানবীর রাত্রের আস্তানা। পথে কাটে যাদের দিন, তাদের অনেকে রাতটা এখানেই কাটায়। সারাদিনের দেওয়া-নেওয়ার হিসাব-নিকাশের জের রাতের আঁধারে এখানেই টানা হয়। পাশাপাশি শয়ন করলে জনা-শতেক লোক এখানে ধরে। কিন্তু গরজ যখন অনেকের তখন একটু আপদ-বালাই যে ঘটবেই তাতে সন্দেহ কি। তার উপর অনেকের আবার তিনদিক খোলা দালানটায় ওরই মধ্যে একটু আড়াল সম্ভব হওয়া চাই। বিড়ি ধরাবার প্রয়োজনে রাত্রে দিয়াশলাই জানান ও নিষিদ্ধ। শালীনতায় আঘাত লাগতে পারে।
এই নাগনাথের আখড়া একদা নাথ-সম্প্রদায়ের সাধুরা স্থাপন করেন। সেই একদা যে কবে তার ইতিহাস জানা অসাধ্য। কালে তাঁরা যথাস্থানে প্রস্থান করেছেন। বর্তমানে আখড়া যারা দখল করেন তাঁরাই এর চারিদিকে সসংসার বসবাস করছেন।
এঁদের পেশার অন্ত নেই। জুতা-সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ পর্যন্ত। তার মধ্যে বড় পেশা—বছরে দু’ একদল যাত্রী নিয়ে হিংলাজ যাত্রা। একদা সাধুরা এই আখড়া স্থাপন করেন হিংলাজ দর্শনাভিলাষী সাধুসন্তের আশ্রয়-স্থানের অভাব পূরণের জন্যেই।
‘সারা ভারত থেকে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে রসকষহীন এই তীর্থে যাত্রীই বা জোটে কয়জন? যদিও বা কেউ আসেন তিনি হয় লোটা-কম্বল-চিমটা-সখল মাও কে খানেওয়ালা অথবা বড়জোর একদল কাথীওয়াড়ী চাষী, সম্বল যাদের মোটা লবণ মরিচ ও কম্বল।
সুতরাং হিংলাজের ছড়িদারদের সংসার ও সংসার-লক্ষ্মীদের চেহারায় আর যে-কোন পরিচয়ই থাকুক, স্ত্রী ও শাস্তির চিহ্নমাত্র নেই, থাকতেও পারে না।
দুজন চারজন করে জমতে জমতে শেষ পর্যন্ত যাত্রীদল ত্রিশ পর্যন্ত পৌঁছল গোটা একমাস অপেক্ষা করে। আর অপেক্ষা করাও সম্ভব নয়। পথের নদী- গুলো শুকনো থাকতেই ফিরে আসা চাই। অনেকবার নাকি এমনও ঘটেছে যে নদীর জল বৃদ্ধির ফলে দিনের পর দিন আটকে পড়ায় যাত্রীদলের আহার্য গেছে ফুরিয়ে, তারা আর কখনও ফিরে আসে নি। পরের বছর ধারা গেছেন তাঁরা এখানে ওখানে বালুর উপর রাশি রাশি শুকনো শুভ্র হাড় দেখতে পেয়েছেন।
ছড়িদারদের তরফ থেকেও এবার যাত্রার তাগিদ দেখা দিল। এখন উটওয়ালা এলেই হয়।
সেরা ৫০টি গল্প pdf – প্রফুল্ল রায় Sera Panchasti Galpa pdf – Prafulla Roy
গোটা একটা মাস পার হয়ে গেল সেই নাগনাথের আখড়ার দালানটায় নিশীথ রাত্রে চারিদিকের রহস্তময় ঘুমন্ত মানুষগুলির মধ্যে শুয়ে কত কি যে ভাৰতাম—জন্ম মৃত্যু, পাপ পুণ্য, ইহকাল পরকাল। কোন কিছুরই ফুল-কিনারা নেই। সারা জীবনটা চোখের সামনে গড়গড় করে বয়ে চলে যেত। আমি নামক লোকটি যেন এই জীবন-নাটকটার নাম-ভূমিকার অভিনেতা। কিন্তু নাটকটা ধার লেখা—তাঁর ইচ্ছা ও মর্জির বাইরে এক-পা ফেলবার ক্ষমতা আমার নেই। সবচেয়ে বড় মজা, এখনও যে অঙ্কগুলি বাকি আছে—তাতে যে আমাকে কি অভিনয় করতে হবে, তাও জানবার উপায় নেই।
বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক কালিকানন্দ অবদূত এর Marutirtha Hinglaj pdf মরুতীর্থ হিংলাজ pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Marutirtha Hinglaj pdf মরুতীর্থ হিংলাজ pdf এখান থেকে পড়ুন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.