মায়ংয়ের মন্ত্র pdf – শিশির বিশ্বাস Mayonger Mantra pdf – Sisir Biswas

মায়ংয়ের মন্ত্র pdf - শিশির বিশ্বাস Mayonger Mantra pdf - Sisir Biswas
মায়ংয়ের মন্ত্র pdf - শিশির বিশ্বাস Mayonger Mantra pdf - Sisir Biswas

দুটি রোমাঞ্চকর অলৌকিক ও ডার্ক ম্যাজিক নভেলা Mayonger Mantra pdf মায়ংয়ের মন্ত্র pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।

মায়ংয়ের মন্ত্র pdf - শিশির বিশ্বাস Mayonger Mantra pdf - Sisir Biswas
মায়ংয়ের মন্ত্র pdf – শিশির বিশ্বাস Mayonger Mantra pdf – Sisir Biswas

Mayonger Mantra pdf মায়ংয়ের মন্ত্র pdf এ দুটি উপন্যাসঃ

১। মায়ং-এর মন্ত্র
২। আঁধার রাতের আর্তনাদ

Mayonger Mantra pdf নমুনাঃ

কামাখ্যা পাহাড়ের সেই বিকেলটা ছিল সম্পূর্ণ অন্য রকম। মাত্র কয়েক মাস আগেও রঞ্জন যখন টানা চার বছর গৌহাটি (বর্তমান গুয়াহাটি) কটন কলেজের ছাত্র ছিল, প্রতি সপ্তায় অন্তত একবার হলেও আসত এখানে। হস্টেল থেকে পায়ে হেঁটে। অবশ্য ধর্মীয় টানে নয়। যদিও ঠাকুর দেবতার প্রতি ভক্তি ছোটবেলা থেকে। কিন্তু এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ভিন্ন। পুরো ব্যাপারটাকে একটা স্পোর্টস হিসেবেই নিয়েছিল ও। যখন সিলেটে সুনামগঞ্জ স্কুলের ছাত্র, সেরা স্পোর্টসম্যান ছিল সেখানেও। ব্যতিক্রম হয়নি কটন কলেজে। ফুটবল টিমের সেরা খেলোয়াড়। ব্যাডমিন্টন চাম্পিয়ন। স্থানীয় এক ক্লাবে বক্সিংও শিখত নিয়ম করে। আর ছিল সপ্তাহে অন্তত একদিন কামাখ্যা পাহাড় ঘুরে আসার এই অভ্যাসটা। পানবাজার থেকে কাছারিবাজার দিয়ে বেরিয়ে ছুটতে শুরু করত ব্রহ্মপুত্রের পাড় ধরে।

শান্তিলতা pdf – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় Shantilata pdf – Manik Bandopadhyay

অল্প এগোলেই শহরের চৌহদ্দি শেষ। প্রায় শুনশান। আর কামাখ্যা পাহাড়ের উপর দেবী কামাখ্যা মন্দিরের দিকে। তীর্থযাত্রী ছাড়া এদিকে বড় একটা আসে না কেউ। প্রায় নির্জন পথে বুনো খরগোশ, বনবেড়াল এসব অনেক দেখেছে। এদিকের জঙ্গলে নাকি চিতাবাঘও আছে। কিন্তু দেখেনি কখনও।
সেদিন বিকেলে রঞ্জন অবশ্য কামাখ্যা পাহাড়ে শরীরচর্চা করতে যায়নি। গিয়েছিল মায়ের দর্শনে। ধুবুড়ি থেকে সেদিন সকালেই গৌহাটি এসে পৌঁছেছে।

পরদিন ভোরের বাসেই নতুন চাকরিতে জয়েন করতে রওনা হয়ে যাবে শিলং। প্রথম চাকরি। তার আগে মা কামাখ্যাকে প্রণাম জানিয়ে যাবে। বাড়ি থেকে বেরোবার সময়ই এটা ঠিক করে রেখেছিল। মা আর বোনেরাও বলে দিয়েছিল অনেক করে। রঞ্জনের জন্য ওদের উদ্‌বেগটা খুব স্বাভাবিক। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই একের পর এক ঝড় বয়ে গেছে ওদের উপর দিয়ে। নইলে এত কম বয়সে চাকরিতে ঢোকার কথা নয় ওর। স্কুলে বরাবর সেরা ছাত্র। লেখাপড়া, খেলাধুলা সব কিছুতে। প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় কখনও হয়নি। ওকে নিয়ে অনেক আশা ছিল বাড়ির সবার। কিন্তু ওলটপালট হয়ে গেল সব। দেশ ভাগ হল। চোদ্দপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে প্রায় সহায়সম্বলহীন অবস্থায় বাবা ওদের নিয়ে চলে এলেন ধুবুড়িতে। তবু বাবা বুঝতে দেননি কিছু। ধুবুড়িতে এক স্টিমার কোম্পানির অফিসে ছোটখাট চাকরি জুটিয়ে নিয়েছিলেন।

কোনওমতে চালিয়ে নিচ্ছিলেন সংসার। রঞ্জন যখন ক্লাস নাইনের ছাত্র, তখন দেশ ছাড়ে ওরা। তারপর ধুবুড়িতে ম্যাট্রিক পাশ করার পর গৌহাটি কটন কলেজ। এরপরে দ্বিতীয় এবং চরম আঘাতটা এল বি.এস.সি ফাইনাল পরীক্ষা দেবার মাত্র মাস দুই আগে। বাবা মারা গেলেন হঠাৎ। পরীক্ষায় যে যথেষ্টই ভাল রেজাল্ট করবে সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহই ছিল না। ভেবে রেখেছিল, এরপর কলকাতায় গিয়ে ওর প্রিয় বিষয় ফিজিক্স নিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করবে।
তারপর ডক্টরেট। বাবার উপর চাপ দেবে না আর। টিউশনি করে চালিয়ে নেবে খরচ। কিন্তু আচমকা বাবার মৃত্যুতে সব চুরমার হয়ে গেল। সংসারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ল কাঁধের উপর। ঘরে বিধবা মা। চার বোন। সুতরাং দরকার একটা চাকরি। উপার্জন। তাই বি.এস.সি’র রেজাল্ট বের হতেই লেগে পড়ল সেই খোঁজে। তারই ফলশ্রুতি যোগাযোগ দপ্তরের চাকরিটা।

শুরুতে জব্বলপুরে টেলিকমিউনিকেশনের উপর একটা জবরদস্ত ট্রেনিং। তারপর নিয়োগপত্র পেয়ে চলে এসেছে গৌহাটি। কামাখ্যা মন্দির দর্শনের জন্য এখানে একটা দিন কাটিয়ে রওনা হয়ে যাবে কর্মস্থল শিলংয়ে। আসার পথে ধুবুড়ির বাড়িতেও কাটিয়ে এসেছে দুটো দিন।

এ-কাহিনী যে সময়ের, সেই পাঁচের দশকে গৌহাটি শহর পানবাজার থেকে পশ্চিমে কামাখ্যা পাহাড়ের দিকে খুব বেশি দূর বিস্তৃত ছিল না। নদীর ধার বরাবর খানিক এগোলেই শুরু হয়ে যেত গ্রাম। প্রধান সড়কটা ছিল আরও দক্ষিণে। এদিকে শুধুই পায়ে চলা রাস্তা। ব্যবহার করত শুধুমাত্র গ্রামের মানুষ আর তীর্থযাত্রীরাই। রাস্তার কাছে তেমন লোকবসতি ছিল না। হালকা জঙ্গল। চাষের খেত। পায়ে চলার এই পথটা সোজা গিয়ে যুক্ত ছিল পাহাড়ের পাদদেশে মন্দিরে যাবার আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের সঙ্গে।

Mayonger Mantra pdf মায়ংয়ের মন্ত্র pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply