মজানো দশ pdf – দীপঙ্কর বিশ্বাস Mojano Dos pdf – Dipankar Biswas

দীপঙ্কর বিশ্বাস এর Mojano Dos pdf মজানো দশ pdf এ দশটি দম ফাটানো গল্পের সমাহার নিয়ে সাজানো। Mojano Dos pdf পড়ুন আজই banglabookspdf থেকে।

মজানো দশ pdf - দীপঙ্কর বিশ্বাস Mojano Dos pdf - Dipankar Biswas

Mojano Dos pdf লেখকের কথাঃ

মজানো দশ’-এর হাসির গল্পের বেশ ক’টি শুকতারা ও আনন্দমেলায় বেরিয়েছে। পাঠকদের ভালো লাগার থেকেই ‘মজানো দশ’-এর জন্ম। আশা রইল বাকি গল্পগুলিও পাঠকদের ভালো লেগে এই সংকলন সফল করবে। কিছু সাহায্যের জন্য শ্রীমতী সুজাতা বিশ্বাস, শ্রীমতী অঞ্জলী বিশ্বাস ও নিউ বেঙ্গলের শ্রীস,ক,মার মলিকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।
বিনীত— দীপঙ্কর বিশ্বাস

Mojano Dos pdf এতে আছে

পেল্লাদের কাণ্ড কটাসন
আরোগ্যাসন
মাধ্যাকর্ষণ ‘কু-কু-কু
দাঁতের মাজন ঝকমকি
বলাইবাবার বিপদ
মানিব্যাগটা দেখি
ধার
বসে আঁকো

Mojano Dos pdf নমুনাঃ

মন্দাকিনি নিউমার্কেট থেকে ফিরলেন পূজোর বাজার সেরে। ঘরে ঢুকেই দেখেন রামলাল পরম নিশ্চিন্তে পাখার নিচে বিছানায় শুয়ে হাত-পা ছড়িয়ে, খুব মন দিয়ে কি একটা বেশ মোটা বই পড়ছেন । মনোযোগ এমনই কঠোর যে মন্দাকিনির ঘরে ঢোকা টেরই পাননি। মন্দাকিনি জিজ্ঞেস করেন, “কি বই ওটা দেখি ? নতুন কিনলে বুঝি ?” রামলাল বললেন, “না বৎসে, এই পস্তক অতি কঠোর তত্ত্বের। আনাড়ীদের এই পস্তকে অধিকার নাই ।”
মন্দাকিনি ঝাঁঝিয়ে ওঠেন, “তুমি সর্বদা আনাড়ী আনাড়ী বলবে না বলে দিলাম হত্যা। আর ও রকম বিশ্রী সাধ, ভাষায় কথা বলছ কেন? দেখি না, বইটা কি?”

রামলাল বইটার ফাঁকে আঙুল দিয়ে বন্ধ করে বলেন, “আরে চটো কেন ? আনাড়ী না, আনার-ই বলেছিলাম। মানে—ডালিমের মতন। মন্দাকিনির কথার ঝাঁঝটা জড়িয়ে আসে।
“নাও, আর রঙ্গ করতে হবে না। বলো না বইটা কি?” রামলাল বললেন, “এই বইটা হল কঠোর হঠযোগের বই। এই সব হঠযোগ করে মনি ঋষিরা সিদ্ধিলাভ করতেন ৷ এ তোমার অঙ্কের যোগ বা আমেরিকানদের Jog নয়। এ হল খাস ভারতীয় যোগ, যাকে সাদা বাংলায় বলে ইণ্ডিয়ান ইয়োগা ।”

বাইশে শ্রাবণ pdf – নির্মলকুমারী মহলানবিশ Baishe Srabon pdf – Nirmal Kumari Mahalanbish

মন্দাকিনি বললেন, “মাফ করবেন, ওটা ইংরাজীতে বলে। তা তোমার কি কাজে লাগবে এই হঠযোগ ?”
এরমধ্যে শ্যামলাল সন্ধ্যেবেলা বই খাতার সঙ্গে সই পাতাবার চেষ্টা শেষ করে এসে জুটেছে। সে মন দিয়ে দাদা-বৌদির কথা শুনছিল। রামলাল তাচ্ছিল্যের হাসি হাসেন।
“কি কাজে না লাগবে বলতে পারো? জানো, একবার যোগ সিদ্ধ হলে লোকে পারে না এমন কাজ নেই। দশো-তিনশো বছর বাঁচতে পারে, ইচ্ছেমতো যে কোনো রূপ ধারণ করতে পারে। তোমার ইচ্ছে হল, তুমি মহর্তে এই এতটুকু বড়ো আঙুলের মতো হয়ে গেলে । আবার ইচ্ছে হল…”

“বড়ো আঙুলটাকে কলাগাছের মতো ফালিয়ে নিলে আর সেই গাছে রাশি রাশি কদলী ফলল ” – যা গিয়ে দেয় শ্যামলাল।
শ্যামলাল ইয়ার্কি করল কিনা রামলাল ঠিক ঠাহর করতে পারেন না। বলে চলেন — “কিন্তু বড়ই কঠোর জিনিস। অসাধারণ সাধনায় সিদ্ধিলাভ হয়।”
ভীমের হাঁক শোনা গেল রান্নাঘর থেকে, “বৌদি, শিগগীর এসো, উদ্দন কামাই যাচ্ছে।” Mojano Dos pdf

মন্দাকিনি বলেন, “ভালোই হল ঠাকুরপো। তোমার দাদার সিদ্ধিলাভ হলে আর রটি হাতে করে গড়তে হবে করে তাকালেই আটা ভয়ে রটি থাকবেন বলে। ভলেটার দিকে একবার কটমট রামলালদের বড়মামা মামা গতকাল এসেছেন, ক’দিন নাম শশাঙ্ককুমার নন্দী—তাই থেকে শকুনি। মামার বয়স বছর ষাটের কিছু বেশী, মাথা জোড়া টাক, দপ্ত ভুড়ি আর কানজোড়া হাসি এক মুহর্তে বলে দেয় যে ভদ্রলোক একজন অমায়িক আড্ডাবাজ । গল্প বলায় শকুনি মামার জুড়ি মেলা ভার। সারা জীবন হরেক কাজে ভারত ও পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় জীবন কাটিয়ে এখন শেষ বয়সে তারকেশ্বরে স্থিতু হয়েছেন। জীবনের অভিজ্ঞতার কাঠামোর ওপর রংচং, ডালপালা লাগিয়ে যে গল্পগুলো পরিবেশন করেন, তার কিছ, লঘুপাক, আর কিছু গুরুপাক; তাতে হাসিই পাক আর কান্নাই পাক শকুনি মামার নো-পরোয়া।

রাত্রে খাবার টেবিলে বসে মন্দাকিনি বললেন, “শ,নেছেন মামাবাব,, আপনার বড় ভাগনে হঠযোগে সিদ্ধিলাভের চেষ্টা করছেন।”
শকুনিমামা সব শুনে বললেন, “হঠযোগে পরো সিদ্ধি হলে মানুষের অসাধ্য কিছুই থাকে না। তখন তিনি পাখির মতো উড়ন্ত শ্রেণী বা নারীর মতো ঝুলন্ত বেণী খুব সহজেই হতে পারেন কিন্তু যোগে আধ- সিদ্ধ হলেই সাংঘাতিক।”
শকুনিমামা বলে চললেন, “একবার শ্রীরামপুরে একটা ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছিল। বাড়িশদ্ধে সকলে নাইট শোতে সিনেমা গেছেন, কর্তা একা ছিলেন বাড়িতে। শোয়ের শেষে সকলে বাড়ি ফিরলেন কিন্তু কর্তা আর দরজা খোলেন না ৷ অনেক হাঁকাহাঁকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঢাকে সকলে যা দেখলেন, তাতে চক্ষু স্থির।”

Mojano Dos pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply