মৌন মগধে এবং pdf – অভীক মুখোপাধ্যায় Mouna Magadhe Ebong pdf – Avik Mukhopadhyay

মৌন মগধে এবং pdf - অভীক মুখোপাধ্যায় Mouna Magadhe Ebong pdf - Avik Mukhopadhyay

অভীক মুখোপাধ্যায়ের প্রথমবার ইতিহাসভিত্তিক লেখা গল্প সংকলন Mouna Magadhe Ebong pdf মৌন মগধে এবং pdf পড়ুন।

মৌন মগধে এবং pdf - অভীক মুখোপাধ্যায় Mouna Magadhe Ebong pdf - Avik Mukhopadhyay

Mouna Magadhe Ebong pdf ভূমিকা

যাঁরা ইতিহাসকে কিসসা-কাহিনির মাধ্যমে পড়তে ভালোবাসেন, এই বই তাঁদের জন্য। ইট-কাঠ-পাথরের খোজে নয়, ইতিহাস কথা বলে স্থানীয় লোককথায়। ভারতের বুকে বয়ে চলা প্রাচীন বাতাস আজও বহন করে চলেছে অতীতের পরব পাপ পুণ্য ত্যাগ দান অধিকার সংগ্রাম সংঘর্ষ লোভ হত্যা বেইমানির গল্প। ইতিহাস মানে কী? ইতিহাস হল অতীতের রাজনৈতিক ধারাবিবরণ। সব সময়েই ইতিহাসের নিজস্ব রাজনীতি থেকেছে, রাজনীতির নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। বিচারধারার ভেদাভেদে শক্তিমানের জয় চিরন্তন। যে ক্ষমতায় থেকেছে, সে সবসময় নিজের মতো করে ইতিহাসের গল্প বলেছে।

করুণাধারায়: ধর্মের সংস্কার যখন মানুষের পায়ের শেকল হয়ে দাঁড়ায়, তখন ধর্মেরই সংস্কার করতে হয়। ওই আসে মহামানব। Mouna Magadhe Ebong pdf

দীপ জ্বেলে যাই: কপিলাবস্তু। রাতের অন্ধকারে নগর ছাড়লেন দুই ভাগ্যাহত যুবক। চোখে একরাশ ঘৃণা আর প্রতিহিংসা! ওদিকে শাক্যকুলকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর বিরুধক। কিন্তু কেন?

মৌন মগধে: সম্রাট অশোকের জীবনের অনালোচিত একটি অধ্যায়, যখন তাঁর এক এবং অদ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল মগধের সিংহাসন।

প্রহেলিকা: গুপ্ত-সম্রাট রামগুপ্তর শাসনকালে ঘটে গেছে এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নিখোঁজ এক সুন্দরী ষোড়শী। কে করবে রহস্যের উদঘাটন?

মেনাল মন্দির: রাজস্থানের একটি দেবালয়ের ছত্রে ছত্রে রতিচিত্র। এ কেমন মন্দির? কী লুকিয়ে আছে ইতিহাসে? প্রেম নাকি শুধুই কামনার তাড়না? সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ: মালওয়া রাজ্যের দিকে মরুঝড়ের মতো এগিয়ে আসছে আলাউদ্দীন খিলজির বাহিনী। এদিকে সারঙ্গদেবও তাকে আটকাতে মরিয়া। অমলিন এক প্রেমকথার সাক্ষী রইল এই যুদ্ধ।

বেনজির : বঙ্গালজয়ী গিয়াসুদ্দীন তুঘলককে দিল্লিতে স্বাগত জানাতে পুত্র উলুগ খান রাতারাতি একটি কাঠের মহল বানালেন। নাম দিলেন বেনজির মহল। আর তার পর যা ঘটল তাও বেনজির।

শেষ প্রণাম: ছত্রপতি শিবাজী রাজার অস্মিতা কে না জানে? কিন্তু নেপথ্য নায়কদের কথা? তা শুনলে আজও রোমাঞ্চ জাগো Mouna Magadhe Ebong pdf

কোহিনূরের মূল্য: কোহিনূর বহুবার হাত বদল হয়েছে কিন্তু কে কী মূল্য দিয়ে কিনেছে তা যে ভেবে দেখা হয় না। কিংবদন্তী নাকি সত্য ? লিঙ্গোপেন: মধ্যভারতের অরণ্যভূমির আদি দেবতার কথা। আদিম। অমোঘ। আকর্ষণীয়।

Mouna Magadhe Ebong pdf সূচিপত্র
করুণাধারায়
দ্বীপ জ্বেলে যাই
মৌন মগধে প্রহেলিকা মেনাল মন্দির
সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ বেনজির শেষ প্রণাম
কোহিনূর লিঙ্গপেন

অভীক মুখোপাধ্যায়ের আরো pdf পাবেন এখানে।

Mouna Magadhe Ebong pdf নমুনা

এসব ছাড়াও নিজের কামক্রীড়ার সঙ্গী হারানোর দুঃখ তো হলই। তবে অন্তরে যেমনই লেগে থাকুক না কেন বাইরে মহাকাপালিকের উপর উষ্মাই প্রকাশ করলেন সম্রাট।

ক্রমশ উন্মোচিত তথ্যে প্রকাশ পেল যে, গ্রাম্বকনাথই অধিরথকে হত্যা করেছিল। তার কার্যকারণ জেনে সকলেই স্তম্ভিত হয়ে গেল। অধিরথের কাছে তাঁর কন্যাকে নিজের ভৈরবীরূপে প্রার্থনা করেছিল মহাকাপালিক। স্বাভাবিকভাবেই রোষে ফেটে পড়েছিলেন প্রধান সেনাপতি অধিরথ। তিনি মহাকাপালিককে অপমান করে বিতাড়িত করেছিলেন। আর বিষয় এমনই ছিল যে সম্রাটকে বলেও কোনও হস্তক্ষেপ করানোর ক্ষমতা ছিল না ব্রাম্বকনাথের।

অধিরথের কন্যা কেবল নামেই পদ্মিনী নয়, কামসূত্র মতেও সে পদ্মিনী নারী। সে গৌরাঙ্গী, দীর্ঘকেশী, অমৃতভাষিণী এবং রক্তনেত্রা। তার মাতাও ছিল পদ্মিনী নারী। অধিরথের কাছে অপদস্থ হওয়ার পর তাই ত্র্যম্বকনাথ পদ্মিনীর মাতা অপালার উদ্দেশেও নিজের লালসার হাত বাড়িয়েছিল। চক্রসাধনার জন্য তিনিও ছিলেন উপযুক্ত। মহাকাপালিকের প্রস্তাব শুনেই ঘৃণাতাড়িত অপালা তাকে তীব্র ভাবে তিরস্কার করেন। তারপর বিষপ্রয়োগে অপালাকে গুপ্তহত্যা করায় ত্র্যম্বকনাথ। আর এরই পরবর্তী পর্যায়ে সে নিজের আদর্শ ভৈরবীরূপে পদ্মিনীকে কামনা করেছিল। অধিরথ সেই কাজে বাধা দিলে ওই পাষণ্ড তাঁকে হত্যা করতেও পিছপা হয়নি। অবশ্য এখন সে নিজেই ইহলোক ত্যাগ করেছে।

নিজে সম্রাট না-হলেও সাম্রাজ্যের প্রতিটি গোপন বিষয়ের সংবাদ সব থেকে দ্রুত পৌঁছোয় চন্দ্রগুপ্তর কাছে। অধিরথের মৃত্যুসংবাদও বিদ্যুৎবেগে এসেছিল। সঙ্গে পদ্মিনীর অন্তর্ধানের কথাও। চন্দ্রগুপ্ত আঁচ করেছিলেন যে, এর জন্য ওঁকেই দোষারোপ করা হবে। সহজ ষড়যন্ত্রের শিকার হবেন উনি। যা-ই হোক, এই কাহিনির শেষ অবশ্য মন্দ হয়নি। অন্তত চন্দ্রগুপ্তর পক্ষে তো শুভই হয়েছিল।

কিংবদন্তী বলে, এই গর্বের পর সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিল পদ্মিনী। সম্রাটের মনের কথা সকলেই জানত। তাই কেউ তাকে ছত্রছায়া দিতে এগিয়ে আসেনি। এমনকী মহামাত্য পরিবারও নয়। তখন পদ্মিনীকে নিজের খলোর তলায় আশ্রয় দিয়েছিলেন মহাবলী চন্দ্রগুপ্ত। পদ্মিনীকে নিজের অর্ধাঙ্গিনী বানিয়েছিলেন। কিছুদিন পরে যখন শক আক্রমণকারীদের কাছে পরাস্ত হয়ে সম্রাট রামগুপ্ত শক-নরেশের হাতে নিজের পত্নী ধ্রুবদেবীকে তুলে দিয়েছিলেন, তখন সেই শক-রাজাকে বধ করে পরাক্রমী চন্দ্রগুপ্ত ধ্রুবদেবীকে উদ্ধার করেছিলেন।

Mouna Magadhe Ebong pdf ডাউনলোড লিংক

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply