মৃত কৈটভ pdf । সৌরভ চক্রবর্তী Mrita Kaitav pdf – Sourav Chakraborty

সৌরভ চক্রবর্তীর মধু ও কৈটভ নামক দু্জন অসুরের কাল্পনিক Mrita Kaitav pdf মৃত কৈটভ pdf বড়দের জন্য pdf লেখা। তাই ছোটরা এ বই পড়বেন না। Mrita Kaitav pdf পড়ুন।

সৌরভ চক্রবর্তীর মধু ও কৈটভ নামক দু্জন অসুরের কাল্পনিক Mrita Kaitav pdf মৃত কৈটভ pdf বড়দের জন্য pdf লেখা। তাই ছোটরা এ বই পড়বেন না। Mrita Kaitav pdf পড়ুন।

সৌরভ চক্রবর্তীর মধু ও কৈটভ নামক দু্জন অসুরের কাল্পনিক Mrita Kaitav pdf মৃত কৈটভ pdf বড়দের জন্য pdf লেখা। তাই ছোটরা এ বই পড়বেন না। Mrita Kaitav pdf পড়ুন।

Mrita Kaitav pdf ভূমিকা

প্রথমেই বলি, এই উপন্যাসটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক প্রেক্ষাপটে রচিত। তবে ‘মৃত কৈটভ’ লেখার কথাটা কীভাবে মাথায় এল একটু বলে রাখি। আমার একটা অভ্যাস বা বদভ্যাস যাই বলুন, সেটা হলো যে কোনো পৌরাণিক কাহিনি যা বাজারে উঠতে বসতে আমরা শুনে থাকি, সেই কাহিনিগুলোর শুরু ও শেষ পুরাণ গ্রন্থে খুঁজে বের করা। এরকমই এক রাতে প্রহ্লাদ আর নরসিংহ দেবতার কাহিনির শেষ কোথায় তা খুঁজছিলাম। হিরন্যকশিপুকে বধ করার পর নরসিংহ দেবের কী হলো, তিনি কোথায় গেলেন এই প্রশ্নগুলো মাথায় এসেছিল। আর সেই খোঁজ করতে গিয়ে অনুসন্ধান পেলাম এক বিশাল কাহিনির। শিবপুরাণ এবং বিষ্ণুপুরাণে এই একই কাহিনির আলাদা আলাদা ভাষ্য আমার মনে কৌতূহলের জন্ম দিল। সেখান থেকেই জন্ম হল ‘মৃত কৈটভ’ উপন্যাসের।

লেখার সময় আমি পুরাণের উল্লেখ যথাযোগ্যভাবে বিভিন্ন স্থানে করেছি। হেমন্তাই চরিত্রের মুখে সমস্ত কাহিনির সটীক উল্লেখ রেখেছি কাহিনির মাধ্যমেই। সেখানেই উল্লেখ করে দিয়েছি কোন পুরাণের কোন অধ্যায়ে এই ঘটনাগুলোর উল্লেখ রয়েছে। কাহিনি শেষে তথ্যসূত্রেও সেই গ্রন্থগুলোর উল্লেখ করে দিয়েছি যেগুলোর সাহায্য এই কাহিনি লেখার সময়ে নিয়েছি। Mrita Kaitav pdf

এত তথ্য প্রমাণাদির পরেও যে কাহিনিটি আমি লিখেছি তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ত্রিপুরায় না এরকম কোনো উপজাতি সম্প্রদায় রয়েছে না রয়েছে এরকম এক অরণ্য। কাহিনির প্লট নির্মাণের খাতিরেই আমি এরকম কাল্পনিক এক উপজাতি গ্রাম এবং অরণ্যের আশ্রয় নিয়েছি। আমার রাজ্যের উপজাতি ভাই বোনদের প্রতি বাল্যকাল থেকেই আমার ভালোবাসা অক্ষুন্ন ছিল এবং থাকবে। Mrita Kaitav pdf

এই কাহিনিতে আমি ত্রিপুরা এবং রাজধানী আগরতলার প্রায় অজ্ঞাত সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়েও আলোচনা করেছি। ঐতিহাসিক তথ্যাদি আমি যেরকম পড়েছি ও জেনেছি এবং আমার অভিজ্ঞতায় দীর্ঘ তিন দশকের অধিক সময়ে যা দেখেছি তার ভিত্তিতেই এই লেখা। তথ্য সূত্রে কিছু গ্রন্থের উল্লেখ করলাম।

বিভা পাবলিকেশনের অন্যতম সৈনিক শ্রীমান অভিজিৎ খাঁ বহুদিন আগেই আমাকে একটি পাণ্ডুলিপির জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এত কাল পর আমি কথা রাখতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। এই কাহিনি মূলত ওঁর জন্যেই লিখে উঠতে পেরেছি। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাই সংস্থার কর্ণধার শ্রী অনিমেষ প্রামাণিক মহাশয়কে। তিনি আমাকে উপন্যাসটি লেখার ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় এবং স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।

আমার পরিবারের ভালোবাসা ছাড়া এই উপন্যাস লিখতে পারতাম না। এই উপন্যাস আমি আমার শ্রদ্ধেয় শ্বশুরমশাইকে শ্রী সুকুমার চন্দ্র ঘোষকে উৎসর্গ করেছি। শ্রীবিষ্ণু তথা শ্রীকৃষ্ণ-র প্রতি তাঁর ভাব, ভালোবাসা, ভক্তি আমাকে মুগ্ধ করে। ত্রিপুরায় আগরতলার শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের প্রতি তাঁর অধ্যাবসায় শিক্ষনীয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনি আগরতলার বিখ্যাত শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের ফাউন্ডার মেম্বারদের অন্যতমও বটে। তাই শ্রীবিষ্ণুর এক প্রায় অজ্ঞাত রূপের উল্লেখ যেহেতু এই গ্রন্থে রয়েছে তাই তাঁর এক বড় ভক্তকেই এই গ্রন্থ উৎসর্গ করা সমীচীন বলে মনে করলাম। ওঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।

পরিশেষে বলি, বাংলা ভাষায় কার্যত পাঠক পছন্দ করেনি এরকম এক বিষয় নিয়ে এবার লিখলাম এই গ্রন্থে। কোন বিষয়ের কথা বলছি তা আপনারা পড়া শুরু করলে ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন। এটা আমার নিজের কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে এরকম একটা প্রায় অচল ধারণাকে নিয়ে কীভাবে বাংলায় একটা উপন্যাস লিখতে পারি। বহুদিন ভেবে আমি পুরাণ এবং রহস্য-রোমাঞ্চের আশ্রয় নিয়ে কাজটা করলাম। যদি আপনাদের এই লেখা ভালো লাগে তবে যারপরনাই আনন্দিত হবো এবং আগামীতেও এরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাবো। সেক্ষেত্রে হয়তো পরবর্তীকালে এই উপন্যাসের সিক্যুয়েল আসবেই। আর কী, পাঠ শুভ হোক।

ধন্যবাদান্তে সৌরভ চক্রবর্তী
কলকাতা, ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩
মেইল আইডি – authorchakraborty sourav@gmail.com

Mrita Kaitav pdf লেখকের কথা

এই গ্রন্থ কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। কোনো পরিবার অথবা সম্প্রদায় অথবা কোনো সাধক কিংবা কোনো সাধারণ ব্যক্তি (জীবিত কিংবা মৃত) অথবা কোনো উপজাতি সম্প্রদায়-কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে এই গ্রন্থ লেখা হয়নি। এই কাহিনি সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক অর্থাৎ ফিকশান। তবে এই কাহিনির সঙ্গে কোনো বাস্তব ঘটনা বা ব্যক্তির সরাসরি মিল শুধুমাত্র কাকতালীয় ঘটনা হবে। গ্রন্থের লেখক সমস্ত পুরাণ কাহিনির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই কাহিনিতে উল্লিখিত উপজাতি সম্প্রদায় সম্পূর্ণ কাল্পনিক। ত্রিপুরা রাজ্যের উপজাতি ভাই-বোনদের লেখক বাল্যকাল থেকেই ভালোবাসেন। যে ক্রিয়াদির উল্লেখ এই গ্রন্থে রয়েছে বাস্তবে সেরকম ঘটনা কোথাও ঘটে না এবং এরকম অরণ্যও ত্রিপুরাতে নেই। শুধুমাত্র একটি রোমাঞ্চকর কাহিনি লেখার খাতিরেই লেখক এই সমস্ত উল্লেখ করেছেন। কাহিনি শেষে তথ্যপঞ্জিতে সকল গ্রন্থের নামোল্লেখ করা হল।
সৌরভ চক্রবর্তী

Mrita Kaitav pdf download link

Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply