নগ্ন ঈশ্বর pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Nanga Ishwar pdf – Atin Bandyopadhyay

নগ্ন ঈশ্বর pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Nanga Ishwar pdf - Atin Bandyopadhyay
নগ্ন ঈশ্বর pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Nanga Ishwar pdf - Atin Bandyopadhyay

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় এর Nanga Ishwar pdf নগ্ন ঈশ্বর pdf ডাউনলোড করুন ও নগ্ন ঈশ্বর pdf পড়ুন।

নগ্ন ঈশ্বর pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Nanga Ishwar pdf - Atin Bandyopadhyay
নগ্ন ঈশ্বর pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Nanga Ishwar pdf – Atin Bandyopadhyay

Nanga Ishwar pdf নগ্ন ঈশ্বর pdf নমুনাঃ

দেবনাথ এবং বিজন সকাল-সকাল জাহাজ থেকে নেমে গেল। ছুটির দিন। এই শীতের ভিতরও সহরের সব যুবক-যুবতীরা ছুটি ভোগ করতে দলে দলে বের হয়ে পড়েছে। ওরা সব রেস্তোরাঁয়, পাব-এ অথবা পার্কে কিংবা অনেকে সহরতলীতে ছড়িয়ে পড়ছে। দেবনাথ এবং বিজন হেঁটে যেতে যেতে সব টের পাচ্ছে। ওদের হাতে ছোট নীল ব্যাগ — ট্যাগোর ডিশের জন্য যাবতীয় দ্রব্য সংগ্রহ করা ওতে। ওরা গল্প করতে করতে অথবা অযথা উচ্ছল হতে হতে হাটছে।

ওবা বন্দর ফেলে, জনসন রোড ধরে ছোট পাহাড়টায় উঠে গেল। এখানে ছোট ছোট কাঠের ঘর- —নীল অথবা হলুদ রঙের। দবজায় নীল রঙের পালিশ। বাড়ীর সংলগ্ন ছোট ফুলের বাগান, সবজির বাগান । প্রচণ্ড শীতের জন্য বাগানে কোন ফুলের চিহ্ন অথবা সবজির চিহ্ন নেই। গোলাপেরা শুধু কুঁড়ি মেলার চেষ্টা করছে। ওরা দ-এর মতো পথে, কখনও সিঁড়ি ভেঙে, কখনও ঘুরে ঘুরে এলবির ছোট নীল আস্তানায় গিয়ে হাজির হল। প্রথমেই ছোট কাঠের দরজা। সংকীর্ণ ফুটপাতের বা পাশের ধামটার লেখা ‘শান্তির নীড়’ তামার প্লেটে খুব চক্‌চক্‌ করছে। সদর দরজার উপর আইভি লতার গুচ্ছ। পাতা নেই—শুধু লতাগুলো ভুলছে। ভিতরে বা পাশে মুরগীর ঘর। ডানপাশে ফুলের বাগান। ‘এল’ অক্ষরে পথ।

বৃষ্টি তোমার জন্য pdf – সুমন্ত আসলাম Brishti Tomar Jonno pdf – Sumanto Aslam

পথের দু’পাশে নানারকমের সামুদ্রিক পাথর। অন্য পাশে কোমর সমান কাঠের রেলিঙে কিছু নীল প্রজাপতি বসে আছে; মিঃ চাল ́ টন এবং মিসেস চাল’ টন বের হয়ে বললেন, গতকালই আমরা এসে গেছি। যেন ফুলের মতো এই শীতের হালকা রোদে ফুটে উঠল। এলবি ওদের ভিতরে নিয়ে গেল। বিজন দেবনাথের সঙ্গে ওদের পরিচয় করিয়ে দিল। এলবি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেবনাথকে সমস্ত বাড়ীটা দেখাল। এই ওর বাড়ী—এখানে সে থাকে, এই ওর ঘর—এখানে সে রাধে, এই ওর ইচ্ছে- এখানে সে ছবি আঁকে। দেবনাথ সব ঘুরে দেখল। এলবির একটি বিশেষ রুচি আছে এ-বোধ ওর এখন জন্মাচ্ছে। ঘরে সব বড় বড় ক্যানভাস। নানা রঙের ছবি।

তখন ওদের অভিবাদন জানালেন। এলবিও সেজেগুজে বের হল।
ওরা এসে পাশের ঘরটার বসল। মিঃ চাল’টন কতকগুলো ছোট ছোট ‘কাঠি’ এনে পাশে রাখলেন। মহণ করার জন্ত কিছু শিরিষ কাগী। তিনি সকলকে
কাঠিগুলো দেখালেন— এগুলো রাইস-স্টিক্। তারপর দু-আঙুলের ফাঁকে কাঠি চেপে কারা-কামুন শেখাতে থাকলেন দেবনাথ এবং বিজনকে। দেখালেন, কি করে স্টিক ধরতে হয়, কি করে মুখে ভাত তুলতে হয়। একটা খালি চিনেমাটির বাসনও রাখলেন সকলের সামনে। ছোটখাটো একটা ডেমনস্ট্রেশন দিলেন।
দেবনাথ এইসব দেখে বিরক্ত হচ্ছিল। সে ঘড়ি দেখল। এখন দশটা বাজে । এখনও এলবি টেবিল সাজাচ্ছে। কখন রান্না হবে এবং কখন খাওয়া হবে এই ভেবে সে উন্মা প্রকাশ করল।

একটি ঘরকেই এলবি কাঠের পার্টিশন দিয়ে দু’ভাগ করে নিয়েছে। এ-ধর থেকে সে-ঘরে যাওয়ার একটি মাত্র খোলা পথ। একটি মাত্র দরজা। দরজায় পান্না নেই। দরজায় চাইনীজ সিল্কের স্বামী পর্দা। পর্দা সরালেই ঘরট। স্পষ্ট। পর্দা সরালেই ধবধবে বিছানা স্পষ্ট। দেবনাথ পর্দা সরিয়ে সব দেখল। বারান্দার দক্ষিণদিকে চিলতে রান্নার জায়গা। পরে বাথরুম, পাশে ছোট একটি লনের মতো জায়গা। সেখানে গরমের দিনে ইজিচেয়ার নিয়ে বলা যায়। সেখানে একটি ‘ভাঙ্গা ঈজেল এখনও রেলিঙের সংলগ্ন হয়ে পড়ে আছে। ছুটির দিনে এলবি সেখানে ছবি আঁকে।

ওরা উঁচু জায়গায় বসে বন্দর দেখল। অসীম সমুদ্রের বিস্তৃতি চোখে পড়ছে। বন্দরের জাহাজ দেখল। এখানে বসে পাহাডের নীচে সারি সারি ছবির মতো ঘর, ছবির মতো মানুষেরা হাটছে। দেবনাথ চারপাশটা চোখ মেলে দেখ। দেবনাথ ফের ঘড়ি দেখে বাংলাতে বলল বিজনকে, এরা কি আমাদের নিমন্ত্রণ করে খালি পেটে রাখার যোগাড় করছে নাকি ! এখন বাজে সাড়ে দশটা – অথচ রান্নার কোন আয়োজনই করছে না। বিজন বলল এলবিকে, সব যোগাড আছে তো ? অর্থাৎ এই কথা বলে বিজন রান্নার প্রসঙ্গে আসতে চাইল।

এলবি ফুলদানিতে কিছু সংগ্রহ করা ফুল ভরে দিল। এলবি তারপর বিবাহিত রমণী-সুলভ চোখে বিজনকে দেখল এবং বলল, সবই এনেছি। তোমাকে ভাবতে হবে না। রান্নাঘরে ঠিক আমরা এগারোটায় ঢুকব। এবং আশা করছি ঠিক বারোটায় রান্না শেষ করতে পারব। ট্যাগোর ডিশের কি কি মেন্যু হবে ? এলবি দেবনাথকে প্রশ্ন করল।

নগ্ন ঈশ্বর pdf Download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply