নীলকান্তপুরের হত্যাকান্ড pdf – মনোজ সেন Nilkantapurer Hatykanda pdf by Monaj Sen

নীলকান্তপুরের হত্যাকান্ড pdf - মনোজ সেন Nilkantapurer Hatykanda pdf by Monaj Sen

গোয়েন্দা কাহিনী দয়মন্তী সিরিজের Nilkantapurer Hatykanda pdf পড়ুন আজই। Nilkantapurer Hatykanda pdf নীলকান্তপুরের হত্যাকান্ড pdf চমৎকার এক কাহিনীর সমন্বয়।

নীলকান্তপুরের হত্যাকান্ড pdf - মনোজ সেন Nilkantapurer Hatykanda pdf by Monaj Sen

Nilkantapurer Hatykanda pdf নমুনাঃ

রোববার বিকেল বেলা অতিথি এলেন চারজন। শিবেন, একজন মহিলা, একজন ইউনিফর্ম-পরা পুলিশ অফিসার এবং একজন নিতান্ত সাদাসিধে ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত ভদ্রলোক। ভদ্রমহিলা মোটের ওপর সুন্দরী, তবে বয়েস চল্লিশ পেরিয়েছে। মাথার চুলে পাক ধরেছে, মুখের বলিরেখায় সংসারের পোড়-খাওয়া চিহ্ন, পরনে একটি লালপাড় ধূসর রঙের ধনেখালি শাড়ি আর লাল রঙের ব্লাউজ। পুলিশ অফিসারটি প্রকাণ্ড লম্বা-চওড়া, মাথায় টাক, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, হাসিখুশি মুখ, কিন্তু চোখ দুটি সজাগ ও তীক্ষ্ন। ভদ্রলোকটির বয়েস পঞ্চাশের কাছাকাছি, মাথার বেশিরভাগ চুলই পাকা, চোখে সরু ফ্রেমের চশমা, শীর্ণ মুখে উদবেগ ও আশঙ্কা।

শিবেন পরিচয় করিয়ে দিল, ‘ইনি ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর হেমন্ত কুমার সরকার, এই কেসটার চার্জে আছেন। ইনি ডাক্তার অরিজিৎ বোসের ছোটো বোন মিসেস অলকা ঘোষ আর ইনি এঁর স্বামী শ্রীবিকাশচন্দ্র ঘোষ। বিকাশবাবু বার্নপুরে মডার্ন স্টিল কোম্পানিতে অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।’

মাসিক বসুমতী গল্পসম্ভার pdf – পূর্ণেন্দু ঘোষ Masik Basumati Golposambher pdf

শিবেন থামতেই হেমন্ত সরকার বললেন, ‘দেখুন, গত বুধবার শিবেনদার সঙ্গে আপনার যে কথাবার্তা হয়েছে, তার কিছু কিছু আমি শুনেছি। মিসেস ঘোষকে জেরা না করা সত্যিই আমাদের ভুল হয়েছিল। এখন, আপনি যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে আমি আপনার জেরার সময় উপস্থিত থাকতে চাই।’

হেমন্ত সরকারের কথা শুনে দময়ন্তী একটু গম্ভীর হয়ে গেল। বলল, ‘উপস্থিত আপনি অবশ্যই থাকতে পারেন। তবে মিসেস ঘোষকে আমি কিন্তু জেরা করবার জন্যে ডাকিনি। আমার উদ্দেশ্য ওঁর সঙ্গে একটু কথা বলা, কয়েকটা কথা ওঁর কাছ থেকে জানা।’

সরকার হেঁ হেঁ করে হেসে বললেন, ‘না, না, মানে হ্যাঁ, তাই তো, কথাই তো বলবেন। মানে, আই অ্যাম সরি, জেরা করাটা আমার ঠিক বলা উচিত হয়নি। মানে, ওই কথাই আর কী—’

দময়ন্তী হেসে ফেলল। বলল, ‘হ্যাঁ, কথাই। আমরা বলি, আপনি শুনুন। তবে, তার আগে একটু জলযোগ না করলে তো চলবে না।’

দময়ন্তী জিজ্ঞেস করল, ‘আপনার দাদা ডাক্তার অভিজিৎ বোসের যখন বিয়ে হয়, তখন কি আপনার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল মিসেস ঘোষ?’

অলকা মাথা নাড়লেন। বললেন, ‘হ্যাঁ, হয়েছিল। অনেক আগেই হয়েছিল। ছোড়দার বিয়ে তো ওর বেশ বেশি বয়সেই হয়। বোধ হয় পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশ হবে।’

অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিকাশচন্দ্র শুধরে দিলেন। বললেন, ‘না, চৌত্রিশ বছর বয়সে। তোমার ছোড়দার বিয়ে হয়েছিল আমাদের বিয়ের সাত বছর বাদে।’ Nilkantapurer Hatykanda pdf

দময়ন্তী মৃদু হেসে আবার অলকাকে প্রশ্ন করল, ‘আমাদের দেশের স্ট্যান্ডার্ডে এটা বেশি বয়েস সন্দেহ নেই, কিন্তু এত বয়স পর্যন্ত উনি বিয়ে করেননি কেন?’ নীলকান্তপুরের হত্যাকান্ড pdf

শিমুলগড়ের খুনে ভূত pdf – সমরেশ বসু Shimulgarer Khune Bhut pdf – Somoresh Bosu

অলকা চুপ করে কিছুক্ষণ ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘দেখুন, আমরা নিতান্ত মধ্যবিত্ত পরিবার। অভাব অনটনের মধ্যে মানুষ হয়েছি। বাবা ছিলেন স্কুলটিচার, কতই-বা আর মাইনে পেতেন। ছোড়দা এই দারিদ্র্য সহ্য করতে পারত না। ওর মধ্যে অনেক উচ্চাশা ছিল, অনেক বড়ো হবার স্বপ্ন দেখত। কাজেই বিলেত থেকে ফিরে যখন প্র্যাকটিশ জমাতে পারল না, তখন অত্যন্ত মুষড়ে পড়েছিল। বিয়েই করবে না স্থির করেছিল।’

‘প্র্যাকটিস জমল না কেন?’ Nilkantapurer Hatykanda pdf পড়ুন।

‘ছোড়দা যে লাইনে স্পেশালাইজড করেছিল, সে লাইনে পসার জমানো সে সময় বড়ো সহজ ছিল না। এমনিতেই পাগলের ডাক্তারের কাছে কজন রুগি আর যায়? তার ওপর ছোড়দা তখন নতুন ডাক্তার, ওকে চেনেই বা কে, জানেই বা কে?’

‘আপনার ছোড়দার বিয়ের গল্প কিছু বলুন।’ Nilkantapurer Hatykanda pdf পড়ুন।

অলকা আবার কিছুক্ষণ চুপ করে ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘ছোড়দার বিয়ে হবার খবর আমি বার্নপুরে পাই। বাবা চিঠি লিখেছিলেন। সেটা পড়ে জানা গেল যে, বীথিকার সঙ্গে বিয়ে পাকাই হয়ে গেছে। আমার সঙ্গে পরামর্শ করার সময় ওঁরা পাননি, কারণ অন্নদাবাবুর চাপে পড়ে খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু শেষ করে ফেলতে হয়েছে। মেয়ে দেখতে গিয়েছিলেন বাবা, ছোড়দা আর বড়োবউদি। বাবা ওখানেই কথা দিয়ে দিয়েছেন। আমাদের ডেকে পাঠিয়েছেন আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্যে। আশীর্বাদের দু-দিন পরেই বিয়ে।

‘আমার খুব দুঃখ আর অভিমান হয়েছিল। কিন্তু না গিয়ে তো পারি না। আমার বড়ো ছেলের বয়স তখন চার বছর— ওকে নিয়ে আমরা দুজনে বসিরহাটে বড়দার বাড়িতে গিয়ে উঠলুম। বাড়িতে ঢুকে দেখি চারদিক থমথম করছে। উঠোনে বড়দা গম্ভীর মুখে চুপ করে দাঁড়িয়ে আর বারান্দায় বাবা একটা মোড়া পেতে প্রচণ্ড রাগী রাগী মুখ করে বসে আছে। আমরা ঢুকতেই বড়দা আমাকে আর বড়োখোকাকে ভেতরে পাঠিয়ে দিল আর ওকে বলল ওখানে থাকতে।

Nilkantapurer Hatykanda pdf ডাউনলোড লিংকঃ

Download / Read link

Be the first to comment

Leave a Reply