নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf – অবধূত Nilkantha Himalaya pdf – Abadhut best pdf

নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf – অবধূত Nilkantha Himalaya pdf - Abadhut
নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf – অবধূত Nilkantha Himalaya pdf - Abadhut

বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক কালিকানন্দ অবদূত এর Nilkantha Himalaya pdf নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf ডাউনলোড করুন এবং Nilkantha Himalaya pdf নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf পড়ুন।

নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf – অবধূত Nilkantha Himalaya pdf - Abadhut
নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf – অবধূত Nilkantha Himalaya pdf – Abadhut

Nilkantha Himalaya pdf নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf রিভিউঃ

‘অবধূত’ যখন তাঁর ‘মরুতীর্থ’ নিয়ে মুরুব্বীহীন হালে নিঃশব্দে বাঙলা সাহিত্যের আসরে প্রবেশ করলেন তখন উভয় বাঙলার বাঙালী পাঠক মাত্রই যে বিস্মিত হয়েছিলেন সে-কথা নিশ্চয়ই অনেকের স্মরণে আছে। এ তো মরুতীর্থ নয়, এ যে রসে রসে ভরা ‘রসতীর্থ’।

হিন্দু তীর্থের প্রতি মুসলমানের কোনো কৌতূহল থাকার কথা নয়, কিন্তু এই গ্রন্থ প’ড়ে পূর্ব পাকিস্তানী একটি মুসলমান তরুণ আমাকে বলে, সে নিশ্চয়ই হিংলাজ দেখতে যাবে—সে তখন করাচীতে চাকরী করে, তার পক্ষে যাওয়া সুকঠিন ছিল না। আমি শঙ্কিত হয়ে বললুম, ‘অমন কর্মটি করো না। আর্টিস্টের মডেলের সন্ধানে কেউ কখনো বেরোয়’! যে ‘ভিখারিনী’-ছবি তুমি পশু’ দিন একশ’ টাকা দিয়ে কিনলে তুমি কি সে-ভিখারিনীর সন্ধানে বেরোও, যাকে মডেল- রূপে সামনে খাড়া রেখে আর্টিস্ট ছবি এঁকেছিল? বরঞ্চ বলব, তার সঙ্গে দৈবাৎ রাস্তায় দেখা হলে তুমি তো উল্টো ফুটে চলে যাও!

আয় সুখ যায় সুখ pdf – সমরেশ মজুমদার Aai Sukh Jai Sukh pdf – Samaresh Majumdar

কারণ, সে তো তোমার হৃদয়ে কোনো ঈসূতেটিক্ আনন্দ দিতে পারে না। আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই, অবধূত-মহারাজ সাধু ব্যক্তি; সাধুতা তিনি লেখক হিসেবেও রক্ষা করেছেন এবং তাঁর পুস্তকে তিনি অভিরঞ্জন করেন নি। কোনো কোনো সাধুবাবাজী ‘বড়-তামাক’ সেবন করেন; অবধূত কখনো করেছেন কি না বলা কঠিন- অন্তত তাঁর ডেরাতে সে ‘খুশবাই’ ‘আমি পাই নি কিন্তু একথা বহু সত্য, তাঁর সৃষ্টিতে গঞ্জিকা-বিলাস বিলকুল নদারদ। কাজেই হিংলাজে গিয়ে তুমি টায় টায় তাই পাবে, দক্ষে পক্ষে সে-সব জিনিসই পাবে যার বুয়ান অবধুত্ত ‘ইমানসে দিয়াছেন; তাঁর ইনভেনট্রিতে ফাঁকি পাবে না। এবং পাবে না এবং সেইটেই সব চেয়ে বড় কথা— তাঁর বই পড়ে যে কাব্যরস, যে কলাস্তুষ্টিরস, যে ঈপতেটিক ডিলাইট পেয়েছিলে সেই অনবদ্য অমৃত।

তার শেষ প্রমাণ ; সূর্যোদয় তো আমরা নিত্যি নিত্যি দেখি, তবে সূর্যোদয়ের ছবি কিনি কেন?’
তাহলে প্রশ্ন, অবধূত কি খাঁটি রিয়ালিস্টিক লেখক? অবধুত কি বাস্তব জগৎ ছাড়িয়ে যেতে পারেন না?
কল্পনার ডানা জুড়ে দিয়ে তিনি যদি আমাদের নভোলোকে উড্ডীয়মান না করতে পারেন তবে বাস্তবের কাদায় গড়াগড়ি দিয়ে কী এমন চরম মোক্ষলাভ! ‘

এর উত্তর অতিশয় সরল। অবধূত যদি তাঁর কল্পনা, তাঁর সৃজনী- শক্তি, তাঁর স্পর্শকাতরতা মরুতীর্থের পাতায় পাতায় ঢেলে না দিয়ে থাকতেন তবে পুস্তকটি রসকষহীন মরুই থেকে যেত। বড় জোর সেটা হত গাইড বুক্‌। গাইড বুক্‌ বড়ই প্রয়োজনীয় বস্তু, কিন্তু স্বয়ং রবীন্দ্রনাথই বলেছেন, আর্ট আরম্ভ হয় ঠিক সেই জায়গা থেকে যেখান প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় । রাধু মালী কেনেস্তারায় করে নাইবার জ যে-জল এনে দেয় তাতে প্রয়োজন মেটে বটে, কিন্তু নন্দলাল কর্তৃ বহুবর্ণে বিচিত্রিত কুম্ভ মস্তকে ধারণ করে যখন তখঙ্গী মরাল গা জল নিয়ে আসে তখন সঙ্গে সঙ্গে আসে আর্টের উপাদান, সেই জা সঙ্গে সঙ্গে আসে কল্পনার উৎস, সৃষ্টির অনুপ্রেরণা – সেই পুণ্য মরুতীর্থকে ‘শ্যামল সুন্দর’ করে তোলে।

কিন্তু ঐ এক ‘মরুতীর্থ’ই তো অবধূতের একমাত্র বা সর্ব রসসৃষ্টি নয় যে সুদ্দু মাত্র এইটে বিশ্লেষণ করেই আমরা পুস্তক লেখকের প্রকৃত পরিচয় পেয়ে যাবো, এবং প্রশ্ন, রসের হাটে ভ্রমণ- কাহিনী কোন্ কাতারে বসার হক ধরে, বাজারের বৈচিত্র্য নির্মাণে তার সেবা কতখানি, সে পাবে কোন্ শিরোপা? বিশেষত বাঙলা সাহিত্যে? লোকে বলে ‘ঘরমুখো বাঙালী’; কাজই তার কাছ থেকে আর সব-কিছুই আশা করা যেতে পারে, শুধু ভ্রমণ-কাহিনীটি মাফ করে দিতে হয়। তাই যদি হয়, তবে বলবো, ‘পালামৌ’-র পরই ‘মরুতীর্থ’। এবং তার পরও তাকে কেউ আসনচ্যুত করতে পারে নি। বলা বাহুল্য, এসব আলোচনায় আমরা গুরু রবীন্দ্রনাথকে বাদ দি।

কুবেরের বিষয় আশয় pdf – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় Kuberer Bishoy Ashoy pdf – Shyamal Gangopadhyay

তবে কি অবধূত শুধু ভ্রমণকাহিনীর কীর্তনিয়া—পার্ এক্‌ সেলাঁস? অধীন সমালোচক নয়, বাঙলা সাহিত্যের অধ্যাপকও নয়। তার প্রধান পরিচয়—সে যা মনে করে— পাঠক রূপে। সে বই পড়তে ভালোবাসে এবং যদ্যপি ঈশ্বরেচ্ছায়, বা নসীবের গর্দিশে, যাই বলুন, সে ভিন্ন ভিন্ন দেশে যাওয়ার ফলে বাঙলা ছাড়াও দু-একটি অতিশয় ধনী তথা খানদানী ভাষার সঙ্গে কিঞ্চিৎ পরিচিত হয়েছে, তথাপি সে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে আপন মাতৃভাষা বাঙলাতেই বই পড়তে। এবং কোনো বই পড়ে—বিশেষ করে সে-বইয়ের লেখক যদি অখ্যাত- নামা হয়, তাকে যদি নববধুর মত লজ্জিত শঙ্কিত পদে বাঙলা বাসরে প্রবেশ করতে দেখে তবে আঙ্গিনা থেকে তার কল্যাণ কামনা করে, বয়সে ছোট হলে আশীর্বাদ জানায়। আবার বলছি, পাঠক হিসেবে।

‘অবধূত’ ‘শঙ্কর’ আদিকে আমি উদ্বাহু হয়ে অযাচিত অভিনন্দন “জানাই, বাঙলা সাহিত্যে তাঁদের প্রবেশ-লগ্নেই। পরবর্তীকালে কেউ কেউ আমাকে আরো আশাতীত আনন্দ দিয়েছেন, কেউ কেউ দেন নি, কিন্তু সে নিয়ে আমার ক্ষোভ নেই, কারণ এ-ছজনা আমাকে নিরাশ করেন নি।

বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক কালিকানন্দ অবদূত এর Nilkantha Himalaya pdf নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Nilkantha Himalaya pdf নীলকণ্ঠ হিমালয় pdf এখান থেকে পড়ুন

Be the first to comment

Leave a Reply