নটরাজ pdf – সিদ্দিক আহমেদ Notoraz pdf – Siddique Ahmed

নটরাজ pdf - সিদ্দিক আহমেদ Notoraz pdf - Siddique Ahmed
নটরাজ pdf - সিদ্দিক আহমেদ Notoraz pdf - Siddique Ahmed

সিদ্দিক আহমেদের Notoraz pdf নটরাজ pdf ডাউনলোড করুন ও Notoraz pdf নটরাজ pdf পড়ুন।

নটরাজ pdf - সিদ্দিক আহমেদ Notoraz pdf - Siddique Ahmed
নটরাজ pdf – সিদ্দিক আহমেদ Notoraz pdf – Siddique Ahmed

Notoraz pdf নটরাজ pdf ভূমিকা

চোলদের আদিভূমি নিয়ে বিতর্কের সূত্র ধরেই মূলত এই উপন্যাসের শুরু। মাথায় চিন্তার পোকা ঢুকে যাবার পর থেকেই চোলদের নিয়ে আমি বিস্তারিত পড়া শুরু করি। যত ভেতরে ঢুকতে থাকি বিস্ময় নিয়ে আবিষ্কার করতে থাকি চোলদের আদিভূমি আসলেই এই বঙ্গের দিকে ইঙ্গিত বহন করে। চোল রাজাদের এই ব্যাপারটা জানবার সঙ্গে সঙ্গে আমার উৎসাহ দ্বিগুণ বেড়ে যায়, আমি আমার আগামী বই লেখার জন্য যে গবেষণা করছিলাম সেটা বাদ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে চোল রাজাদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি। যার ফল স্বরূপ এই বই।

ভেলকুনমামা ও মিথ্যান্বেষী pdf – সৌরভ মুখোপাধ্যায় Bhelkun Mama O Mithyaoneshi pdf – Sourav Mukhopadhyay

চাইলেই বইয়ের শেষে একটা বিশাল গ্রন্থপঞ্জী যুক্ত করে গবেষণাধর্মী লেখক হিসেবে জাহির করা যেত, কিন্তু সেটার প্রয়োজন বোধ করিনি। বই লেখাবার সময় তিনটা ভাষা জানা আমার জন্য জরুরি হয়েছিল। বম ভাষায় আমাকে সহায়তা করেছে ছোট ভাই রিচার্ড বম। যাকে সময় অসময় ফোন দিয়ে বিরক্ত করেছি। চাকমা ভাষার ব্যাপারে সাহায্য করেছে আমার বন্ধু জোসেফ চাকমা। আর তামিল ভাষা শিখিয়েছে আমার তামিলিয়ান বন্ধু রামিয়া স্যামি। আরও কৃতজ্ঞতা আমার ছোটোভাই আম্মানকে যে আমাকে হাতে ধরে বান্দরবানের অলিগলি চিনিয়েছে। এই বিশেষ কয়েকজন মানুষের সাহায্য ছাড়া বইটি কোনোভাবেই পূর্ণতা পেত না। আলোঘর ঈদ সংখ্যাতে এই বইয়ের অংশবিশেষ আগেই ছাপা হয়েছে, এবার পুরোটা একসঙ্গে মুদ্রিত হলো।

বই ছাপার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ‘বস’ আহসান হাবীবের, তিনি না থাকলে আমার লেখক সত্ত্বা সবার অগোচরেই থেকে যেত। আমি সব সময় যেমন বলি এবারও বলতে হয়, বসের বড় দুই ভাই (হুমায়ূন আহমেদ ও মুহাম্মদ জাফর ইকবাল) একজন একনিষ্ঠ পাঠক তৈরি করেছিলেন, ‘বস’ সেই পাঠকদের থেকে একজন লেখক বের করে এনেছেন।

Notoraz pdf নটরাজ pdf নমুনাঃ
বান্দরবান জায়গাটা সুন্দর হবে জিতু ভাল করেই জানত। কিন্তু এত সুন্দর হবে সেটি তার কল্পনায়ও ছিল না।
নীলগিরি রিসোর্ট থেকে থানচি আসতেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
আশপাশে দেখতে দেখতে সিহাবকে খোঁচা দেবার লোভ জাগল জিতুর, ‘কিরে ব্যাটা, আসতেই তো চাচ্ছিলি না?”
সিহাব বুঝল এখন কিছু বলা মানে জিতুর ফাঁদে ধরা পড়ার আশঙ্কা। তাই কিছু না বলে একটা রহস্যময় হাসি ফিরিয়ে দিল।
জিতু মোটেও হাসিতে ভোলার পাত্র নয়। তাই সে খোঁচা দিয়ে আরও কিছু বলতে চাচ্ছিল । কিন্তু তার আগেই তাদের গাড়িটা ব্রেক কষে থেমে গেল।

‘থানচি চলে আসছি, ভাইজান। ড্রাইভার সবাইকে শুনিয়ে আওয়াজ দিল। জিতু কোনো বাক্য ব্যয় না করে গাড়ি থেকে নেমে তার ব্যাক প্যাকটা তুলে নিল। পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে গাড়ির ভাড়াটা মিটিয়ে দিল। তার দেখাদেখি সিহাব ও নাবিলা ব্যাগগুলো কাঁধে ঝুলিয়ে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেল।
‘এখান থেকে রেমাক্রি যাবার সিস্টেম কী ড্রাইভার সাহেব?’..
‘রেমাক্রি কই যাবেন?’
‘ঠিক রেমাক্রি যাব না, যাব বড় মদক।’
‘তাইলে নৌকা নিয়েন একটা ওরাই রেমাক্রি হইয়া মদককের ওইখানে পৌছায় দিবেনে, মনে কইরা গাইড নিয়ের একখান। বম গাইড নিয়েন, হেরা ঐসব অঞ্চল আবার ভাল চিনে। অনেক মাঝিও আবার গাইড হিসেবে কাম করে। চাইলে অগোরেও নিতে পারেন।

কিন্তু জিতুদের নৌকা ঠিক করবার আগে যে কাজটা করতে হল সেটাকে একরকম যুদ্ধই বলা চলে। বিজিবিকে নিজের চোদ্দগোষ্ঠীর ঠিকানা দেবার পরে তাদের থেকে রেমাক্রি বাজার যাবার অনুমতি পাওয়া গেল। আর তারা পইপই করে বলে দিল রেমাক্রি পৌঁছেই যেন তারা সেখানকার বিজিবি ক্যাম্পে রিপোর্ট করে।
অনুমতি পাবার কিছুক্ষণের ভেতর জিতুরা একটা নৌকা ঠিক করে নিয়ে সাঙ্গু নদীতে ভাসতে একমুহূর্ত দেরি করল না। তবে নৌকার মাঝিদের সঙ্গে কথা ঠিক হল যে, তারা শুধু রেমাক্রি যাবে, রেমাক্রি যাবার পর ভেবে দেখবে তারা বড় মদক আদৌ যাবে কি-না।

বাংলাদেশের এই একমাত্র পাহাড়ী নদীতে ভাসতে শুরু করবার কিছুক্ষণ পরেই দলের সবাই দুই পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ডিএসএলআর ক্যামেরায় বন্দী করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। চারপাশে সুন্দর।
পাহাড় থেকে পাথর ভেঙে ভেঙে সাঙ্গুর দুধারে গড়িয়ে এসে জমা হয়েছে। সেটি খালি চোখে দেখতেই অসম্ভব ক্যামেরায় তো সেটা আরও ভাল লাগবেই। তার ওপর কিছুক্ষণ পরপর গুহার মতো কিছু জায়গা থেকে ছোট ছোট ঝরনা নদীর দুধার থেকে বয়ে এসে সাঙ্গু নদীতে মিশেছে। সেটাও আরেক ধরনের অদ্ভুত ব্যাপার। শহুরে দলটির কেউই এমন প্রাকৃতিক ঝরনা আগে দেখেনি বলেই তাদের কাছে এটি অপার বিস্ময়ের।

সিদ্দিক আহমেদের Notoraz pdf নটরাজ pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও Notoraz pdf নটরাজ pdf এখান থেকে পড়ুন

Be the first to comment

Leave a Reply